original_title
stringlengths 2
272
⌀ | category
stringclasses 58
values | full_news
stringlengths 2
73.5k
⌀ | sub_article
stringlengths 1
24.1k
⌀ | semantic_title
stringlengths 2
255
⌀ | lexical_title
stringlengths 4
240
| random_title
stringlengths 3
255
⌀ |
|---|---|---|---|---|---|---|
ইংল্যান্ডকে মামুলি লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ
|
sports
|
স্পোর্টস ডেস্ক : ইংল্যান্ডকে ১২৫ রানের মামুলি লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ দল। প্রথমবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুই দলের সাক্ষাতে শুরুতে ব্যাটিং করে ৯ উইকেটে ১২৪ রান করে টাইগাররা। এর আগে দলীয় ৯৮ রানে বাংলাদেশের ৭ উইকেট পড়ে যায়। পরে নূরুল হাসান ও মেহদি হাসানের ব্যাটে ভর করে ১২৪ রানে পৌঁছায় বাংলাদেশের স্কোর। এক বল বাকি থাকতে আউট হয়ে যান নূরুল। এক বল খেলতে মাঠে নামেন মোস্তাফিজুর রহমান। ওই বলে বোল্ট হয়ে যান তিনি। দলীয় স্কোর ১০০ না ছুঁতেই ৭ ব্যাটার সাজঘরে: দলীয় স্কোর ১০০ না ছুঁতেই বাংলাদেশ দলের ৭ ব্যাটার সাজঘরে ফিরে গেছেন। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ২৪ বলে ১৯ রান করে আউট হয়ে যান। তিনি ব্যাটিংয়ে থাকাকালে রান আউটের ফাঁদে পড়েন আফিফ হোসেন। পরে মেহদি হাসান আউট হন ১১ রানে। তিনি ১০ বল খরচ করেছেন। তার উইকেটটি তুলে নেন মিলস। ফিরলেন মুশফিকও, দিশেহারা বাংলাদেশ: অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিমও সাজঘরে ফিরে গেছেন। এর আগে তিনি করেছেন ৩০ বলে ২৯ রান। ল্যাভিংস্টোনের একটি বল সুইপ করতে গিয়ে আউট হন তিনি। তার পরিবর্তে মাঠে নামেন আফিফ হোসেন। তিনি মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গ দেবেন। লিটন-নাঈম ও সাবিককে হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ: ব্যর্থতা পিছুই ছাড়াছে না লিটন দাসের। আজও ব্যাট হাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন লিটন কুমার দাস। পরপর দুই বাউন্ডারি মেরে রানের খাতা খুলেন তিনি। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারলো না। মঈন আলীর বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন লিটন। আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ৮ বলে ৯ রান। লিটনের পর পরই আউট হয় আরেক ওপেনার নাঈম শেখ। নাঈমের ব্যাট থেকে আসে ৭ বলে ৫ রান। পরে সাকিব আল হাসানও আউট হয়ে যান। তিনি ওকসের বলে আদিল রশিদের হাতে ক্যাচ দেন। সাকিব ৭ বলে ৪ রান করেন। টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যেতে হলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের কোন বিকল্প নেই বাংলাদেশের। এমন সমীকরণের ম্যাচে মঙ্গলবার আবু ধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইয়ন মরগানের দলের বিপক্ষে মাঠে নামবে মাহমুদউল্লাহর দল। বাংলাদেশ সময় ম্যাচটি শুরু হয় বিকেল ৪টায়। ইতোমধ্যে টস সম্পন্ন হয়েছে। আজকের ম্যাচেও টসভাগ্য ছিল বাংলাদেশের পক্ষে। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাহামুদউল্লাহ রিয়াদ। এই ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপ থেকে আগেই ছিটকে গেছেন ফাস্ট বোলার সাইফউদ্দিন। তার জায়গায় একাদশে সুযোগ পেয়েছেন শরিফুল ইসলাম। টি-টোয়েন্টিতে আগে কখনও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেনি টাইগাররা। ১৫ বছরে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে ১১৬টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কিন্তু কখনোই সংক্ষিপ্ত ভার্সনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা হয়নি টাইগারদের। চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন ভালো হয়নি বাংলাদেশের। সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিততে পারেনি লাল-সবুজ প্রতিনিধিরা। বাংলাদেশ একাদশ: নাঈম শেখ, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, শেখ মাহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান। এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ //
|
এর আগে তিনি করেছেন ৩০ বলে ২৯ রান ল্যাভিংস্টোনের একটি বল সুইপ করতে গিয়ে আউট হন তিনি তার পরিবর্তে মাঠে নামেন আফিফ হোসেন তিনি মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গ দেবেন লিটন-নাঈম ও সাবিককে হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ: ব্যর্থতা পিছুই ছাড়াছে না লিটন দাসের আজও ব্যাট হাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন লিটন কুমার দাস পরপর দুই বাউন্ডারি মেরে রানের খাতা খুলেন তিনি কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারলো না মঈন আলীর বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন লিটন আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ৮ বলে ৯ রান লিটনের পর পরই আউট হয় আরেক ওপেনার নাঈম শেখ নাঈমের ব্যাট থেকে আসে ৭ বলে ৫ রান পরে সাকিব আল হাসানও আউট হয়ে যান তিনি ওকসের বলে আদিল রশিদের হাতে ক্যাচ দেন সাকিব ৭ বলে ৪ রান করেন
|
আফগানিস্তানকে মামুলি লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
|
‘লক্ষ্মী কাকিমার বাড়ি’ লক্ষ্মী পুজো
|
"আদালতে চিৎকার করে বলেছি আমি বাংলাদেশি না, তবুও জেল হলো"
|
অবাঞ্ছিত রাজনীতি
|
editorial
|
পরিদর্শনের কাজটির মধ্যে যদি রীতি বা নীতি ভঙ্গ করিবার ঝুঁকি না থাকে, তাহা হইলে পরিদর্শক আসিবার মাত্র পনেরো মিনিট পূর্বে আগমনবার্তা জানাইবার প্রয়োজন হয় না। অথচ এই রাজ্যে কেন্দ্রের পরিদর্শনকারী দল আসিবার সময় তাহাই ঘটিল। তাঁহারা রাজ্যে আসিবার তিন ঘণ্টা পর সংবাদ পাইলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। যু্ক্তরাষ্ট্রীয় গণতন্ত্রে রাজ্যের সহিত কেন্দ্রের আচরণবিধি ইহা নহে। যে কোনও রাজ্যের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা পরিদর্শন করিবার, তাহার ত্রুটি সম্পর্কে রাজ্যকে সচেতন ও সতর্ক করিবার অধিকার অবশ্যই কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রহিয়াছে। এবং রাজ্য সরকারের কর্তব্য, কেন্দ্রের পরিদর্শনে সহায়তা করা। অথচ রাজ্যে কেন্দ্রীয় দলের আসিবার যুক্তি, পরিকল্পনা, কিছুই আগাম জানানো হইল না। রাজ্যের আধিকারিকদের সহিত যোগাযোগ না করিয়াই তাঁহারা বিভিন্ন জেলা পরিদর্শন করিতে গেলেন। মনে হইতেই পারে, রাজ্য সরকারের উপর কেন্দ্রীয় দলটির আস্থা নাই বলিয়াই এমন কার্যপদ্ধতি। মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ অসঙ্গত নহে। প্রশ্ন কেবল প্রশাসনিক রীতিনীতির নহে। রাজ্যগুলির ত্রুটিবিচ্যুতি যাহাই থাকুক না কেন, স্বাস্থ্য পরিষেবা শেষ অবধি জোগাইতে হইবে রাজ্য সরকারকেই। লকডাউন কার্যকর করিয়া মহামারির বিস্তার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বও রাজ্যেরই। অতএব রাজ্যকে সঙ্গে লইয়া পরিদর্শন করিলে আখেরে রাজ্যেরই সুবিধা হইবার কথা। পরিবর্তে রাজ্যকে ধোঁয়াশায় (বা অন্ধকারে) রাখিয়া অনুসন্ধানে আসিয়া কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞরা কোন উপকারটি করিলেন? কেন এমন গোপনীয়তা, সে প্রশ্নের পাশেই আর এক রহস্য—কেন পশ্চিমবঙ্গ? কোন কারণে কেন্দ্রীয় দলের পরিদর্শনের তালিকায় অন্যান্য অনেক রাজ্যের পূর্বে পশ্চিমবঙ্গ স্থান পাইল? জাতীয় স্তরে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বিস্তারের যে চিত্র সম্প্রতি প্রকাশিত হইয়াছে, তাহাতে এই প্রশ্নটি বিলক্ষণ ভাবাইতেছে। মোট সংক্রমণের হিসাব লইলে ভারতে পশ্চিমবঙ্গ এখন ত্রয়োদশ স্থানে। চব্বিশ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা যত বৃদ্ধি পাইয়াছে, অথবা যত দিনের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হইতেছে, কোনও হিসাবেই পশ্চিমবঙ্গ শীর্ষের কয়েকটি রাজ্যের মধ্যে নাই। তৎসত্ত্বেও কেন এই রাজ্যে তড়িঘড়ি পরিদর্শক পাঠাইতে হইল? যদি রাজ্যের সহিত আগাম আলোচনা করিয়া কেন্দ্রীয় পরিদর্শক দলটি আসিত, তাহা হইলে কেন্দ্রের যুক্তিগুলি জানিবার সুযোগ থাকিত। তথ্য নাই, অতএব ঝাঁক বাঁধিতেছে সন্দেহ যে, কারণটি আসলে রাজনৈতিক। যে চারটি রাজ্যে কেন্দ্র সোমবার পরিদর্শক পাঠাইয়াছে, তাহার মধ্যে তিনটিতে (মহারাষ্ট্র, রাজস্থান ও পশ্চিমবঙ্গ) বিজেপি ক্ষমতায় নাই, একটিতে (মধ্যপ্রদেশ) অতি সম্প্রতি ক্ষমতায় আসিয়াছে। অথচ গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ-সহ বেশ কিছু বিজেপি-শাসিত রাজ্যে সকল সূচকেই সংক্রমণের পরিস্থিতি অধিক গুরুতর। তবে কি মহামারির পরিস্থিতি পরিদর্শনের তুলনায় বিরোধী দলগুলিকে অদক্ষ বলিয়া দেখাইবার আগ্রহটিই এখানে বড়? দুর্ভাগ্যজনক বলিলেও কম বলা হয়। দেশে এখন ভয়াবহ পরিস্থিতি। এই বিপুল বিপন্নতার সম্মুখে দাঁড়াইয়া একটি নির্বাচিত সরকার এমন ক্ষুদ্র স্বার্থে কাজ করিতে পারে, যেন বিশ্বাস হয় না। কিন্তু আপ্তজন বলিয়াছেন, মরিলেও স্বভাব যায় না। রাজনীতির দানে প্রতিনিয়ত অপর পক্ষের ঘুঁটি কাটিবার যে অভ্যাস নেতারা রপ্ত করিয়াছেন, মৃত্যুভয়ও তাহা হইতে নিরত করিতে পারে না। চরম সঙ্কটের মুহূর্তে বিজেপিরই এক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তাঁহার দলের এক মুখ্যমন্ত্রীকে উপদেশ দিয়াছিলেন রাজধর্ম পালন করিতে। সে দিনের সেই মুখ্যমন্ত্রী, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, আজ সেই উপদেশ মনে রাখুন। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব আপাতত মুলতুবি রাখিয়া, মহামারি মোকাবিলায় রাজ্যগুলির সহিত পূর্ণ সহযোগিতাই আজিকার রাজধর্ম। আরও পড়ুন: নীতিকে ন্যায্য হতেই হবে
|
এবং রাজ্য সরকারের কর্তব্য, কেন্দ্রের পরিদর্শনে সহায়তা করা অথচ রাজ্যে কেন্দ্রীয় দলের আসিবার যুক্তি, পরিকল্পনা, কিছুই আগাম জানানো হইল না রাজ্যের আধিকারিকদের সহিত যোগাযোগ না করিয়াই তাঁহারা বিভিন্ন জেলা পরিদর্শন করিতে গেলেন মনে হইতেই পারে, রাজ্য সরকারের উপর কেন্দ্রীয় দলটির আস্থা নাই বলিয়াই এমন কার্যপদ্ধতি মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ অসঙ্গত নহে প্রশ্ন কেবল প্রশাসনিক রীতিনীতির নহে রাজ্যগুলির ত্রুটিবিচ্যুতি যাহাই থাকুক না কেন, স্বাস্থ্য পরিষেবা শেষ অবধি জোগাইতে হইবে রাজ্য সরকারকেই লকডাউন কার্যকর করিয়া মহামারির বিস্তার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বও রাজ্যেরই অতএব রাজ্যকে সঙ্গে লইয়া পরিদর্শন করিলে আখেরে রাজ্যেরই সুবিধা হইবার কথা পরিবর্তে রাজ্যকে ধোঁয়াশায় (বা অন্ধকারে) রাখিয়া অনুসন্ধানে আসিয়া কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞরা কোন উপকারটি করিলেন? কেন এমন গোপনীয়তা, সে প্রশ্নের পাশেই আর এক রহস্য—কেন পশ্চিমবঙ্গ? কোন কারণে কেন্দ্রীয় দলের পরিদর্শনের তালিকায় অন্যান্য অনেক রাজ্যের পূর্বে পশ্চিমবঙ্গ স্থান পাইল? জাতীয় স্তরে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বিস্তারের যে চিত্র সম্প্রতি প্রকাশিত হইয়াছে, তাহাতে এই প্রশ্নটি বিলক্ষণ ভাবাইতেছে
|
নিম্ন মানের রাজনীতি
|
ভুল রাজনীতির মাসুল
|
সুপ্রভাত, আজ: কী হচ্ছে, কী হবে, নজরে ৬
|
স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে মোদির শুভেচ্ছা
|
international
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্বাধীন বাংলাদেশের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে এক টুইটে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী এ শুভেচ্ছা জানান। টুইটে তিনি লিখেছেন- ৫০তম বিজয় দিবসে আমি বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা এবং ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সাহসী সদস্যদের মহান বীরত্ব ও আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করছি। আমরা একসঙ্গে অত্যাচারী শক্তির বিরুদ্ধে লড়েছি এবং পরাজিত করেছি। বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী, মুজিববর্ষের সমাপ্তি এবং বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে সস্ত্রীক ঢাকা সফরে এসেছেন ভারতীয় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তার এই সফর প্রত্যেক ভারতীয়র কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেও টুইটারে উল্লেখ করেছেন নরেন্দ্র মোদি। এছাড়া বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, বিরোধী দল কংগ্রেসও। এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ//
|
টুইটে তিনি লিখেছেন- ৫০তম বিজয় দিবসে আমি বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা এবং ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সাহসী সদস্যদের মহান বীরত্ব ও আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করছি আমরা একসঙ্গে অত্যাচারী শক্তির বিরুদ্ধে লড়েছি এবং পরাজিত করেছি
|
ভারতে আসছে নোকিয়ার নতুন স্মার্টফোন, থাকছে ৫০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা
|
নতুন বছরে কোথায় কত, জানতে হবে পাখিসুমারি
|
আজ আমাকে হেঁটে আসতে হয়েছে: মির্জা আব্বাস
|
মেসির নিষেধও শোনেননি বিতর্কিত মার্তিনেস! কেন করেছিলেন অশালীন উল্লাস? কারণ প্রকাশ্যে
|
sports
|
বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার পাওয়ার পরে অশালীন উল্লাস করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস। তার পর থেকে বার বার ওই ঘটনা নিয়ে নানা জনে নানা মত দিয়েছেন। বেশির ভাগই মার্তিনেসের সমালোচনা করেছেন। শাস্তির দাবিও উঠেছে। এ বার সেই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন মার্তিনেস। জানালেন, লিয়োনেল মেসি নাকি তাঁকে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু মেসির নিষেধও শোনেননি তিনি। ফ্রান্সের এক সংবাদপত্রে মুখ খুলেছেন মার্তিনেস। তিনি বলেছেন, ‘‘লিয়ো আমাকে নিষেধ করেছিল। কিন্তু আমি শুনিনি। আমার যেটা মনে হয়েছিল সেটাই করেছি।’’ তবে এখন হয়তো তিনি সেটা করবেন না বলে জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক। মার্তিনেস বলেছেন, ‘‘এখন হয়তো আমি ও ভাবে উল্লাস করব না। ওটা সেই মুহূর্তে হয়েছিল। আমি পরিকল্পনা করে কিছু করিনি।’’ তা হলে কেন করেছিলেন ও রকম উল্লাস? তার পিছনেও একটি গল্প রয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্তিনেস। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি আগেও কোপা আমেরিকা জিতে ও ভাবে উল্লাস করেছিলাম। সতীর্থরা বলেছিল, বিশ্বকাপ জিতলে সেটা আমি করতে পারব না। ওদের দেখাতেই তখন ও ভাবে উল্লাস করতে ইচ্ছা করেছিল। তাই করেছিলাম।’’ মার্তিনেসের সেই উল্লাসে সব থেকে বেশি ক্ষুব্ধ হয়েছিল ফ্রান্স। ফিফার কাছে আবেদন করেছিল তারা। কিন্তু তিনি কাউকে আঘাত দিতে চাননি বলেই জানিয়েছেন মার্তিনেস। তাঁর কথায়, ‘‘কাউকে আঘাত দিতে চাইনি। আমি সারা জীবনে ফ্রান্সের অনেক ফুটবলারের সঙ্গে খেলেছি। আপনি জিহু (অলিভিয়ের)-কে জিজ্ঞাসা করে দেখতে পারেন আমি কেমন। বিশ্বকাপ জিতে শুধু একটু মজা করতে চেয়েছিলাম।’’ মার্তিনেসের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের অভিযোগের পর অবশ্য পদক্ষেপ করেছে ফিফা। ফুটবলের বিশ্ব নিয়ামক সংস্থা জানিয়েছে, ‘‘ফিফার নিয়মের ১১,১২ ও ৪৪ নম্বর ধারা ভেঙেছেন মার্তিনেস। তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু যদি দোষ প্রমাণিত হয় তা হলে মার্তিনেসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।’’
|
ফ্রান্সের এক সংবাদপত্রে মুখ খুলেছেন মার্তিনেস তিনি বলেছেন, ‘‘লিয়ো আমাকে নিষেধ করেছিল কিন্তু আমি শুনিনি আমার যেটা মনে হয়েছিল সেটাই করেছি’’ তবে এখন হয়তো তিনি সেটা করবেন না বলে জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক মার্তিনেস বলেছেন, ‘‘এখন হয়তো আমি ও ভাবে উল্লাস করব না ওটা সেই মুহূর্তে হয়েছিল আমি পরিকল্পনা করে কিছু করিনি’’ তা হলে কেন করেছিলেন ও রকম উল্লাস? তার পিছনেও একটি গল্প রয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্তিনেস তিনি বলেছেন, ‘‘আমি আগেও কোপা আমেরিকা জিতে ও ভাবে উল্লাস করেছিলাম সতীর্থরা বলেছিল, বিশ্বকাপ জিতলে সেটা আমি করতে পারব না
|
ফিফার সেরা একাদশে মেসির নজির, জায়গা হল না বিতর্কিত মার্তিনেসের, থাকলেন কারা?
|
বাদ বিগ বি, শাহরুখ! পুত্রের বিয়েতে কেন বেশির ভাগ বলি তারকাকে নিমন্ত্রণ করেননি সানি?
|
উৎসবমুখর ইউপি নির্বাচনে কিছু প্রাণহানি ঘটেছে : কাদের
|
রাজ্য জুড়ে ‘ওপেন ট্রায়াল’, ভারতীয় ক্রিকেটে পঞ্জাবের হারানো গরিমা ফেরাতে উদ্যোগী হরভজন সিংহ
|
sports
|
কেউ জীবনে প্রথম বার চামড়ার বল ধরলেন। কেউ গ্রিপ করতে জানেন না। কারও আবার লাইন-লেংথ নিয়ে কোনও ধারণাই নেই। তাঁদের মধ্যে থেকেই জোরে বোলারদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পঞ্জাব ক্রিকেট সংস্থা (পিসিএ)। পুরোটাই প্রাক্তন স্পিনার হরভজন সিংহের মস্তিষ্কপ্রসূত। তাঁর বুদ্ধিতেই পঞ্জাবের পুরনো গরিমা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা শুরু হয়েছে। ভারতের অন্য কোনও রাজ্যে এই জিনিস এখনও দেখা যায়নি। ভিআরভি সিংহের পর পঞ্জাব থেকে এমন কোনও বোলার উঠে আসেননি যিনি টানা ১৪০ কিমি বেগে বল করতে পারেন। সিদ্ধার্থ কৌল, সন্দীপ শর্মা, বলতেজ ধান্দা, সবাই মিডিয়াম পেসার। সেই প্রসঙ্গ ধরেই হরভজন সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেছেন, “আগে কোনও রাজ্য এ কাজ করেছে বলে মনে হয় না। আমি চাই পিসিএ এমন বোলার খুঁজে বের করুক, যার টাটকা গতি রয়েছে। পঞ্জাবের ছেলেরা শক্তিশালী। তাই আমাদের এখান থেকেও উমরান মালিক বা কুলদীপ সেন উঠে আসতে পারে। খুঁজে বের করাই আসল কাজ।” পিসিএ সচিব দিলশের খান্না একটি পরিকল্পনা ছকে নিয়েছিলেন আগেই। তিনি প্রাক্তন নির্বাচক হরবিন্দর সিংহকে এই কাজে নিয়োগ করেছেন। জুড়ে দিয়েছেন মনপ্রীত সিংহ গোনি এবং গগনদীপ সিংহকে। স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী, দু’ধরনের বোলারদেরই খুঁজে বের করা হবে। ‘ওপেন ট্রায়াল’-এর জন্যে স্থানীয় সংবাদপত্র এবং কেবল টিভিতে বিজ্ঞাপন দেওয়া শুরু হয়। তাতে ভালই সাড়া মিলেছে। হরবিন্দর জানিয়েছেন, অমৃতসর, জালন্ধর, বারনালা, মুক্তসর সাহিবের মতো এলাকায় গিয়ে প্রতিভা খুঁজে এনেছেন তাঁরা। ছয় ফুট আট ইঞ্চির এক বোলারকে খুঁজে পেয়েছেন, যিনি যথেষ্ট শক্তিশালী। হরবিন্দর বলেছেন, “১৬ বছরের নীচে কোনও বোলারকে ডাকা হয়নি। কারণ পেশির শক্তি পাওয়া যাবে না। আমরা দেখতে চেয়েছি কারণ বোলিং অ্যাকশন ভাল এবং কার মধ্যে প্রতিভা রয়েছে। উচ্চতা এবং ওজন নিয়ে পরেও ভাবা যাবে। সাধারণ পঞ্জাবি ছেলেরা শক্তপোক্তই হয়। তার বলে গতি আছে কি না, সেটাই দেখতে চেয়েছি। অবাক হয়েছি দেখে যে প্রত্যন্ত গ্রামের বেশ কিছু ছেলে, যারা আগে শুধু টেনিস বলে খেলেছে, তাদের বলের গতি মারাত্মক।” ১০০০ জনের মধ্যে থেকে আপাতত ৯৩ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। পরে মোহালিতে ১৫ দিনের একটি শিবিরের পর তা কমিয়ে ৫০ করা হবে। চেষ্টা করা হবে বেশ কিছু ম্যাচ খেলানোর, যাতে চার মাস পরে বোর্ডের অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় প্রতিযোগিতায় খেলানো যায়। হরভজন বলেছেন, “বোর্ড আমাদের যথেষ্ট টাকা দেয়। সেটা যাতে যথাযথ ভাবে কাজে লাগানো যায়, সেটাই আমার উদ্দেশ্য।”
|
জুড়ে দিয়েছেন মনপ্রীত সিংহ গোনি এবং গগনদীপ সিংহকে স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী, দু’ধরনের বোলারদেরই খুঁজে বের করা হবে ‘ওপেন ট্রায়াল’-এর জন্যে স্থানীয় সংবাদপত্র এবং কেবল টিভিতে বিজ্ঞাপন দেওয়া শুরু হয় তাতে ভালই সাড়া মিলেছে হরবিন্দর জানিয়েছেন, অমৃতসর, জালন্ধর, বারনালা, মুক্তসর সাহিবের মতো এলাকায় গিয়ে প্রতিভা খুঁজে এনেছেন তাঁরা ছয় ফুট আট ইঞ্চির এক বোলারকে খুঁজে পেয়েছেন, যিনি যথেষ্ট শক্তিশালী হরবিন্দর বলেছেন, “১৬ বছরের নীচে কোনও বোলারকে ডাকা হয়নি কারণ পেশির শক্তি পাওয়া যাবে না আমরা দেখতে চেয়েছি কারণ বোলিং অ্যাকশন ভাল এবং কার মধ্যে প্রতিভা রয়েছে উচ্চতা এবং ওজন নিয়ে পরেও ভাবা যাবে সাধারণ পঞ্জাবি ছেলেরা শক্তপোক্তই হয় তার বলে গতি আছে কি না, সেটাই দেখতে চেয়েছি
|
দাবি মানল রাজ্য, পাঞ্জাব ফিরছে পুরনো পেনশন প্রকল্পে
|
সুদান থেকে ৪ দিনে উদ্ধার দু’হাজার ভারতীয়
|
জ্ঞানবাপি মসজিদে সমীক্ষার অনুমতি, মামলা যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্টে
|
ফুটবলেও বাংলার ব্যর্থতা, সন্তোষ ট্রফিতে হার অব্যাহত
|
sports
|
ক্রিকেট থেকে ফুটবল— জাতীয় পর্যায়ে বাংলার ব্যর্থতার ধারা অব্যাহত। সন্তোষ ট্রফির মূল পর্বে সোমবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে ১-২ গোলে নরহরি শ্রেষ্ঠদের হারিয়ে শেষ চারে পৌঁছে গেল মেঘালয়। একটিও ম্যাচে না জিতে অভিযান শেষ করল বাংলার ফুটবল দল। টানা পাঁচটি ম্যাচ জিতে সন্তোষ ট্রফির মূল পর্বে যোগ্যতা অর্জন করেছিল বাংলা। ভুবনেশ্বরে প্রথম ম্যাচে দিল্লির সঙ্গে ড্র করার পরেও আশা করা গিয়েছিল ঘুরে দাঁড়াবেন রবি হাঁসদারা। কিন্তু সার্ভিসেস, মণিপুর ও রেলের কাছে হেরে শেষ চারের দৌড় থেকে আগেই ছিটকে যায় বাংলা। সোমবার মেঘালয়ের বিরুদ্ধে নিয়মরক্ষার ম্যাচেও ব্যর্থতার ধারা বজায় থাকল। ৩৬ মিনিটে বাংলাকে এগিয়ে দেন সৌগত হাঁসদা। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে ১-১ করেন অ্যালেন লিংডো। সংযুক্ত সময়ে (৪৪+৩) মেঘালয়কে ২-১ এগিয়ে দেন নিকেলসন বিনা। পাঁচ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের দ্বিতীয় স্থানে থেকে প্রথম বার সেমিফাইনালে উঠলেন অ্যালেনরা। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন সার্ভিসেসও সেমিফাইনাল খেলার ছাড়পত্র আদায় করে নিয়েছে। সোমবার তারা ৪-০ গোলে হারিয়েছে রেলকে। অন্য গ্রুপ থেকে শেষ চারে উঠেছে পঞ্জাব ও কর্নাটক। ছিটকে গিয়েছে গত বারের চ্যাম্পিয়ন কেরল।
|
একটিও ম্যাচে না জিতে অভিযান শেষ করল বাংলার ফুটবল দল টানা পাঁচটি ম্যাচ জিতে সন্তোষ ট্রফির মূল পর্বে যোগ্যতা অর্জন করেছিল বাংলা ভুবনেশ্বরে প্রথম ম্যাচে দিল্লির সঙ্গে ড্র করার পরেও আশা করা গিয়েছিল ঘুরে দাঁড়াবেন রবি হাঁসদারা কিন্তু সার্ভিসেস, মণিপুর ও রেলের কাছে হেরে শেষ চারের দৌড় থেকে আগেই ছিটকে যায় বাংলা সোমবার মেঘালয়ের বিরুদ্ধে নিয়মরক্ষার ম্যাচেও ব্যর্থতার ধারা বজায় থাকল
|
সালাহের ব্যর্থতায় হার লিভারপুলের
|
প্রশাসনের ব্যর্থতা
|
আদতে ঠান্ডা মনে হলেও কোন খাবারগুলি বেশি খেলে শরীর ভিতর থেকে গরম হয়ে ওঠে?
|
ঝাল কমাতে জল খেলে সমস্যা কি আরও বাড়তে পারে? বদলে আর কী কী খেতে পারেন?
|
lifestyle
|
শীতের আবহে রোজের খাওয়াদাওয়ায় একটু বদল আসে। ঠান্ডা আবহাওয়ার একটু মুখরোচক খাবার খেতে ইচ্ছা করে। এই সময়ে কমবেশি অনেকেই সর্দি-কাশিতে ভুগছেন। জ্বরের মুখে ঝাল ঝাল কোনও খাবার যেন স্বর্গ মনে হয়। কিন্তু ঝাল খেতে সাময়িক ভাল লাগলেও এ স্বাদের রেশ সহ্য করতে পারেন না অনেকেই। ঝালের চোটে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়। সামলে উঠতে ঢক ঢক করে খানিকটা জল খেয়ে নেন। তাতে অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। কোনও খাবার খেয়ে প্রচণ্ড ঝাল লাগলে জল না খাওয়াই ভাল। তবে জলের বদলে আর কোন পানীয় খাওয়া যেতে পারে? দুধ অনেকেই হয়তো জানেন না ঝাল কমাতে জলের চেয়েও উপকারী পানীয় হল দুধ। কারণ, মশলাদার ঝাল খাবারে ক্যাপাসাইসিন নামক এক ধরনের উপাদান থাকে। স্নায়ুর মাধ্যমে সঙ্কেত পেয়ে স্বাদকোরক গ্রন্থিতে সক্রিয় হয়ে ওঠে এই ক্যাপাসাইসিন। অন্য দিকে, দুধে রয়েছে কেসিন। যা ক্যাপাসাইসিনের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করে ঝালের পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে। কোনও খাবার খেয়ে প্রচণ্ড ঝাল লাগলে জল না খাওয়াই ভাল।
প্রতীকী ছবি। টক দই মেদ ঝরানো থেকে ঝাল কমানো— সবেতেই সিদ্ধহস্ত টক দই। ঝাল কমাতে এই দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। তবে সবচেয়ে ভাল হয় যদি ঝাল কোনও খাবার খেয়ে এক চামচ টক দই খেয়ে নিতে পারেন। দইয়ে থাকা উপকারী উপাদান মুখের ভিতরে একটা স্তর তৈরি করে। যা ঝালের সঙ্গে লড়াই করে। লিকার চা মশলাদার খাবার খেয়ে ঝালের চোটে প্রাণ ওষ্ঠাগত? সুস্থ হতে কিন্তু চুমুক দিতে পারেন চায়ের কাপে। চায়ে থাকা ট্যানিন ক্যাপাসাইসিনের সক্রিয়তা ধীরে ধীরে কমাতে থাকে। তবে এই সময়ে খুব গরম চা খাওয়ার দরকার নেই। তাতে সমস্যা হতে পারে। তার চেয়ে ঈষদুষ্ণ গরমজলে চা ফুটিয়ে নিতে পারেন। উপকার পাবেন।
|
প্রতীকী ছবি টক দই মেদ ঝরানো থেকে ঝাল কমানো— সবেতেই সিদ্ধহস্ত টক দই ঝাল কমাতে এই দইয়ের জুড়ি মেলা ভার তবে সবচেয়ে ভাল হয় যদি ঝাল কোনও খাবার খেয়ে এক চামচ টক দই খেয়ে নিতে পারেন দইয়ে থাকা উপকারী উপাদান মুখের ভিতরে একটা স্তর তৈরি করে যা ঝালের সঙ্গে লড়াই করে লিকার চা মশলাদার খাবার খেয়ে ঝালের চোটে প্রাণ ওষ্ঠাগত? সুস্থ হতে কিন্তু চুমুক দিতে পারেন চায়ের কাপে চায়ে থাকা ট্যানিন ক্যাপাসাইসিনের সক্রিয়তা ধীরে ধীরে কমাতে থাকে তবে এই সময়ে খুব গরম চা খাওয়ার দরকার নেই
|
কোন খাবারগুলি খাওয়ার পর জল খেতে নেই? এতে কী সমস্যা দেখা দিতে পারে
|
কাজ কম, মেয়েদের আরও কম
|
সম্পাদক সমীপেষু: শেষ কথা জনগণই
|
শরীরচর্চার সময়ে ঘাম ঝরছে মানেই কি কমছে মেদ
|
lifestyle
|
জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতে পরিশ্রমের ঘাটতি রাখেন না অনেকেই। ট্রেডমিলে দৌড়, সাইক্লিং, ওয়েট ট্রেনিং, আরও কত কী! যত বেশি ঘাম ঝরছে, ততই যেন মানসিক প্রশান্তি ঘিরে ধরছে। ঘাম ঝরছে মানেই অনেকে ভেবে নেন যে ঘামের ছদ্মবেশে বোধহয় মেদই ঝরছে। কিন্তু ফিটনেস বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘাম ঝরা মানে মোটেও মেদ ঝরা নয়। আমাদের ঘাম হয় শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য। শরীরচর্চার সময় বেশি ঘামছেন মানে শরীর গরম হয়ে উঠছে। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আসার জন্য ঘাম ঝরে। ঘাম ঝরাকে মেদ ঝরা ভেবে নেওয়া ভুল। শরীরে সঞ্চিত ফ্যাট ক্যালোরি ঝরানোর শক্তি জোগায়। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে ঘাম ঝরা ও ক্যালোরি ঝরার প্রক্রিয়া চলতে থাকে। ফলে ওজন কমে। তবে ফ্যাট ঝরে না। শরীরে তিন ধরনের ফ্যাট থাকে। সাবকুটেনাস, যা ত্বকের নীচে থাকে। ভিসারাল, যা শরীরের ক্যাভিটিতে থাকে। ইন্ট্রামাসকুলার, যা কম পরিমাণে পেশিতে থাকে। রোগা হওয়ার জন্য অপর্যাপ্ত খাবার খেলে শরীরে এই তিন ধরনের ফ্যাট জমা হয়। তবে ঘাম ঝরা মানেই মেদ ঝরা নয় কেন? বেশি শরীরচর্চা করার ফলে ঘাম ঝরার মানে মেদ ঝরা নয়। শরীর ফ্যাটে সঞ্চিত শক্তির সাহায্যে ক্যালোরি পোড়ায়। কিন্তু তার পরে যখন আবার খাওয়া হয়, তখন সেই ঘাটতি মিটে যায়। যোগাসনের মতো শরীরচর্চার ক্ষেত্রে ঘাম ঝরে না বলে এগুলি মেদ ঝরাতে কার্যকর নয় ভেবে ভুল করেন অনেকে। জিমে গিয়ে বেশি ক্ষণ শরীরচর্চা করলে বা দৌড়লেই বেশি মেদ ঝরাতে পারবেন, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই।
|
শরীরচর্চার সময় বেশি ঘামছেন মানে শরীর গরম হয়ে উঠছে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আসার জন্য ঘাম ঝরে ঘাম ঝরাকে মেদ ঝরা ভেবে নেওয়া ভুল শরীরে সঞ্চিত ফ্যাট ক্যালোরি ঝরানোর শক্তি জোগায় নিয়মিত শরীরচর্চা করলে ঘাম ঝরা ও ক্যালোরি ঝরার প্রক্রিয়া চলতে থাকে ফলে ওজন কমে তবে ফ্যাট ঝরে না শরীরে তিন ধরনের ফ্যাট থাকে
|
দ্রুত ওজন ঝরাতে চাইছেন? সকালে না কি রাতে, কখন শরীরচর্চা করলে সুফল মেলে
|
জিমে শরীরচর্চার সময় বার বার পেশিতে টান ধরছে? কোন ভুলে এমনটা হচ্ছে?
|
ইন্দোনেশিয়ায় যাত্রীবাহী নৌকায় আগুন, নিহত ১৪
|
কানে বসন্তের ফুল, সারা শরীর আবীর মাখা, দোলের দিন উষ্ণতা ছড়ালেন ঊষসী
|
entertainment
|
চারিদিকে সবুজের মেলা। সবুজের মাঝে হলুদ, লাল,নীল, গোলাপি আবীরে রাঙা হলেন ঊষসী রায়। পরনে সাদা সুতির ড্রেস। সারা শরীর আবীরে ভর্তি। কানে গোঁজা বসন্তের ফুল। রঙিন উষসীকে দেখে অনুরাগীরা রীতিমতো উত্তেজিত। হাঁটু পর্যন্ত পোশাকে ঊষসীকে দেখে অবশ্য নানা জনের নানা মত। ঊষসীর এক ভক্তের মন্তব্য, “আজকের এই বিশেষ দিনে শাড়ি পরতে পারতে।” আবার কেউ লিখেছেন, “ধন্যবাদ রুবাই”। ইনস্টাগ্রামে ঊষসীর অনুরাগীর সংখ্যা কম নয়। তবে দোলের দিনের সাজে তাঁকে অনেকেই ভাল লাগেনি। সেই ভাল না লাগার কথাও প্রকাশ্যে লিখেছেন অনেকেই। যদিও বিবিধ মন্তব্য নিয়েই খুব যে ভাবিত ঊষসী, তা নয়। তিনি বরাবরই জানিয়েছেন, যা তাঁর মন চায় তিনি সেটাই করতে ভালবাসেন। তাই কে কী বলল তাতে তাঁর কিছু যায় আসে না। এই মুহূর্তে তাঁর ঝুলিতে রয়েছে বেশ কিছু কাজ। সদ্য মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত ওয়েব সিরিজ় ‘গভীর জলের মাছ’। এ ছাড়াও বড় পর্দায় খুব শীঘ্রই দেখা যাবে তাঁকে। ‘মিলন তিথি’, ‘বকুল কথা’, ‘কাদম্বিনী’-সহ একের পর এক সফল সিরিয়ালের মুখ ছিলেন তিনি। তবে আপাতত ছোট পর্দা থেকে কিছু দিনের বিরতি। অভিনেত্রী হিসাবে নিজের পরিধি আরও খানিকটা বাড়াতে চান ঊষসী। চলছে তারই প্রস্তুতি।
|
সারা শরীর আবীরে ভর্তি কানে গোঁজা বসন্তের ফুল রঙিন উষসীকে দেখে অনুরাগীরা রীতিমতো উত্তেজিত হাঁটু পর্যন্ত পোশাকে ঊষসীকে দেখে অবশ্য নানা জনের নানা মত ঊষসীর এক ভক্তের মন্তব্য, “আজকের এই বিশেষ দিনে শাড়ি পরতে পারতে” আবার কেউ লিখেছেন, “ধন্যবাদ রুবাই” ইনস্টাগ্রামে ঊষসীর অনুরাগীর সংখ্যা কম নয় তবে দোলের দিনের সাজে তাঁকে অনেকেই ভাল লাগেনি
|
দোরগোড়ায় ভালবাসার দিন, মনের মানুষকে চমকে দিতে ত্বকে আনুন বসন্তের আমেজ
|
পৃথিবীর উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রি বাড়ার শঙ্কা
|
কেমন করে তৈরি করবেন আপনার “ফেসবুক অবতার”?
|
যাঁদের ঘরই নেই, কোন মন্ত্রে তাঁদের ঘরে বন্দি করবে প্রশাসন
|
editorial
|
বিন্দুমাত্র খেয়াল না করেই প্রাত্যহিকতার হরেক ভাঁজে পরিযায়ী শ্রমিকদের উৎপাদন ব্যবহার করে বেঁচে থাকা শহুরে মধ্যবিত্ত মার্চের শেষ সপ্তাহে হঠাৎই এই বিপুল জনগোষ্ঠীর অস্তিত্ব টের পেয়েছিল। আচমকা লকডাউন সেই শ্রমিকদের জীর্ণ ঘরের আগলটুকু ভেঙে দিয়েছিল— তাঁরা দল বেঁধে রাস্তায় নেমেছিলেন ঘর থেকে ঘরে ফেরার তাগিদে। আশ্চর্য! লকডাউন তো ঘোষিত হয়েছিল মানুষকে ঘরবন্দি করার জন্য— কতখানি বিপরীত ফলদায়ী হল সেই নীতি! শহরের গৃহস্থ বাড়ি, রেস্তরাঁ, অফিস, কারখানা, নির্মীয়মাণ ফ্ল্যাট— লকডাউন প্রতিটি পরিসর থেকে উপড়ে নিল অজস্র পুরুষ, নারী, শিশুকে— তাঁদের উড়িয়ে নিয়ে এসে ফেলল রাস্তায়। গৃহকোণে বন্দি হওয়ার জন্য তো আগে সেই গৃহে পৌঁছনো দরকার— গ্রামে ফেরার জন্য তাঁরা হন্যে হলেন যে কোনও একটা পরিবহণের খোঁজে। যাঁদের কোনও পরিবহণ জুটল না, তাঁরা হাঁটলেন, মাইলের পর মাইল, অনাহারে, ক্লান্ত শরীরে। আমাদের মধ্যবিত্ত পরিসরে মিডিয়া ঢেউয়ের মতো আছড়ে ফেলতে লাগল সেই ছবি। ৮ মে তারিখে আমরা ছবি দেখলাম, বিষণ্ণ রেললাইনে পড়ে আছে কয়েকটা শুকনো রুটি— যাঁদের পুঁটলি থেকে পড়েছে, রেললাইনের ওপর ঘুমিয়ে পড়া হা-ক্লান্ত সেই মানুষগুলোকে খানিক আগে পিষে দিয়ে গিয়েছে এক নৈর্ব্যক্তিক ট্রেন। একে কি আমরা বিপরীত পরিযাণ বলব? সঙ্কট যখন প্রতি দিন তীব্রতর হচ্ছে, তখন কিছু তাত্ত্বিক লিখলেন, নির্মম শহর উচ্ছেদ করল এই পরিযায়ী শ্রমিকদের— এবং, তার ফলে সামাজিক বিশ্বাসের গায়ে এক সুগভীর আঁচড় লাগল। যে পরিযায়ীরা এ ভাবে শহর ছাড়তে বাধ্য হলেন, তাঁরা আর কখনও ফিরবেন না শহরে। সেই ভবিষ্যদ্বাণীর রেশ মেলানোর আগেই, যে মুহূর্তে শহরে ফেরার যানবাহন মিলতে আরম্ভ করল, পরিযায়ী শ্রমিকরা ফের শহরমুখী। যে পরিযায়ীরা গ্রামে ফিরতে পারেননি, তাঁরা শহরে থেকে যাওয়াই মনস্থ করলেন। অনেকেই শহরে ফেরার ইচ্ছের কথা জানিয়েও পরিবহণের অভাবে ফিরতে পারলেন না। অগস্টের ১২ তারিখ সিএসডিএস-এর একটি সমীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, লকডাউনের গোড়ায় যাঁরা গ্রামে ফিরে গিয়েছিলেন, তাঁদের এক-তৃতীয়াংশ জানিয়েছেন, অতিমারির প্রকোপ কমলে তাঁরা ফের শহরে যেতে চান। যাঁরা ‘ঘর’-এ ফিরেছিলেন, ঘর তাঁদের অনেককেই তেমন ভাবে স্বাগত জানায়নি। অতিমারির ভয়ে সন্ত্রস্ত গ্রামবাসীরা তাঁদের ওপর হরেক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন, সেটা গৌণ সমস্যা। যে কারণে তাঁরা পরিযায়ী হয়েছিলেন, সেই কারণটা উবে যায়নি, এটাই আসল সমস্যা। বস্তুত, অতিমারির ধাক্কায় তাঁরা ঘরে ফেরায় বাড়ির আর্থিক সমস্যা তীব্রতর হয়েছে। যাঁরা ঘরে ফিরলেন, সরকার তাঁদের জন্য রেশনে চাল-গম দিল, কিন্তু শুধু সেটুকুতে কি দিন চলে? পরিযায়ীদের হাতে কিছু নগদ টাকা তুলে দেওয়া হোক, আচমকা ঘরে ফেরার ধাক্কা সামলানোর জন্য আর অন্য যা ব্যবস্থা করার, করা হোক— বারংবার এই আবেদন শোনা গিয়েছে, কিন্তু কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করেননি। শহর থেকে পাঠানো যৎসামান্য টাকার ওপরও যে পরিবারগুলোর ভরণপোষণ নির্ভর করত, তারা আতান্তরে পড়ল। সিএসডিএস-এর সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, অন্তত ৪০ শতাংশ গ্রামীণ পরিবারকে খাবারের পরিমাণে কাটছাঁট করতে হয়েছে। কৃষি-আয়েও ধাক্কা লেগেছে। সমীক্ষার অন্তর্ভুক্ত কৃষকদের আশি শতাংশই জানিয়েছেন, উৎপন্ন ফসল বেচতে মুশকিলে পড়েছেন তাঁরা। এই অবস্থায়, শহর থেকে ফেরা পরিযায়ীদের জায়গা করে দেওয়া গ্রামীণ পরিবারগুলির পক্ষে নিতান্ত সহজ হয়নি। তাত্ত্বিকরা, সাংবাদিকরা, নীতিনির্ধারকরা বাস্তব বুঝতে এ রকম ভুল করলেন কেন? তার কারণ, দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রমিক পরিযাণের চরিত্র নিয়ে আমরা তেমন মাথা ঘামাইনি। এখানে পরিযাণ কম, আবর্তন অনেক বেশি— গত দুই শতাব্দী ধরেই দরিদ্র মানুষ জীবিকার সন্ধানে গ্রাম আর শহরের মধ্যে ঘুরেফিরে থেকেছেন। বহু বার প্রশ্ন উঠেছে, কোনটা কার ধাক্কা সামলায়— গ্রামের ধাক্কা শহর সামলায়, না কি শহরের ধাক্কা গ্রাম? আসলে, কোনওটাই না। গ্রাম আর শহরকে আমরা যে বৈপরীত্যের বিভাজিকা দিয়ে ‘ভাবতে’ অভ্যস্ত, গরিব মানুষের কাছে সেই দর্শন অস্তিত্বহীন। শিল্পবিপ্লবের সময় যে ভাবে গ্রাম থেকে শহর অভিমুখে স্থায়ী অভিবাসন ঘটেছিল, দক্ষিণ এশিয়ায় তার তুল্য কিছু ঘটেনি। গ্রাম থেকে পাকাপাকি ভাবে শহরে চলে আসার জন্য যা প্রয়োজন, শহরগুলো গরির মানুষকে তার জন্য যথেষ্ট আয় দিতে পারেনি, বাসস্থান বা নিরাপত্তাও দিতে পারেনি। ফলে, গরিব পাকাপাকি ভাবে পরিযায়ী থেকে গিয়েছেন— গ্রাম থেকে শহরে, শহর থেকে শহরে পরিযাণেই তাঁর জীবন। এই গোত্রের সচলতাকে তত্ত্ব-পরিসংখ্যানে ধরা কঠিন। জনশুমারির অনমনীয় সংজ্ঞায় এই পরিযাণের চরিত্র বোঝা মুশকিল। আমরা বহু ধরনের মাপকাঠি, সূচক ব্যবহার করে দেখেছি, কিন্তু কোনওটা দিয়েই এই পরিযাণের মাপ, ব্যাপ্তি বা চরিত্রকে পুরোপুরি ধরা সম্ভব হয়নি। এই ধরনের পরিযাণে শ্রমিকদের যে রকম সমস্যায় পড়তে হয়, তার একাংশ দূর করার জন্য ১৯৭৯ সালে আন্তঃরাজ্য পরিযায়ী শ্রমিক (কর্মসংস্থান নিয়ন্ত্রণ ও নিয়োগের শর্ত) আইন তৈরি হয়। কিন্তু, যাবতীয় সদিচ্ছা চাপা পড়ে যায় সেই আইন প্রয়োগে সার্বিক অনিচ্ছার পাহাড়ের নীচে। অতিমারি ছড়িয়ে পড়ার আগে ভারতে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কত ছিল? এর উত্তরে চার কোটি থেকে ১৪ কোটি, বিভিন্ন সংখ্যা মিলছে। উত্তরের মধ্যে প্রবল ব্যবধানই বলে দিচ্ছে, সংখ্যাগুলো আসলে অর্থহীন। আন্তঃরাজ্য পরিযায়ী শ্রমিক আইনে শ্রমিকদের রেজিস্ট্রেশনের কথা বলা হয়েছিল। যদি সত্যিই সেই রেজিস্ট্রেশন হত, তবে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা সম্বন্ধে একটু নিঃসন্দেহ হওয়া যেত। যদি সেই সংখ্যা চোখের সামনে থাকত, নীতিনির্ধারকরাও হয়তো থমকাতেন; ভাবতেন, তাঁদের আকস্মিক সিদ্ধান্তে কত মানুষ বিপন্ন হবেন। এতগুলো কথা বলছি শুধু একটা কথা জোর দিয়ে বলব বলে— যে দেশে এমন বিপুল পরিমাণে নিত্য যাওয়া-আসা চলে, সেখানে লকডাউনের ধারণাটাই অপ্রযোজ্য। যেখানে বিপুল সংখ্যক মানুষের দুটো বা তার বেশি বাড়ি, সেখানে মানুষকে বাড়িতে আটকে রাখবেন কী ভাবে? অথবা, আসলে যাঁদের বাড়িই নেই, তাঁদের? দেশে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিক কাজ করেন কনস্ট্রাকশন সেক্টরে— নির্মাণক্ষেত্রে। সংখ্যাটি পাঁচ থেকে সাড়ে ছয় কোটি। সংখ্যার নিরিখে তার পরেই যাঁরা, তাঁরা গৃহসহায়ক-সহায়িকা। তিন থেকে পাঁচ কোটি। ভেবে দেখলে, এক গোত্রের পরিযায়ী শ্রমিক আমাদের বাড়ি তৈরি করে দেন, আর এক গোত্রের শ্রমিক সেই বাড়িকে নিত্য বসবাসযোগ্য করে রাখেন। অথচ, যে কোনও মুহূর্তে তাঁদের গৃহহীন হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। মাস কয়েক আগে তাঁদের মতো বহু লক্ষ বা কোটি শ্রমিক রাতারাতি গৃহহীন হলেন, আমাদের শহরগুলোয়। বাড়ি নামক ধারণাটি হঠাৎই শ্রেণি বিভাজনের মোক্ষম পরিচয় হয়ে উঠল। অতিমারি এই পরিস্থিতি তৈরি করেনি। তার দায় শুধু এই বিপন্নতাকে প্রকট করে তোলায়, দৃশ্যমান করায়। আমাদের শহরগুলোয় যে দ্বন্দ্বগুলোকে ধামাচাপা দিয়ে, ভুলে গিয়ে আমরা নিশ্চিন্তে ছিলাম, এই অতিমারি সেগুলোকে সামনে এনে দাঁড় করিয়েছে। যদি এই সঙ্কট চলতে থাকে, লকডাউন যদি নতুন রূপে দীর্ঘায়িত হয়, আমাদের নতুন পথে ভাবতেই হবে। বহু শতাব্দীর অভ্যাসের বিপরীত পথে হেঁটে সভ্যতা যদি সত্যিই গৃহমুখী হয়ে উঠতে থাকে, তা হলে পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্কটও কি এক বিপুলসংখ্যক শ্রমজীবী মানুষের একটা বৃহত্তর সমস্যার দিকে নির্দেশ করছে না— যাঁদের গৃহই নেই, তাঁদের গৃহবন্দি করবেন কী ভাবে? ইতিহাস বিভাগ, ইউনিভার্সিটি অব কেমব্রিজ
|
কিন্তু, যাবতীয় সদিচ্ছা চাপা পড়ে যায় সেই আইন প্রয়োগে সার্বিক অনিচ্ছার পাহাড়ের নীচে অতিমারি ছড়িয়ে পড়ার আগে ভারতে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কত ছিল? এর উত্তরে চার কোটি থেকে ১৪ কোটি, বিভিন্ন সংখ্যা মিলছে উত্তরের মধ্যে প্রবল ব্যবধানই বলে দিচ্ছে, সংখ্যাগুলো আসলে অর্থহীন আন্তঃরাজ্য পরিযায়ী শ্রমিক আইনে শ্রমিকদের রেজিস্ট্রেশনের কথা বলা হয়েছিল যদি সত্যিই সেই রেজিস্ট্রেশন হত, তবে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা সম্বন্ধে একটু নিঃসন্দেহ হওয়া যেত যদি সেই সংখ্যা চোখের সামনে থাকত, নীতিনির্ধারকরাও হয়তো থমকাতেন; ভাবতেন, তাঁদের আকস্মিক সিদ্ধান্তে কত মানুষ বিপন্ন হবেন এতগুলো কথা বলছি শুধু একটা কথা জোর দিয়ে বলব বলে— যে দেশে এমন বিপুল পরিমাণে নিত্য যাওয়া-আসা চলে, সেখানে লকডাউনের ধারণাটাই অপ্রযোজ্য যেখানে বিপুল সংখ্যক মানুষের দুটো বা তার বেশি বাড়ি, সেখানে মানুষকে বাড়িতে আটকে রাখবেন কী ভাবে? অথবা, আসলে যাঁদের বাড়িই নেই, তাঁদের? দেশে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিক কাজ করেন কনস্ট্রাকশন সেক্টরে— নির্মাণক্ষেত্রে সংখ্যাটি পাঁচ থেকে সাড়ে ছয় কোটি সংখ্যার নিরিখে তার পরেই যাঁরা, তাঁরা গৃহসহায়ক-সহায়িকা তিন থেকে পাঁচ কোটি ভেবে দেখলে, এক গোত্রের পরিযায়ী শ্রমিক আমাদের বাড়ি তৈরি করে দেন, আর এক গোত্রের শ্রমিক সেই বাড়িকে নিত্য বসবাসযোগ্য করে রাখেন অথচ, যে কোনও মুহূর্তে তাঁদের গৃহহীন হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল মাস কয়েক আগে তাঁদের মতো বহু লক্ষ বা কোটি শ্রমিক রাতারাতি গৃহহীন হলেন, আমাদের শহরগুলোয় বাড়ি নামক ধারণাটি হঠাৎই শ্রেণি বিভাজনের মোক্ষম পরিচয় হয়ে উঠল অতিমারি এই পরিস্থিতি তৈরি করেনি তার দায় শুধু এই বিপন্নতাকে প্রকট করে তোলায়, দৃশ্যমান করায় আমাদের শহরগুলোয় যে দ্বন্দ্বগুলোকে ধামাচাপা দিয়ে, ভুলে গিয়ে আমরা নিশ্চিন্তে ছিলাম, এই অতিমারি সেগুলোকে সামনে এনে দাঁড় করিয়েছে যদি এই সঙ্কট চলতে থাকে, লকডাউন যদি নতুন রূপে দীর্ঘায়িত হয়, আমাদের নতুন পথে ভাবতেই হবে
|
ঘরের চাবি কোথায় রেখেছেন বেমালুম ভুলে যাচ্ছেন? কেন বার বার এমন হচ্ছে?
|
বাজির বর্জ্যে বিপদ কতটা? ভাবনা নেই প্রশাসনের
|
লিটন কোথায়? কেকেআর ছেড়ে দেশে ফিরেও দলের সঙ্গে গেলেন না বাংলাদেশি ক্রিকেটার
|
১২০ ক্রীড়াপ্রেমীকে পুরস্কার দিলো ‘গেমপ্লিফাই’
|
sports
|
স্টাফ রিপোর্টার : দেশে প্রথমবারের মতো ‘এক্সওয়াইজেড’ ক্লাউড বাংলাদেশ লিমিটেডের ‘গেমপ্লিফাই কনফারেন্স’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ জুন (শুক্রবার) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এ কনফারেন্সে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন টুর্নামেন্ট নিয়ে আয়োজিত ক্রীড়া বিষয়ক ওয়েবসাইট গেমপ্লিফাই সাইটে কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী চূড়ান্তভাবে বিজয়ী ১২০ জনের মাঝে মূল্যবান পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির ২০২৩ সালের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- এক্সওয়াইজেড ক্লাউড বাংলাদেশ লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহফুজুর রহমান, প্রোডাক্ট ম্যানেজার ওমর ফারুক খান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুর রহমান আদনান, পুরস্কার বিজয়ী এবং গামপ্লিফাই পরিচালনা পরিষদের কর্মকর্তাবৃন্দ। ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘এক্সওয়াইজেড ক্লাউড বাংলাদেশ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান গেমপ্লিফাই স্পোর্টস সাইট। খেলাধুলার প্রতি মানুষের নিবিড় ভালোবাসা ও আগ্রহ তৈরি করতে গেমপ্লিফাই আপনাদের স্পোর্টসমেনশিপকে জাগিয়ে ক্রীড়াপ্রেমীদের একটি সামাজিক মাধ্যম সৃষ্টি করার লক্ষ্যে কাজ করছে। সে কারণে গেমপ্লিফাই দেশ-বিদেশের বড় আসরের টুর্নামেন্ট নিয়ে নিয়মিত কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে।’ তিনি বলেন, ‘ক্রীড়াপ্রেমীদের একটি সামাজিক মাধ্যম/প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করা আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য। এর ফলে খেলাধুলার মাধ্যমে জীবনকে অনুপ্রাণিত করা এবং পরিবর্তন করা যাবে বলে আমি আশাবাদী।’ তিনি আরো বলেন, ‘ব্যস্তময় জীবনে মনকে চাঙ্গা রাখতে নিজের জন্যও যৎসামান্য সময়ের প্রয়োজন। তবেই একজন মানুষ প্রশান্তিতে থাকবে। তাই একজন নিজের জন্য গেমপ্লিফাইকে সাথী করে নিতে পারেন। এটি এমনই একটি প্লাটফর্ম যেখানে সময় বিনিয়োগ করলে মূল্যবান পুরস্কারেরও আশা করা যায়।’ এসময় তিনি ‘জীবনে চাই একটা ব্রেক : আর সাথে চাই গেমপ্লিফাই’ প্রতিপাদ্যে আগামী সেপ্টেম্বরে পরবর্তী ‘গেমপ্লিফাই কনফারেন্স’ হবে বলে জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহফুজুর রহমান। প্রোডাক্ট ম্যানেজার ওমর ফারুক খান বলেন, ‘যখন আমরা টেকনোলজি ও গ্লোবালাইজেশনের ভয়াল থাবায় খেলাধুলার প্রতি বিমুখ হয়ে যাচ্ছি, অনেকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নিস্তেজ হয়ে পড়ছে। জীবনটাকে প্রতিনিয়ত স্ক্রিনের স্ক্রলিংয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে সেই সময়ে দাঁড়িয়ে টেকনোলজি কেন্দ্রিক বা টেকনোলজি দিয়ে খেলাধুলার প্রতি সবার সুপ্ত ভালোবাসাকে জাগিয়ে তুলার একটা নিবিড় প্ল্যাটফর্মের নাম গেমপ্লিফাই।’ এক্সওয়াইজেড ক্লাউড বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুর রহমান আদনান বলেন, ‘গেমপ্লিফাই সৃষ্টি খেলাধুলার প্রতি নিবিড় ভালোবাসা থেকে। গেমপ্লিফাই এর উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনাদের স্পোর্টসমেনশিপকে জাগিয়ে ক্রীড়াপ্রেমীদের একটি সামাজিক মাধ্যম সৃষ্টি করা। ক্রীড়াপ্রেমীদের একটি সামাজিক মাধ্যম/প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করা, যেখানে খেলাধুলার মাধমে জীবনকে অনুপ্রাণিত করা এবং পরিবর্তন করা যাবে।’ অনুষ্ঠানের শেষে গেমপ্লিফাই কুইজে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিজয়ী ১২০ জনকে পুরস্কার হাতে তুলে দেয় এক্সওয়াইজেট কর্তৃপক্ষ। প্রথম পুরস্কার একটি আইফোন ১৪ এক্স প্রো, ৫টি এন্ড্রোয়েড ফোন, ৫টি মাইক্রোওভেন, রিচার্জেবল ফ্যান, পাওয়ার ব্যাংক, পোর্টেবল ব্লুটুথ স্পিকার, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জার্সিসহ ১২০ পিস পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের পরিবারের সদস্য, এক্সওয়াইজেড ক্লাউড বাংলাদেশ লিমিটেডের কর্মকর্তা ও পরিবারের সদস্য এবং অতিথিবৃন্দ। এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম// এফ//
|
তাই একজন নিজের জন্য গেমপ্লিফাইকে সাথী করে নিতে পারেন এটি এমনই একটি প্লাটফর্ম যেখানে সময় বিনিয়োগ করলে মূল্যবান পুরস্কারেরও আশা করা যায়’ এসময় তিনি ‘জীবনে চাই একটা ব্রেক : আর সাথে চাই গেমপ্লিফাই’ প্রতিপাদ্যে আগামী সেপ্টেম্বরে পরবর্তী ‘গেমপ্লিফাই কনফারেন্স’ হবে বলে জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহফুজুর রহমান প্রোডাক্ট ম্যানেজার ওমর ফারুক খান বলেন, ‘যখন আমরা টেকনোলজি ও গ্লোবালাইজেশনের ভয়াল থাবায় খেলাধুলার প্রতি বিমুখ হয়ে যাচ্ছি, অনেকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নিস্তেজ হয়ে পড়ছে জীবনটাকে প্রতিনিয়ত স্ক্রিনের স্ক্রলিংয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে সেই সময়ে দাঁড়িয়ে টেকনোলজি কেন্দ্রিক বা টেকনোলজি দিয়ে খেলাধুলার প্রতি সবার সুপ্ত ভালোবাসাকে জাগিয়ে তুলার একটা নিবিড় প্ল্যাটফর্মের নাম গেমপ্লিফাই’ এক্সওয়াইজেড ক্লাউড বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুর রহমান আদনান বলেন, ‘গেমপ্লিফাই সৃষ্টি খেলাধুলার প্রতি নিবিড় ভালোবাসা থেকে গেমপ্লিফাই এর উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনাদের স্পোর্টসমেনশিপকে জাগিয়ে ক্রীড়াপ্রেমীদের একটি সামাজিক মাধ্যম সৃষ্টি করা
|
রিভেঞ্জ পর্ণ: সাবেক বয়ফ্রেন্ডের বিরুদ্ধে মামলা, ১২০ কোটি ডলার দেবার আদেশ
|
কাহার পুরস্কার
|
কলকাতার হাসপাতালে ক্রমশ ভিড় বাড়ছে শিশুদের! নতুন আতঙ্কের নাম অ্যাডিনোভাইরাস
|
দেবের ব্যোমকেশের ট্রেলার প্রকাশ সৃজিতের হাতে! টলিপাড়ায় ঐক্যের প্রচারে নতুন দিগ্দর্শন?
|
entertainment
|
বলিউড এবং দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির ঐক্যের একাধিক উদাহরণ নিয়ে নিরন্তর আলোচনা চলতেই থাকে। এ দিকে অন্যের সাফল্যে বাঙালির গা জ্বলে! শোনা যায়, টলিপাড়ায় নাকি ঐক্যের নাম-গন্ধ নেই। বৃহস্পতিবার নিন্দকদের কি বাংলা ইন্ডাস্ট্রি পাল্টা জবাব দিল? অন্তত ‘ব্যোমকেশ ও দুর্গরহস্য’ ছবির ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠান দেখে অনেকেই মনে করছেন সেই কথা। অনির্বাণ-দেব।
— নিজস্ব চিত্র। ব্যোমকেশ নিয়ে দেব এবং সৃজিত— এই দুই শিবিরের মধ্যে টক্কর নিয়ে বিগত কয়েক মাসে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। এক দিকে বড় পর্দায় ব্যোমকেশ হিসাবে হাজির হচ্ছেন দেব। অন্য দিকে, ব্যোমকেশের একই কাহিনি অবলম্বনে ওয়েব সিরিজ় পরিচালনা করেছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। সম্প্রতি শোনা গিয়েছিল, দুই শিবিরে আলোচনার পর সৃজিত তাঁর সিরিজ়ের মুক্তি পিছনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার পর দেব ঘোষণা করেছিলেন, সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় তিনি ছবি করতে চলেছেন। ফলে অনেকেই ভেবেছিলেন বিবাদ কিছুটা হলেও মিটেছে। এই পর্যন্ত ঠিক ছিল। কিন্তু দেবের ব্যোমকেশ ছবির ট্রেলার প্রকাশ করছেন সৃজিত অ্যান্ড কোং! এই চমক অনেকের কাছেই অপ্রত্যাশিত। এ রকমই বিরল মুহূর্ত তৈরি করল দুই ব্যোমকেশের টিম। বৃহস্পতিবার বিকালে বাইপাসের ধারের এক হোটেলে দেব অভিনীত এবং বিরসা দাশগুপ্ত পরিচালিত ‘ব্যোমকেশ ও দুর্গরহস্য’ ছবির ট্রেলার প্রকাশের মুহূর্ত। এ দিকে সঞ্চালক মঞ্চে ডেকে নিলেন ‘বিরোধী’ শিবিরের কুশীলবদের! একে একে মঞ্চে হাজির হলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, সোহিনী সরকার এবং প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতা। দেবের ব্যোমকেশের ট্রেলার প্রকাশ্যে এল তাঁদেরই হাত ধরে। মঞ্চে তত ক্ষণে দেবের সঙ্গে উপস্থিত রুক্মিণী মৈত্র, অম্বরীশ ভট্টাচার্য এবং পরিচালক বিরসা। সৃজিত বলছিলেন, ‘‘এই যে বলা হয় আমাদের মধ্যে ঝগড়া, এর অনেকটাই ভুল। আসলে আমরা একটা পরিবারেরই অংশ, এই বার্তাটা পৌঁছে দেওয়াটা খুবই প্রয়োজন।’’ তাই ‘দশম অবতার’-এর শুটিং ফ্লোর থেকে দেবের ডাকে সাড়া দিয়ে হাজির হয়েছিলেন পরিচালক। এরই সঙ্গে মঞ্চ থেকেই সৃজিত ঘোষণা করলেন, ‘‘এ বার থেকে ‘অন মাই ওন টার্মস হ্যাশ ট্যাগটা পাল্টে হয়ে গেল অন আওয়ার ওন টার্মস।’’ দুই শিবিরকে এক ছাদের নীচে আনার অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন দেব। বলছিলেন, ‘‘শুরু থেকেই প্রচুর কথা কানে আসছিল। সেটা কিন্তু সিনেমার জন্য খারাপ। তাই আজকে এই প্রয়াস। আমরা যে একটা পরিবার, এই মঞ্চে প্রত্যেকের উপস্থিতি সেটাই প্রমাণ করছে। এর বেশি কিছুই নয়।’’ বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে এ রকম ঘটনা সচরাচর ঘটে না যেখানে একই গল্প নিয়ে দুই মাধ্যমে কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে। শুধু তাই নয়, প্রায় কাছাকাছি সময়েই মুক্তি পাবে দুই ব্যোমকেশ। দেবকে ব্যোমকেশ হিসাবে কেমন লাগছে আর এক ব্যোমকেশ অনির্বাণের? অভিনেতা বললেন, ‘‘যখন থেকে দেব ব্যোমকেশ হচ্ছে শুনেছি, তখন থেকেই কৌতূহল বাড়ে। দেবের মাধ্যমে একদম আলাদা একটা ব্যোমকেশ পেতে চলেছেন দর্শক।’’ ‘একতাই বল’— এই মন্ত্রে বিশ্বাসী রুক্মিণী বললেন, ‘‘ব্যোমকেশের যেমন একটা পরিবার আছে, ইন্ডাস্ট্রিকেও একটা পরিবারের মতোই হাতে হাত মিলিয়ে এগিয়ে চলতে হবে।’’ অম্বরীশ যেমন মজা করে বললেন, ‘‘কী মুশকিল, সব বিতর্ক যে মিটে গেল! এ বার কে কী করে দেখা যাক।’’ এই ব্যোমকেশ পর্ব আগামী দিনে ইন্ডাস্ট্রিকে অনুপ্রাণিত করতে পারে কি না, তা সময়ই বলবে।
|
আসলে আমরা একটা পরিবারেরই অংশ, এই বার্তাটা পৌঁছে দেওয়াটা খুবই প্রয়োজন’’ তাই ‘দশম অবতার’-এর শুটিং ফ্লোর থেকে দেবের ডাকে সাড়া দিয়ে হাজির হয়েছিলেন পরিচালক এরই সঙ্গে মঞ্চ থেকেই সৃজিত ঘোষণা করলেন, ‘‘এ বার থেকে ‘অন মাই ওন টার্মস হ্যাশ ট্যাগটা পাল্টে হয়ে গেল অন আওয়ার ওন টার্মস’’ দুই শিবিরকে এক ছাদের নীচে আনার অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন দেব বলছিলেন, ‘‘শুরু থেকেই প্রচুর কথা কানে আসছিল সেটা কিন্তু সিনেমার জন্য খারাপ তাই আজকে এই প্রয়াস আমরা যে একটা পরিবার, এই মঞ্চে প্রত্যেকের উপস্থিতি সেটাই প্রমাণ করছে এর বেশি কিছুই নয়’’ বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে এ রকম ঘটনা সচরাচর ঘটে না যেখানে একই গল্প নিয়ে দুই মাধ্যমে কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে শুধু তাই নয়, প্রায় কাছাকাছি সময়েই মুক্তি পাবে দুই ব্যোমকেশ দেবকে ব্যোমকেশ হিসাবে কেমন লাগছে আর এক ব্যোমকেশ অনির্বাণের? অভিনেতা বললেন, ‘‘যখন থেকে দেব ব্যোমকেশ হচ্ছে শুনেছি, তখন থেকেই কৌতূহল বাড়ে
|
দেবের ‘দুর্গ রহস্য’- এর প্রথম ঝলক হাজির, নতুন ব্যোমকেশ ৪১ সেকেন্ডে কতটা মন কাড়ল?
|
ফের ফাটল বোমা, ফের রক্তাক্ত শিশু
|
বন্দে ভারত ছুটছে গড়ে ৮৩ কিমিতেই
|
দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরানোর ডাক মোদীর, অথচ বিদ্রোহের স্তূপে বসে হিমাচলপ্রদেশ বিজেপি
|
politics
|
‘রিওয়াজ বদল রহা হ্যায় (ঐতিহ্য পরিবর্তন হতে চলেছে)’। হিমাচল প্রদেশে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা-কর্মীদের মধ্যে এখন এনিয়েই গুঞ্জন চলছে। গত তিন দশকে এখানে একবার কংগ্রেস, একবার বিজেপি, এভাবে পাঁচ বছর অন্তর ক্ষমতার হস্তান্তর হয়েছে। কিন্তু, এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই রিওয়াজ বা ঐতিহ্য ভাঙতে মরিয়া। তিনি টানা দ্বিতীয়বার এই পার্বত্য রাজ্যে বিজেপিকে ক্ষমতায় ফেরানোর ডাক দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ১২ নভেম্বর বিধানসভা নির্বাচনের মুখে হিমাচল প্রদেশ। তবে, মোদীর এই আহ্বানে দিল্লির বিজেপি নেতারা যতটা উচ্ছ্বসিত, হিমাচল প্রদেশের বিজেপি নেতৃত্ব কিন্তু ততটা উচ্ছ্বাস দেখাতে পারছেন না। কারণ, কংগ্রেস এখনও লড়াই ছাড়েনি। ক্ষমতায় থাকার জন্য বিজেপির বিরুদ্ধে সাধারণ রাজ্যবাসীর একটা ক্ষোভ জন্মেছে। তার ওপর হিমাচলপ্রদেশের রাজনীতিতে আপ ভালো মাত্রাতেই প্রবেশ করেছে। যা কমাতে পারে ভোটের ব্যবধান। গেরুয়া শিবির এবারের নির্বাচনে ১১ বিধায়ককে টিকিট দেয়নি। এনিয়ে চলতি সপ্তাহেই বহু ডামাডোল দেখেছে হিমাচল প্রদেশ। ওই ১১ বিধায়ক রীতিমতো বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন। বাধ্য হয়ে বিদ্রোহীদের ছয় বছরের জন্য সাসপেনশনের হুমকি দেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। তার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এই বিদ্রোহ থেকে রক্ষা পায়নি মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরের নিজের জেলা মান্ডিও। সেখানে দলের মিডিয়া সহ-ইনচার্জ প্রবীণ শর্মা ঘোষণা করেছিলেন ভোটে লড়বেন। নির্দল হিসেবে মান্ডি সদর কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আরও পড়ুন- ট্রাস সরতেই ঘোলাজলে মাছ ধরার চেষ্টা, ফের ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া বরিস জনসন আবার, অন্য দল থেকে আসা নেতাদের টিকিট দেওয়া নিয়েও হিমাচলপ্রদেশ বিজেপির বেশ কিছু নেতা নিজের দলের ওপরই বিরক্ত। নালাগড়ে প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক কেএল ঠাকুর বৃহস্পতিবার নির্দল হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। কারণ, দল কংগ্রেস ছেড়ে আসা বর্তমান বিধায়ক লখবিন্দর সিং রানাকে টিকিট দিয়েছে। শুধু মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াই না। তাঁর সমর্থনে বড় জনসভাও করেছেন কেএল ঠাকুর। জনসভার মূল বক্তব্য ছিল- ‘মেরা কসুর কেয়া হ্যায় (আমার কী দোষ?)।’ ধর্মশালায় আবার বিজেপির বর্তমান বিধায়ক বিশাল নাইহারিয়ার প্রায় ২০০ সমর্থক দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। কারণ, কংগ্রেস ছেড়ে আসা রাকেশ চৌধুরিকে এবার টিকিট দিয়েছে বিজেপি। Read full story in English Stay updated with the latest news headlines and all the latest Politics news download Indian Express Bengali App. Web Title: The situation of himachal pradesh politics
|
আরও পড়ুন- ট্রাস সরতেই ঘোলাজলে মাছ ধরার চেষ্টা, ফের ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া বরিস জনসন আবার, অন্য দল থেকে আসা নেতাদের টিকিট দেওয়া নিয়েও হিমাচলপ্রদেশ বিজেপির বেশ কিছু নেতা নিজের দলের ওপরই বিরক্ত নালাগড়ে প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক কেএল ঠাকুর বৃহস্পতিবার নির্দল হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন কারণ, দল কংগ্রেস ছেড়ে আসা বর্তমান বিধায়ক লখবিন্দর সিং রানাকে টিকিট দিয়েছে শুধু মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াই না তাঁর সমর্থনে বড় জনসভাও করেছেন কেএল ঠাকুর জনসভার মূল বক্তব্য ছিল- ‘মেরা কসুর কেয়া হ্যায় (আমার কী দোষ?)’ ধর্মশালায় আবার বিজেপির বর্তমান বিধায়ক বিশাল নাইহারিয়ার প্রায় ২০০ সমর্থক দল থেকে পদত্যাগ করেছেন কারণ, কংগ্রেস ছেড়ে আসা রাকেশ চৌধুরিকে এবার টিকিট দিয়েছে বিজেপি Read full story in English Stay updated with the latest news headlines and all the latest Politics news download Indian Express Bengali App. Web Title: The situation of himachal pradesh politics
|
মোদীকে হারাতে, একইসঙ্গে দোস্তি-কুস্তির কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে বিরোধীরা
|
‘শেখ মুজিব ও জিয়া শ্রদ্ধেয় নেতা’
|
আইলাইনার ফুরিয়ে গিয়েছে? আইশ্যাডো দিয়েই বানিয়ে নিন অল্প সময়ে
|
কোন ছকে পাকিস্তানকে হারাতে চান, ম্যাচ শুরুর ২১ ঘণ্টা আগে জানিয়ে দিলেন রোহিত
|
sports
|
রাত পোহালেই মহারণ। এশিয়া কাপে মুখোমুখি ভারত বনাম পাকিস্তান। ম্যাচের অনেক আগেই উত্তেজনা তৈরি হয়েছে দুই দল এবং সমর্থকদের মধ্যে। কারণ, দুই দেশ খুব কমই ক্রিকেট খেলে। তাই যখনই তারা মুখোমুখি হয় তখনই আলাদা উত্তেজনা তৈরি হয়। তবে যাবতীয় উত্তেজনা, উন্মাদনা বাইরে রেখে মাঠে নামতে চায় ভারত। ম্যাচের ২১ ঘণ্টা আগে তা স্পষ্ট করে দিলেন রোহিত শর্মা। তিনি জানিয়েছেন, অভিজ্ঞতা দিয়েই পাকিস্তানকে হারাতে চান তাঁরা। ভাবছেন না বিপক্ষের বোলিং আক্রমণ নিয়েও। এশিয়া কাপে এক দিনের ফরম্যাটে ১৪টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দুই দেশ। তার মধ্যে সাতটি জিতেছে ভারত। পাকিস্তান পাঁচটি ম্যাচে। শেষ পাঁচ বারের সাক্ষাতে ভারত চার বারই জিতেছে। শেষ বার এই ফরম্যাটে পাকিস্তানের কাছে হেরেছে ২০১৪ সালে। ম্যাচের আগে শুক্রবার রোহিত বলেছেন, “শত্রুতা নিয়ে সাধারণ মানুষ কথা বলবে। দল হিসাবে আমরা জানি কাল একটা দেশের বিরুদ্ধে খেলতে নামছি। তাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা তৈরি করা এবং কাজে লাগানোই আমাদের দায়িত্ব। উল্টো দিকে কোন দল রয়েছে তা ভাবতে চাই না। মাঠে নেমে সব কাজ ঠিকঠাক করতে চাই। এশিয়া কাপে ছ’টা দলই কঠিন। যে কোনও দিন যে কোনও দল জিততে পারে।” প্রথম ম্যাচে নেপালকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে পাকিস্তান। প্রতিপক্ষকে সমীহ করছেন রোহিতেরা। বলেছেন, “সাম্প্রতিক কালে এক দিনের ক্রিকেট এবং টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তান ভাল খেলছে। বিশ্বের এক নম্বর দল হওয়া কঠিন ব্যাপার। তাই নিজেদের কাল একটা পরীক্ষার মধ্যে ফেলতে পারব।” বিপক্ষের দলে রয়েছেন নাসিম শাহ, শাহিন আফ্রিদি এবং হ্যারিস রউফের মতো বোলার। কী ভাবে সামলাবেন তাঁদের? প্রশ্ন করতেই রোহিতের জবাব, “দেখুন, নেটে তো আর শাহিন, নাসিম বা রউফকে খেলতে পারব না। যারা আছে তাদের নিয়ে অনুশীলন করি। তবে প্রত্যেকেই ভাল মানের বোলার। তাই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই ওদের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিততে চাই।” বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপকে মোটেই প্রস্তুতি হিসাবে দেখতে চান না রোহিত। এই প্রতিযোগিতাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন তাঁরা। রোহিত বলেছেন, “কোনও ভাবেই এশিয়া কাপ আমাদের কাছে ফিটনেস পরীক্ষা বা অন্য কিছু নয়। এই প্রতিযোগিতা এশিয়ার ছ’টি সেরা দলের মধ্যে হয়। আমাদের কাছে এই প্রতিযোগিতা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এশিয়া কাপের অনেক ইতিহাস রয়েছে। তা ছাড়া, ফিটনেস পরীক্ষা বা বাকি যা কিছু রয়েছে সব বেঙ্গালুরুতে করে এসেছি। এখানে ম্যাচ খেলতে এসেছি। দেখা যাক প্রতিযোগিতায় কত দূর এগোতে পারি।” দলের বোলারদের প্রশংসাও শোনা গিয়েছে রোহিতের মুখে। তিনি বলেছেন, “যে ছ’জন বোলারকে নিয়েছি প্রত্যেকে ভাল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবাই নিজেদের প্রমাণ করেছে। বিশেষত বুমরা অনেক দিন পরে চোট সারিয়ে ফিরেছে। আয়ারল্যান্ডে ওর খেলা দেখে ভাল লেগেছে। বেঙ্গালুরুতে অল্প দিনের শিবিরেও ও নজর কেড়েছে। আত্মবিশ্বাসও তুঙ্গে। এটা আমাদের পক্ষে ইতিবাচক।” এর পর পেস বোলিং বিভাগের বাকি দুই সদস্য মহম্মদ শামি এবং মহম্মদ সিরাজকে নিয়ে রোহিত বলেছেন, “গত কয়েক বছরেই ওরা আমাদের দলে মূল স্তম্ভ। দু’জনেই দলে রয়েছে দেখে ভাল লাগছে। আশা করি পরের দু’মাসে ওরা যতটা সম্ভব নিজেদের তরতাজা রাখতে পারবে।” ম্যাচের ২৪ ঘণ্টা আগেও দলের প্রথম একাদশ নিয়ে কোনও ইঙ্গিত দিলেন না রোহিত। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁর উত্তর, “আমাদের হাতে সব ধরনের বিকল্প তৈরি আছে। আমাদের ব্যাটাররা অনেক অভিজ্ঞ। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে ওরা দক্ষ। যে ভাবে ম্যাচ এগোবে সে ভাবেই নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব। আগ্রাসী খেলতে চাই। কিন্তু বাইশ গজে ব্যাটারদের অধিকার রয়েছে নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার।”
|
ম্যাচের আগে শুক্রবার রোহিত বলেছেন, “শত্রুতা নিয়ে সাধারণ মানুষ কথা বলবে দল হিসাবে আমরা জানি কাল একটা দেশের বিরুদ্ধে খেলতে নামছি তাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা তৈরি করা এবং কাজে লাগানোই আমাদের দায়িত্ব উল্টো দিকে কোন দল রয়েছে তা ভাবতে চাই না মাঠে নেমে সব কাজ ঠিকঠাক করতে চাই এশিয়া কাপে ছ’টা দলই কঠিন যে কোনও দিন যে কোনও দল জিততে পারে” প্রথম ম্যাচে নেপালকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে পাকিস্তান প্রতিপক্ষকে সমীহ করছেন রোহিতেরা বলেছেন, “সাম্প্রতিক কালে এক দিনের ক্রিকেট এবং টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তান ভাল খেলছে বিশ্বের এক নম্বর দল হওয়া কঠিন ব্যাপার তাই নিজেদের কাল একটা পরীক্ষার মধ্যে ফেলতে পারব” বিপক্ষের দলে রয়েছেন নাসিম শাহ, শাহিন আফ্রিদি এবং হ্যারিস রউফের মতো বোলার কী ভাবে সামলাবেন তাঁদের? প্রশ্ন করতেই রোহিতের জবাব, “দেখুন, নেটে তো আর শাহিন, নাসিম বা রউফকে খেলতে পারব না যারা আছে তাদের নিয়ে অনুশীলন করি তবে প্রত্যেকেই ভাল মানের বোলার তাই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই ওদের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিততে চাই” বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপকে মোটেই প্রস্তুতি হিসাবে দেখতে চান না রোহিত এই প্রতিযোগিতাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন তাঁরা রোহিত বলেছেন, “কোনও ভাবেই এশিয়া কাপ আমাদের কাছে ফিটনেস পরীক্ষা বা অন্য কিছু নয়
|
টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনালে ইংল্যান্ডের উইকেটে কী করে রান করতে হবে? উপায় বার করেছেন রোহিত
|
৩ ঘণ্টা আগেই সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশ শুরু
|
সাফজয়ী নারী ফুটবলারদের ৫ লাখ টাকা করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
|
বাংলা সনের প্রবর্তক আকবর নাকি শশাঙ্ক - এ নিয়ে কলকাতায় নতুন বিতর্ক
|
national
|
ছবির উৎস, prabir bhattacharya বঙ্গীয় সনাতনী সংস্কৃতি পরিষদের পোস্টার পয়লা বৈশাখের শোভাযাত্রা নিয়ে বিতর্ক বেঁধেছে কলকাতাতেও। নতুন একটি শোভাযাত্রায় বঙ্গাব্দের প্রবর্তক হিসাবে গৌড়ের রাজা শশাঙ্ককে তুলে ধরা হবে বলে আয়োজকরা জানানোর পরেই বিতর্কের জন্ম। শশাঙ্ক না মুঘল সম্রাট আকবর- কে বঙ্গাব্দ চালু করেছিলেন, সেই বিতর্ক কয়েক বছর ধরে চললেও তা ছিল মূলত অ্যাকাডেমিক আলোচনা। তবে এবারে শোভাযাত্রা থেকে শশাঙ্ককে বঙ্গাব্দের প্রবর্তক বলে প্রচার করা এবং শশাঙ্কের মূর্তি সামনে নিয়ে শোভাযাত্রা করায় আপত্তি তুলছেন দীর্ঘদিন ধরে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান করে, এমন সংগঠনগুলি। শশাঙ্ককে সামনে রেখে যে সংগঠনটি মঙ্গল শোভাযাত্রা করবে ১৫ই এপ্রিল, সেই বঙ্গীয় সনাতনী সংস্কৃতি পরিষদের সঙ্গে আরএসএসের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। যদিও তারা দাবী করছেন যে তাদের সংগঠনে সবাই আরএসএসের ঘনিষ্ঠ নয়। সংগঠনটির সম্পাদক প্রবীর ভট্টাচার্যের কথায়, “বঙ্গাব্দের প্রবর্তক যে আকবর, সেটা বাংলাদেশ থেকে আসা একটা ভাষ্য। এই তত্ত্ব আগে তো শোনা যায় নি। বাংলা ক্যালেন্ডারের মাসগুলো যদি দেখেন, তাহলে দেখবেন বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ – সবগুলোই হিন্দু নক্ষত্র ও রাশিচক্র অনুযায়ী হয়েছে। একজন মুসলমান শাসক কেন এধরনের মাসের নাম দেবেন? “যেটা বলা হচ্ছে যে আকবর রাজস্ব আদায়ের সুবিধার জন্য বঙ্গাব্দ চালু করেছিলেন। কিন্তু তিনি নিজে প্রথমত বাংলায় কোনওদিন আসেন নি বা তার সুপরিচিত সেনাপতিরাও আসেন নি। তাই বাংলার জন্য একটা আলাদা ক্যালেন্ডার তিনি চালু করতে যাবেন কেন? এছাড়া, তিনি তো অন্যান্য অনেক প্রদেশেই রাজত্ব বিস্তার করেছিলেন, কই- সব প্রদেশের জন্য তো ক্যালেন্ডার করেন নি তিনি?” ব্যাখ্যা মি. ভট্টাচার্যের। ছবির উৎস, Getty Images কলকাতায় আগে থেকেই মঙ্গল শোভাযাত্রা হয় ঢাকার আদলে আরএসএস দীর্ঘদিন ধরেই মুঘল সাম্রাজ্য এবং মুসলমান শাসনকালকে ইতিহাস থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বলে ঐতিহাসিকরা বলে থাকেন। সম্প্রতি জাতীয় পর্যায়ের স্কুল পাঠ্য ইতিহাস বই থেকেও মুঘল শাসনামলের অধ্যায়টি বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে, যার পিছনেও আরএসএসের চিন্তাধারাই কাজ করেছে বলে ইতিহাসবিদরা মনে করছেন। হিন্দুত্ববাদীরা শশাঙ্ককে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন দীর্ঘদিন ধরেই। বঙ্গাব্দের প্রবর্তক হিসাবে তার নাম প্রচারে নিয়ে আসাও সেই প্রচেষ্টারই অঙ্গ বলে মনে করা হয়। ষষ্ঠ শতাব্দীর শেষ দিকে শশাঙ্ক ছিলেন গুপ্ত সাম্রাজ্যের অধীনে একজন সামন্ত রাজা। তবে পরে তিনি স্বাধীন ও সার্বভৌম গৌড়ভূমির শাসক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। রাজা শশাঙ্ক মারা গিয়েছিলেন ৬৩৭ বা ৬৩৮ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ। প্রায় ৪৫ বছর তিনি রাজত্ব করেছিলেন এবং তার রাজত্বকাল শুরুর সময় থেকেই, ৫৯৩ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গাব্দ চালু করা হয়। বঙ্গাব্দর সঙ্গে খ্রিস্টাব্দের ব্যবধানও ঠিক ৫৯৩ বছরের। ছবির উৎস, Getty Images বাঙালি হিন্দু ব্যবসায়ীদের একাংশ পয়লা বৈশাখে পুজো দিয়ে নতুন বছরের হিসাবের খাতা চালু করেন শশাঙ্ক না আকবর কে বঙ্গাব্দ প্রচলন করেছিলেন, এই বিতর্কে সনাতনী সংস্কৃতি পরিষদের ব্যাখ্যার বিরোধিতা করছে ভাষা ও চেতনা সমিতি। তারাই সিকি শতক ধরে কলকাতায় রাতভর নববর্ষ বরণের অনুষ্ঠান এবং সকালে শোভাযাত্রা হয়ে আসছে শহরের সাংস্কৃতিক প্রাণকেন্দ্র বলে পরিচিত অ্যাকাডেমি চত্বরে। আবার ঢাকার আদলে দক্ষিণ কলকাতাতেও একটি মঙ্গল শোভাযাত্রা হচ্ছে বছর কয়েক ধরে। সবথেকে পুরণো বর্ষবরণের অনুষ্ঠান আর শোভাযাত্রার আয়োজনকারী ভাষা ও চেতনা সমিতির প্রধান ইমানুল হক বলছেন, “বাঙালী হিসাবে গৌড়ের রাজা শশাঙ্কের জন্য আমরা গর্বিত ঠিকই, কিন্তু তিনি যে বঙ্গাব্দের প্রবর্তন করেছিলেন, এমন কোনও তথ্য কিন্তু ইতিহাসে পাওয়া যায় না। আর ইতিহাস তো ইতিহাসই, একটা তত্ত্ব জোর করে চাপানো হচ্ছে। “যদি শশাঙ্কই বঙ্গাব্দ প্রবর্তন করে থাকবেন, তাহলে তার যেসব ফলক বা শিলালিপি পাওয়া যায়, সেখানে তো তিনি বঙ্গাব্দের উল্লেখ করতেন! আবার সাহিত্যে যদি দেখেন, শ্রীকৃষ্ণবিজয় কাব্যের রচনাকার মালাধর বসু লিখছেন, তেরোশো পঁচানব্বই শকে হইল গ্রন্থ আরম্ভন, চতুর্দশ দুই শকে হইল সমাপন। এখানে শক মানে শকাব্দ। তখন যদি বঙ্গাব্দই চালু থাকবে, তাহলে তো তিনি শক না লিখে বঙ্গাব্দই লিখতেন,” বলছিলেন ইমানুল হক। ছবির উৎস, Getty Images ঢাকার মঙ্গল শোভাযাত্রা প্রবীর ভট্টাচার্যে অবশ্য তাদের তত্ত্বে হিন্দুত্বের প্রসঙ্গ আনতে চাইছেন না। তার কথায়, “আমাদের এই তত্ত্বে ধর্ম নিয়ে আসছি না। প্রচারে তুলে ধরছি বাঙালী ঐতিহ্য, বাঙালী সংস্কৃতিকে। “সেজন্যই আমাদের শোভাযাত্রায় সামনে যেমন শশাঙ্কের মূর্তি থাকবে, তেমনই বাঙালী সংস্কৃতি ঐতিহ্যস্বরূপ শ্রীখোল, ঢাক, চামরসহ গৌড়ীয় নৃত্য, কীর্তন, ভাষা, কাব্য আমরা তুলে ধরব। তিনি আরও বলছেন যে তাদের শোভাযাত্রার নামও মঙ্গল শোভাযাত্রা, তবে ঢাকায় যে মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়, সেটা বাঙালি ঐতিহ্য মেনে হয় না। “তারা প্যাঁচা, সাপ এসব নিয়ে শোভাযাত্রা করে, এগুলো তো বাঙালিয়ানার ঐতিহ্য নয়। বাঙালির ঐতিহ্য হল দুর্গাপুজো, শঙ্খ, তুলসীমঞ্চ, কলাগাছ। আমরা এগুলোকেই তুলে ধরব আমাদের মঙ্গল শোভাযাত্রায়,” বলছিলেন মি. ভট্টাচার্য। ইমানুল হক মনে করেন, শশাঙ্ককে হিন্দু রাজা বানানোর চেষ্টা যারা করছেন, তাদের ইতিহাসটা ভাল করে পড়া দরকার। “তার আমলে হিন্দু শব্দটাই তো ছিল না, সেটা তো মুঘল আমলে সরকারিভাবে প্রচারিত হয়, শব্দটা আবার ফার্সি। “আসলে ঢাকার মঙ্গল শোভাযাত্রা বলুন বা আমাদের বর্ষবরণের উৎসব- কোথাও মুসলমান মৌলবাদীরা ফতোয়া জারি করছে, কোথাও সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠরা শশাঙ্ককে তুলে ধরতে চাইছে মুঘল সম্রাট আকবরের বিপরীতে। বাঙালিরা মনে হয় না এটা মেনে নেবে,” বলছিলেন মি. হক।
|
ষষ্ঠ শতাব্দীর শেষ দিকে শশাঙ্ক ছিলেন গুপ্ত সাম্রাজ্যের অধীনে একজন সামন্ত রাজা তবে পরে তিনি স্বাধীন ও সার্বভৌম গৌড়ভূমির শাসক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন রাজা শশাঙ্ক মারা গিয়েছিলেন ৬৩৭ বা ৬৩৮ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ প্রায় ৪৫ বছর তিনি রাজত্ব করেছিলেন এবং তার রাজত্বকাল শুরুর সময় থেকেই, ৫৯৩ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গাব্দ চালু করা হয় বঙ্গাব্দর সঙ্গে খ্রিস্টাব্দের ব্যবধানও ঠিক ৫৯৩ বছরের ছবির উৎস, Getty Images বাঙালি হিন্দু ব্যবসায়ীদের একাংশ পয়লা বৈশাখে পুজো দিয়ে নতুন বছরের হিসাবের খাতা চালু করেন শশাঙ্ক না আকবর কে বঙ্গাব্দ প্রচলন করেছিলেন, এই বিতর্কে সনাতনী সংস্কৃতি পরিষদের ব্যাখ্যার বিরোধিতা করছে ভাষা ও চেতনা সমিতি তারাই সিকি শতক ধরে কলকাতায় রাতভর নববর্ষ বরণের অনুষ্ঠান এবং সকালে শোভাযাত্রা হয়ে আসছে শহরের সাংস্কৃতিক প্রাণকেন্দ্র বলে পরিচিত অ্যাকাডেমি চত্বরে আবার ঢাকার আদলে দক্ষিণ কলকাতাতেও একটি মঙ্গল শোভাযাত্রা হচ্ছে বছর কয়েক ধরে সবথেকে পুরণো বর্ষবরণের অনুষ্ঠান আর শোভাযাত্রার আয়োজনকারী ভাষা ও চেতনা সমিতির প্রধান ইমানুল হক বলছেন, “বাঙালী হিসাবে গৌড়ের রাজা শশাঙ্কের জন্য আমরা গর্বিত ঠিকই, কিন্তু তিনি যে বঙ্গাব্দের প্রবর্তন করেছিলেন, এমন কোনও তথ্য কিন্তু ইতিহাসে পাওয়া যায় না আর ইতিহাস তো ইতিহাসই, একটা তত্ত্ব জোর করে চাপানো হচ্ছে “যদি শশাঙ্কই বঙ্গাব্দ প্রবর্তন করে থাকবেন, তাহলে তার যেসব ফলক বা শিলালিপি পাওয়া যায়, সেখানে তো তিনি বঙ্গাব্দের উল্লেখ করতেন! আবার সাহিত্যে যদি দেখেন, শ্রীকৃষ্ণবিজয় কাব্যের রচনাকার মালাধর বসু লিখছেন, তেরোশো পঁচানব্বই শকে হইল গ্রন্থ আরম্ভন, চতুর্দশ দুই শকে হইল সমাপন এখানে শক মানে শকাব্দ তখন যদি বঙ্গাব্দই চালু থাকবে, তাহলে তো তিনি শক না লিখে বঙ্গাব্দই লিখতেন,” বলছিলেন ইমানুল হক ছবির উৎস, Getty Images ঢাকার মঙ্গল শোভাযাত্রা প্রবীর ভট্টাচার্যে অবশ্য তাদের তত্ত্বে হিন্দুত্বের প্রসঙ্গ আনতে চাইছেন না
|
বাবরশা মন কেড়েছে বিদেশিদেরও, কোথায় মেলে এই ঐতিহাসিক পদ?
|
কলকাতার পার্কিং ফি বৃদ্ধি নিয়ে বিতর্কের পর বিতর্ক নিউ টাউনের জরিমানা নিয়ে, হস্তক্ষেপ কুণালের
|
‘আমার পুজোর ডায়েটে থাকে খিচুড়ি ভোগ আর তেল চুপচুপে লম্বা বেগুন ভাজা’: দেবলীনা কুমার
|
দিল্লি কর্পোরেশন হাতছাড়া বিজেপি’র, কংগ্রেসের ভোট কমে বাড়ল আপ’র
|
national
|
দিল্লি পৌরনিগমের ভোটে হার বিজেপির। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে একচ্ছত্রভাবে পৌর নিগম বিজেপির দখলে ছিল। যা হাতছাড়া হল এবার। দিল্লি পৌর নিগমের (MCD) নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে আম আদমি পার্টি। ২৫০ সদস্যের এমসিডি’তে আপ ১৩৪টি, বিজেপি ১০৪টি, কংগ্রেস ৯টি এবং অন্যান্যরা ৩টি আসন জিতেছে। পৌর নির্বাচন হলেও বিজেপি’র জাতীয় স্তর থেকে জোর দেওয়া হয়েছিল এই ভোটে। একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা তো বটেই, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা প্রচার চালিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পক্ষে ভোট চেয়েছিল বিজেপি, সেই আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে জনতার রায়ে। বিধানসভার তুলনায় প্রাপ্ত ভোট কমলেও পাঁচ বছর আগের তুলনায় ভোট বেড়েছে আম আদমি পার্টির। ২০১৭’তে তিনটি পৌরনিগম ছিল দিল্লিতে। মোট ২৭২ আসনে ভোট হয়েছিল। এবার ভোটের আগে তিনটিকে জুড়ে একটি পৌরনিগম করা হয়। মোট আসন হয় ২৫০। ‘আপ’ পেয়েছে ১৩৪ আসন, বিজেপি, ১০৪ আসন। কংগ্রেস জয়ী হয়েছে ৯টি ওয়ার্ডে। পাঁচ বছর আগে বিজেপি পেয়েছিল ১৮১টি ওয়ার্ড, আপ ৪৮টি এবং কংগ্রেস ৯টি। ওয়ার্ড এবং ভোট দুই-ই কমেছে কংগ্রেসের। প্রাথমিক অনুমান কংগ্রেসের ভোট বেশিরভাগ গিয়েছে আপ-এ। ২০১৭’তে ভোট শতাংশে আপ’র ছিল ২৬.২৩ শতাংশ সমর্থন। এবার হয়েছে ৪২.০৫ শতাংশ। বিজেপি’র ৩৯.০৯ শতাংশ থেকে এবার ৩৬.০৮ শতাংশ। কংগ্রেসের জনমসর্থন ২১.০৯ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১১.৬৮ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ, ১৫ বছর পর কর্পোরেশন খুইয়েছে বিজেপি। দিল্লির প্রেক্ষিতে নিশ্চয় বড় ঘটনা। নির্বাচনে প্রধান বিষয় ছিল জঞ্জাল সাফাই থেকে বিভিন্ন নাগরিক পরিষেবা। দিল্লির তিনটি কর্পোরেশনই চালিয়েছে বিজেপি। তিন কর্পোরেশনেই পৌর পরিষেবা নিয়ে গুরুতর ক্ষোভ ছিল, বিশেষ করে নিম্নবিত্ত এবং গরিব মানুষের বসবাস বেশি এমন এলাকায়। তবে মোদীকে সামনে রেখে ভোটের ডাক দিয়ে, মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের দিয়ে প্রচার করিয়ে নির্বাচনকে অন্য মাত্রা দিয়েছিল বিজেপি’ই। তাতে জনসমর্থন যদিও বাড়েনি। দিল্লিতে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক হিংসা হয়েছিল ২০২০’তে। দিল্লির ‘আপ’ সরকার নিষ্ক্রিয় থেকেছে। বিজেপি এবং উগ্র হিন্দুত্ববাদী বাহিনী দাপিয়েছে। সংখ্যালঘু মুসলিমরা কেবল আক্রমণের শিকার হননি, নাগরিক সমাজ ক্ষোভ জানিয়েছে এই অংশের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা চাপানোয়। দিল্লির পুলিশ যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের হাতে। কিন্তু রাজনৈতিক দল হিসেবে আপ হাত গুটিয়ে কেন, মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল চুপ কেন- এমন প্রশ্ন বারবার উঠেছে। সেই ঘটনার পর এবারই প্রথম পৌর নির্বাচন হয়েছে।
|
বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ, ১৫ বছর পর কর্পোরেশন খুইয়েছে বিজেপি দিল্লির প্রেক্ষিতে নিশ্চয় বড় ঘটনা নির্বাচনে প্রধান বিষয় ছিল জঞ্জাল সাফাই থেকে বিভিন্ন নাগরিক পরিষেবা দিল্লির তিনটি কর্পোরেশনই চালিয়েছে বিজেপি তিন কর্পোরেশনেই পৌর পরিষেবা নিয়ে গুরুতর ক্ষোভ ছিল, বিশেষ করে নিম্নবিত্ত এবং গরিব মানুষের বসবাস বেশি এমন এলাকায় তবে মোদীকে সামনে রেখে ভোটের ডাক দিয়ে, মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের দিয়ে প্রচার করিয়ে নির্বাচনকে অন্য মাত্রা দিয়েছিল বিজেপি’ই তাতে জনসমর্থন যদিও বাড়েনি দিল্লিতে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক হিংসা হয়েছিল ২০২০’তে দিল্লির ‘আপ’ সরকার নিষ্ক্রিয় থেকেছে বিজেপি এবং উগ্র হিন্দুত্ববাদী বাহিনী দাপিয়েছে সংখ্যালঘু মুসলিমরা কেবল আক্রমণের শিকার হননি, নাগরিক সমাজ ক্ষোভ জানিয়েছে এই অংশের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা চাপানোয় দিল্লির পুলিশ যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের হাতে
|
দিল্লি পুরনির্বাচনে হইহই করে জিতছে আপ, পিছিয়ে বিজেপি, ইঙ্গিত সমীক্ষায়
|
বিশ্বে করোনায় কমেছে মৃত্যু ও শনাক্ত
|
চমৎকার! পছন্দের চালকের সঙ্গে এবার যাত্রা করুন উবারে
|
মাস্কারা লাগিয়েও কাজ হচ্ছে না? চোখের পাতা ঘন করবেন কোন ঘরোয়া উপায়ে
|
lifestyle
|
রূপটানের অন্যতম অংশ হল চোখ। কাজল কালো মায়াবী চোখে প্রিয়জনের নজর কাড়তে চান অনেকেই। চোখের মেকআপের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল মাস্কারা। চোখের ঘন পলকে মাস্কারার প্রলেপ যেন সাজের সংজ্ঞাই বদলে দেয়। চোখের পাতা সকলের একই রকম হয় না। কারও চোখের পাতা পাতলা হয়। কারও ঘন। পাতলা চোখের পাতা ঘন করতে মাস্কারা কাজে আসে। কিন্তু সব সময়ে সুন্দর হয়ে উঠতে প্রসাধনীর মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে কেন? মাস্কারা ছাড়াই ঘরোয়া কয়েকটি উপায়ে চোখের পাতা ঘন করা সম্ভব। সেগুলি কী, তা জেনে নিন। ক্যাস্টর অয়েল নিয়মিত রূপরুটিনের অন্যতম একটি উপাদান হল ক্যাস্টর অয়েল। অনেকেই ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে ভরসা রাখেন এই উপাদানটির উপর। ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ ক্যাস্টর অয়েল চোখের পাতা ঘন করতে সাহায্য করে। ঘুমানোর আগে আঙুলের ডগায় অল্প ক্যাস্টর অয়েল নিয়ে চোখের পাতায় লাগিয়ে নিন। পর পর কয়েক দিন এটা করলে চোখের পাতা ঘন হয়ে উঠবে। নারকেল, বাদাম এবং অলিভ অয়েলের মিশ্রণ প্রোটিন, খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ এই তেল চোখের পাতা ঘন করতে অত্যন্ত কার্যকর। দিনের যে কোনও ফাঁকা সময়ে চোখের পাতায় আলতো করে এই তেলটি লাগিয়ে ৩-৪ ঘণ্টা রেখে দিন। মুখ ধোয়ার আগে পাতলা কোনও সুতির কাপড় দিয়ে চোখ মুছে নিন। নয় তো তেল চোখে চলে গেলে চোখ জ্বালা করতে পারে। সপ্তাহে ৩-৪ দিন এটি করতে পারেন। সুফল পাবেন। ভিটামিন ই চুল, ত্বক, নখ— ভিটামিন ই-র ব্যবহার বহুমুখী। চোখের পাতা ঘন করতেও সমান উপকারী ভিটামিন ই। তবে চোখে যাতে চলে না যায়, তার জন্য ব্যবহার করার আগে বাড়তি সাবধানতা মেনে চলা জরুরি। ভিটামিন ই হালকা হাতে চোখের পাতায় লাগিয়ে নিন। কিছু ক্ষণ রাখার পর সাবধানে মুছে নিন। মাস্কারা লাগানোর আগেও ভিটামিন ই ক্যাপসুল চোখের পাতায় ব্যবহার করে নিতে পারেন। চোখের পাতা বেশ বড় দেখাবে।
|
ক্যাস্টর অয়েল নিয়মিত রূপরুটিনের অন্যতম একটি উপাদান হল ক্যাস্টর অয়েল অনেকেই ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে ভরসা রাখেন এই উপাদানটির উপর ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ ক্যাস্টর অয়েল চোখের পাতা ঘন করতে সাহায্য করে ঘুমানোর আগে আঙুলের ডগায় অল্প ক্যাস্টর অয়েল নিয়ে চোখের পাতায় লাগিয়ে নিন পর পর কয়েক দিন এটা করলে চোখের পাতা ঘন হয়ে উঠবে নারকেল, বাদাম এবং অলিভ অয়েলের মিশ্রণ প্রোটিন, খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ এই তেল চোখের পাতা ঘন করতে অত্যন্ত কার্যকর দিনের যে কোনও ফাঁকা সময়ে চোখের পাতায় আলতো করে এই তেলটি লাগিয়ে ৩-৪ ঘণ্টা রেখে দিন মুখ ধোয়ার আগে পাতলা কোনও সুতির কাপড় দিয়ে চোখ মুছে নিন নয় তো তেল চোখে চলে গেলে চোখ জ্বালা করতে পারে সপ্তাহে ৩-৪ দিন এটি করতে পারেন
|
লেন্স পরেন বলে কাজল, মাস্কারা ছাড়াই সারতে হবে পুজোর সাজ! পাঁচ টোটকায় হবে মুশকিল আসান
|
ডায়াবিটিস ভোগাচ্ছে? ঘরোয়া উপায়ে জব্দ করবেন কী ভাবে
|
এক্সপ্রেসওয়েতে উচ্ছেদ, প্রতিবাদ বিশরপাড়ায়
|
বদলে যাচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপের অন্দরমহল! জেনে নিন বিশদে
|
technology
|
হোয়াটসঅ্যাপে এখন ডার্ক মোড। ফোনের চার্জ বাঁচাতে আপনিও আপনার হোয়াটসঅ্যাপের উইনডোকে কালো মোডে নিয়ে যেতে পারেন। বেশ কিছু দিন যাবতই শোনা যাচ্ছিল, হোয়াটসঅ্যাপে ডার্ক মোড আনতে চলেছে জায়েন্ট সংস্থা। সম্প্রতি এই জনপ্রিয় মোড আইওএস ও আন্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য নিয়ে এল হোয়াটসঅ্যাপ। কী ভাবে অন করবেন ডার্ক মোড? চ্যাটে প্রবেশ করে, সেখানের সেটিংস মেনুতে গিয়ে ডিসপ্লের একটি সাব সেকশন পাবেন। সেখানে পাবেন থিম অপশন। যার মধ্যে রয়েছে সিস্টেম ডিফল্ট, লাইট ও ডার্ক মোড। তবে এখনও বিটা ভার্সনেই পরীক্ষামূলকভাবে রয়েছে এই মোড। প্রয়োজনে আপডেট করে নিন আপনার ফোনে থাকা অ্যাপটি। আরও পড়ুন:ভারতীয়রা এবার যাবে চাঁদে! কী বললেন ইসরো চেয়ারম্যান কী এই ডার্ক মোড? কীভাবে কাজ করবে? রোজকার যেভাবে হোয়াটসঅ্যাপ দেখেন সেই আলোময় হোয়াটসঅ্যাপে আসবে ‘আঁধারের’ ছোঁয়া। এই ডার্ক মোড ব্যবহার করলে বাঁচবে ফোনের ব্যাটারি। বাড়বে চোখের আড়াম। ফোনে দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে থাকার ফলে চোখের উপর যে চাপ সৃষ্টি হয়, তাও লাঘব হবে। এমনকি ফোনের র্যামের উপরও চাপ কমাতে সাহায্য করবে এই ডার্ক মোড। আরও পড়ুন:সবচেয়ে কম দাম! এক টাকায় এক জিবি ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন আপনি বিভিন্ন অ্যাপ এই মূহুর্তে নিয়ে আসতে চলেছে ডার্ক মোড ফিচার, অর্থাৎ অ্যাপের অন্দরমহল হবে অন্ধকার, তার ওপরে সমস্ত লেখা হয়ে যাবে সাদা। ইতিমধ্যে ফেসবুক মেসেঞ্জারেও ঢুকে পড়েছে এই ফিচার। গুগল জানিয়েছিল, এই ডার্ক মোড অন করলে ফোনের চার্জের সঙ্গে বাঁচবে আপনার চোখ। কিন্তু ওয়াকিবহালমহল মনে করছেন এটি ভুল, বরং আরও ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। আরও পড়ুন:শ্রাবন্তীর গোপন ভিডিও ফাঁস করলেন রোশন, লজ্জায় লাল নায়িকা টুইটার ব্যবহারকারী ‘Cheddar Explains’-এর দাবি, ডার্ক মোড আপনার চোখের ২৬ শতাংশ ক্ষতি করবে।উল্লেখ্য, ভিডিও দেখার সময় ডার্ক মোড অন করে নিতে পরেন। তবে কখনই কোনো টেক্সট দেখা বা বেশি সময় ধরে পড়ার সময় অন করবেন না ডার্ক মোড। Stay updated with the latest news headlines and all the latest Technology news download Indian Express Bengali App. Web Title: Whatsapp dark theme is finally here for android beta heres how to enable
|
কী ভাবে অন করবেন ডার্ক মোড? চ্যাটে প্রবেশ করে, সেখানের সেটিংস মেনুতে গিয়ে ডিসপ্লের একটি সাব সেকশন পাবেন সেখানে পাবেন থিম অপশন যার মধ্যে রয়েছে সিস্টেম ডিফল্ট, লাইট ও ডার্ক মোড তবে এখনও বিটা ভার্সনেই পরীক্ষামূলকভাবে রয়েছে এই মোড প্রয়োজনে আপডেট করে নিন আপনার ফোনে থাকা অ্যাপটি আরও পড়ুন:ভারতীয়রা এবার যাবে চাঁদে! কী বললেন ইসরো চেয়ারম্যান কী এই ডার্ক মোড? কীভাবে কাজ করবে? রোজকার যেভাবে হোয়াটসঅ্যাপ দেখেন সেই আলোময় হোয়াটসঅ্যাপে আসবে ‘আঁধারের’ ছোঁয়া এই ডার্ক মোড ব্যবহার করলে বাঁচবে ফোনের ব্যাটারি
|
সুখবর! নতুন ফিচারে বদল আসছে হোয়াটসঅ্যাপে
|
রোমাঞ্চকর ফিচারে সেজে উঠছে হোয়াটসঅ্যাপের অন্দরমহল
|
সামান্য জ্বর-সর্দিতেই মুড়ি-মুড়কির মতো অ্যান্টিবায়োটিক নয়, সতর্ক করল কেন্দ্র
|
সম্পাদক সমীপেষু: অনুদান ও ঋণ
|
editorial
|
অগ্নিরূপ সরকারের ‘ঋণ কি কখনও অনুদান হয়’ (২০-৭) প্রসঙ্গে কিছু আরও তথ্য সংযোজন করতে চাই। সরকার কেন্দ্রের হোক বা রাজ্যের, ঋণের প্রসঙ্গে দুই পক্ষই সমান। রাজনীতির ময়দানে জনতাকে নিজের দিকে টানতে এর চেয়ে ভাল বিকল্প কোথাও নেই। দেশ স্বাধীন হওয়ার সময়ে ব্যাঙ্ক ছিল বেসরকারি মালিকানাধীন, ফলে ব্যাঙ্কের আমানত প্রায় সবটাই চলে যেত বড় শিল্পপতিদের হাতে। ইন্দিরা গাঁধীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার ১৯ জুলাই ১৯৬৯, চোদ্দোটি ব্যাঙ্কের জাতীয়করণ করে, যেগুলি দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ আমানত নিয়ন্ত্রণ করত। ১৯৮০ সালে আরও ছ’টি ব্যাঙ্কের জাতীয়করণ হয়। ব্যাঙ্ক জাতীয়করণের ফলে দেশের বহুসংখ্যক মানুষের আমানত সুরক্ষিত হয়েছিল। কারণ, মাঝেমধ্যেই সেই সব ব্যাঙ্কে তালা পড়ত, সঞ্চিত টাকা খুইয়ে পথে বসতেন গ্রাহকরা। ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় সামাজিক নিয়ন্ত্রণ থেকে জাতীয়করণের এটাও ছিল একটা বিবর্তনের পথ। ব্যাঙ্কের আমানত থেকে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ক্ষেত্রে ঋণের জোগান দিতে সেই ১৯৮০ সালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী জনার্দন পূজারি দেশে চালু করলেন ‘লোন মেলা’। কংগ্রেস-শাসিত রাজ্যগুলির চাষিদের এই মেলা দেখার সৌভাগ্য হল। সেই সঙ্গে সূত্রপাত হল আরও একটি প্রবণতার— সরকারি ব্যাঙ্কের টাকা শোধ না করার। শোনা যায় যে, চাষিদের কংগ্রেসিরাই বলে দিয়েছিলেন, ব্যাঙ্কের টাকা শোধ করার দরকার নেই। পরে ব্যাঙ্কের কর্তারা বেঁকে দাঁড়ালে সরকারের পক্ষ থেকে শুরু হল ঋণ মকুবের ঘোষণা। ব্যাঙ্ক তার দেওয়া যে সব ঋণের সুদ বা আসল আর ফিরে পাবে না, তার গালভরা নাম ‘নন পারফর্মিং অ্যাসেটস’ (এনপিএ)। বলতে দ্বিধা নেই যে, ২৮ জুন বর্তমান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন অতিমারিক্লিষ্ট দেশবাসীর সাহায্যার্থে যে একগুচ্ছ আর্থিক দাওয়াই হিসেবে ‘ক্রেডিট গ্যারান্টি প্রকল্প’ ঘোষণা করেছেন, সেটিও অচিরেই পূর্বতন সরকারের কর্মসূচির মতো ‘এনপিএ’-তে পরিণত হবে। অভিজিৎ রায় জামশেদপুর দক্ষ কর্মী কই? সুগত মারজিৎ ‘চিন পারে, আমরা পারি না’ (১৯-৭) প্রবন্ধে বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল দু’টি ধারা। আয় বৃদ্ধি এবং বৈষম্য দূরীকরণ, দারিদ্র ও অসম বণ্টন প্রক্রিয়া হ্রাস করা। সে জন্য এখানে প্রচুর বিনিয়োগ প্রয়োজন এবং স্বল্প দক্ষ কর্মীর জন্য শিল্প প্রয়োজন। দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে, কলকাতায় বসে বিশ্ববাজারে ব্যবসা করার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, ৩০-৫০ জন থেকে ১০০ জন কর্মী নিয়ে যাঁরা ব্যবসা চালান, এখানে তাঁদের প্রধান সমস্যা হল দক্ষ কর্মীর। শারীরিক শ্রম নয়, বুদ্ধিদীপ্ত শ্রমের জোগান কেবলমাত্র স্বল্প দক্ষ কর্মী দিয়ে হওয়ার নয়। বিশ্বমানের কাজ করতে হলে যেখানে দক্ষ কর্মীর অভাব থাকে, সেখানে বুদ্ধিমান অদক্ষকে দক্ষ হিসেবে তৈরি করে নিতে হয়, সে ক্ষেত্রে সংস্থাগুলির কাছে সময় ও অর্থ থাকতে হবে। কম পুঁজির সংস্থার পক্ষে তা প্রতিনিয়ত জোগান দেওয়া মুশকিল। বুদ্ধির দিক থেকে তুখোড় ছেলেমেয়েরা পাশ করে, কলকাতার বাইরে চলে যান কাজের জন্য। তাঁরা মনে করেন, যোগ্যতার পূর্ণ বিকাশ এখানে হবে না। সে জন্য বাঙালিরা ভারতের অন্য প্রদেশে বা দেশের বাইরে তথ্যপ্রযুক্তি-সহ নানা শিল্পে যথেষ্ট ভাল কাজ করেন। অথচ, কলকাতার ছোট ছোট সংস্থাগুলি ক্রমাগত যে অদক্ষ কর্মীদের দক্ষ হিসেবে তৈরি করে নিচ্ছে, বহুজাতিক সংস্থাগুলি তাদের অনেক গুণ বেশি মাইনে দিয়ে নিয়ে নিচ্ছে। ছোট-মাঝারি শিল্পগুলি টিকে থাকার এটি একটা বড় অন্তরায়। এই প্রজন্মের বাঙালি উচ্চশিক্ষিত ছেলেমেয়েদের ব্যবসার প্রতি উন্নাসিকতা নেই। নিজস্ব সংস্থা তৈরি করার প্রবল ইচ্ছা থাকলেও তাঁরা নতুন স্টার্ট-আপ শুরু করতে পারেন না, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মীর জোগান কম থাকার জন্য। স্বাস্থ্য পরিষেবার মতো অল্প কিছু ক্ষেত্রে অন্য রাজ্যের দক্ষ কর্মী (যেমন— কেরল, মণিপুরের নার্স) এখানে কাজ করতে আসছেন। আবার যেখানে কেবল কায়িক শ্রমের দরকার, সেই ক্ষেত্রগুলিতে বাঙালিরা বছরে বেশ কয়েকটা মাস রাজ্যের বাইরে চলে যাচ্ছেন। ঘরের ছেলেমেয়েদের ঘরে রাখতে হলে সরকারকে আরও ভাবনাচিন্তা করতে হবে। মানুষ সুবিধা পেলে দূরে যাবেন কেন? বাংলার সন্তানরা কর্মসূত্রে বাংলায় না থাকলে দক্ষ কর্মীর অভাব যাওয়ার নয়। দক্ষ কর্মী নেই বলে ব্যবসা শুরু হচ্ছে না। আবার ব্যবসা শুরু হচ্ছে না বলে দক্ষ কর্মী নেই, এই চক্রটা না ভাঙলে সুদিন ফিরবে না। চম্পা খাতুন কলকাতা-৯৯ ব্রাত্য বৃদ্ধেরা ‘অন্তরায়’ (১৭-৭) সম্পাদকীয়ের বক্তব্যের সঙ্গে আমি সহমত। নিজ পরিবার, না কি বৃদ্ধাশ্রম— এই অনিশ্চয়তায় দুলতে থাকে অসহায় বৃদ্ধবৃদ্ধাদের নিয়তি। জীবনের প্রান্তবেলায় এঁদের প্রতি সার্বিক অনাদরের চিত্রটি প্রতিনিয়ত বেআব্রু হচ্ছে ঘর এবং বাইরেও। মাসকয়েক আগে এই নগ্ন সত্যটি উঠে এসেছিল ইনদওরে, যখন শহর পরিচ্ছন্ন রাখার অজুহাতে ফুটপাতবাসী প্রবীণদের গাড়িতে তুলে বাইরে পাঠানোর উদ্যোগ চলছিল পরিকল্পিত ভাবে (‘রাস্তায় ফেলা হল গৃহহীন বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের!’, ৩১-১)। প্রবীণ নাগরিকদের সঞ্চয়ে সুদের হার কমিয়ে দেওয়া, আধার সংযুক্তির নামে অযথা অপেক্ষা ও হয়রানি, গণপরিসরে পৃথক শৌচালয় না থাকা, জীবিত থেকেও সরকারি নথিতে মৃতব্যক্তির তকমা পেয়ে পুনরায় ‘বেঁচে আছি’ প্রমাণ দাখিলের ঝক্কি, অবহেলার এমন নানা করুণ উদাহরণ মাঝেমধ্যে উঠে আসে। সাংসারিক জীবনে কতটা হৃদয়হীন হলে পৌষ সংক্রান্তির পুণ্যস্নান শেষে বৃদ্ধ পিতামাতাকে একলা ফেলে চলে যাওয়া যায়, অথবা অশীতিপর ব্যক্তিকে কোভিড আতঙ্কে একা রেখে সরে যাওয়া যায় (‘করোনা সংক্রমিত বৃদ্ধা মা, বাড়ি ছাড়লেন ছেলেমেয়েরা’, ৮-৫) তা ভাবলে শিউরে উঠি। এক কালে বটবৃক্ষের মতো যাঁরা আগলে ছিলেন সন্তানদের, জীবনসায়াহ্নে তাঁদের প্রতি পরিবার ও রাষ্ট্র উভয়েরই অধিক যত্নবান হওয়ার দরকার আছে। সুপ্রতিম প্রামাণিক আমোদপুর, বীরভূম অন্তরের মিল ইদের উৎসব কিসের? মিলন বললেই কি বাস্তবে মিলন হয়? প্রতিবেশীর ধর্ম-সংস্কৃতিকে বুঝতে চাওয়া, বা তার প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধা প্রদর্শন যে মিলনের অন্যতম পূর্বশর্ত, তা আমরা যেন অস্বীকার করতে ভালবাসি! রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, “আমরা বহু শত বৎসর পাশে পাশে থাকিয়া, এক খেতের ফল, এক নদীর জল, এক সূর্যের আলোক ভোগ করিয়া আসিতেছি, আমরা এক ভাষায় কথা কই, আমরা একই সুখ-দুঃখে মানুষ, তবুও প্রতিবেশীর সঙ্গে প্রতিবেশীর যে সম্পর্ক মনুষ্যচিত, যাহা ধর্মবিহিত, তাহা আমাদের মধ্যে হয় নাই।” কবির খেদ কি আজও প্রাসঙ্গিক নয়? অন্য ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে আমরা অনায়াস সম্বন্ধ তৈরি করতে পারিনি! চাই আত্মসমীক্ষা। মিলনের বার্তা কেন সীমাবদ্ধ থাকবে নেতাদের রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতায়! ওই ভোট-ভিক্ষুকরাই জাত, ধর্ম-সংস্কৃতি, আবেগ নিয়ে খেলায় মেতে উঠতে পারে! পবিত্র ইদ উপলক্ষে সকলে সচেতন ও দায়বদ্ধ হওয়ার ব্রত নিলে তবেই সকলে হয়ে উঠতে পারি যথার্থ মানবপ্রেমিক! কাজি মাসুম আখতার কলকাতা-১০৭
|
পরে ব্যাঙ্কের কর্তারা বেঁকে দাঁড়ালে সরকারের পক্ষ থেকে শুরু হল ঋণ মকুবের ঘোষণা ব্যাঙ্ক তার দেওয়া যে সব ঋণের সুদ বা আসল আর ফিরে পাবে না, তার গালভরা নাম ‘নন পারফর্মিং অ্যাসেটস’ (এনপিএ) বলতে দ্বিধা নেই যে, ২৮ জুন বর্তমান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন অতিমারিক্লিষ্ট দেশবাসীর সাহায্যার্থে যে একগুচ্ছ আর্থিক দাওয়াই হিসেবে ‘ক্রেডিট গ্যারান্টি প্রকল্প’ ঘোষণা করেছেন, সেটিও অচিরেই পূর্বতন সরকারের কর্মসূচির মতো ‘এনপিএ’-তে পরিণত হবে অভিজিৎ রায় জামশেদপুর দক্ষ কর্মী কই? সুগত মারজিৎ ‘চিন পারে, আমরা পারি না’ (১৯-৭) প্রবন্ধে বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল দু’টি ধারা আয় বৃদ্ধি এবং বৈষম্য দূরীকরণ, দারিদ্র ও অসম বণ্টন প্রক্রিয়া হ্রাস করা সে জন্য এখানে প্রচুর বিনিয়োগ প্রয়োজন এবং স্বল্প দক্ষ কর্মীর জন্য শিল্প প্রয়োজন দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে, কলকাতায় বসে বিশ্ববাজারে ব্যবসা করার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, ৩০-৫০ জন থেকে ১০০ জন কর্মী নিয়ে যাঁরা ব্যবসা চালান, এখানে তাঁদের প্রধান সমস্যা হল দক্ষ কর্মীর শারীরিক শ্রম নয়, বুদ্ধিদীপ্ত শ্রমের জোগান কেবলমাত্র স্বল্প দক্ষ কর্মী দিয়ে হওয়ার নয় বিশ্বমানের কাজ করতে হলে যেখানে দক্ষ কর্মীর অভাব থাকে, সেখানে বুদ্ধিমান অদক্ষকে দক্ষ হিসেবে তৈরি করে নিতে হয়, সে ক্ষেত্রে সংস্থাগুলির কাছে সময় ও অর্থ থাকতে হবে কম পুঁজির সংস্থার পক্ষে তা প্রতিনিয়ত জোগান দেওয়া মুশকিল বুদ্ধির দিক থেকে তুখোড় ছেলেমেয়েরা পাশ করে, কলকাতার বাইরে চলে যান কাজের জন্য তাঁরা মনে করেন, যোগ্যতার পূর্ণ বিকাশ এখানে হবে না সে জন্য বাঙালিরা ভারতের অন্য প্রদেশে বা দেশের বাইরে তথ্যপ্রযুক্তি-সহ নানা শিল্পে যথেষ্ট ভাল কাজ করেন অথচ, কলকাতার ছোট ছোট সংস্থাগুলি ক্রমাগত যে অদক্ষ কর্মীদের দক্ষ হিসেবে তৈরি করে নিচ্ছে, বহুজাতিক সংস্থাগুলি তাদের অনেক গুণ বেশি মাইনে দিয়ে নিয়ে নিচ্ছে ছোট-মাঝারি শিল্পগুলি টিকে থাকার এটি একটা বড় অন্তরায় এই প্রজন্মের বাঙালি উচ্চশিক্ষিত ছেলেমেয়েদের ব্যবসার প্রতি উন্নাসিকতা নেই
|
সম্পাদক সমীপেষু: অমূল্য উপহার
|
সম্পাদক সমীপেষু: ঋণ দিতে অনিচ্ছা
|
টিপ পরতে ভালবাসেন? মুখের আকৃতি অনুযায়ী জেনে নিন কোন ধরনের টিপ সাজ সম্পূর্ণ করতে পারে?
|
‘দলের তরুণ প্রজন্ম আমার সঙ্গে আছেন’, ‘প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের’ আগে আত্মবিশ্বাসী শশী থারুর
|
politics
|
জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি পদের লড়াইয়ে জেতার ব্যপারে আশাবাদী ‘প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী’ শশী থারুর। শনিবার তিনি দাবি করেন, দলের সম্পদ তরুণ নেতা-কর্মীরা তার সঙ্গে আছেন। একই সঙ্গে তিনি আরও দাবি করেন দলের নিচু তলার কর্মী সমর্থকের বিপুল সমর্থন পেয়ে তিনি অভিভূত। একই সঙ্গে তিনি বলেন, দলের সিনিয়ার নেতারা সভাপতি পদের এই নির্বচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী মল্লিকার্জুন খাড়গে’কেই সমর্থন করছেন। শনিবার এক ভাষণে তিনি বলেন, “আমি তরুণ ভোটারদের সমর্থন পাচ্ছি। আমি নিচু স্তর থেকে ভাল প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। দলের সিনিয়ররা নেতারা খাড়গে’কেই সমর্থন করছেন। আমরা পরিবর্তনের পক্ষে কথা বলেছি,”। দলের অনেক নেতাকর্মী তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর হয়ে প্রকাশ্যেই প্রচার চালাচ্ছেন বলে স্বীকার করে তিনি উল্লেখ করেন, “গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন হবে এবং একজন সিনিয়র নেতা ও নিম্ন পদের সদস্যের ভোটের ওজন একই”। তিরুঅনন্তপুরম সাংসদ বলেছেন, “গান্ধী পরিবার থেকে নিজেকে দূরে রেখে যে কোন কংগ্রেস সভাপতির পক্ষে কাজ করা বোকামি।” পাশাপাশি তিনি বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে দলে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং নেতৃত্বে তরুণ মুখ সামনে আনাই তাঁর লক্ষ্য। থারুর আরও অভিযোগ করেন “এর আগে অনেক নীচু তলার কর্মী দল ছেড়েছেন । আমি নির্বাচিত হলে দলে কেউই উপেক্ষিত থাকবেন না”। তিরুবনন্তপুরম সাংসদ প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের বিরুদ্ধে আগামী ১৭ ই অক্টোবর দলের সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি৷ নির্বাচনের ফল আগামী ১৯শে অক্টোবর ঘোষণা করা হবে৷ অন্যদিকে ‘কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট’ পদে লড়াইয়ের ময়দানে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি এর আগে এক ভাষণে বলেন, তিনি নির্বাচনে জয়ী হলে, তিনি দলের ৫০ শতাংশ পদে ৫০ বছরের কম বয়সীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। খাড়গে ছাড়াও তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুরও কংগ্রেসের প্রসিডেন্ট পদের নির্বাচনে পদপ্রার্থী। দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর মধ্যে সভাপতির কুর্সি কার মাথায় উঠবে সেদিকেই নজর এখন সকলের। আরও পড়ুন: [ ‘কালাজাদু বলি’ মামলায় সক্রিয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, একমাসের মধ্যে জবাবদিহির নির্দেশ ] খাড়গে তার ভাষণে বলেন, “যদি আমি সুযোগ পাই, আমি উদয়পুর ঘোষণায় যা প্রস্তাব করা হয়েছে তা সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করব”। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, “আমরা দলে একে অপরের সঙ্গে লড়াই করতে আসিনি। আমাদের লড়াই মোদী-শাহের বিরুদ্ধে”। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা বলেন, “দলে ৫০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে শুধুমাত্র ৫০ বছরের কম বয়সী, মহিলা, এসসি, এসটি এবং ওবিসি-দের জন্য”। পাশাপাশি বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধির মত একাধিক ইস্যুতে তিনি বিজেপির তীব্র সমালোচনাও করেন। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা বলেন, “আমরা বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি পেট্রোল, ডিজেলের দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নেমেছি। আমাদের লড়াই দুধ, গম, ঘি-এর উপর জিএসটি- চাপানোর বিরুদ্ধে। আমাদের লড়াই মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার পতনের বিরুদ্ধে। আমরা দলের মধ্যে একে অপরের সঙ্গে লড়াই করতে আসিনি। আমাদের লড়াই মোদী-শাহের বিরুদ্ধে”। রাজ্যসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা খাড়গে আরও বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম রাহুল গান্ধী আবার কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। আমি কখনই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ভাবিনি। সিনিয়র নেতারা এবং দলের অন্যান্য সদস্যরা আমাকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলেছিলেন, এবং সেই কারণেই আমার এই সিদ্ধান্ত। এই নির্বাচন দলের মধ্যেই। এটি আমাদের দলকে শক্তিশালী করতে এবং ২০২৪ এ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইকে আরও জোরদার করতে সাহায্য করবে”। Stay updated with the latest news headlines and all the latest Politics news download Indian Express Bengali App. Web Title: Congress youngsters with me seniors backing mallikarjun kharge shashi tharoor
|
দলের সিনিয়ররা নেতারা খাড়গে’কেই সমর্থন করছেন আমরা পরিবর্তনের পক্ষে কথা বলেছি,” দলের অনেক নেতাকর্মী তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর হয়ে প্রকাশ্যেই প্রচার চালাচ্ছেন বলে স্বীকার করে তিনি উল্লেখ করেন, “গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন হবে এবং একজন সিনিয়র নেতা ও নিম্ন পদের সদস্যের ভোটের ওজন একই” তিরুঅনন্তপুরম সাংসদ বলেছেন, “গান্ধী পরিবার থেকে নিজেকে দূরে রেখে যে কোন কংগ্রেস সভাপতির পক্ষে কাজ করা বোকামি” পাশাপাশি তিনি বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে দলে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং নেতৃত্বে তরুণ মুখ সামনে আনাই তাঁর লক্ষ্য থারুর আরও অভিযোগ করেন “এর আগে অনেক নীচু তলার কর্মী দল ছেড়েছেন আমি নির্বাচিত হলে দলে কেউই উপেক্ষিত থাকবেন না” তিরুবনন্তপুরম সাংসদ প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের বিরুদ্ধে আগামী ১৭ ই অক্টোবর দলের সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি৷ নির্বাচনের ফল আগামী ১৯শে অক্টোবর ঘোষণা করা হবে৷ অন্যদিকে ‘কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট’ পদে লড়াইয়ের ময়দানে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে তিনি এর আগে এক ভাষণে বলেন, তিনি নির্বাচনে জয়ী হলে, তিনি দলের ৫০ শতাংশ পদে ৫০ বছরের কম বয়সীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে খাড়গে ছাড়াও তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুরও কংগ্রেসের প্রসিডেন্ট পদের নির্বাচনে পদপ্রার্থী দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর মধ্যে সভাপতির কুর্সি কার মাথায় উঠবে সেদিকেই নজর এখন সকলের
|
‘আমি পারব, আস্থা রাখুন’ প্রত্যয় সুস্থ মনোরোগীর
|
প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
|
পুত্রসন্তানের বাবা হলেন যশপ্রীত বুমরা, কী নাম রাখলেন ছেলের?
|
‘বিয়ে বলতে কী বোঝো?’ উত্তর লিখে পরীক্ষার খাতায় দশে শূন্য পেল ছাত্র, কী এমন লিখেছিল সে?
|
lifestyle
|
সমাজবিজ্ঞানের পরীক্ষায় প্রশ্ন এসেছিল, ‘বিয়ের সংজ্ঞা কী?’ প্রশ্নমান ছিল ১০। সেই প্রশ্নের উত্তর লিখে শূন্য পেয়েছে এক ছাত্র। তবে তার পরীক্ষার খাতাটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। কারণ অনেকেরই মনে হয়েছে, ওই কিশোর যে উত্তরটি লিখেছে, তা শিক্ষকদের চোখে পরীক্ষার উত্তর হিসাবে মনে না হলেও, এটাই বাস্তব। পরীক্ষার যে খাতাটি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে, তাতে লেখা রয়েছে, ‘‘বিয়ে তখনই হয়, যখন একটি মেয়ের বাবা-মা তাঁকে বলেন, এ বার তুমি বড় হয়ে গিয়েছ। আমরা আর তোমাকে খাওয়াতে পারব না। এক জন জীবনসঙ্গী খুঁজে নাও। যিনি তোমার ভরণপোষণের দায়িত্ব নেবেন। তখন সেই মেয়েটি এক জন সঙ্গী খোঁজেন, যাঁকে তাঁর বাড়ি থেকে বলা হয়, এ বার তুমি বড় হয়েছ। নিজের সংসার গড়ে নাও। স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে সুখে থাকো। তার পর তাঁরা দু’জন বিয়ে করেন। তাঁদের সন্তান হয়। বাকি জীবনটা এ ভাবেই কাটিয়ে দেন।’’ পরীক্ষায় খাতায় এমন উত্তর পেয়ে শিক্ষকও প্রথমে ঘাবড়ে যান। লাল কালি দিয়ে খাতাটির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কেটে শূন্য বসিয়ে দেন। সঙ্গে লিখে দেন ‘ননসেন্স’। পরীক্ষার খাতাটি ভাইরাল হতেই অনেকে তাঁদের মতামত জানিয়েছেন।
ছবি: সংগৃহীত পরীক্ষার খাতাটি ভাইরাল হতেই অনেকে তাঁদের মতামত জানিয়েছেন। বেশির ভাগের মত, ওই কিশোর হয়তো বইয়ে যা আছে, তা হুবহু লেখেনি। তবে ভুলও কিছু লেখেনি। সে হয়তো এমনটাই দেখেছে। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ধার করে লিখেছে। বিয়ের গূঢ় অর্থ তো এই বয়সে জানার কথা নয়। নিজের পরিবারে, চারপাশে যা দেখেছে সেটাই হয়তো নিজের মতো করে লিখেছে। অপ্রাসঙ্গিক কিছু লেখেনি। এমন তো হয়েই থাকে। অবাস্তব কিছু নয়। দশে অন্তত আট তার প্রাপ্য ছিল।
|
ছবি: সংগৃহীত পরীক্ষার খাতাটি ভাইরাল হতেই অনেকে তাঁদের মতামত জানিয়েছেন বেশির ভাগের মত, ওই কিশোর হয়তো বইয়ে যা আছে, তা হুবহু লেখেনি তবে ভুলও কিছু লেখেনি সে হয়তো এমনটাই দেখেছে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ধার করে লিখেছে বিয়ের গূঢ় অর্থ তো এই বয়সে জানার কথা নয় নিজের পরিবারে, চারপাশে যা দেখেছে সেটাই হয়তো নিজের মতো করে লিখেছে অপ্রাসঙ্গিক কিছু লেখেনি এমন তো হয়েই থাকে অবাস্তব কিছু নয়
|
টিউশন ফি দিতে পারেননি ছাত্রী, বিয়ে করতে বাধ্য করলেন শিক্ষক
|
পুজোর মিছিলের দিনে বিপরীত পরীক্ষা-চিত্র উত্তর ও দক্ষিণের স্কুলে
|
সৌদির কারখানায় আগুন, ৭ বাংলাদেশির মৃত্যু
|
ঢাকার সঙ্গে বৈঠকে বসেছে যুক্তরাষ্ট্র
|
international
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :দেশের সবকটি রাজনৈতিক দলের অংশসহ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে যেকোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলে বাংলাদেশের জন্য ভিসা নীতি আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সে সরকারি দল হোক, বিরোধী রাজনৈতিক দল হোক বা কোন প্রতিষ্ঠান-সংস্থাই হোক না তারাই যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির আওতায় পড়ছে। এরআগে বিনাবিচারে নির্যাতন-ক্রসফায়ারের অভিযোগ এনে বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র্যাব) ওপর যুক্তরাষ্ট্র এই ভিসানীতি আরোপ করেছে। সংলাপে নিরাপত্তা ইস্যুসহ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়াও কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, সংলাপে নিরাপত্তা ইস্যুর বাইরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দণ্ডপ্রাপ্ত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরতের বিষয়টি ঢাকা তুলে ধরে। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের কারণে আঞ্চলিক হুমকিসহ বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান নিয়েও আলোচনা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সায় দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও রাষ্ট্রসংঘও বাংলাদেশকে অবাধ নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন। এতোকিছুর মাঝেও যুক্তরাষ্ট্র ফের বাংলাদেশের সঙ্গে রাজধানী ঢাকায় নবম নিরাপত্তা সংলাপে বসেছে। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস আকাডেমিতে এ সংলাপ বসে। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির রাজনৈতিক ও সামরিক বিষয়ক ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি মিরা রেজনিক। অপরদিকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিদেশ মন্ত্রকের উত্তর আমেরিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম। বৈঠকে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি আঞ্চলিক সমস্যা, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার, সামরিক সহযোগিতা, নিরাপত্তা সহায়তা এবং সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। বেসামরিক নিরাপত্তা, মানবাধিকার, প্রতিরক্ষা, সন্ত্রাসবাদ দমন ও শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সহায়তার পাশাপাশি অবাধ, উন্মুক্ত ও নিরাপদ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্রতিষ্ঠা নিয়ে দুই দেশের বেসামরিক পর্যায়ের আধিকারীকদের মধ্যে আলোচনাও। বিকাল ৩টা পর্যন্ত এই বৈঠক চলে। দুই দেশের মধ্যে প্রতিবছর এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। অষ্টম সংলাপ ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হওয়ার পর এবার ঢাকায় হোল। নিরাপত্তা সংলাপের বিষয়ে বেসামরিক আধিকারীকদের নেতৃত্বে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ //
|
পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের কারণে আঞ্চলিক হুমকিসহ বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান নিয়েও আলোচনা হয় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সায় দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও রাষ্ট্রসংঘও বাংলাদেশকে অবাধ নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন এতোকিছুর মাঝেও যুক্তরাষ্ট্র ফের বাংলাদেশের সঙ্গে রাজধানী ঢাকায় নবম নিরাপত্তা সংলাপে বসেছে মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস আকাডেমিতে এ সংলাপ বসে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির রাজনৈতিক ও সামরিক বিষয়ক ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি মিরা রেজনিক অপরদিকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিদেশ মন্ত্রকের উত্তর আমেরিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম
|
দিল্লিতে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা
|
ঘরছাড়াদের ফেরাতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি
|
নাইট দ্বৈরথে কারেনই অস্ত্র প্রীতির দলের
|
ফুটবলের পর ক্রিকেটেও অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলার নারীরা
|
sports
|
স্পোর্টস ডেস্ক: সদ্যই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সদস্যরা। সপ্তাহ না পেরোতেই এবার ক্রিকেটেও অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করলো বাংলার নারীরা। আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ফাইনালে আয়ারল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নিলো নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। টাইগ্রেসদের ৭ রানের জয় পাওয়ার কিছুক্ষণ পূর্বে টাইগাররাও আরব আমিরাতকে হারিয়েছিল একই ব্যবধানে। আবুধাবিতে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ফাইনালে বাংলাদেশ আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে তোলে ১২০ রান। জবাবে ৯ উইকেটে ১১৩ রান তুলে থামে আইরিশরা। এদিন টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক জ্যোতি। যদিও টাইগ্রেস ওপেনার ফারজানা হক পিঙ্কি ও রুমানা আহমেদ ছাড়া অন্য কোনো ব্যাটারই অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে পারেননি। ৭ ব্যাটসম্যান সিঙেল ডিজিটে আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন। তবে ফারজানা একপ্রান্ত আগলে রেখে ৫৫ বলে ৭টি চারে ৬১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস উপহার দেন। ফারজানা ছাড়া চারে নামা রুমানার ব্যাট থেকে আসে ২১ রান। এই দুই ব্যাটার তৃতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৪৯ রান। আইরিশ নারীদের পক্ষে লরা ডিলানি ২৭ রানে ৩টি এবং কারা মুরে ও আরলেনে কেলি ২টি করে উইকেট শিকার করেন। আইরিশ নারীরা লক্ষ্য তাড়া করতে নামলে তাদের ম্যাচে একবারও সেট হতে দেয়নি বাংলাদেশের বোলাররা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নেওয়া টাইগ্রেসরা পঞ্চাশ রানের আগে আইরিশদের ছয় ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নে ফেরায়। ম্যাচ সেখানেই হেরে যায় আইরিশরা। যদিও শেষদিকে দলটির পক্ষে কেলি ২৮, ম্যারি ওয়ালড্রোন ১৯ এবং মুরে ১৩ রান করলে শেষ ওভার পর্যন্ত ম্যাচ টেনে আনতে সক্ষম হয় আইরিশরা। তবে সালমার করা শেষ ওভার থেকে মাত্র ৬ রান তুলে থামতে হয় দলটিকে। ফলে ৭ রানের হার দেখে রানার্স আপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলো আইরিশ নারীদের। বাংলাদেশ এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের শিরোপা নিজেদের করে নিলো। এর আগে ২০১৯ এবং ২০১৮ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের শিরোপাও জিতেছিল টাইগ্রেসরা। ২০১৫ সালে অন্যবার বাছাইপর্বে রানার্স আপ হয়ে থেমেছিল বাংলার নারীরা। এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ //
|
আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ফাইনালে আয়ারল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নিলো নিগার সুলতানা জ্যোতির দল টাইগ্রেসদের ৭ রানের জয় পাওয়ার কিছুক্ষণ পূর্বে টাইগাররাও আরব আমিরাতকে হারিয়েছিল একই ব্যবধানে আবুধাবিতে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ফাইনালে বাংলাদেশ আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে তোলে ১২০ রান জবাবে ৯ উইকেটে ১১৩ রান তুলে থামে আইরিশরা এদিন টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক জ্যোতি যদিও টাইগ্রেস ওপেনার ফারজানা হক পিঙ্কি ও রুমানা আহমেদ ছাড়া অন্য কোনো ব্যাটারই অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে পারেননি ৭ ব্যাটসম্যান সিঙেল ডিজিটে আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন তবে ফারজানা একপ্রান্ত আগলে রেখে ৫৫ বলে ৭টি চারে ৬১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস উপহার দেন
|
এশীয়-মঞ্চে সেরা বাংলার মেয়ে, ভাঙল প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের নজির
|
অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
|
বিক্ষিপ্ত বিভাজনের গরম হাওয়া সাময়িক, উত্তরের ছন্দ একাত্মতারই
|
জবাফুলের গুণেই পুজোর আগে চুলে ফিরবে জেল্লা, কী ভাবে ব্যবহার করবেন, জেনে নিন
|
lifestyle
|
চুল ঝরা, চুল পাতলা হয়ে যাওয়া,
অমসৃণ চুল— চুল নিয়ে নানাবিধ সমস্যায়
নাজেহাল অনেকেই। চুলের নানা সমস্যা থেকে দূরে থাকতে অনেকেই বাজারচলতি নানা
প্রসাধনী ব্যবহার করেন। তাতে সাময়িক সুফল হয়তো পাওয়া যায়। কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী কোনও
লাভ হয় না। প্রসাধনী ব্যবহার করা বন্ধ করে দিলে আবার সেই আগের সমস্যা ঘুরে ফিরে
আসে। পুজোর আগে শুধু তো ত্বক নয়, যত্ন নিতে হবে চুলেরও। তার জন্য ভরসা রাখতে পারেন
জবাফুলের উপর। জবাফুলের গুণেই চুলে আসবে জেল্লা। কেশচর্চায় কী ভাবে ব্যবহার করবেন
জবাফুল? চুল লম্বা করতে লম্বা চুলের স্বপ্নপূরণ করতে নানা
প্রসাধনী ব্যবহার করেও ব্যর্থ হয়েছেন? তা হলে ভরসা রাখতে পারেন জবাফুলের মাস্কের
উপর। জবাফুল শুকিয়ে গুঁড়ো করে পাউডারের মতো করে নিন। তার পর সেই পাউডার নারকেল
তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলে মাখতে পারেন। চুল বড় করতে এই টোটকার জুড়ি মেলা ভার। খুশকির সমস্যায় শীত, বর্ষায় তো বটেই, সারা বছরই
খুশকির সমস্যায় অস্বস্তিতে থাকেন অনেকে। ঘরোয়া টোটকার ব্যবহারেও অনেক সময়ে খুশকি
দূর হতে চায় না। সে ক্ষেত্রে এক কাপ জবাফুলের চা বানিয়ে ঠান্ডা করে রাখুন।
শ্যাম্পু করার পর সেই চা দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। কয়েক দিনের ব্যবহারে খুশকি চলে যাবে। চুল ঝরা থামাতে চিরুনি চালালেই চুল ঝরছে। এমন
সমস্যা রয়েছে অনেকেরই। চুল যাতে মাটিতে নয়, মাথায় বেশি থাকে, তার জন্য জবাফুল হতে
পারে অন্যতম ভরসা। জবাফুলের পাপড়ি এবং অ্যালো ভেরা একসঙ্গে মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ
বানিয়ে নিন। মাথার ত্বকে সেই জেল লাগিয়ে ৩০ মিনিট মতো রেখে দিন। মাসখানেক ব্যবহার
করলে চুল ঝরবে কম। শুষ্ক চুলের জন্য প্রসাধনী ব্যবহার করেও অনেক সময়ে
চুল মসৃণ এবং জেল্লাদার হয় না। বরং চুলের নিজস্ব জেল্লা হারাতে শুরু করে। চুল
শুষ্ক হয়ে যায়। শুষ্ক চুলের দাওয়াই কিন্তু হতে পারে জবাফুলের পাপড়িগুলি ফুটিয়ে
একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। তার পর সেটি একটি স্প্রে বোতলে ভরে চুলে স্প্রে করুন
মাঝেমাঝে। চুলে আসবে দারুণ জেল্লা।
|
চুল বড় করতে এই টোটকার জুড়ি মেলা ভার খুশকির সমস্যায় শীত, বর্ষায় তো বটেই, সারা বছরই
খুশকির সমস্যায় অস্বস্তিতে থাকেন অনেকে ঘরোয়া টোটকার ব্যবহারেও অনেক সময়ে খুশকি
দূর হতে চায় না সে ক্ষেত্রে এক কাপ জবাফুলের চা বানিয়ে ঠান্ডা করে রাখুন
শ্যাম্পু করার পর সেই চা দিয়ে চুল ধুয়ে নিন কয়েক দিনের ব্যবহারে খুশকি চলে যাবে চুল ঝরা থামাতে চিরুনি চালালেই চুল ঝরছে এমন
সমস্যা রয়েছে অনেকেরই চুল যাতে মাটিতে নয়, মাথায় বেশি থাকে, তার জন্য জবাফুল হতে
পারে অন্যতম ভরসা জবাফুলের পাপড়ি এবং অ্যালো ভেরা একসঙ্গে মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ
বানিয়ে নিন
|
৫ কারণ: চুলের যাবতীয় সমস্যা দূর করতে জবা ফুল ব্যবহার করা উচিত
|
দেশে আসার আগেই ব্যবহার করতে পারবেন এই ফোন
|
যাত্রী হবে কি, পুজোয় রাতের বাস নিয়ে সংশয়
|
কৃষ্ণসাগরে রুশ নৌবহরে বিস্ফোরণ, প্রধান জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত
|
international
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার নৌবহরের এক ফ্ল্যাগশীপ জাহাজ আগুন এবং গোলাবারুদ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মিসাইলবাহী জাহাজ মস্কভার সব ক্রুকে জাহাজ থেকে নামিয়ে আনা হয়েছে, এবং আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে। এক বিবৃতিতে রাশিয়ার মন্ত্রণালয় বলছে, মস্কভায় আগুন ছড়িয়ে পড়লে জাহাজে রাখা গোলাবারুদ একের পর এক বিস্ফোরিত হয়। কীভাবে এই আগুন কেন লেগেছিল সে সম্পর্কে বিবৃতিতে কোন কারণ দেখানো হয়নি। তবে ইউক্রেনের ওডেসা অঞ্চলের গভর্নর বলছেন, ইউক্রেন বাহিনীর ছোঁড়া দুটি নেপচুন মিসাইল মস্কভার ওপর আঘাত হেনেছে। কৃষ্ণসাগরের এই নৌবহর থেকে রাশিয়া ইউক্রেনের বিভিন্ন জায়গায়, বিশেষভাবে মারিউপোলের ওপর, মিসাইল হামলা চালানো হয়। ফ্ল্যাগশীপ জাহাজ হচ্ছে কোন নৌবহরের নেতৃত্বদানকারী জাহাজ যেটি অধিনায়ক ব্যবহার করেন। নৌবহরের অন্যান্য জাহাজের তুলনায় ফ্ল্যাগশীপ জাহাজ সাধারণত খুবই দ্রুতগামী এবং শক্তিশালী হয়। ক্রুজার মস্কভা ২০০০ সাল থেকে কৃষ্ণ সাগরে রুশ নৌবহরের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল। রাশিয়া ম্যারিটাইম স্টাডিজ ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক মাইকেল পিটারসন বিবিসিকে জানান, ১২,৫০০-টন ওজনের জাহাজ মস্কভা রুশ নৌ-শক্তির অন্যতম প্রতীক। সিরিয়াসহ রাশিয়ার বহু সামরিক অভিযানে এই জাহাজটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। লক্ষণীয় ব্যাপার হলো এখন ইউক্রেনের ওপর হামলার কাজে এই জাহাজটি ব্যবহার করা হলেও ১৯৮০ দশকে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ইউক্রেনের এক ডক ইয়ার্ডে জাহাজটি নির্মাণ করা হয়। বিবিসির নিরাপত্তা বিষয়ক সংবাদদাতা ফ্র্যাংক গার্ডনার বলছেন, সামরিক এবং মনোবলের দিক থেকে এটা রাশিয়ার জন্য বড় আঘাত। মস্কভা জাহাজ নিয়ে আলোচনা ছিল ইউক্রেন যুদ্ধের গোড়ার দিকে। সে সময় একটি দ্বীপ স্নেক আইল্যান্ডে এই জাহাজ গিয়ে সেখানে মোতায়েন সব ইউক্রেনীয় সৈন্যকে আত্মসমর্পণ করার জন হুমকি দেয়। কিন্তু ঐ জাহাজ থেকে মিসাইল হামলার মুখে ইউক্রেনের সৈন্যরা জবাব দেয়: জাহান্নামে যাও। ফ্র্যাংক গার্ডনার লিখছেন, এখন মস্কভায় এই ঘটনার পর অধিকতর নিরাপত্তার স্বার্থে রুশ জাহাজগুলিকে উপকূল থেকে আরও দূরে সরে যেতে হবে। ক্ষমতাধর জাহাজ মস্কভার এই পরিণতিকে এক উপযুক্ত বিচার বলে বিবেচনা করা যায়। সূত্র: বিবিসি এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ//
|
নৌবহরের অন্যান্য জাহাজের তুলনায় ফ্ল্যাগশীপ জাহাজ সাধারণত খুবই দ্রুতগামী এবং শক্তিশালী হয় ক্রুজার মস্কভা ২০০০ সাল থেকে কৃষ্ণ সাগরে রুশ নৌবহরের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল রাশিয়া ম্যারিটাইম স্টাডিজ ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক মাইকেল পিটারসন বিবিসিকে জানান, ১২,৫০০-টন ওজনের জাহাজ মস্কভা রুশ নৌ-শক্তির অন্যতম প্রতীক সিরিয়াসহ রাশিয়ার বহু সামরিক অভিযানে এই জাহাজটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে লক্ষণীয় ব্যাপার হলো এখন ইউক্রেনের ওপর হামলার কাজে এই জাহাজটি ব্যবহার করা হলেও ১৯৮০ দশকে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ইউক্রেনের এক ডক ইয়ার্ডে জাহাজটি নির্মাণ করা হয় বিবিসির নিরাপত্তা বিষয়ক সংবাদদাতা ফ্র্যাংক গার্ডনার বলছেন, সামরিক এবং মনোবলের দিক থেকে এটা রাশিয়ার জন্য বড় আঘাত
|
কৃষ্ণ সাগরে সামুদ্রিক ড্রোনের হামলায় রুশ যুদ্ধজাহাজ বিধ্বস্ত
|
দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘুদের ক্ষতিপূরণ দেবে পাকিস্তান সরকার
|
নিজের চিত্রনাট্যে নাটক মুখ্যমন্ত্রীর, প্রতিক্রিয়া সুজন চক্রবর্তীর
|
Bengal Budget: মার্চ থেকে ৩ শতাংশ ডিএ বাড়ল রাজ্য সরকারি কর্মীদের, কর্মসংস্থানের বাজেট বলে ঘোষণা চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের
|
state
|
আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর। আগামী মার্চ মাস থেকেই ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে সরকারি কর্মীদের ডিএ। ৩ শতাংশ করে বৃদ্ধি পাচ্ছে পেনশনভোগীদের ডিএ। বিধানসভায় বাজেট চলাকালীন এই ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আগে ছিল তিন শতাংশ এবারের বাজেটে বাড়ল আরও তিন শতাংশ। অর্থাৎ মোট ছয় শতাংশ হারে ডিএ পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। বাজেট চলাকালীন এই ঘোষণার পর হাততালিতে ফেটে পড়ে বিধানসভা। এদিনের বাজেটকে কর্মসংস্থানের বাজেট বলে ঘোষণা করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। একাধিক নয়া প্রকল্পের কথাও ঘোষণা করা হয়। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে মাসিক ভাতা ১০০০ টাকা করা হয়েছে। যারা বার্ধক্য ভাতা পান না তাদের সেই আওতায় আনা হয়েছে। পাশাপাশি ঘোষণা করা হয়েছে রাস্তাশ্রী প্রকল্পের। গ্রামের বিভিন্ন রাস্তা নির্মাণে এই প্রকল্পের কথা ভেবেছেন মুখ্যমন্ত্রী এমনটাই এদিন ঘোষণা করেন চন্দ্রিমা। যুবসমাজের কথা ভেবে ঘোষণা করা হয়েছে ভবিষ্যত ক্রেডিট কার্ডের। যেখানে ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী মানুষ ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন বিভিন্ন স্টার্ট আপের জন্য। এই খাতে ৩৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার। ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের জন্যও নতুন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। যার নাম “মৎস্যজীবী বন্ধু”। বয়সসীমার মধ্যে কোনো মৎস্যজীবীর মৃত্যু হলে তাদের পরিবারকে এককালীন ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। এদিন বাজেটে বলা হয় প্রায় ১ কোটি ৮৮ লক্ষ মানুষকে আনা হচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আওতায়। তাছাড়া দুয়ারে সরকার প্রকল্পে উপকৃত হয়েছেন ৯ কোটির বেশি মানুষ সেই কথাও বলা হয়। কোভিডের পর থেকে কেন্দ্রের থেকে বকেয়া টাকা না পাওয়া সত্ত্বেও যেভাবে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার তাও এদিন তুলে ধরেছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী।
|
অর্থাৎ মোট ছয় শতাংশ হারে ডিএ পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা বাজেট চলাকালীন এই ঘোষণার পর হাততালিতে ফেটে পড়ে বিধানসভা এদিনের বাজেটকে কর্মসংস্থানের বাজেট বলে ঘোষণা করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী একাধিক নয়া প্রকল্পের কথাও ঘোষণা করা হয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে মাসিক ভাতা ১০০০ টাকা করা হয়েছে যারা বার্ধক্য ভাতা পান না তাদের সেই আওতায় আনা হয়েছে পাশাপাশি ঘোষণা করা হয়েছে রাস্তাশ্রী প্রকল্পের গ্রামের বিভিন্ন রাস্তা নির্মাণে এই প্রকল্পের কথা ভেবেছেন মুখ্যমন্ত্রী এমনটাই এদিন ঘোষণা করেন চন্দ্রিমা
|
ডিএ বাড়ল ৩%, লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে বড় ঘোষণা! রাজ্য বাজেটে কী কী এল বাংলার মানুষের হাতে
|
সরকারি চাকরি ও কর্মী, দুই-ই ছেঁটেছেন মোদী
|
পরাভূত গণতন্ত্র
|
নিয়মিত কর্মসংস্থানের দাবিতে আন্দোলনে সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ার্সরা
|
state
|
৬০ বছর বয়স অবধি মাসে ৩০ দিন কাজের সুযোগ, প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ারদের সরকারি নিয়োগ সহ একগুচ্ছ দাবিতে পথে নামলেন সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ার্সরা। সোমবার এই দাবিগুলিকে সামনে রেখে ধর্মতলায় মিছিল করলেন তাঁর। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে ফিয়ার্স লেন অবধি মিছিল করেন তাঁরা। মিছিল শেষে সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের ডিরেক্টরকে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ার্সদের অভিযোগ, সিভিল ডিফেন্সের প্রশিক্ষণ নেওয়া থাকলেও সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়না। বহুক্ষেত্রেই শাসকদলের কর্মীদের অস্থায়ী পদে হলেও নিয়োগ করা হয়। কিন্তু প্রশিক্ষিত সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়াররা বঞ্চিত হন। নিয়মিত কাজের অভাবে ৩ বছর ধরে দুর্বিষহ জীবন কাটাতে হচ্ছে তাঁদের। কর্মসংস্থানের দাবিতে বহুবার আন্দোলন করলেও কোনও সুরাহা হয়নি। বরং প্রতিবারই পুলিশি জুলুম এবং অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছে তাঁদের। হাজতেও দিন কাটাতে হয়েছে। সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ার্সদের আরও অভিযোগ, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের মন্ত্রী জাভেদ খান, তাঁর পিএ, উত্তরকন্যা দপ্তরের সচিব, নবান্নে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সেক্রেটারি, রাজভবন, কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র ফিরহাদ হাকিম,দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু,শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, জলসেচ মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, উদয়ন গুহ,বুলুচিক বরাইক সহ রাজ্য প্রশাসনের প্রায় সমস্ত শীর্ষ মন্ত্রী কিংবা আধিকারিকের কাছে নিজেদের দাবি জানিয়েছেন সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ার্সরা। প্রতিক্ষেত্রেই শুকনো আশ্বাস ছাড়া মেলেনি কোনও সুরাহাই।
|
বহুক্ষেত্রেই শাসকদলের কর্মীদের অস্থায়ী পদে হলেও নিয়োগ করা হয় কিন্তু প্রশিক্ষিত সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়াররা বঞ্চিত হন নিয়মিত কাজের অভাবে ৩ বছর ধরে দুর্বিষহ জীবন কাটাতে হচ্ছে তাঁদের কর্মসংস্থানের দাবিতে বহুবার আন্দোলন করলেও কোনও সুরাহা হয়নি
|
৩০ দিন কাজের দাবিতে পথে সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়াররা
|
স্বাস্থ্য কর্মীদের আন্দোলন ঠেকাতে সেনা নামানোর চিন্তা ব্রিটেন সরকারের
|
বাবার ফোন, কথা বললেন না বাবর! কেন এরকম আচরণ পাকিস্তান অধিনায়কের?
|
রাতে ম্যাচ খেলে বাড়ি ফিরেও ক্লান্তি নেই, ভোররাতে কী করতে হল রোহিতকে?
|
sports
|
গত রবিবার শ্রীলঙ্কাকে দুরমুশ করে এশিয়া কাপ জিতেছে ভারত। পর দিন ভোররাতেই দেশে ফিরে আসেন বেশির ভাগ ক্রিকেটার। তার মধ্যে ছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মাও। তিনি যখন বাড়ি ফিরছেন তখনও দিনের আলো ফোটেনি। তার মধ্যেই সমর্থকদের আব্দার মেটালেন ভারতের অধিনায়ক। তাঁদের সঙ্গে দেদার ছবি তুললেন। রোহিতের আচরণ মন জয় করে নিয়েছে সমর্থকদের। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিয়োয় রোহিতদের বিলাসবহুল গাড়িতে চড়ে বাড়ি ফিরতে দেখা গিয়েছে। তিনি নিজেই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। রোহিতের সঙ্গে ছবি তোলার জন্যে অনেকে অপেক্ষা করছিলেন। প্রথমে একটু ইতস্তত করলেও পরে রোহিত গাড়ি থেকে নেমে সমর্থকদের আব্দার মেটান। রোহিতের সঙ্গে নিজস্বী তুলতে চলে আসেন দুই পুলিশকর্মীরও। তখনও রোহিতের মধ্যে কোনও ক্লান্তি নেই। সবার অনুরোধ মিটিয়ে বাড়ি ঢোকেন রোহিত। সে দিনের রাতেই অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়ের দল বেছে নেওয়া হয়। সেই বৈঠকে রোহিতও ছিলেন। দলে ফেরানো হয় রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে। অশ্বিনকে নিয়ে প্রশ্ন করায় রোহিত বলেন, “অশ্বিন একটানা টেস্ট খেলে চলেছে। ইদানীং ও মাঠে না নামলেও আমার কাছে চিন্তার কোনও কারণ নেই। ওর যা অভিজ্ঞতা রয়েছে তাতে এটুকু বলতে পারি, ওর শরীরের থেকে মাথাটা বেশি চলে। ওর সঙ্গে কথা হয়েছে। জেনে নিয়েছি ফিটনেসের দিক থেকে ও কোন জায়গায়। এমন নয় যে ও ক্রিকেটই খেলেনি অনেক দিন। এই ফরম্যাটে হয়তো অনেক দিন নামেনি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ়ে সুযোগ রয়েছে অশ্বিনকে আরও এক বার দেখে নেওয়ার।” অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম দু’টি ম্যাচে দ্বিতীয় সারির দল খেলিয়ে রোহিতরা দেখে নিতে চাইছেন বাকিরা কতটা তৈরি। অধিনায়কের কথায়, “আমরা সবাইকে ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দিতে চাই যাতে ওরা তৈরি থাকতে পারে। তৈরি থাকাই যে কোনও ক্রীড়াবিদের আসল কাজ। জীবনে যে কোনও সময় সুযোগ চলে আসতে পারে। তা ছাড়া, আমাদের রিজার্ভ বেঞ্চ কতটা শক্তিশালী সেটাও বুঝে নেওয়া দরকার। যখনই কাউকে সুযোগ দেওয়ার সময় আসে, আমরা সেটা দিই।” এশিয়া কাপ জয় যে তাঁদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে এটা মেনে নিয়েছেন রোহিত। কিন্তু একটা ট্রফি জিতেই থেমে থাকতে চান না তাঁরা। রোহিত বলেন, “নিরপেক্ষ থাকাই ঠিক বলে মনে করি। ভাল পারফরম্যান্স ক্রিকেটারদের মানসিক ভাবে ভাল জায়গায় রাখে। আমরাও ভাল খেলতেই চাই। কিন্তু একটা ট্রফিতে সন্তুষ্ট থাকলে চলবে না। আর একটা প্রতিযোগিতা আসছে। তাই বেশি উৎসাহ দেখাচ্ছি না। বিশ্বকাপে দলে ভারসাম্য রাখা দরকারি। আমার নজর থাকবে সে দিকেই।”
|
এই ফরম্যাটে হয়তো অনেক দিন নামেনি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ়ে সুযোগ রয়েছে অশ্বিনকে আরও এক বার দেখে নেওয়ার” অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম দু’টি ম্যাচে দ্বিতীয় সারির দল খেলিয়ে রোহিতরা দেখে নিতে চাইছেন বাকিরা কতটা তৈরি অধিনায়কের কথায়, “আমরা সবাইকে ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দিতে চাই যাতে ওরা তৈরি থাকতে পারে তৈরি থাকাই যে কোনও ক্রীড়াবিদের আসল কাজ জীবনে যে কোনও সময় সুযোগ চলে আসতে পারে তা ছাড়া, আমাদের রিজার্ভ বেঞ্চ কতটা শক্তিশালী সেটাও বুঝে নেওয়া দরকার যখনই কাউকে সুযোগ দেওয়ার সময় আসে, আমরা সেটা দিই” এশিয়া কাপ জয় যে তাঁদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে এটা মেনে নিয়েছেন রোহিত কিন্তু একটা ট্রফি জিতেই থেমে থাকতে চান না তাঁরা রোহিত বলেন, “নিরপেক্ষ থাকাই ঠিক বলে মনে করি ভাল পারফরম্যান্স ক্রিকেটারদের মানসিক ভাবে ভাল জায়গায় রাখে আমরাও ভাল খেলতেই চাই কিন্তু একটা ট্রফিতে সন্তুষ্ট থাকলে চলবে না
|
বিশ্বকাপের আগে রোহিতের চিন্তা বাড়াচ্ছেন ভারতীয় ব্যাটার, মঙ্গলবার মাঠেই এলেন না শ্রেয়স
|
সেমিতে খেলা হলো না বাংলাদেশের
|
এশিয়া কাপের দল ঘোষণা করল আরও এক দেশ, ছ’বছর পর প্রত্যাবর্তন ক্রিকেটারের
|
‘আমি মরব না!’ অনুষ্কার কেরিয়ার শেষ করতে চাওয়ার বিতর্কের মাঝে রহস্যময় পোস্ট কর্ণের
|
entertainment
|
অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মার কেরিয়ার বরবাদ করে দিতে চেয়েছিলেন তিনি, এক সাক্ষাৎকারে নিজের মুখেই স্বীকার করেছেন বলিউডের প্রযোজক-পরিচালক কর্ণ জোহর। সেই শুনে তাজ্জব বলিপাড়া। সোচ্চার হয়েছেন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী, অপূর্ব আসরানি থেকে শুরু করে কঙ্গনা রানাউত। সেই আবহে এ বার নিন্দকদেরই কি জবাব দিলেন কর্ণ? এক রহস্যাবৃত পোস্ট করে ফের শোরগোল ফেললেন কর্ণ। কারও নাম উল্লেখ না করেই কাব্য করে লিখেছেন, “যা খুশি বলে যাও, আমি মিথ্যার কাছে মাথা নোয়ানোর দলে নেই। কিছু বলব না। আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার যত চেষ্টাই হোক, আমার সততা, শুদ্ধতা আমার জয়। তুলে ধরো তোমাদের তরবারি, আমার মৃত্যু নেই।” এ হেন পোস্টকে পুরনো ভিডিয়ো নিয়ে জলঘোলার জেরই মনে করছেন নেটাগরিকরা। কর্ণের স্বজনপোষণ প্রবণতা নিয়ে বলিউডে খোলাখুলিই আলোচনা হয়। এ ক্ষেত্রেও কর্ণের পোস্ট দেখে তির্যক মন্তব্যই ভেসে আসছে। বিতর্কের সূত্রপাত ইনস্টাগ্রামে সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি পুরনো ভিডিয়োতে। যেখানে অনুষ্কাকে পাশে বসিয়েই একটি সাক্ষাৎকারে কর্ণকে বলতে শোনা যায়, “অনুষ্কার কেরিয়ার আমি একেবারে নষ্ট করে দিতে চেয়েছিলাম। আদিত্য চোপড়া আমাকে একটি সিনেমার জন্য অনুষ্কার ছবি দেখিয়েছিল, আমি ‘না, না’ করে উঠেছিলাম। চেয়েছিলাম, আদিত্য যেন ওকে সই না করায়। আমি চেয়েছিলাম অন্য এক অভিনেত্রীকে আদি নিক। এই পুরো ষড়যন্ত্রের পিছনে আমি ছিলাম।” প্রিয়ঙ্কা চোপড়াও নাকি বলিউড ছেড়েছিলেন কর্ণের কূটনীতির শিকার হয়ে। যদিও ২০০৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘রব নে বনা দি জোড়ি’ ছবিটিতে অনুষ্কাই শেষ পর্যন্ত অভিনয় করেন। একাধিক রাউন্ডের অডিশনের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ছবির জন্য অনুষ্কাকে পছন্দ করেছিলেন যশরাজ-কর্ণধার আদিত্য চোপড়া নিজে। সেই সময়েই নাকি অনুষ্কাকে ছবিতে নেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন কর্ণ জোহর। প্রিয় বন্ধু আদিত্য চোপড়াকে একাধিক বার সে কথা জানিয়েওছিলেন কর্ণ। ‘রব নে বনা দি জোড়ি’ ছবিতে কাজ করার জন্য অডিশন দিয়েছিলেন সোনম কপূরও। সেই সময় বলিউডে তিনিও নবাগতা। কিন্তু তাঁর বদলে অনুষ্কাকেই চূড়ান্ত করেন আদিত্য। শোনা যায়, অনুষ্কার বদলে অনিল কপূরের কন্যা সোনমকে নেওয়ারই পক্ষপাতী ছিলেন কর্ণ। আদিত্যকে নাকি বার বার চাপও দিয়েছিলেন তিনি। এমনকি, অনুষ্কার কাজ যাতে পণ্ড হয়, সে বিষয়েও নাকি সচেষ্ট হয়েছিলেন তিনি, এমনটিই শোনা যায়। মূলত প্রযোজনার কাজেই ব্যস্ত থাকেন। তবে পরিচালনার কাজ করতেই ভালবাসেন বেশি, জানিয়েছিলেন কর্ণ। বহু দিন পর তাঁর পরিচালিত ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’ আসছে। রণবীর সিংহ এবং আলিয়া ভট্ট প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছেন। সম্প্রতি কাশ্মীরে ছবিটির শুটিং শেষ হয়েছে। বিতর্কের মধ্যেও ছবি নিয়ে আশাবাদী পরিচালক।
|
যদিও ২০০৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘রব নে বনা দি জোড়ি’ ছবিটিতে অনুষ্কাই শেষ পর্যন্ত অভিনয় করেন একাধিক রাউন্ডের অডিশনের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি ছবির জন্য অনুষ্কাকে পছন্দ করেছিলেন যশরাজ-কর্ণধার আদিত্য চোপড়া নিজে সেই সময়েই নাকি অনুষ্কাকে ছবিতে নেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন কর্ণ জোহর প্রিয় বন্ধু আদিত্য চোপড়াকে একাধিক বার সে কথা জানিয়েওছিলেন কর্ণ ‘রব নে বনা দি জোড়ি’ ছবিতে কাজ করার জন্য অডিশন দিয়েছিলেন সোনম কপূরও সেই সময় বলিউডে তিনিও নবাগতা কিন্তু তাঁর বদলে অনুষ্কাকেই চূড়ান্ত করেন আদিত্য শোনা যায়, অনুষ্কার বদলে অনিল কপূরের কন্যা সোনমকে নেওয়ারই পক্ষপাতী ছিলেন কর্ণ আদিত্যকে নাকি বার বার চাপও দিয়েছিলেন তিনি এমনকি, অনুষ্কার কাজ যাতে পণ্ড হয়, সে বিষয়েও নাকি সচেষ্ট হয়েছিলেন তিনি, এমনটিই শোনা যায় মূলত প্রযোজনার কাজেই ব্যস্ত থাকেন
|
‘এমার্জেন্সি’ দেখতে চান কর্ণ, শুনেই ভয় পাচ্ছেন কঙ্গনা!
|
‘আমার ছবি কেউ বিকৃত করেছে’, অনাবৃত ফোটোশ্যুট বিতর্কে পুলিশকে জানালেন রণবীর
|
অভিষেককে আড়াল করে রিপোর্ট, আদালতে ভর্ৎসনার মুখে ইডি
|
‘ছবিতে আমার দৃশ্য বেশি থাকলে অভিনেতারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেন!’
|
entertainment
|
জন প্রকাশ রাও জনুমালা। তবে বলিপাড়ায় বেশি পরিচিত জনি লিভার নামে। ১৯৮৪ সালে অভিনয় জগতে পা রেখেছিলেন তিনি। এখনও পর্যন্ত ৩০০টিরও বেশি ছবিতে কাজ করে ফেলেছেন জনি। ছবি: সংগৃহীত কিন্তু জনির কেরিয়ার গ্রাফ এখন অপরাহ্নে। একটা করে বছর পেরিয়ে যাচ্ছে এবং তার সঙ্গে সঙ্গে জনিকে বড় পর্দায় দেখার সুযোগও কম মিলছে। এর কারণ কী? অভিনেতা আগে যেমন একের পর এক ছবিতে চুটিয়ে কাজ করতেন, আজ হঠাৎ তাঁকে বড় পর্দায় এত কম দেখা যাচ্ছে কেন? জনি কি তবে ধীরে ধীরে বলিপাড়া থেকে বিদায় নিচ্ছেন, না কি অভিনয় থেকে সাময়িক বিরতি নিতে শুরু করেছেন? এই প্রসঙ্গে ই টাইমস সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুখ খোলেন তিনি। ছবি: সংগৃহীত
|
এখনও পর্যন্ত ৩০০টিরও বেশি ছবিতে কাজ করে ফেলেছেন জনি ছবি: সংগৃহীত কিন্তু জনির কেরিয়ার গ্রাফ এখন অপরাহ্নে
|
‘আমরা করিটা কী?’ অভিনেতাদের নিয়ে এত বাড়াবাড়ি করার কী আছে! দাবি প্রিয়ঙ্কার
|
‘আমার বিয়ে হবে না’, জানালেন ‘বিবাহ অভিযান ২’ ছবির অভিনেত্রী নুসরত
|
পুলিশের অনুমতি না পেয়ে অবশেষে কর্মসূচি পরিবর্তন জামায়াতের
|
দুর্গাপুরে একই পরিবারের চার সদস্যের রহস্য মৃত্যু
|
state
|
রবিবার সকালে দুর্গাপুর থানার অন্তর্গত কুরুড়িয়া ডাঙ্গা এলাকায় একটি বাড়ি থেকে এক পরিবারের ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। একজনের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বাকি মৃতদেহগুলো খাটে এবং মেঝেতে শোয়ানো অবস্থায় ছিল। মৃতদের নাম অমিত মন্ডল (৩৩), অমিতের স্ত্রী রূপা মন্ডল (২৭), অমিত ও রূপার সাড়ে ৭ বছরের পুত্র বাবু ও দেড় বছরের কন্যা বুনু। ঝুলন্ত অমিতের হাত দুটি পিছমোড়া করে বাঁধা ছিল। মৃত্যুর আগে এক আত্মীয়ের কাছে পাঠানো হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেজ ভাইরাল হয়েছে। নিজের সন্তানদের মেরে অমিত আত্মঘাতী হচ্ছে বলে মৃত্যুকালীন জবানবন্দি দিয়েছে। মা এবং মামার বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে অমিতের পরিবারের সম্পর্ক তিক্ত হয়েছিল বলে হোয়াটসঅ্যাপ করে জানিয়েছিল অমিত। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ অমিতের মা কে নিয়ে গেছে। ঘটনাস্থলে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ফরেনসিক দল এসেছিল। মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। আর একটি হোয়াটসঅ্যাপ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সি বি আই - এর উদ্দেশ্যে অমিত জানিয়েছে টাকার বিনিময়ে কে কে স্কুল মাস্টারের চাকরি পেয়েছে ও তারা কোন কোন বিদ্যালয়ে চাকরি করছে।
|
মৃত্যুর আগে এক আত্মীয়ের কাছে পাঠানো হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেজ ভাইরাল হয়েছে নিজের সন্তানদের মেরে অমিত আত্মঘাতী হচ্ছে বলে মৃত্যুকালীন জবানবন্দি দিয়েছে মা এবং মামার বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে অমিতের পরিবারের সম্পর্ক তিক্ত হয়েছিল বলে হোয়াটসঅ্যাপ করে জানিয়েছিল অমিত এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে
|
দুর্গাপুরে একই পরিবারের ৪ সদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
|
দুর্গাপুরে একই পরিবারের ৪ সদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
|
পাটনায় নীতীশ-তেজস্বীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালীন মৃত্যু নেতার, খুনের অভিযোগ বিজেপির
|
হায়দারাবাদের নিজাম বিশ্বের সেরা ধনী থেকে যেভাবে নি:স্ব হয়েছিলেন
|
national
|
ছবির উৎস, Mukarram Jah Family অষ্টম ও শেষ নিজাম মুকাররম জাহ হায়দারাবাদের অষ্টম ও শেষ নিজাম, নবাব মীর বরকত আলি খান বালাশন মুকাররম জাহ বাহাদুরকে বুধবার রাতে তার পূর্বপুরুষদের রাজধানী শহরেই পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। মুকাররম জাহর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। তিনি ১৪ জানুয়ারি তুরস্কের ইস্তানবুলে মারা যান। তার দপ্তর থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “মহামহিম নবাব মীর বরকত আলি খান বালাশন মুকাররম জাহ বাহাদুরের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার জন্ম-শহর হায়দারাবাদে দাফন করা হয়।“ ইস্তানবুল থেকে হায়দারাবাদে আনার পরে তার মরদেহ চৌমহলা প্যালেসে রাখা ছিল। তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজার হাজার মানুষ হাজির হয়েছিলেন ওই প্যালেসে। ছবির উৎস, Getty Images জর্ডানের তৎকালীন যুবরাজ হুসেইনের সঙ্গে মুকাররম জাহ (বাঁদিকে), ১৯৫২ এ লন্ডনে তোলা ছবি হায়দারাবাদের শেষ নিজাম মীর উসমান আলি খান বাহাদুরের নাতি ছিলেন এই মুকাররম জাহ। সপ্তম নিজাম মীর উসমান আলি খান ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত হায়দারাবাদের শাসক ছিলেন। তার পুত্র, আজম জাহ এবং রাজকুমারী দুরু শহবরের পুত্র মুকাররম জাহের জন্ম হয় ১৯৩৩ সালে। ‘দ্যা হিন্দু’ সংবাদপত্রের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, উসমান আলি খান উত্তরাধিকারী হিসাবে নিজের ছেলেকে বেছে না নিয়ে নাতি মুকাররম জাহকে পরবর্তী নিজাম হিসাবে ঘোষণা করে গিয়েছিলেন। একই প্রতিবেদনে ‘দ্যা হিন্দু’ লিখেছে যে ১৯৬৭ সালে রাজ্যাভিষেকর পরে অষ্টম নিজাম হন মুকাররম জাহ। সেই রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানও হয়েছিল চৌমহলা প্যালেসেই, যেখানে দাফনের আগে তার মরদেহ রাখা হয়েছিল। অভিষেকের পরেই মুকাররম জাহ অস্ট্রেলিয়ায় চলে যান। কিছুদিন পরে তুরস্কে পাকাপাকি ভাবে থাকতে শুরু করেন তিনি। ছবির উৎস, Dr. Muhammed Safiullah, The Deccan Heritage Trust অষ্টম নিজাম মুকাররম জাহর রাজ্যাভিষেক হায়দারাবাদ থেকে প্রকাশিত ‘সিয়াসত’ সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী সপ্তম নিজামের উত্তরাধিকারী হিসাবে মুকাররম জাহ পৃথিবীর সব থেকে বড় সম্পত্তির মালিক হয়েছিলেন। কিন্তু বিলাসী জীবনযাপন, রাজকীয় মহলের দেখভালে অবহেলা, বেহিসাবির মত দামী অলঙ্কার কিনতে খরচ করা ছিল মুকাররম জাহের স্বভাব। সেইভাবেই সব সম্পত্তি শেষ হয়ে যায় অষ্টম নিজামের। উত্তরাধিকার সূত্রে মুকাররম জাহ ২৫ হাজার কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি পেয়েছিলেন। সেই সময়ে তার বয়স ছিল মাত্র ৩০ বছর। কিন্তু বেহিসাবি জীবনযাপনের ফলে শেষ দিনগুলো তাকে কাটাতে হয়েছিল একটা দুই কক্ষের ফ্ল্যাটে। ছবির উৎস, Getty Images 'জেকব' হীরা হায়দারাবাদের যে নিজাম শাসনের শুরু হয়েছিল ১৭২৪ সালে, তা জারি ছিল ১৯৪৮ পর্যন্ত। হায়দারাবাদের শেষ শাসক, নিজাম – আসফ জাহ মুজফ্ফরুল মুল্ক স্যার উসমান আলি খান ১৯১১ সালে শাসনভার গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন ব্রিটিশ শাসকদের খুব কাছের মানুষ। টাইম ম্যাগাজিন ১৯৩৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি উসমান আলি খানের ওপরে একটা সংখ্যাই ছেপেছিল। সেই সময়ে তিনিই ছিলেন বিশ্বের সবথেকে ধনী মানুষ। তার কাছে ২৪২ ক্যারেটের ‘জেকব’ হীরা ছিল। এটি পৃথিবীর সবথেকে বড় হীরেগুলির একটা। যারা ওই হীরা দেখেছেন, তাদের কথায়, হীরেটি একটা ছোট লেবুর আকৃতির ছিল। ওই হীরা রক্ষা করার জন্য সেটিকে একটা সাবানের বাক্সের ভেতরে লুকিয়ে রাখা হত। কখনও আবার নিজাম সেটিকে পেপারওয়েট হিসাবেও ব্যবহার করতেন। ছবির উৎস, Getty Images হায়দারাবাদের চৌমহলা প্যালেস স্বাধীনতার পরে যে তিনটি দেশীয় রাজ্য ভারতে যোগদান করতে অস্বীকার করেছিল, তারই অন্যতম ছিল হায়দারাবাদ । তবে ভারত সরকার সেনাবাহিনী পাঠিয়ে ১৯৪৮ সালে হায়দারাবাদ দেশের বাকি অংশের সঙ্গে মিশিয়ে দেয়। হায়দারাবাদের সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের পরে ভারত সরকার নিজামের সমর্থক কাশিম রিজভি এবং লায়েক আহমেদকে হেফাজতে নেয়। লায়েক আহমেদ হেফাজত থেকে পালিয়ে বোম্বে (বর্তমানের মুম্বাই) চলে যান আর সেখান থেকে বিমানে করে পাকিস্তান পৌঁছেন। কিন্তু ভারত সরকার সপ্তম নিজাম বা তার পরিবারের কোনও ক্ষতি করেনি। তাদের সপরিবারে নিজেদের প্রসাদেই থাকার অনুমতি দিয়েছিল সরকার। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পরে ৫৬২তম দেশীয় রাজ্য হিসাবে হায়দারাবাদ ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। সপ্তম নিজাম ও ভারত সরকারের মধ্যে ১৯৫০ সালের ২৫ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী নিজাম বছরে ৪২ লক্ষ ৮৫ হাজার ৭১৪ টাকা প্রিভি পার্স হিসাবে পেতেন। হায়দারাবাদ ভারতের অন্তর্ভুক্ত হলেও নিজাম সেখানকার গভর্নর ছিলেন ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত। রাজ্য পুনর্গঠনের পরে নিজামের পূর্বতন সাম্রাজ্য ভেঙ্গে তিনটি রাজ্য তৈরি হয় – অন্ধ্র প্রদেশ, কর্ণাটক এবং মহারাষ্ট্র। সপ্তম নিজাম মীর উসমান আলি খান ১৯৬৭ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মারা যান।
|
ছবির উৎস, Mukarram Jah Family অষ্টম ও শেষ নিজাম মুকাররম জাহ হায়দারাবাদের অষ্টম ও শেষ নিজাম, নবাব মীর বরকত আলি খান বালাশন মুকাররম জাহ বাহাদুরকে বুধবার রাতে তার পূর্বপুরুষদের রাজধানী শহরেই পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে মুকাররম জাহর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর তিনি ১৪ জানুয়ারি তুরস্কের ইস্তানবুলে মারা যান তার দপ্তর থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “মহামহিম নবাব মীর বরকত আলি খান বালাশন মুকাররম জাহ বাহাদুরের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার জন্ম-শহর হায়দারাবাদে দাফন করা হয়“ ইস্তানবুল থেকে হায়দারাবাদে আনার পরে তার মরদেহ চৌমহলা প্যালেসে রাখা ছিল তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজার হাজার মানুষ হাজির হয়েছিলেন ওই প্যালেসে ছবির উৎস, Getty Images জর্ডানের তৎকালীন যুবরাজ হুসেইনের সঙ্গে মুকাররম জাহ (বাঁদিকে), ১৯৫২ এ লন্ডনে তোলা ছবি হায়দারাবাদের শেষ নিজাম মীর উসমান আলি খান বাহাদুরের নাতি ছিলেন এই মুকাররম জাহ সপ্তম নিজাম মীর উসমান আলি খান ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত হায়দারাবাদের শাসক ছিলেন তার পুত্র, আজম জাহ এবং রাজকুমারী দুরু শহবরের পুত্র মুকাররম জাহের জন্ম হয় ১৯৩৩ সালে ‘দ্যা হিন্দু’ সংবাদপত্রের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, উসমান আলি খান উত্তরাধিকারী হিসাবে নিজের ছেলেকে বেছে না নিয়ে নাতি মুকাররম জাহকে পরবর্তী নিজাম হিসাবে ঘোষণা করে গিয়েছিলেন একই প্রতিবেদনে ‘দ্যা হিন্দু’ লিখেছে যে ১৯৬৭ সালে রাজ্যাভিষেকর পরে অষ্টম নিজাম হন মুকাররম জাহ সেই রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানও হয়েছিল চৌমহলা প্যালেসেই, যেখানে দাফনের আগে তার মরদেহ রাখা হয়েছিল অভিষেকের পরেই মুকাররম জাহ অস্ট্রেলিয়ায় চলে যান কিছুদিন পরে তুরস্কে পাকাপাকি ভাবে থাকতে শুরু করেন তিনি
|
বাসভবন ছেড়ে পালালেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট
|
'ভোট খুব ভালো হয়েছে'
|
রাজস্থানের দায়িত্ব থেকে মাকেনের ইস্তফা, সংগঠনে প্রথমবার চ্যালেঞ্জের মুখে খাড়গে
|
জাত-পাতের অভিযোগে কাঠগড়ায় হাই কোর্ট, মামলা শুনবেন প্রধান বিচারপতি
|
kolkata
|
আইনের চোখে সবাই সমান। জাতি, ধর্ম, বর্ণ এবং লিঙ্গের মধ্যে আইন কারও বিভেদ করে না। অথচ আইনের পীঠস্থান বলে পরিচিত আদালতের কাছে বিচার পেতে গেলে জানাতে হচ্ছে জাতির বিবরণ। এই নিয়মকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের বিরুদ্ধেই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল। মামলাটি করেন বিজয়কুমার সিঙ্ঘল নামে এক ব্যক্তি। তাঁর মতে, ‘‘স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরে কোনও ব্যক্তি আদালতে মামলা করার জন্য নিজের জাতের পরিচয় দেবেন এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক!’’ এতে মামলাকারীর ব্যক্তি স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে বলেও তিনি দাবি করেন। আগামী মঙ্গলবার হাই কোর্টের বিরুদ্ধে করা এই মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। মামলাটি শুনবে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। হাই কোর্টে যে কোনও মামলা রুজু করতে গেলে মামলকারী বা আবেদনকারীকে একটি ফর্ম পূরণ করতে হয়। সেই ফর্মের ৬ নম্বর প্যারায় জাতি কী, তা লিখতে হয় মামলাকারী বা আবেদনকারীকে। ফর্মের এই অংশটির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন জনস্বার্থ মামলকারী বিজয়। তাঁর আইনজীবী ফিরোজ এডুলজির মতে, ‘‘কোনও ব্যক্তি বিচার চাইতে আদালতে আসেন। নিয়ম মেনে তাঁকে মামলা দায়ের করতে হয়। কিন্তু মামলা দায়েরের জন্য জাতির উল্লেখ কেন প্রয়োজন তা পরিষ্কার নয়।’’ তিনি জানান, ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা বা না করার বিষয়টি সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের নিজস্ব অধিকার। সামাজিক শ্রেণির মধ্যে কোনও ব্যক্তির জাতির পরিচয় রয়েছে। ফলে এ ক্ষেত্রে যে কোনও মামলাকারীকে আদালতই বলছে জাত-পাতের পরিচয় প্রকাশ করতে। এটা হাই কোর্টের কাছে কাম্য নয়। জনস্বার্থ মামলকারী বিজয় নিজেকে সমাজসেবী এবং সঞ্জয় গান্ধী মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি হিসাবে পরিচয় দিয়েছেন। এই মামলায় তাঁর বক্তব্য, ‘‘বাংলার নবজাগরণ, শুধুমাত্র বাংলার সাংস্কৃতিক এবং বুদ্ধিজীবী অংশেরই উত্থান ঘটায়নি, ওই পরিবর্তন আধুনিক ভারতীয় সমাজের ভিত্তি স্থাপন করেছিল। সেখানে কলকাতা হাই কোর্টেরও অবদান ছিল। এই হাই কোর্ট শুধু ভারতের প্রাচীনতম হাই কোর্ট বলেই পরিচিত নয়। বরং, এটি ভারতীয় সমাজের বিবর্তন এবং অগ্রগতিতেও সক্রিয় অবদান রেখে পরিচিত হয়েছে।’’ মামলাকারীর আবেদন, বিচারপ্রার্থীদের বর্ণের পরিচয় তুলে দিক এই আদালত। প্রসঙ্গত, হাই কোর্টের ওই ফর্মে জাতের উল্লেখ বাধ্যতামূলক কি না, তা বলা হয়নি। আইনজীবীদের একাংশ বলছেন, মামলা দায়ের করতে গেলে বাধ্যতামূলক ভাবে জাতি জানাতে হবে কি না, সে বিষয়ে পরিষ্কার ব্যাখ্যা ওই ফর্মের কোথাও লক্ষ করা যায়নি। এ নিয়ে এত দিন কোনও মামলকারী অভিযোগও করেননি। এখন যে হেতু বিষয়টি নিয়ে কেউ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন, তাই আদালতই কী সিদ্ধান্ত নেয় তা দেখার। তাঁদের বক্তব্য, এই বিষয়টির সঙ্গে বিচারের কোনও সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে হয় না। বিচার চলে নিজস্ব পদ্ধতিতে।
|
অথচ আইনের পীঠস্থান বলে পরিচিত আদালতের কাছে বিচার পেতে গেলে জানাতে হচ্ছে জাতির বিবরণ এই নিয়মকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের বিরুদ্ধেই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল মামলাটি করেন বিজয়কুমার সিঙ্ঘল নামে এক ব্যক্তি তাঁর মতে, ‘‘স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরে কোনও ব্যক্তি আদালতে মামলা করার জন্য নিজের জাতের পরিচয় দেবেন এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক!’’ এতে মামলাকারীর ব্যক্তি স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে বলেও তিনি দাবি করেন আগামী মঙ্গলবার হাই কোর্টের বিরুদ্ধে করা এই মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে মামলাটি শুনবে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ হাই কোর্টে যে কোনও মামলা রুজু করতে গেলে মামলকারী বা আবেদনকারীকে একটি ফর্ম পূরণ করতে হয় সেই ফর্মের ৬ নম্বর প্যারায় জাতি কী, তা লিখতে হয় মামলাকারী বা আবেদনকারীকে ফর্মের এই অংশটির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন জনস্বার্থ মামলকারী বিজয় তাঁর আইনজীবী ফিরোজ এডুলজির মতে, ‘‘কোনও ব্যক্তি বিচার চাইতে আদালতে আসেন
|
নুহ’র ঘটনা নিয়ে বিশেষ বেঞ্চ গঠন প্রধান বিচারপতির
|
জ্ঞানবাপি মামলার শুনানি শুরু
|
মরক্কোতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ২৯৬ জনের মৃত্যু
|
এক মাসে এক মিলিয়ন বিক্রি , অথচ নাগালে নেই রেডমি নোট সেভেন সিরিজ
|
technology
|
তিন বার ফ্ল্যাশ ধরা দিয়েছে। এছাড়া দোকানে আগাম বুকিং করে রাখলে দীর্ঘ সময় পর হাতে এসে পৌঁছচ্ছে Redmi Note 7 ও Redmi Note 7 pro। তাতেই নাকি ১ মিলিয়ন বিক্রি হয়ে গেছে ফোনটি। নিতান্ত গুজব বলে মনে করছেন একাংশ। তাদের বক্তব্য, ফ্ল্যাশ সেলে ২ মিনিটেই নাকি উধাও। নাগালেই পাওয়া যাচ্ছে না রেডমি নোট সেভেন সিরিজ। যার বয়স এখন মাত্র ১ মাস। বলা বাহুল্য আপাতত জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই সিরিজ। ভারতে শাওমির অনলাইন সেলসের প্রধান রঘু রেড্ডি বলেন, “আমাদের জনপ্রিয় রেডমি নোট সিরিজ স্মার্টফোন মাইলস্টোন। নতুন রেডমি নোট সেভেন সিরিজের প্রতি এমআই ফ্যানদের ভালোবাসা, স্মার্টফোনের দুনিয়া থেকে রেডমিকে আলাদা করে। এটি আমাদের জনপ্রিয় রেডমি নোট সেভেন সিরিজ নির্মাণ বাড়ানোর জন্য আরও অনুপ্রেরণা দেয় । আরও পড়ুন: সীমিত দিনের জন্য দাম কমতে চলেছে ওয়ানপ্লাস সিক্স টি’র এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক কী কী রয়েছে ফোনটিতে? ৪৮ মেগাপিক্সেল রিয়ার ক্যামেরা সত্ত্বেও, দাম সাশ্রয়ী। ৩ জিবি র্যাম এবং ৩২ জিবি স্টোরেজ ও ৪ জিবি র্যাম এবং ৬৪ জিবি স্টোরেজ সংস্করণে পাওয়া যাবে এই নতুন সিরিজ। এই সিরিজে ৬.৩ ইঞ্চির ডিসপ্লে, সম্পূর্ণ এইচডি + রেজোলিউশন রয়েছে। ডিসপ্লের উজ্জ্বলতার জন্য 450 nits। ১৯.৫: ৯ অ্যাসপেক্ট রেশিওর সঙ্গে ২৩৪০ x ১০৮০ পিক্সেল রেজোলিউশন রয়েছে। কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৬০ ও ৬৭৫ প্রসেসর চালিত ফোনটি তিনটি র্যাম ভার্সনে পাওয়া যাচ্ছে। ৪৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার সঙ্গে ৫ মেগাপিক্সেলের কম্বিনেশন রয়েছে। একইসঙ্গে সামনে থাকছে AI ফিচার সহ ১৩ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা। পাওয়া যাবে ৪০০০ mAh ব্যাটারি ব্যকআপও। Redmi Note 7 ফোনটিতে ১২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা কম্বিনেশন রয়েছে। Read the full story in English Stay updated with the latest news headlines and all the latest Technology news download Indian Express Bengali App. Web Title: Xiaomi has sold over one million smartphones in the redmi note 7 series
|
এটি আমাদের জনপ্রিয় রেডমি নোট সেভেন সিরিজ নির্মাণ বাড়ানোর জন্য আরও অনুপ্রেরণা দেয় আরও পড়ুন: সীমিত দিনের জন্য দাম কমতে চলেছে ওয়ানপ্লাস সিক্স টি’র এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক কী কী রয়েছে ফোনটিতে? ৪৮ মেগাপিক্সেল রিয়ার ক্যামেরা সত্ত্বেও, দাম সাশ্রয়ী ৩ জিবি র্যাম এবং ৩২ জিবি স্টোরেজ ও ৪ জিবি র্যাম এবং ৬৪ জিবি স্টোরেজ সংস্করণে পাওয়া যাবে এই নতুন সিরিজ এই সিরিজে ৬.৩ ইঞ্চির ডিসপ্লে, সম্পূর্ণ এইচডি + রেজোলিউশন রয়েছে ডিসপ্লের উজ্জ্বলতার জন্য 450 nits ১৯.৫: ৯ অ্যাসপেক্ট রেশিওর সঙ্গে ২৩৪০ x ১০৮০ পিক্সেল রেজোলিউশন রয়েছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৬০ ও ৬৭৫ প্রসেসর চালিত ফোনটি তিনটি র্যাম ভার্সনে পাওয়া যাচ্ছে
|
হাতে আসেনি সেভেন সিরিজ, এরই মধ্যে আপকামিং ফোনের ঘোষণা রেডমির
|
কানাডাকে এক হালি গোল দিলো ক্রোয়েশিয়া
|
Bihar: সংঘর্ষ-বিস্ফোরণ, উত্তপ্ত বিহারে নিহত ১, আহত ৬
|
50MP ক্যামেরা-সহ ভারতে লঞ্চ হল Vivo X70 সিরিজ! জেনে নিন দাম এবং ফিচার
|
technology
|
জল্পনা ছিলই, এবার সেই জল্পনাকেই সত্যি করে Vivo বাজারে নিয়ে এল, ব্র্যান্ডের দুটি ফোন। Vivo X70 Pro এবং Vivo X70 Pro+। এই প্রিমিয়াম সেগমেন্টের দুই ফোনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ফিচার্স হল এদের দুর্ধর্ষ ক্যামেরা। এছাড়াও, অসাধারণ পারফর্ম করতে পারবে ফোনটি, ডিজাইনও চমৎকার! X70 সিরিজের এই দুটি ফোন লঞ্চ করে iPhone 13 এবং Samsung Galaxy S21 লাইন আপকে জোরদার টক্কর দিতে চলেছে Vivo। এই Vivo X70 Pro এবং Vivo X70 Pro+ ফোন দুটির দাম-সহ ফিচার্স ও স্পেসিফিকেশনস সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জেনে নেওয়া যাক। Vivo X70 Pro, Vivo X70 Pro+ ভারতে দাম ও উপলব্ধতা- Vivo X70 Pro+ ফোনটি লঞ্চ করা হয়েছে ৭৯,৯৯০ টাকায়। ১২, অক্টোবর, 2021 থেকে এই ফোনটি কিনতে প্রবেন ক্রেতারা। একটি মাত্র কালারে লঞ্চ করা হয়েছে নতুন এই মডেল। সেটি হল, এনিগমা ব্ল্যাক। অন্য দিকে আবার Vivo X70 Pro ফোনটি লঞ্চ করা হয়েছে তিনটি স্টোরেজ ভ্যারিয়্যান্ট সহযোগে। সেই 8GB+128GB, 8GB+256GB এবং 12GB+256GB স্টোরেজ ভ্যারিয়্যান্টের দাম যথাক্রমে ৪৬,৯৯০ টাকা, ৪৯,৯৯০ টাকা এবং ৫২,৯৯০ টাকা। ৭ অক্টোবর থেকে এই ফোনটির বিক্রি শুরু হতে চলেছে। Flipkart, Vivo India E-Store এবং দেশের বিভিন্ন অফলাইন রিটেল আউটলেটগুলি থেকে কেনা যাবে এই সিরিজের দুটি ফোনই। Vivo X70 Pro স্পেসিফিকেশনস, ফিচার্স – নতুন এই মডেলে রয়েছে একটি 6.56 ইঞ্চির ফুল HD+ কার্ভড ডিসপ্লে। পারফরম্যান্সের দিক থেকে ফোনে থাকছে একটি MediaTek Dimensity 1200 প্রসেসর। ডুয়াল-সিম সাপোর্টেড এই হ্যান্ডসেটে 8GB পর্যন্ত RAM এবং 256GB পর্যন্ত অনবোর্ড স্টোরেজ থাকছে। এছাড়াও, অত্যন্ত শক্তিশালী একটি 4,450mAh ব্যাটারি দেওয়া হয়েছে এই ফোনে, যা 44W ফ্ল্যাশচার্জ ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি সাপোর্ট করে। কোয়াড-রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ সহ লঞ্চ করা হয়েছে Vivo X70 Pro মডেলটি। প্রাইমারি সেন্সর হিসেবে থাকছে একটি 50MP Gimbal ক্যামেরা। এছাড়া, সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসেবে রয়েছে একটি 12MP 5X পোর্ট্রেইট ক্যামেরা, একটি 12MP আলট্রা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স এবং আর একটি 8MP OIS পেরিস্কোপ ক্যামেরা। Vivo X70 Pro+ স্পেসিফিকেশনস, ফিচার্স- এই মডেলে থাকছে একটি 6.78 ইঞ্চির WQHD+ Curved ডিসপ্লে। পারফরম্যান্সের দিক থেকে ফোনটি চালিত হবে Qualcomm Snapdragon 888+ 5G প্রসেসর দ্বারা। ডুয়াল-সিম সাপোর্টেড এই হ্যান্ডসেটে 12GB পর্যন্ত RAM এবং 256GB পর্যন্ত অনবোর্ড স্টোরেজ রয়েছে। একটি মজবুত এবং বেশ বড় 4,500mAh ব্যাটারি রয়েছে ফোনটিতে, যা 55W ফ্ল্যাশচার্জ ওয়্যার্ড চার্জিং এবং 50W ফ্ল্যাশচার্জ ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তি সাপোর্ট করবে। অপ্টিক্সের দিক থেকে এই ফোনে থাকছে আগের মডেলের মতই কোয়াড-ক্যামেরা সেটআপ। প্রাইমারি সেন্সর 50MP GN1 সেন্সর। এছাড়া, সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসেবে ফোনটিতে থাকছে একটি 48MP আলট্রা-ওয়াইড Gimbal ক্যামেরা, 12MP 5X পোর্ট্রেইট ক্যামেরা এবং একটি 8MP OIS পেরিস্কোপ লেন্স থাকছে। ক্যামেরার দিক থেকে উন্নত Zeiss T* কোটিং ব্যবহার করা হয়েছে নতুন সিরিজের এই স্মার্টফোনে। ফটোগ্রাফির অসাধারণ অভিজ্ঞতার জন্য এই সিরিজের ফোনে থাকছে পোর্ট্রেট মোড, প্রো সিনেমাটিক মোড, এক্সট্রিম নাইট ভিশন মোড সহ একাধিক ফিচার। Vivo X70 Pro+ মডেলে থাকছে Samsung GN1 সেন্সর। এই মডেলের প্রাইমারি ক্যামেরায় রয়েছে জিম্বল স্ট্যাবিলাইজেশন টেকনোলজি। vivo X70 Pro+ মডেলে রয়েছে V1 ইমেজিং চিপ। উন্নত ক্যামেরা এবং গেমিং পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে এই V1 ইমেজিং চিপ ব্যবহার করা হয়েছে এই সিরিজের মডেলে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন Stay updated with the latest news headlines and all the latest Technology news download Indian Express Bengali App. Web Title: Technologu vivo x70 series launched in india
|
ডুয়াল-সিম সাপোর্টেড এই হ্যান্ডসেটে 8GB পর্যন্ত RAM এবং 256GB পর্যন্ত অনবোর্ড স্টোরেজ থাকছে এছাড়াও, অত্যন্ত শক্তিশালী একটি 4,450mAh ব্যাটারি দেওয়া হয়েছে এই ফোনে, যা 44W ফ্ল্যাশচার্জ ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি সাপোর্ট করে কোয়াড-রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ সহ লঞ্চ করা হয়েছে Vivo X70 Pro মডেলটি প্রাইমারি সেন্সর হিসেবে থাকছে একটি 50MP Gimbal ক্যামেরা এছাড়া, সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসেবে রয়েছে একটি 12MP 5X পোর্ট্রেইট ক্যামেরা, একটি 12MP আলট্রা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স এবং আর একটি 8MP OIS পেরিস্কোপ ক্যামেরা Vivo X70 Pro+ স্পেসিফিকেশনস, ফিচার্স- এই মডেলে থাকছে একটি 6.78 ইঞ্চির WQHD+ Curved ডিসপ্লে পারফরম্যান্সের দিক থেকে ফোনটি চালিত হবে Qualcomm Snapdragon 888+ 5G প্রসেসর দ্বারা ডুয়াল-সিম সাপোর্টেড এই হ্যান্ডসেটে 12GB পর্যন্ত RAM এবং 256GB পর্যন্ত অনবোর্ড স্টোরেজ রয়েছে একটি মজবুত এবং বেশ বড় 4,500mAh ব্যাটারি রয়েছে ফোনটিতে, যা 55W ফ্ল্যাশচার্জ ওয়্যার্ড চার্জিং এবং 50W ফ্ল্যাশচার্জ ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তি সাপোর্ট করবে অপ্টিক্সের দিক থেকে এই ফোনে থাকছে আগের মডেলের মতই কোয়াড-ক্যামেরা সেটআপ প্রাইমারি সেন্সর 50MP GN1 সেন্সর
|
Vivo Smartphone: ভিভো ভি২৯ই ফোন লঞ্চ হয়েছে ভারতে, দাম কত? রয়েছে নজরকাড়া ক্যামেরা ফিচার
|
iQOO Z6 5G লঞ্চ হল ভারতে, জেনে নিন দাম এবং ফিচার
|
কালিয়াগঞ্জ: তৃণমূল, বিজেপি’র কড়া নিন্দা সেলিমের
|
দক্ষিণ দমদমে ডেঙ্গি নিয়ে বৈঠকে সুডা
|
kolkata
|
মশার বংশবৃদ্ধির অনুকূল পরিবেশের যেমন অভাব নেই, তেমনই অভাব রয়েছে সচেতনতার। আর এই দুইয়ের সংমিশ্রণে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে দমদমের তিনটি পুরসভা এলাকায়। তাদের মধ্যে দক্ষিণ দমদম পুর এলাকার পরিস্থিতি চিন্তা বাড়াচ্ছে পুর প্রশাসনের। বুধবারই বাঙুরের বাসিন্দা এক স্কুলছাত্রীর ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে। চলতি মরসুমে দক্ষিণ দমদমে ডেঙ্গিতে তিন জনের ও জ্বরে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুত্ব বিবেচনা করে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দমদম পুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে ডেঙ্গি পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে জরুরি নির্দেশ দেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের (সুডা) প্রতিনিধিরা। দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্ত সাড়ে চারশো ছাড়িয়েছে। অন্য দিকে, সুস্থ এবং বর্তমানে চিকিৎসাধীন রোগী মিলিয়ে উত্তর দমদমে ডেঙ্গি আক্রান্ত দেড়শোর বেশি। গত কয়েক সপ্তাহে দমদম পুর এলাকাতেও ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। ওই পুর এলাকায় ৫০ জনেরও বেশি সংক্রমিত হয়েছেন বলে খবর। ফলে, দমদমের তিনটি পুর এলাকা মিলিয়ে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত সাড়ে ছশোর বেশি। এলাকার হাসপাতালেও ভর্তি ডেঙ্গি রোগী। দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস জানাচ্ছেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগ সম্পর্কে সতর্ক করছেন এবং তথ্য সংগ্রহ করছেন। দেখা গিয়েছে, পরীক্ষার সংখ্যা বাড়লেও তা পর্যাপ্ত নয়। জ্বরের রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তবেই অনেকের টনক নড়ছে। তখন হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে। ফলে বিপদ বাড়ছে। মানুষকে সচেতন করতে আর কী করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জানান সঞ্জয়। এ দিকে, দমদম পুর এলাকায় সম্প্রতি ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে। পুরসভার চেয়ারম্যান হরিন্দর সিংহ জানান, দু’টি ওয়ার্ডে আক্রান্ত বেড়েছে। একই বাড়ি থেকে দু’-দু’বার এডিসের লার্ভা মিললেও সচেতনতা ফিরছে না। সময়ে চিকিৎসা না করানোর প্রবণতাও চিন্তা বাড়াচ্ছে।
|
ওই পুর এলাকায় ৫০ জনেরও বেশি সংক্রমিত হয়েছেন বলে খবর ফলে, দমদমের তিনটি পুর এলাকা মিলিয়ে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত সাড়ে ছশোর বেশি এলাকার হাসপাতালেও ভর্তি ডেঙ্গি রোগী দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস জানাচ্ছেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগ সম্পর্কে সতর্ক করছেন এবং তথ্য সংগ্রহ করছেন দেখা গিয়েছে, পরীক্ষার সংখ্যা বাড়লেও তা পর্যাপ্ত নয় জ্বরের রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তবেই অনেকের টনক নড়ছে তখন হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে ফলে বিপদ বাড়ছে
|
ডেঙ্গি রুখতে বছরভর কাজের ভাবনা দক্ষিণ দমদমে, থাকছে প্রশ্নও
|
বাজার-দোকান তিন দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত দক্ষিণ দমদমে
|
না ফেরার দেশে সংগীত পরিচালক ফরিদ আহমেদ
|
সংসদ থেকে পদত্যাগের জন্য বিএনপি অনুতাপ করবে : কাদের
|
politics
|
সাভার প্রতিনিধি: সংসদ থেকে এমপিদের পদত্যাগের ভুলের জন্য বিএনপিকে অনুতাপ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপির ৭ সংসদ সদস্য পদত্যাগ করলেন। আপনারা ৭ জন চলে গেলে জাতীয় সংসদ অচল হয়ে পড়বে, এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। সংসদে আরও আছে বিরোধী দল। এই ভুলের জন্য বিএনপিকে অনুতাপ করতে হবে। দুইজন মাত্র সদস্য, একজন মহিলা আর একজন পুরুষ। দুইজনের চিৎকারে সংসদে মাইক লাগে না। বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে সাভারের রেডিও কলোনী স্কুল মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, তারেক রহমান লবিস্ট নিয়োগ করে বাংলাদেশ বিরোধী প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। সর্বশেষ আজ যুক্তরাষ্ট্র থেকে খবর এসেছে। গুড নিউজ ফর বাংলাদেশ, ব্যাড নিউজ ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য। আজ বাংলাদেশের জন্য সুখবর। যুক্তরাষ্ট্র ৯টি দেশের ৪০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ট্রেজারি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আল্লাহর রহমতে বাংলাদেশ সেখানে নেই। ওবায়দুল কাদের বলেন, কিছুদিন আগে র্যাবের ওপরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর রহস্য বের হয়ে গেছে, ফাঁস হয়ে গেছে। তারা লবিস্ট নিয়োগ করেছে। আমরাও নিষেধাজ্ঞা দিতে পারি। আমরা কারও ব্যাপারে নাক গলাই না। আমাদের ব্যাপারে মাথা ঘামান কেন। আমার মনে হয় বিদেশি বন্ধুরা এখন বাস্তবতা অনেকটাই বুঝতে পেরেছে। সামনে আরও বুঝতে পারবে। এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ //
|
তিনি বলেন, বিএনপির ৭ সংসদ সদস্য পদত্যাগ করলেন আপনারা ৭ জন চলে গেলে জাতীয় সংসদ অচল হয়ে পড়বে, এটা ভাবার কোনো কারণ নেই সংসদে আরও আছে বিরোধী দল এই ভুলের জন্য বিএনপিকে অনুতাপ করতে হবে দুইজন মাত্র সদস্য, একজন মহিলা আর একজন পুরুষ দুইজনের চিৎকারে সংসদে মাইক লাগে না বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে সাভারের রেডিও কলোনী স্কুল মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন তিনি বলেন, তারেক রহমান লবিস্ট নিয়োগ করে বাংলাদেশ বিরোধী প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে
|
সংসদ নির্বাচনে না এলে বিএনপিকে পালাতে হবে : কাদের
|
খবরদার ফোনে অন করবেন না ‘ডার্ক মোড’
|
এবার উত্তেজনা রিষড়ায়ফের আক্রান্ত শ্রমজীবী
|
ওবায়দুল কাদেরকে ‘রাজাকার পরিবারের লোক’ বললেন এমপি একরামুল
|
politics
|
স্টাফ রিপোর্টার: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পরিবারকে ‘রাজাকারের পরিবার’ বলে আখ্যায়িত করেছেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে লাইভে তিনি এসে এসব কথা বলেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এসব নিয়ে কথা বলা শুরু করবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি। ২৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ক্লিপে নোয়াখালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘দেশি মানুষ, স্লামালাইকুম। আমি কথা বললেতো মির্জা কাদেরের বিরুদ্ধে কথা বলব না। আমি কথা বলব ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে। একটা রাজাকার ফ্যামিলির লোক এই পর্যায়ে আসছে। তার ভাইকে শাসন করতে পারে না। এগুলো নিয়ে আমি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে কথা বলব। আমার যদি জেলা কমিটি না আসে তাহলে আমি এটা নিয়ে শুরু করব।’ তবে শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) তার ফেসবুক আইডি ঘুরে দেখা যায়, কোনো এক সময় তিনি লাইভ ভিডিওটি সরিয়ে ফেলেছেন। তবে তার আগেই ফেসবুকে তার বক্তব্যটি ভাইরাল হয়ে যায়। পরে দুপুরের দিকে আরেকবার লাইভে এসে এমপি একরামুল করিম দাবি করেন, তিনি ওবায়দুল কাদেরকে কিছু বলেননি। ওবায়দুল কাদেরকে একজন মুক্তিযোদ্ধা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যা বলতে চেয়েছি তা আবদুল কাদের মির্জাকে উদ্দেশ করে। কারণ কাদের মির্জার পরিবার মুক্তিযোদ্ধাবিরোধী ফ্যামিলি। দলীয় নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়ে বিষয়টি সিনিয়র নেতাদের মাধ্যমে মীমাংসার অনুরোধও জানিয়েছেন নোয়াখালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী। এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ//
|
স্টাফ রিপোর্টার: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পরিবারকে ‘রাজাকারের পরিবার’ বলে আখ্যায়িত করেছেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে লাইভে তিনি এসে এসব কথা বলেন আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এসব নিয়ে কথা বলা শুরু করবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি ২৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ক্লিপে নোয়াখালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘দেশি মানুষ, স্লামালাইকুম আমি কথা বললেতো মির্জা কাদেরের বিরুদ্ধে কথা বলব না
|
আকবর আলি খানের মৃত্যুতে জি এম কাদের এর শোক
|
দুই পরিবারকে মেলাল হ্যাম
|
‘থমকে যাওয়া বিশ্ব নতুন বছরে পাবে নতুন রূপ’
|
নওয়াজ়উদ্দিনের কাছে ক্ষমা চেয়ে পোস্ট স্ত্রীর! তার পরই সমাজমাধ্যমে নিখোঁজ আলিয়া
|
entertainment
|
নওয়াজ়উদ্দিন সিদ্দিকি ও তাঁর স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকির দাম্পত্য কলহ নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ। একে অপরের প্রতি কাদা ছোড়াছুড়ি চলেছে বিস্তর। আদালতের দ্বারস্থ হয় দু-পক্ষ। অভিনেতা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ আনেন আলিয়া। এই নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয় মায়ানগরীতে। যদিও সব ভুলে এখন কাজে মন দিতে চাইছেন অভিনেতা। সামনেই মু্ক্তি পেতে চলেছে তাঁর অভিনীত ছবি ‘জগিরা সারা রা রা’। এর মাঝেই একেবারে উল্টো সুর আলিয়ার কণ্ঠে। নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে নওয়াজ় ও তাঁর পরিবারের কাছে খোলা চিঠি লিখে ক্ষমা চাইলেন অভিনেতার স্ত্রী। তিনি অভিনেতার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ এনেছিলেন এখন তার একেবারে উল্টো সুর। নওয়াজ় ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে সব মামলা তুলে নিতে চান। সব ভুলে শুরু করতে চান স্বাভাবিক জীবন।আলিয়ার নিজের খোলা চিঠিতে লেখেন, ‘‘হ্যালো নওয়াজ, এই চিঠি তোমার জন্য। আমি অনেক জায়গায় শুনেছি আর পড়েছি যে জীবন মানে এগিয়ে যাওয়া। কয়েক মাস ধরে আমাদের মধ্যে যা কিছু ঘটেছে, আমি সে সব কিছু ভুলে যেতে চাই। আর ঈশ্বরের প্রতি আস্থা রেখে আমি নিজের ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে আর তোমার সব অন্যায়কে ক্ষমা করে জীবনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আর আমি জীবনকে সুন্দর রূপ দেওয়ার চেষ্টা করব। অতীতের জালে ফেঁসে থাকা, কোনও চক্রব্যূহে থাকার চেয়ে কম কিছু নয়। আর তাই অতীতকে পেছনে ফেলে, এই ভুল দ্বিতীয়বার না করার অঙ্গীকার করছি। আমাদের সন্তানদের সুন্দর ভবিষ্যৎ দেওয়ার শপথ নিচ্ছি আমি।’’ ‘‘তুমি বাবা হিসাবে অত্যন্ত ভাল। আশা করি, ভবিষ্যতে তুমি তোমার সব কর্তব্য ভাল ভাবে পালন করবে। আর তাদের একটা ভাল ও সুন্দর ভবিষ্যৎ দেওয়ার সব রকম প্রয়াস করবে। আমার এই যুদ্ধ শুধু আমার সন্তানদের জন্য ছিল। ওদের মুখে হাসি দেখে আমার সব দুশ্চিন্তা দূর হয়ে গিয়েছে। আর রাগ গলে জল হয়ে গিয়েছে। আমরা ভাল স্বামী-স্ত্রী হয়ে উঠতে পারিনি, আশা করি আমরা ভাল মা–বাবা হয়ে উঠব। এই জীবনে যা কিছু ঘটেছে, এ কারণে একে অপরকে যেন ক্ষমা করে দিই। জীবনের পথে যেন এগিয়ে যেতে পারি।’’ অভিনেতার স্ত্রীর সমাজমাধ্যমের পাতায় এমন পোস্ট দেখে খটকা লেগেছে অনেকের। এমনকি অভিনেতার ভাই শামাশ সিদ্দিকি তো লিখেই বসেন, ‘‘তোমার প্রোফাইল কি হ্যাক হয়েছে।’’ অন্যদিকে এই পোস্টটি করার পর থেকে আলিয়া সিদ্দিকি অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলছে না ইনস্টাগ্রামে। আলিয়া নিজে এই খোলা চিঠি লিখেছেন কি না সেই নিয়ে ধন্ধে সকলে।
|
সামনেই মু্ক্তি পেতে চলেছে তাঁর অভিনীত ছবি ‘জগিরা সারা রা রা’ এর মাঝেই একেবারে উল্টো সুর আলিয়ার কণ্ঠে নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে নওয়াজ় ও তাঁর পরিবারের কাছে খোলা চিঠি লিখে ক্ষমা চাইলেন অভিনেতার স্ত্রী তিনি অভিনেতার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ এনেছিলেন এখন তার একেবারে উল্টো সুর নওয়াজ় ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে সব মামলা তুলে নিতে চান সব ভুলে শুরু করতে চান স্বাভাবিক জীবনআলিয়ার নিজের খোলা চিঠিতে লেখেন, ‘‘হ্যালো নওয়াজ, এই চিঠি তোমার জন্য আমি অনেক জায়গায় শুনেছি আর পড়েছি যে জীবন মানে এগিয়ে যাওয়া কয়েক মাস ধরে আমাদের মধ্যে যা কিছু ঘটেছে, আমি সে সব কিছু ভুলে যেতে চাই আর ঈশ্বরের প্রতি আস্থা রেখে আমি নিজের ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে আর তোমার সব অন্যায়কে ক্ষমা করে জীবনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই আর আমি জীবনকে সুন্দর রূপ দেওয়ার চেষ্টা করব অতীতের জালে ফেঁসে থাকা, কোনও চক্রব্যূহে থাকার চেয়ে কম কিছু নয়
|
থানায় গেলেন নওয়াজ়ের স্ত্রী আলিয়া, তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই কি হবে বিচার?
|
ভাড়া বাকি, নওয়াজ়উদ্দিনের স্ত্রী আলিয়াকে দুবাইয়ের বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ সে দেশের সরকারের
|
মোদির সঙ্গে দেখা করে গর্বিত জয়া-ফারিয়া
|
পুরনো দাঙ্গার রিপোর্ট সামনে এনে ‘ইন্ডিয়া’ জোটকে টার্গেট, মারাত্মক অভিযোগ যোগী সরকারের বিরুদ্ধে
|
politics
|
মোরাদাবাদ দাঙ্গার ৪০ বছরের পুরনো রহস্য ফাঁস, বিজেপি-আরএসএসকে ক্লিন চিট দেওয়া হয়েছে রিপোর্টে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে আরএসএস বা অন্য কোনও হিন্দু সংগঠনের তরফে কোনও গোপন বৈঠকের আয়োজন করা হয়নি বা দলিতদের মুসলমানদের উপর প্রতিশোধ নিতে প্ররোচিত করা হয়নি। ৪০ বছর পর মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় পেশ করা ১৯৮০ সালের মোরাদাবাদ দাঙ্গার বিষয়ে বিচার বিভাগীয় কমিশনের রিপোর্ট। রিপোর্টে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) কে ‘ক্লিন’ চিট দেওয়া হয়েছে। সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী সুরেশ কুমার খান্না রাজ্য বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের উপস্থিতিতে ৪৯৬ পাতার রিপোর্ট পেশ করেন এবং বিলম্বের কারণ ব্যাখ্যা করেন। রিপোর্টে সালের দাঙ্গার জন্য একজন মুসলিম লীগ নেতা এবং তার সমর্থকদের দায়ী করা হয়েছে, দাঙ্গার ঘটনায় ৮৩ জন নিহত হয় এবং আরও অনেকে আহত হন। এলাহাবাদ হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারক সাক্সেনা ১৯৮৩ সালের নভেম্বরে তার রিপোর্ট জমা দেন। প্রতিবেদনে পুলিশের তৎপরতার যৌক্তিকতা তুলে ধরে আত্মরক্ষার্থে তিনি গুলি চালানোর উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্টে মুসলিম লীগের একজন নেতা ও তার সমর্থকদের কয়েকজনকে দাঙ্গার জন্য দায়ী করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, প্রকৃতপক্ষে দাঙ্গার ঘটনায় আরএসএস ও ভারতীয় জনতা পার্টির কোনো হাত ছিল না। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ঘটনাগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করলে এটা স্পষ্ট যে প্রতিটি ঘটনায় মুসলিম লীগের নেতা ড. শামীম আহমেদ খান ও তার সমর্থকরা মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন। কমিশন রিপোর্টে আরও স্পষ্ট করেছে যে খানের সমর্থকদের মধ্যে মুসলিম লীগের সদস্য এবং আরও কয়েকজন ছিলেন। তবে কমিশন স্পষ্ট করেছে যে দাঙ্গায় সব মুসলমানের হাত ছিল না। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র আত্মরক্ষার্থে গুলি চালানো হয়েছে পুলিশের তরফে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, দাঙ্গায় বেশিরভাগ মৃত্যু পদপৃষ্ট হওয়ার কারণে হয়েছে, যার জন্য পুলিশ আধিকারিকদের দায়ী করা যাবে না। মোরাদাবাদ ইদগাহে ঈদের নামাজের সময় বিবাদ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় রূপ নেয়। ১৯৮০ সালে যখন দাঙ্গা হয়েছিল, তখন ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন উত্তর প্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংয়ের নেতৃত্বে কংগ্রেস সরকার ছিল। বুধবার মিডিয়ার সাথে কথা বলার সময়, সমাজবাদী পার্টি (এসপি) সভাপতি অখিলেশ যাদব বিধানসভায় মোরাদাবাদ দাঙ্গার রিপোর্ট প্রসঙ্গে বিজেপি সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ভোট আসলেই এই ধরণের রিপোর্ট সামনে আনা হয়। ইউপি কংগ্রেসের মুখপাত্র সুরেন্দ্র রাজপুত বলেছেন যে রিপোর্টটি পেশের লক্ষ্য ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে “মেরুকরণ” ঘটানো। রাজপুত বলেছিলেন, “২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে ইউপি সরকার হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে সমাজকে বিভক্ত করার জন্য একটি পুরানো রিপোর্ট পেশ করেছে। ইতিহাসে ফিরে না গিয়ে বিজেপি সরকারের উচিত জনকল্যাণে ব্যর্থতার রিপোর্ট পেশ করা। আইইউএমএলের জাতীয় যুগ্ম সম্পাদক কাউসার হায়াত খান অভিযোগ করেছেন যে মোরাদাবাদের ঘটনা “মুসলমানদের বিরুদ্ধে পুলিশ ও প্রশাসনের সরাসরি পদক্ষেপ”। তিনি বলেছিলেন যে এই বিষয়ে আইইউএমএল নেতার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলি “মিথ্যা”। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে কথা বলার সময়, খান বলেছিলেন যে আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে “রাজনৈতিক লাভের” আশায় বিধানসভায় রিপোর্ট পেশ করেছে। “যোগী সরকার একটি বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছে, এই রিপোর্টের মাধ্যমে যে মুসলিম লীগ রিপোর্ট অনুযায়ী দাঙ্গায় জড়িত ছিল, যা এখন বিরোধী দল ইন্ডিয়া জোটের অংশ”। ইউপির রাজনীতিতে আইইউএমএল ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে, শুধুমাত্র একটি আসন, আগ্রা দক্ষিণ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল এবং মাত্র ১৩০ ভোট পেয়েছিল। ২০২৪ সালের নির্বাচনে আইইউএমএল ইউপির কোন আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনা নেই, তবে রাজ্যের বিরোধী জোটের প্রার্থীদের সমর্থন করবে দল। এমনটাই জানিয়েছেন কাউসার হায়াত খান। Stay updated with the latest news headlines and all the latest Politics news download Indian Express Bengali App. Web Title: Almost absent in up politics now iuml contests 1983 riots report sees link to its support to i n d i a
|
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ঘটনাগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করলে এটা স্পষ্ট যে প্রতিটি ঘটনায় মুসলিম লীগের নেতা ড. শামীম আহমেদ খান ও তার সমর্থকরা মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন কমিশন রিপোর্টে আরও স্পষ্ট করেছে যে খানের সমর্থকদের মধ্যে মুসলিম লীগের সদস্য এবং আরও কয়েকজন ছিলেন তবে কমিশন স্পষ্ট করেছে যে দাঙ্গায় সব মুসলমানের হাত ছিল না প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র আত্মরক্ষার্থে গুলি চালানো হয়েছে পুলিশের তরফে রিপোর্টে বলা হয়েছে, দাঙ্গায় বেশিরভাগ মৃত্যু পদপৃষ্ট হওয়ার কারণে হয়েছে, যার জন্য পুলিশ আধিকারিকদের দায়ী করা যাবে না মোরাদাবাদ ইদগাহে ঈদের নামাজের সময় বিবাদ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় রূপ নেয় ১৯৮০ সালে যখন দাঙ্গা হয়েছিল, তখন ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন উত্তর প্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংয়ের নেতৃত্বে কংগ্রেস সরকার ছিল বুধবার মিডিয়ার সাথে কথা বলার সময়, সমাজবাদী পার্টি (এসপি) সভাপতি অখিলেশ যাদব বিধানসভায় মোরাদাবাদ দাঙ্গার রিপোর্ট প্রসঙ্গে বিজেপি সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি বলেন, ভোট আসলেই এই ধরণের রিপোর্ট সামনে আনা হয় ইউপি কংগ্রেসের মুখপাত্র সুরেন্দ্র রাজপুত বলেছেন যে রিপোর্টটি পেশের লক্ষ্য ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে “মেরুকরণ” ঘটানো
|
‘ইন্ডিয়া’কে বেনজির আক্রমণ মোদীর, জোটের সঙ্গে জঙ্গি-তুলনা!
|
এন্টালি মার্কেটের সামনে সংবিধান রক্ষার শপথ বামফ্রন্টের
|
নেপালে ভূমিকম্প, অনুভূত হল দিল্লীতেও
|
হাঁচি-কাশি আসলে রুবেলা কিনা কীভাবে বুঝবেন?
|
lifestyle
|
ছবির উৎস, Getty Images টিকার মাধ্যমে রুবেলা প্রায় শতভাগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। রুবেলা বা রুবিওলা হল মোরবিলি ভাইরাসঘটিত অত্যন্ত ছোঁয়াচে একটি রোগ। এটি অনেকটা কোভিডের মতোই আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি কাশির ড্রপলেট থেকে ছড়ায়। এর সাথে হামের কিছু মিল আছে যেমন সংক্রমণের ফলে শরীরে লাল বা গোলাপি ফুসকুড়ি দেখা দেয়। একে জার্মান হাম বা তিন দিনের হামও বলা হয়। রুবেলার সবচেয়ে ভয়ের দিকটি হল আপনি এতে আক্রান্ত হলেও শুরুতে কিছুই টের পাবেন না। কারণ রোগের লক্ষণ প্রকাশের আগে ভাইরাসটি রোগীর দেহে সাত থেকে ২১ দিন পর্যন্ত সুপ্তাবস্থায় থাকতে পারে। এটি যদিও খুব জটিল রোগ নয় তবে কোনও মা গর্ভাবস্থায় সংক্রমিত হলে এর পরিণতি শিশুর জন্য ভয়াবহ হতে পারে। এছাড়া শিশুরা আক্রান্ত হলে এটি তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে। সম্প্রতি রুবেলার বিষয়ে নানা তথ্য জানতে চাচ্ছেন নেটিজেনরা। ছবির উৎস, Getty Images রুবেলা হলে লাল বা গোলাপি ফুসকুড়ি দেখা দেয়। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের তথ্য মতে, রুবেলার কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে। সেগুলো হল: ১. লাল বা গোলাপি ফুসকুড়ি, যা সামান্য উঁচু হয়। তবে সংক্রমণের পর ফুসকুড়ি দেখা দিতে দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় লাগে। ফুসকুড়ি কানের পিছনে শুরু হয় এবং পরে মাথা, ঘাড় ও শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। কালো ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা কঠিন হতে পারে, তবে শরীরের চামড়া ধরে দেখলে রুক্ষ বা আঁশযুক্ত বোধ হতে পারে ২. মাথা ও ঘাড়ের পেছনের গ্রন্থি ফুলে যাওয়া এবং ব্যথা হওয়া, কানের পিছনের লিম্ফ নড পিণ্ডর মতো ফুলে যাওয়া ৩. জয়েন্টে ব্যথা, বিশেষ করে; আঙ্গুল, কব্জি বা হাঁটুতে ব্যথা ৪. জ্বর ৫. হাঁচি-কাশি এবং নাক দিয়ে পানি পড়া ৬. মাথাব্যথা, গলা ব্যথা ৭. শরীরে কালশিটে ৮. চোখ-মুখ ফুলে যাওয়া, চোখ চুলকানো, চোখ লাল হয়ে যাওয়া ৯. শরীর ম্যাজ ম্যাজ করা ১০. ক্ষুধা মন্দা, বমি বমি ভাব, দুর্বলতা ছবির উৎস, Getty Images রুবেলার লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ দিতে হবে। রুবেলা ভাইরাসের বিরুদ্ধে কোনও নির্দিষ্ট অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ নেই। চিকিৎসকরা সাধারণত উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। রুবেলা মূলত মাঝারি ধাঁচের রোগ। ভাইরাসটি প্রথমে শ্বাসনালীতে সংক্রমিত হয়, এরপর রক্তের মাধ্যমে দেহের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। যা কোনও চিকিৎসা ছাড়াই সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যায়। ছবির উৎস, Getty Images গর্ভবতী অবস্থায় আক্রান্ত হলে অনাগত শিশুর ক্ষতি হতে পারে। বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে রুবেলার উপসর্গ খুব একটা জটিল হয় না। কিন্তু কেউ যদি গর্ভবতী অবস্থায় আক্রান্ত হন তবে রুবেলা অনাগত শিশুর ক্ষতি করতে পারে: রুবেলা ভাইরাসের কারণে হওয়া এসব জন্মগত ত্রুটি কনজেনিটাল রুবেলা সিনড্রোম বা সিআরএস নামে পরিচিত। গর্ভাবস্থায় যত শুরুর দিকে সংক্রমণ হবে, ঝুঁকি তত বেশি। সিআরএস প্রতিরোধে কার্যকর কোনও চিকিৎসা নেই। তবে গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহ পরে যদি গর্ভবতী রুবেলা আক্রান্ত হন তবে সিআরএস হওয়ার ঝুঁকি তেমন থাকে না। ২০ সপ্তাহের মধ্যে কোনও গর্ভবতী নারী রুবেলা আক্রান্ত কারও সংস্পর্শে এলে তাকে ইমিউনোগ্লোবিউলিন দেয়া হয়ে থাকে। ছবির উৎস, Getty Images রুবেলাকে টিকার মাধ্যমে প্রতিরোধ করা খুব জরুরি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। রুবেলার যেহেতু সুনির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসা নেই। তাই রুবেলাকে টিকার মাধ্যমে প্রতিরোধ করা খুব জরুরি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ব্রিটেনের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগও বলছে, রুবেলা প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হল হাম-মাম্পস-রুবেলা (এমএমআর) টিকার দুই ডোজ টিকা প্রয়োগ। এই টিকা রুবেলা প্রতিরোধে নিরাপদ এবং অত্যন্ত কার্যকর। সব বয়সেই এই টিকা নেয়া যায়। বাংলাদেশে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির অধীনে অন্যান্য রোগের পাশাপাশি রুবেলা প্রতিরোধেও টিকা দেয়া হয়। টিকার প্রথম ডোজটি সাধারণত শিশুর নয় থেকে ১৫ মাসের মধ্যে দেয়া হয় এবং দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয় শিশুর সাড়ে তিন থেকে ছয় বছর বয়সের মধ্যে। এছাড়া প্রাপ্তবয়স্করা এই টিকা নিতে পারেন। সাধারণত প্রথম ডোজ নেয়ার কমপক্ষে এক মাস থেকে তিন মাস পর দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়। বিশেষ করে গর্ভধারণের আগে মেয়েরা যথেষ্ট রুবেলা প্রতিরোধী কিনা দেখে নিতে হবে। যদি কারও রক্তের অ্যান্টিবডি পরীক্ষায় আইজিজি পজিটিভ আসে, তাহলে বুঝতে হবে, তিনি আগে রুবেলায় আক্রান্ত হয়েছেন। তার শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে। এজন্য টিকা দেয়ার প্রয়োজন নেই। তবে আইজিজি নেগেটিভ আসা মানে তিনি আগে আক্রান্ত হননি, ভবিষ্যতে আক্রান্ত হতে পারেন। সেক্ষেত্রে টিকা নিয়ে নিতে হবে। গর্ভধারণের আগে টিকা নেয়াই বেশি নিরাপদ। চেষ্টা করতে হবে টিকা নেয়ার এক মাসের মধ্যে গর্ভবতী না হতে। তবে কেউ যদি গর্ভাবস্থায় দেখেন রক্ত পরীক্ষা নেগেটিভ এসেছে তাহলে সন্তান জন্ম দেয়ার পর টিকা নিতে পারেন। এতে শিশু দুধ পানে সমস্যা হবে না। তবে গর্ভকালীন সময়ে মাকে সাবধান থাকতে হবে যেন এই রোগের সংক্রমণ না হয়। এই টিকা রুবেলার বিরুদ্ধে আজীবন সুরক্ষা প্রদান করে। টিকার কারণে অনেক দেশে রুবেলা সংক্রমণ বিরল এমনকি অস্তিত্বহীন। ছবির উৎস, Getty Images টিকার প্রথম ডোজটি সাধারণত শিশুর নয় থেকে ১৫ মাসের মধ্যে দেয়া হয়। রুবেলার লক্ষণ দেখা দেয়ার এক সপ্তাহ আগে থেকে এবং লক্ষণ দেখা দেয়ার পাঁচ দিন পর পর্যন্ত এই রোগের সংক্রমণ ছড়াতে থাকে। এই রোগ মূলত হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। সে কারণে: আপনি যদি মনে করেন যে আপনি এমন কারো সংস্পর্শে এসেছেন যার রুবেলার লক্ষণ আছে, যেমন ফুসকুড়ি, সেইসাথে গর্ভাবস্থায় যদি আপনার শরীরে ফুসকুড়ি হয়, তাহলে সরাসরি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
|
রুবেলার সবচেয়ে ভয়ের দিকটি হল আপনি এতে আক্রান্ত হলেও শুরুতে কিছুই টের পাবেন না কারণ রোগের লক্ষণ প্রকাশের আগে ভাইরাসটি রোগীর দেহে সাত থেকে ২১ দিন পর্যন্ত সুপ্তাবস্থায় থাকতে পারে এটি যদিও খুব জটিল রোগ নয় তবে কোনও মা গর্ভাবস্থায় সংক্রমিত হলে এর পরিণতি শিশুর জন্য ভয়াবহ হতে পারে এছাড়া শিশুরা আক্রান্ত হলে এটি তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে সম্প্রতি রুবেলার বিষয়ে নানা তথ্য জানতে চাচ্ছেন নেটিজেনরা ছবির উৎস, Getty Images রুবেলা হলে লাল বা গোলাপি ফুসকুড়ি দেখা দেয় ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের তথ্য মতে, রুবেলার কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে সেগুলো হল: ১. লাল বা গোলাপি ফুসকুড়ি, যা সামান্য উঁচু হয় তবে সংক্রমণের পর ফুসকুড়ি দেখা দিতে দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় লাগে ফুসকুড়ি কানের পিছনে শুরু হয় এবং পরে মাথা, ঘাড় ও শরীরে ছড়িয়ে পড়ে কালো ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা কঠিন হতে পারে, তবে শরীরের চামড়া ধরে দেখলে রুক্ষ বা আঁশযুক্ত বোধ হতে পারে ২. মাথা ও ঘাড়ের পেছনের গ্রন্থি ফুলে যাওয়া এবং ব্যথা হওয়া, কানের পিছনের লিম্ফ নড পিণ্ডর মতো ফুলে যাওয়া ৩. জয়েন্টে ব্যথা, বিশেষ করে; আঙ্গুল, কব্জি বা হাঁটুতে ব্যথা ৪. জ্বর ৫. হাঁচি-কাশি এবং নাক দিয়ে পানি পড়া ৬. মাথাব্যথা, গলা ব্যথা ৭. শরীরে কালশিটে ৮. চোখ-মুখ ফুলে যাওয়া, চোখ চুলকানো, চোখ লাল হয়ে যাওয়া ৯. শরীর ম্যাজ ম্যাজ করা ১০. ক্ষুধা মন্দা, বমি বমি ভাব, দুর্বলতা ছবির উৎস, Getty Images রুবেলার লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ দিতে হবে রুবেলা ভাইরাসের বিরুদ্ধে কোনও নির্দিষ্ট অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ নেই চিকিৎসকরা সাধারণত উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা দিয়ে থাকেন রুবেলা মূলত মাঝারি ধাঁচের রোগ ভাইরাসটি প্রথমে শ্বাসনালীতে সংক্রমিত হয়, এরপর রক্তের মাধ্যমে দেহের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে যা কোনও চিকিৎসা ছাড়াই সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যায় ছবির উৎস, Getty Images গর্ভবতী অবস্থায় আক্রান্ত হলে অনাগত শিশুর ক্ষতি হতে পারে বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে রুবেলার উপসর্গ খুব একটা জটিল হয় না কিন্তু কেউ যদি গর্ভবতী অবস্থায় আক্রান্ত হন তবে রুবেলা অনাগত শিশুর ক্ষতি করতে পারে: রুবেলা ভাইরাসের কারণে হওয়া এসব জন্মগত ত্রুটি কনজেনিটাল রুবেলা সিনড্রোম বা সিআরএস নামে পরিচিত
|
কিছুতেই কাশি কমছে না? ক্যানসার নয় তো? কোন কাশি কিসের লক্ষণ, বুঝবেন কী ভাবে?
|
অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্স কী, বুঝবেন কিভাবে
|
জল্পনার অবসান, ভারতে লঞ্চ হতে চলেছে OnePlus 10 Pro
|
চোখে চোট পেয়েছিলেন শুটিংয়ে! ‘আমি ভাল আছি’, জানিয়েই পুজোর লড়াইয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন দেব
|
entertainment
|
কয়েক দিন আগে নন্দিতা রায় এবং শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন তাঁদের প্রথম পুজোর ছবির কথা। কিন্তু দর্শক অপেক্ষা করেছিলেন এক জনের। তিনি হলেন দেব। প্রতি বছরের মতো এই বছর পুজোয় কী চমক আনতে চলেছেন অভিনেতা-সাংসদ? দু’দিন আগে নায়কের চোখে ব্যান্ডেজ বাঁধা ছবি প্রকাশ্যে আসতেই চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন তাঁর অনুরাগীরা। বৃহস্পতিবার অবশেষে সুখবর জানালেন নায়ক নিজেই। ঘন জঙ্গলের মাঝে বাচ্চা কোলে হাতে বন্দুক নিয়ে দৌড়াচ্ছেন দেব। বোঝাই যাচ্ছে, তাঁর নতুন ছবি ‘বাঘাযতীন’-এরই কোনও দৃশ্য। সেই ছবি পোস্ট করে নায়ক লেখেন, “সবাইকে ধন্যবাদ এত ভালবাসা এবং শুভেচ্ছা জানানোর জন্য। এই পুজোয় সেরা সিনেমার অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য আমরা প্রাণপণে চেষ্টা করছি। আশা করছি, আমাদের এই পরিশ্রমের ফল বৃথা যাবে না। আপনাদের ভাল লাগবে। ২০২৩-এর পুজোয় আসছে বাঘাযতীন।” প্রতি বছর পুজোয় দেবের ছবি মুক্তি পাওয়া যেন খানিকটা নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২২ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘কাছের মানুষ’। অনেক দিন পর ব়ড় পর্দায় একসঙ্গে দর্শক দেখেছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং দেবকে। তবে ‘বাঘাযতীন’ যেহেতু স্বাধীনতা সংগ্রামীর গল্প তাই অনেকেই আশা করেছিলেন, হয়তো স্বাধীনতা দিবসের সময় মুক্তি পাবে এই ছবি। পাশাপাশি চিন্তায় ছিলেন অনেকেই। হলে কি এ বার দেবের কোনও ছবিই পুজোয় মুক্তি পাবে না? খোলা মাঠে গোল দেবে অন্য ছবিগুলি? কিন্তু সেটা হতে দিচ্ছেন না তারকা। পুজোর সময় বাংলা ছবি দেখতে হল ভরান দর্শক। ব্যবসা করার ভাল সময় এই উৎসব। তাই পুজোর সময় মুক্তিপ্রাপ্ত সব ছবির মধ্যেই একটা রেষারেষি চলতে থাকে। সেই যুদ্ধে যে এ বারও শামিল দেব, তা জানিয়ে দিলেন এখন থেকেই। দোলের দিন সকলকে শুভেচ্ছা জানাতে একটি ছবি পোস্ট করেন দেব। সেখানেই দেখা যায় নায়কের চোখে ব্যান্ডেজ। শোনা যায়, ওড়িশায় ‘বাঘাযতীন’ ছবির একটি অ্যাকশন দৃশ্যের শুটিং করতে গিয়েই নাকি চোট লেগেছে তাঁর। তবে এখন তিনি ভাল আছেন। এই ছবির মাধ্যমেই নতুন জুটি পেতে চলেছেন দর্শক। ‘বাঘাযতীন’ ছবির মাধ্যমেই বড় পর্দায় পা রাখছেন নবাগতা অভিনেত্রী সৃজা দত্ত।
|
আশা করছি, আমাদের এই পরিশ্রমের ফল বৃথা যাবে না আপনাদের ভাল লাগবে ২০২৩-এর পুজোয় আসছে বাঘাযতীন” প্রতি বছর পুজোয় দেবের ছবি মুক্তি পাওয়া যেন খানিকটা নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে ২০২২ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘কাছের মানুষ’ অনেক দিন পর ব়ড় পর্দায় একসঙ্গে দর্শক দেখেছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং দেবকে তবে ‘বাঘাযতীন’ যেহেতু স্বাধীনতা সংগ্রামীর গল্প তাই অনেকেই আশা করেছিলেন, হয়তো স্বাধীনতা দিবসের সময় মুক্তি পাবে এই ছবি পাশাপাশি চিন্তায় ছিলেন অনেকেই হলে কি এ বার দেবের কোনও ছবিই পুজোয় মুক্তি পাবে না? খোলা মাঠে গোল দেবে অন্য ছবিগুলি? কিন্তু সেটা হতে দিচ্ছেন না তারকা পুজোর সময় বাংলা ছবি দেখতে হল ভরান দর্শক
|
চালসায় প্রথম বার দেবের সঙ্গে শট, অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন সৌমিতৃষা কুন্ডু
|
আমি সুস্থ আছি, ভালো আছি: সাফা কবির
|
চড়াম চড়াম ঢাক, বিলি চলছে নকুলদানা, গুড়, বাতাসা! কেষ্টকে আটক করতেই গেরুয়া-উল্লাস
|
শুধু আওয়ামী লীগের সাথেই ভারতের সম্পর্ক, বিএনপি নয় কেন?
|
national
|
ছবির উৎস, Narendra Modi/X দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী মোদী। ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিশেষ আমন্ত্রণে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার বিকেলেই বাংলাদেশে ফিরে গেছেন। গত শুক্রবার দিল্লিতে পা রাখার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ‘ফলপ্রসূ’ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও হয়েছে। নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে এনিয়ে গত ন’বছরে দিল্লি, ঢাকা বা শান্তিনিকেতনে দু’জনের মধ্যে অন্তত ন’বার মুখোমুখি দেখা হল। এছাড়া ভার্চুয়ালি তাঁদের মধ্যে কতবার বৈঠক হয়েছে, তার কোনও ইয়ত্তা নেই। লক্ষ্যণীয় হল, এই পুরো সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের যারা প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি (পার্লামেন্টে না-হলেও), সেই বিএনপি'র সঙ্গে ভারতীয় নেতৃত্বর প্রকাশ্যে অন্তত কোনও বৈঠকই হয়নি। না বাংলাদেশে, না ভারতে। প্রধানমন্ত্রী মোদী তো দূরের কথা, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বা সিনিয়র ক্যাবিনেট মন্ত্রীরাও যখন বাংলাদেশ সফর করেছেন, তাঁরাও কেউ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বা ওই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করেননি। অথচ এই সময়ের মধ্যে শুধু দু'দেশের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের মধ্যেই নয়, সরকারি বা দলীয় পর্যায়েও বিজেপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে বহুবার পাল্টাপাল্টি সফর, মতবিনিময় ইত্যাদি হয়েছে। কখনো ট্র্যাক ওয়ান, কখনো বা ট্র্যাক-টু পর্যায়ে। অন্যদিকে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে ভারত শেষবার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ২০১২ সালের অক্টোবরে। তখন দিল্লির ক্ষমতায় ছিল মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বে ইউপিএ-টু সরকার, দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন সালমান খুরশিদ। ছবির উৎস, Getty Images দিল্লির সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিমহা রাও (ডানে)। ১৯৯৫ সেই সফরের পরও ভারতীয় নেতৃত্ব ও বিএনপি'র মধ্যে শীতলতা আদৌ কমেনি। ২০১৪ সালের মে মাসে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি ভারতের ক্ষমতায় আসার পরও সে পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। বরং বিএনপি'র মধ্যে এই ধারণাই ক্রমশ বদ্ধমূল হয়েছে যে ভারত বাংলাদেশে শুধু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গেই সম্পর্ক রেখে চলে। বিএনপি'র শীর্ষ নেতারা ভারতের এই ‘অবস্থানে’র সমালোচনা করে বহুবার প্রকাশ্যেই কথা বলেছেন। কিন্তু বাস্তবেও পরিস্থিতিটা কী সত্যিই সে রকম? বাংলাদেশে ভারত যদি সত্যিই শুধু আওয়ামী লীগের সঙ্গেই সম্পর্ক রেখে চলে, তাহলে সেটা কেন? নাকি পর্দার আড়ালে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলোর সঙ্গেও তাদের যোগাযোগ আছে? ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের রাজনীতি, কূটনীতি বা নিরাপত্তাগত বিষয়গুলো নিয়ে যারা ওয়াকিবহাল এবং নিয়মিত মাথা ঘামান – দিল্লিতে এমন একাধিক বিশেষজ্ঞর সঙ্গে কথা বলে বিবিসি বাংলা এই প্রতিবেদনে সেই প্রশ্নগুলোরই উত্তর খুঁজেছে। ছবির উৎস, Getty Images ইন্দিরা-মুজিবের বিখ্যাত বৈঠকের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে কলকাতায় সাংস্কৃতিক আয়োজন। ২০২২ স্বাধীন বাংলাদেশের অর্ধশতাব্দীরও বেশি ইতিহাসে মোটামুটি তেইশ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকেছে। বাকি ২৭ বছর দেশটিতে হয় সামরিক শাসন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার অথবা বিএনপি সরকার ছিল। ভারতে পর্যবেক্ষকরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, এই ২৭ বছরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক থেমে থাকেনি। এমনকি শেখ মুজিবের হত্যাকাণ্ডের মাত্র পাঁচদিনের মাথায় ঢাকায় ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত সমর সেন সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রপতি খোন্দকার মোশতাক আহমেদের সঙ্গে। পরদিন দু’জনের হাসিমুখে করমর্দনের ছবিও বেরিয়েছিলে ভারতের ‘দ্য হিন্দু’ পত্রিকার প্রথম পাতায়। “পুরো আশির দশকটা জুড়েই জেনারেল এরশাদের সরকারের সঙ্গেও ভারতের কিন্তু রীতিমতো সুসম্পর্ক ছিল”, মনে করিয়ে দিচ্ছেন ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, বিজেপি নেতা তথা বর্ষীয়ান সাংবাদিক এম জে আকবর। ছবির উৎস, Getty Images বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া কয়েক বছর আগেও যারা ভারত সরকারের হয়ে ‘বাংলাদেশ অ্যাফেয়ার্স’ দেখতেন, নরেন্দ্র মোদীর প্রথম ক্যাবিনেটের সদস্য মি আকবর তাদেরই একজন। তিনি বিবিসি বাংলাকে যা বলেছেন, তার মোদ্দা কথাটা হল - ভারতীয় নেতৃত্ব বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়াও আরও বহু দলের সঙ্গে বহু বছর ধরে ‘ডিল করেছে’। সাম্প্রতিক অতীতেও জাতীয় পার্টি, এমনকি সূফী ভাবধারার বহু ইসলামপন্থী দলকেও ভারতে সরকারিভাবে ‘দাওয়াত’ দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। ওই সব দলের নেতারা দিল্লিতে এসে ভারতের নেতা-মন্ত্রী, নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে বৈঠকও করে গেছেন। কিন্তু বিএনপি'র কথাটা একেবারেই আলাদা – বিশেষ করে ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মেয়াদে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের সময়কার অভিজ্ঞতার পর থেকে। দিল্লিতে প্রবীণ নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ শান্তনু মুখার্জি ঢাকার ভারতীয় দূতাবাসেও দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন। তিনি বলেন, “বিএনপি আমলে ভারতের নিরাপত্তাগত স্বার্থ যেভাবে কম্প্রোমাইজড হয়েছিল তাতে ওই দলটিকে নিয়ে আমাদের দ্বিধাদ্বন্দ্ব ও সন্দেহ থাকাটা খুব স্বাভাবিক।” বিবিসি বাংলাকে তিনি আরও বলছিলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জঙ্গী গোষ্ঠীগুলো সে সময় বাংলাদেশে ঢালাও আশ্রয়-প্রশ্রয় পেয়েছিল – এমনকি সরকারি মদতে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ওই জঙ্গীদের জন্য বিপুল পরিমাণ অস্ত্রের চালান পর্যন্ত পাঠানো হয়েছিল। ছবির উৎস, Getty Images এম জে আকবর “অথচ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেই সব কর্মকাণ্ড সমূলে উৎপাটন করেছে, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পরিস্থিতি এখন অনেকটাই শান্ত।” “যে রাজনৈতিক দলটির মদতে ভারতেরই একটা বিস্তীর্ণ অংশে দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গীবাদ প্রশ্রয় পেয়েছে, তাদের সঙ্গে নতুন করে কোনও সম্পর্ক স্থাপনের আগে ভারতকে যে বহুবার ভাবতে হবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই”, বলছিলেন মি মুখার্জি। শুধু নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নয়, অর্থনীতি বা বাণিজ্যেও বিএনপি আমলে ভারতের অভিজ্ঞতা মোটেই সুখকর ছিল না। ওপি জিন্দাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও বাংলাদেশ বিশেষজ্ঞ শ্রীরাধা দত্ত যেমন বলছিলেন, “খালেদা জিয়ার আমলেই কিন্তু এনার্জি ডিল (জ্বালানি চুক্তি) করার চেষ্টা ভেস্তে গিয়েছিল, বাংলাদেশে বিপুল বিনিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে গিয়েও ভারতের টাটা শিল্পগোষ্ঠী ব্যর্থ হয়ে ফিরেছিল।” সব মিলিয়ে ওই পাঁচ বছরের বিএনপি শাসনে ঢাকা ও দিল্লির মধ্যেকার কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। আর সেই তিক্ত অভিজ্ঞতাই আজ দেড় দশক পরেও ভারতকে বিএনপি সম্পর্কে সন্দিগ্ধ করে রেখেছে। বিএনপি-কে ঘিরে ভারতের আর একটা বড় সমস্যা হল জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে তাদের সংস্রব। ছবির উৎস, Getty Images জামাত নেতা মতিউর রহমান নিজামী। বিএনপি জোট সরকারে তিনি শিল্পমন্ত্রী থাকাকালীনই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে অস্ত্র পাচারের ঘটনা ঘটেছিল “জামায়াতে ইসলামী ভারতের চোখে প্রায় একটি নিষিদ্ধ সংগঠন। আর ভারত আজও বিশ্বাস করে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপি এখনও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে চলে”, বিবিসিকে বলছিলেন দিল্লিতে সিনিয়র রাজনৈতিক বিশ্লেষক জয়ন্ত ঘোষাল। যতদিন না জামায়াতের সঙ্গে বিএনপি'র সম্পর্ক পাকাপাকিভাবে ছিন্ন হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত ভারতের পক্ষে বিএনপি'র সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করাও একরকম অসম্ভব বলেই মি. ঘোষালের অভিমত। আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতের পারস্পরিক আস্থার সম্পর্ক শুধু ঐতিহাসিকই নয় – ভারতে কংগ্রেস, জনতা পার্টি, যুক্তফ্রন্ট বা বিজেপি যারাই ক্ষমতায় থাকুক সেই সম্পর্কে কখনো চিড় ধরেনি। একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া থেকেই এই সম্পর্কের সূত্রপাত – ইন্দিরা গান্ধী ও শেখ মুজিবর রহমান উভয়েই যাকে শক্তিশালী করে তুলতে ভূমিকা রেখেছিলেন। তবে এটা ঠিকই যে শেখ মুজিবের জীবদ্দশাতেই ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কে কিছুটা শীতলতা দেখা দেয়, যার ফলে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ সম্বন্ধেও দিল্লিতে কিছু দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ যখন দীর্ঘ একুশ বছর পর বাংলাদেশের ক্ষমতায় ফেরে, তখন থেকেই ভারতের সঙ্গে দলটির ঘনিষ্ঠতার নতুন পর্বের শুরু - যাতে আজও ভাঁটা পড়েনি। ছবির উৎস, Getty Images একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি ঘাঁটি, যাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন ভারতের সেনা কর্মকর্তারা বস্তুত শেখ হাসিনা প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মাত্র কয়েকমাসের মধ্যেই ভারতের তদানীন্তন যুক্তফ্রন্ট সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে ঐতিহাসিক গঙ্গা চুক্তিতে সই করেছিল, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আজও একটি মাইলফলক হিসেবে রয়ে গেছে। দিল্লিতে বহু পর্যবেক্ষকই ধারণা করেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকলে সে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা তুলনামূলক 'নিরাপদ' থাকবেন এবং তাদের ভারতে চলে আসতে হবে না - এই ধারণাটাও হয়তো ভারতের সিদ্ধান্তকে কিছুটা প্রভাবিত করেছে। ঢাকায় ভারতের সাবেক হাই কমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাস যেমন বলছিলেন, “আসলে বাংলাদেশ তো খুব প্রাচীন কোনও দেশ নেয়, মাত্র পঞ্চাশ বছর বয়সী নবীন একটা দেশ। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রে সমকালীন ইতিহাসের একটা ছায়া পড়বে অবধারিতভাবে।” “এখানে মনে রাখতে হবে তাঁর জীবনের খুব কঠিন একটা সময়ে শেখ হাসিনা এই ভারতেই সপরিবার রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছিলেন।” “ফলে আমার মনে হয় ভারতের জন্য তাঁর কাছে সব সময় যেমন একটা আলাদা জায়গা আছে, তেমনি ভারতে যে সরকারই আসুক না কেন তারাও কিন্তু শেখ হাসিনাকে সব সময় বিশেষ চোখে দেখে”, বলছিলেন তিনি। ছবির উৎস, Getty Images দিল্লিতে গঙ্গা চুক্তি স্বাক্ষরের সময় শেখ হাসিনা ও এইচ ডি দেবেগৌড়া। ১৯৯৬ সাবেক বিজেপি এমপি এম জে আকবর আবার বিষয়টাকে একটু ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখতে চান। তাঁর কথা হল, “প্রতিবেশী একটা দেশে ভারত সরকার তো সবার আগে নিজের স্বার্থই দেখবে, তাই না?” “এখন সে দেশে যে দল বা যারা ভারতের স্বার্থর প্রতিও যত্নবান হবে তাদের সঙ্গেই ভারতের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকবে। এর মধ্যে তো কোনও রকেট সায়েন্স নেই!”, বলছিলেন মি আকবর। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পার্টি বা বিএনপি যে তাদের তথাকথিত ভারত-বিরোধিতার রাজনীতিকে পেছনে ফেলে ইদানীংকালে দিল্লির সঙ্গে একটা নতুন সম্পর্ক গড়ে তুলতে চেয়েছে এর মধ্যেও কোনও ভুল নেই। বিবিসি জানতে পেরেছে, বিশেষত ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে একটি হিন্দুত্ববাদী ও দক্ষিণপন্থী সরকার দিল্লির ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির পক্ষ থেকে ভারতের নীতিনির্ধারকদের কাছে অনেকবার রাজনৈতিক ‘ফিলার’ পাঠানো হয়েছে। ছবির উৎস, Getty Images দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদের সঙ্গে বাংলাদেশের বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়া। ২০১২ বিএনপি'র নেতাদের সঙ্গে দিল্লিতে দেখা করেছেন, এমন একজন বিজেপি নেতাই বিবিসিকে বলছিলেন, “আসলে বিএনপি'র বোধহয় একটা ধারণা ছিল যে কংগ্রেসের সঙ্গে শেখ হাসিনার একেবারে পারিবারিক ঘনিষ্ঠতার সম্পর্ক, ক্ষমতা থেকে তাদের বিদায়ের পর বিজেপির সঙ্গে নতুন সম্পর্কের খাতা খোলাই যেতে পারে।” কিন্তু নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পরে পরেই ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ (প্রতিবেশীরা সবার আগে) পররাষ্ট্রনীতি ঘোষণা করে বুঝিয়ে দেন কংগ্রেস জমানার বাংলাদেশ নীতিতে তিনি কোনও পরিবর্তন আনবেনই না – বরং ঘরের পাশে এই বন্ধু দেশটি তাঁর সরকারের কাছে সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও অতি দ্রুত তাঁর একটা ‘পার্সোনাল কেমিস্ট্রি’ বা ব্যক্তিগত রসায়নও গড়ে ওঠে। ফলে বিএনপিকে শুধু হতাশই হতে হয়নি, কংগ্রেস জমানায় তাদের সঙ্গে দিল্লির তবু যেটুকু সম্পর্ক ছিল সেটাও ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে এসেছে। ছবির উৎস, Shantanu Mukherjee নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ শান্তনু মুখার্জি বস্তুত ২০১২ সালে কংগ্রেস আমলেই শেষবারের মতো বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে ভারতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ দিল্লিতে তাঁর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকও করেছিলেন। খালেদা জিয়ার সেই দিল্লি সফরের সময় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সৈয়দ আকবরউদ্দিন এমনও পর্যন্ত বলেছিলেন, “আগে যা ঘটেছে তা ঘটে গেছে। আমরা এখন সামনে এগোতে চাই, আর রিয়ার ভিউ মিররে তাকাতে চাই না!” কিন্তু এর মাস চারেকের মধ্যেই ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির ঢাকা সফরে তখনকার বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়া তাঁর সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকার করেন – দু'পক্ষের সম্পর্ক আবার যে তিমিরে ছিল, ফিরে যায় সে তিমিরেই। এই মুহূর্তে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ভারতের ‘টুকটাক’ যেটুকু সম্পর্ক, সেটাও কিন্তু কখনোই প্রকাশ করা হয় না। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ শান্তনু মুখার্জির কথায়, “এর পরও অবশ্য বিএনপি নেতারা নিয়মিতই ভারত সফরের ভিসা পান। আমি জানি তাঁদের অনেকেই চিকিৎসার কারণে ভারতে আসেন, অনেকেই আবার আজমির শরিফে মাজার জিয়ারত করতে যান।” “তো এই সব সফরে কার কার সঙ্গে তাদের দেখা হচ্ছে সেটা তো আর আমরা সব সময় জানতে পারি না। সব কিছু আসলে বাইরে প্রকাশও করা যায় না”, বলছিলেন মি মুখার্জি। ছবির উৎস, PTI ভারতে অবস্থানরত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ। মার্চ, ২০২৩ বিএনপি'র সঙ্গে ভারত যে একেবারে যোগাযোগের সব রাস্তা বন্ধ করে দেয়নি, নানা সময়ে তার অবশ্য নানা প্রমাণও মিলেছে। বছরতিনেক আগেও ঢাকায় ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করে দলের ইফতার পার্টিতে যোগ দিয়েছেন। বর্তমান হাই কমিশনারও বিএনপি নেতাদের নিজ বাসভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বিএনপির হাতেগোনা এমপি-দের মধ্যেও কেউ কেউ সংসদীয় প্রতিনিধিদলের অংশ হিসেবে ভারত সফর করে গেছেন। বিএনপি-র অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা ও খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সালাউদ্দিন আহমেদও অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করার দায়ে শিলংয়ে দীর্ঘদিন সাজাভোগ করার পর এখন আদালত থেকে অব্যাহতি পেয়ে দিল্লিতে অবস্থান করছেন। সব মামলা মিটে যাওয়ার পরও ভারত কেন তাঁকে এ দেশে থাকার অনুমতি দিয়েছে, সেই কারণটা অনুমান করাও বোধহয় খুব কঠিন কিছু নয়। রাজনীতি বা কূটনীতিতে স্থায়ী শত্রু বা স্থায়ী বন্ধু বলে কিছু হয় না – এটা প্রায় একটা আপ্তবাক্য বলে মানা হয়। বস্তুত বাংলাদেশের একটি প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে বিএনপি-র সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার তাগিদ ভারতের দিক থেকেও আছে, কিন্তু এখানে আওয়ামী লীগই একটা বড় বাধা হয়ে দেখা দিচ্ছে বলে কোনও কোনও পর্যবেক্ষকের অভিমত। নাম প্রকাশ না-করার শর্তে ভারতের একজন সাবেক কূটনীতিক বিবিসিকে বলছিলেন, “বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিভাজনটা এত শক্তিশালী যে অন্য কোনও দেশের সঙ্গে তার আসলে তুলনাই চলে না।” “আওয়ামী লীগ মনে করে ভারত যদি তাদের সঙ্গে সম্পর্ককে মর্যাদা দেয়, তাহলে বিএনপি-র সঙ্গে ভারতের কোনও যোগাযোগই রাখা উচিত নয়। আবার বিএনপি ক্ষমতায় থাকলেও নিশ্চয় ঠিক একইরকমভাবে ভাবত।” “আমরা তো ঠাট্টা করে এক সময় বলতাম বাংলাদেশে বোধহয় ‘এ’ আর ‘বি’ – শুধু এই দুটোই ব্লাড গ্রুপ। একদল আওয়ামী লীগ, অন্যরা বিএনপি – এর বাইরে আর কিছু নেই”, হাসতে হাসতে বলছিলেন দীর্ঘদিন ঢাকায় কাজ করে আসা অবসরপ্রাপ্ত ওই কর্মকর্তা। দক্ষিণ এশিয়ার যে সব দেশের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালী, তার প্রায় প্রতিটিতেই ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দল – উভয়ের সঙ্গেই ভারত যোগাযোগ রেখে চলে, এটাই মোটামুটি দস্তুর। ছবির উৎস, Getty Images ঢাকার রাজপথে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ। জুলাই ২০২৩ অর্থাৎ নেপালে যখন কমিউনিস্ট পার্টি বা ধরা যাক সাবেক মাওবাদীরা ক্ষমতায়, তখন নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ বা ‘চ্যানেল অব কমিউনিকেশন’গুলো বন্ধ হয়ে যায় না। কিংবা শ্রীলঙ্কায় যখন ভারতের মিত্র বলে পরিচিত মৈত্রীপালা সিরিসেনা ক্ষমতায় ছিলেন, প্রভাবশালী রাজাপাকসা পরিবারের সঙ্গেও ভারত নিয়মিত সম্পর্ক রেখে চলত। শ্রীলঙ্কা সরকারেরও সেটা অজানা ছিল না। “কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে পরিস্থিতিটা একেবারেই আলাদা। ওখানে ধরেই নেওয়া হয় আপনি হয় আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবেন, কিংবা অন্য পক্ষের সাথে। আমরা কিংবা ওরা – এর মাঝামাঝি কিছু নেই”, বলছিলেন ওই সাবেক কূটনীতিক। বহু নামী থিঙ্কট্যাঙ্কের হয়ে দীর্ঘদিন বাংলাদেশ নিয়ে গবেষণা করা শ্রীরাধা দত্তর মতে, বাংলাদেশের দুটো প্রধান রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে ‘বিদ্বেষটা একেবারে প্যাথোলজিকাল’ বলেই সেখানে এরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ভারতের বহু বিশেষজ্ঞ বা পর্যবেক্ষক যখন ঢাকায় বা চট্টগ্রামে যান, তারা যদি সেখানে গিয়ে দুই দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গেই এমন কী সামাজিকভাবেও মেলামেশা করতে যান তাহলেও তাদের অন্য পক্ষের ক্ষোভ বা অনুযোগের মুখে পড়তে হয়। “তবে এটার পেছনে কিছু কারণও আছে। যেমন ধরুন ২০০৪ সালে যে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার চেষ্টা হয়েছিল তাতে জিয়া পরিবারের সরাসরি হাত ছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে।” ছবির উৎস, Sreeradha Dutta শ্রীরাধা দত্ত “ফলে আওয়ামী লীগ কেন বিএনপিকে এতটুকুও ছাড় দিতে রাজি নয় বা কেন পারস্পরিক বিদ্বেষটা এত প্রবল তা বোঝা কঠিন নয় মোটেই”, বিবিসিকে বলছিলেন দিল্লির জেএনইউ-তে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একজন অধ্যাপক, যাকে গবেষণার কাজে নিয়মিত বাংলাদেশে যেতে হয়। আরএসএস নেতা রাম মাধব ‘ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন’ নামে যে সংগঠনটির সঙ্গে যুক্ত, তারা গত বেশ কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের সুশীল সমাজ ও রাজনীতিবিদদের সঙ্গে ভারতের ট্র্যাক-টু আলোচনার আয়োজন করে আসছে। কখনো ঢাকায়, কখনো বা দিল্লি বা সিমলাতে এই বৈঠকগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে বাংলাদেশের তরফে শুধু আওয়ামী লীগ নেতা-মন্ত্রী বা ওই দলের সমর্থকদেরই বৈঠকে দেখা যায়। “আমরা যখনই বৈঠকে বিএনপি নেতাদেরও ডাকার কথা বলেছি, তখন কিন্তু শাসক দলের দিক থেকেই বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। বলা হয়েছে, বিএনপি-র সঙ্গে এক মঞ্চে কোনও আলোচনাই সম্ভব নয়!”, বিবিসিকে বলছিলেন এই বৈঠকগুলোর আয়োজনের সঙ্গে জড়িত একজন কর্মকর্তা। ফলে বাংলাদেশে কেন শুধু একটিমাত্র রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই ভারতকে প্রকাশ্য যোগাযোগ রেখে চলতে হয়, তা সহজবোধ্য। আর তাতেই ভারতের স্বার্থ সবচেয়ে ভালভাবে রক্ষিত হচ্ছে, এটাও অবশ্যই দিল্লিতে নীতিনির্ধারকদের মাথায় থাকে।
|
” কিন্তু নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পরে পরেই ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ (প্রতিবেশীরা সবার আগে) পররাষ্ট্রনীতি ঘোষণা করে বুঝিয়ে দেন কংগ্রেস জমানার বাংলাদেশ নীতিতে তিনি কোনও পরিবর্তন আনবেনই না – বরং ঘরের পাশে এই বন্ধু দেশটি তাঁর সরকারের কাছে সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও অতি দ্রুত তাঁর একটা ‘পার্সোনাল কেমিস্ট্রি’ বা ব্যক্তিগত রসায়নও গড়ে ওঠে ফলে বিএনপিকে শুধু হতাশই হতে হয়নি, কংগ্রেস জমানায় তাদের সঙ্গে দিল্লির তবু যেটুকু সম্পর্ক ছিল সেটাও ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে এসেছে ছবির উৎস, Shantanu Mukherjee নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ শান্তনু মুখার্জি বস্তুত ২০১২ সালে কংগ্রেস আমলেই শেষবারের মতো বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে ভারতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ দিল্লিতে তাঁর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকও করেছিলেন খালেদা জিয়ার সেই দিল্লি সফরের সময় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সৈয়দ আকবরউদ্দিন এমনও পর্যন্ত বলেছিলেন, “আগে যা ঘটেছে তা ঘটে গেছে আমরা এখন সামনে এগোতে চাই, আর রিয়ার ভিউ মিররে তাকাতে চাই না!” কিন্তু এর মাস চারেকের মধ্যেই ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির ঢাকা সফরে তখনকার বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়া তাঁর সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকার করেন – দু'পক্ষের সম্পর্ক আবার যে তিমিরে ছিল, ফিরে যায় সে তিমিরেই এই মুহূর্তে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ভারতের ‘টুকটাক’ যেটুকু সম্পর্ক, সেটাও কিন্তু কখনোই প্রকাশ করা হয় না নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ শান্তনু মুখার্জির কথায়, “এর পরও অবশ্য বিএনপি নেতারা নিয়মিতই ভারত সফরের ভিসা পান আমি জানি তাঁদের অনেকেই চিকিৎসার কারণে ভারতে আসেন, অনেকেই আবার আজমির শরিফে মাজার জিয়ারত করতে যান” “তো এই সব সফরে কার কার সঙ্গে তাদের দেখা হচ্ছে সেটা তো আর আমরা সব সময় জানতে পারি না সব কিছু আসলে বাইরে প্রকাশও করা যায় না”, বলছিলেন মি মুখার্জি ছবির উৎস, PTI ভারতে অবস্থানরত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ মার্চ, ২০২৩ বিএনপি'র সঙ্গে ভারত যে একেবারে যোগাযোগের সব রাস্তা বন্ধ করে দেয়নি, নানা সময়ে তার অবশ্য নানা প্রমাণও মিলেছে বছরতিনেক আগেও ঢাকায় ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করে দলের ইফতার পার্টিতে যোগ দিয়েছেন বর্তমান হাই কমিশনারও বিএনপি নেতাদের নিজ বাসভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বিএনপির হাতেগোনা এমপি-দের মধ্যেও কেউ কেউ সংসদীয় প্রতিনিধিদলের অংশ হিসেবে ভারত সফর করে গেছেন বিএনপি-র অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা ও খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সালাউদ্দিন আহমেদও অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করার দায়ে শিলংয়ে দীর্ঘদিন সাজাভোগ করার পর এখন আদালত থেকে অব্যাহতি পেয়ে দিল্লিতে অবস্থান করছেন সব মামলা মিটে যাওয়ার পরও ভারত কেন তাঁকে এ দেশে থাকার অনুমতি দিয়েছে, সেই কারণটা অনুমান করাও বোধহয় খুব কঠিন কিছু নয় রাজনীতি বা কূটনীতিতে স্থায়ী শত্রু বা স্থায়ী বন্ধু বলে কিছু হয় না – এটা প্রায় একটা আপ্তবাক্য বলে মানা হয় বস্তুত বাংলাদেশের একটি প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে বিএনপি-র সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করার তাগিদ ভারতের দিক থেকেও আছে, কিন্তু এখানে আওয়ামী লীগই একটা বড় বাধা হয়ে দেখা দিচ্ছে বলে কোনও কোনও পর্যবেক্ষকের অভিমত নাম প্রকাশ না-করার শর্তে ভারতের একজন সাবেক কূটনীতিক বিবিসিকে বলছিলেন, “বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিভাজনটা এত শক্তিশালী যে অন্য কোনও দেশের সঙ্গে তার আসলে তুলনাই চলে না” “আওয়ামী লীগ মনে করে ভারত যদি তাদের সঙ্গে সম্পর্ককে মর্যাদা দেয়, তাহলে বিএনপি-র সঙ্গে ভারতের কোনও যোগাযোগই রাখা উচিত নয় আবার বিএনপি ক্ষমতায় থাকলেও নিশ্চয় ঠিক একইরকমভাবে ভাবত” “আমরা তো ঠাট্টা করে এক সময় বলতাম বাংলাদেশে বোধহয় ‘এ’ আর ‘বি’ – শুধু এই দুটোই ব্লাড গ্রুপ একদল আওয়ামী লীগ, অন্যরা বিএনপি – এর বাইরে আর কিছু নেই”, হাসতে হাসতে বলছিলেন দীর্ঘদিন ঢাকায় কাজ করে আসা অবসরপ্রাপ্ত ওই কর্মকর্তা দক্ষিণ এশিয়ার যে সব দেশের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালী, তার প্রায় প্রতিটিতেই ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দল – উভয়ের সঙ্গেই ভারত যোগাযোগ রেখে চলে, এটাই মোটামুটি দস্তুর ছবির উৎস, Getty Images ঢাকার রাজপথে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ জুলাই ২০২৩ অর্থাৎ নেপালে যখন কমিউনিস্ট পার্টি বা ধরা যাক সাবেক মাওবাদীরা ক্ষমতায়, তখন নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ বা ‘চ্যানেল অব কমিউনিকেশন’গুলো বন্ধ হয়ে যায় না কিংবা শ্রীলঙ্কায় যখন ভারতের মিত্র বলে পরিচিত মৈত্রীপালা সিরিসেনা ক্ষমতায় ছিলেন, প্রভাবশালী রাজাপাকসা পরিবারের সঙ্গেও ভারত নিয়মিত সম্পর্ক রেখে চলত শ্রীলঙ্কা সরকারেরও সেটা অজানা ছিল না “কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে পরিস্থিতিটা একেবারেই আলাদা ওখানে ধরেই নেওয়া হয় আপনি হয় আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবেন, কিংবা অন্য পক্ষের সাথে আমরা কিংবা ওরা – এর মাঝামাঝি কিছু নেই”, বলছিলেন ওই সাবেক কূটনীতিক বহু নামী থিঙ্কট্যাঙ্কের হয়ে দীর্ঘদিন বাংলাদেশ নিয়ে গবেষণা করা শ্রীরাধা দত্তর মতে, বাংলাদেশের দুটো প্রধান রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে ‘বিদ্বেষটা একেবারে প্যাথোলজিকাল’ বলেই সেখানে এরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ভারতের বহু বিশেষজ্ঞ বা পর্যবেক্ষক যখন ঢাকায় বা চট্টগ্রামে যান, তারা যদি সেখানে গিয়ে দুই দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গেই এমন কী সামাজিকভাবেও মেলামেশা করতে যান তাহলেও তাদের অন্য পক্ষের ক্ষোভ বা অনুযোগের মুখে পড়তে হয় “তবে এটার পেছনে কিছু কারণও আছে যেমন ধরুন ২০০৪ সালে যে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার চেষ্টা হয়েছিল তাতে জিয়া পরিবারের সরাসরি হাত ছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে
|
স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরে আন্তর্জাতিক পরিসরে ভারত ঠিক কোথায়?
|
টিকিট কাটুন আগে, টাকা দিন পরে; ভারতীয় রেলের নয়া পরিষেবা
|
দামি দামি সাপ্লিমেন্ট খেয়েও ওজন কমছে না? কী খেলে মেদ ঝরবে কম খরচেই?
|
প্রয়াত মদন ঘোষ
|
state
|
শুক্রবার সকালে বর্ধমানে নিজের বাসভবনে প্রয়াত হলেন প্রবীণ সিপিআই (এম) নেতা মদন ঘোষ। পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি ও রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর প্রাক্তন সদস্য ছিলেন তিনি। বর্ধমান জেলার সম্পাদকের দায়িত্ব সামলাচেন তিনি। বর্ধমান জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি, প্রাক্তন বিধায়ক কমরেড মদন ঘোষ আজ সকাল ৭-১০মিনিটে প্রয়াত হয়েছেন।
|
পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি ও রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর প্রাক্তন সদস্য ছিলেন তিনি
|
কমরেড মদন ঘোষের দেহ দান চিকিৎসা গবেষণার জন্য
|
প্রযুক্তির হাতে ভোটের চাবি
|
পার্টির প্রতিষ্ঠা দিবসে আজ সভা
|
পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটে সহিংসতায় নিহত ১১, পাল্টাপাল্টি দোষারোপ
|
national
|
'সন্ত্রাস থামান' পুলিশকে হাতজোড় করে আবেদন বৃদ্ধের। শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙ্গরে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েতের ভোটগ্রহণের দিন শনিবার ব্যাপক সহিংসতার ছবি উঠে এসেছে। সরকারি সূত্রগুলি উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে শনিবার নির্বাচনী সহিংসতায় মারা গেছেন অন্ততঃ ১১ জন, যদিও নির্বাচন কমিশনের হিসাবে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে । এই সহিংসতার অনেকগুলিতেই ক্ষমতাসীন তৃণমূলকে যেভাবে বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়েছে , তা দেখে বিশ্লেষকরা মনে করছেন দলটি সম্ভবত কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে এই ভোটে। সবথেকে বেশি সহিংসতার ঘটনা সামনে এসেছে কোচবিহার, মুর্শিদাবাদ, মালদা, পূর্ব বর্ধমান থেকে। এছাড়াও নদীয়া, বীরভূম, দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও সহিংসতা হয়েছেে। রাজ্যের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ করেছে যে নিহতদের বেশিরভাগই তাদের দলের কর্মী। প্রধান বিরোধী দল বিজেপি, কংগ্রেস আর সিপিআইএম কর্মী-সমর্থকদের নামও শনিবারের সহিংসতায় নিহতের তালিকায় উঠে এসেছে। রক্ত ঝরতে শুরু করে সকাল থেকেই এদিন সকাল থেকেই রাজনৈতিক কর্মীদের হত্যা, বোমাবাজি, বুথ দখল হয়ে যাওয়া বা ছাপ্পা ভোট দেওয়ার খবর আসতে থাকে। কিন্তু এবারের ভোটে একেবারেই নতুন ঘটনা দেখা গেছে নানা জায়গায়, যেখানে আস্ত ব্যালট বাক্স উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া বা পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। নানা জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী-দলীয় কর্মীদের জোটবদ্ধ প্রতিরোধ-এর মুখে পড়ে মারও খেয়েছে। ভোটগ্রহণের দিন সবথেকে বেশি মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে। প্রশাসনের সূত্রগুলি জানিয়েছে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার ভোটের দিন দুপুর পর্যন্ত সেখানে পাঁচ জন খুন হয়েছেন। এদের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসেরই তিনজন, এক কংগ্রেস কর্মী এবং এক সিপিআইএম কর্মী বলে স্থানীয় সূত্রগুলি জানাচ্ছে। ডোমকল, রানিনগর প্রভৃতি এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজিও হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলি ভিডিওতে দেখাচ্ছে যে রানিনগর এলাকায় হাতে কাটারি আর বোমা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে এক ব্যক্তি রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন, সংবাদমাধ্যমকে দেখেই তিনি উল্টোদিকে ঘুরে যান। ব্যাগ থেকে একটা বোমা বার করে তাকে ছুঁড়তেও দেখা যায়। বিকেলের দিকে ডোমকল থেকে আবারও গুলি চলার খবর পাওয়া গেছে। সহিংসতার নিরিখে এরপরেই উঠে এসেছে কোচবিহার জেলার নাম। সেখানকার প্রশাসন স্থানীয় সাংবাদিকদের সকালেই জানায় যে বিজেপির এক বুথ এজেন্ট এবং এক তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছেন, বোমার আঘাতে আহত হন এক সিপিআইএম প্রার্থী। আবার কোচবিহারের দিনহাটা জেলায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে দলীয় কর্মীরা বুথের বাইরে ব্যালট বাক্স নিয়ে এসে তা ভেঙ্গে আগুন ধরিয়ে দেন। সেই ভিডিও বিবিসির কাছে এসেছে। এক বিজেপি কর্মীকে বলতে শোনা গেছে, “তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা এই বুথে ছাপ্পা ভোট দিয়ে গিয়েছিল, তাই আমরা ব্যালট বাক্সগুলিকেই ধ্বংস করে দিচ্ছি।“ ব্যালট বাক্স বুথ থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া আর তা পুকুরের জলে অথবা নর্দমায় ফেলে দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে কলকাতা লাগোয়া জ্যাংড়া, হাওড়ার অঙ্কুরহাটি, বীরভূমের খয়রাশোল সহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে। “এ জিনিষ আমার কাছে একেবারেই নতুন,” বলছিলেন ১৯৯৩ সাল থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের খবর সংগ্রহ করে আসা বর্ষীয়ান সাংবাদিক ও বিশ্লেষক অমল সরকার। দ্য ওয়াল পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মি. সরকারের কথায়, “অনেক ধরনের নির্বাচনী সহিংসতা বা ভোট কারচুপি দেখেছি, কিন্তু ক্ষমতাসীন দল ছাপ্পা ভোট দিয়েছে- এই অভিযোগে বিরোধীরা ভোট বাক্স নষ্ট করে দিচ্ছে, বা বাক্সের ভেতরে জল ঢেলে ব্যালট নষ্ট করে দিচ্ছে, তা আগে কখনও দেখি নি। আর টিভিতে যা সব ছবি দেখাচ্ছে, তাতে স্পষ্ট যে যারা এগুলো করছে, তারা নিজেদের মুখ লুকোতেও আগ্রহী নয়। প্রকাশ্যেই করছে এটা।“ ব্যালট বাক্স জ্বালিয়ে দেওয়া বা জলে ফেলে দেওয়া একেবারই নতুন দৃশ্য পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনার দায়িত্ব রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। বর্তমানে যিনি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার, রাজ্যের সেই প্রাক্তন মুখ্য সচিব কাজে যোগ দেওয়ার পরের দিনই এক দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন করার ঘোষণা করে দেন। ভোট ঘোষণার পর থেকেই তার কাজকর্ম নিয়ে বিরোধীরা, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, এমনকি কলকাতা হাইকোর্টও বারবার প্রশ্ন তুলেছে। মি. সিনহা শনিবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘‘কোথাও ভোটদান আটকে গেছে, কোথাও দুষ্কৃতীরা ব্যালট বাক্স নিয়ে পালিয়ে গেছে। এই ধরনের অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে পেরেছি।’’ তার কথায়, ‘‘আইনশৃঙ্খলা রাজ্য পুলিশের বিষয়। আমাদের কাছে খবর এলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে বলি। পুলিশ নিজের তাগিদে এফআইআর করবে। দরকারে গ্রেফতার করবে। তদন্ত করবে।’’ ‘‘আমাদের কাজ ব্যবস্থাপনা। কেউ গ্যারান্টি দিতে পারবে না, কে কাকে গুলি করে মেরে দেবে। কিন্তু ব্যবস্থার দিক থেকে বলতে পারি, আমরা সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছি যাতে ভোটারেরা ভোট দিতে পারেন,” জানিয়েছেন মি. সিনহা। তবে সত্যিই কি সব ব্যবস্থা করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন? কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই ভোটের নিরাপত্তার জন্য প্রায় ৮০ হাজার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী আনার কথা ছিল নির্বাচন কমিশনের। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীগুলির সঙ্গে নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য পুলিশের মধ্যে সমন্বয় করছে বিএসএফ। তারা জানাচ্ছে ৫৯ হাজার কেন্দ্রীয় এবং অন্য রাজ্য থেকে আসা বাহিনীর সদস্যদের শুধুমাত্র স্পর্শকাতর এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে, বাকি বাহিনীকে অন্যান্য ভোট কেন্দ্রে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পাঠানো হয়েছে। সেই বাহিনীর একটা বড় অংশ শুক্রবার রাতে এমনকি শনিবার ভোট শুরু হওয়ার সময়েও রাজ্যে এসে পৌঁছয় নি। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা নিয়েও বিরোধী দলগুলি কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে শনিবার। বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, “পুরো রাজ্যে যেভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, সেটা মমতা ব্যানার্জী এবং রাজীব সিনহা খুব চালাকির সঙ্গে করেছেন। আমার এলাকার ৫০ শতাংশ বুথে তো কেন্দ্রীয় বাহিনী ঢোকেই নি, এমনকি রাজ্য পুলিশও ছিল না অনেক জায়গায়। আদালত বারবার বলে দিয়েছিল সিভিক পুলিশ দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করানো যাবে না, অথচ সেটাই হয়েছে।“ বুথ দখল করে ব্যালট ছিনতাই হয়েছে অনেক জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেস বলছে পুরো রাজ্যে শান্তিতে ভোট হলেও ছয়-সাতটি জেলা টার্গেট করে তাদের দলের কর্মীদের ওপরে হামলা চালিয়েছে বিরোধীরা। দলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “রাজ্যে ৬০ হাজারের বেশি বুথ একেবারে ঘটনা-বিহীন। কয়েকটা বুথে তৃণমূল কংগ্রেসকে টার্গেট করে কংগ্রেস, সিপিআইএম, আর বিজেপি হামলা করেছে।“ তার দাবী, ছয়জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী শনিবার মারা গেছেন। তিনি আরও বলেন, “এই ভোটে বিরোধীরা যে হারতে চলেছে, তার গাওনা গাওয়ার জন্য এই মৃত্যুগুলো দরকার ছিল।“ রাজনৈতিক বিশ্লেষক অমল সরকারের কথায়, “এটা ঠিক যে এবার বিরোধী দলগুলো অনেক জায়গাতেই তৃণমূল কংগ্রেসকে কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। কিছুটা জোর যার মুলুক তার-এর মতো ব্যাপার হয়েছে। যেখানে সাংগঠনিকভাবে বিজেপি শক্তিশালী সেখানে তারা তৃণমূলকে চাপে ফেলেছে, এমনকি কংগ্রেস বা সিপিআইএমও তাদের শক্তি দেখিয়েছে কয়েকটা জায়গায়।“ তিনি বলছিলেন, “পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস যে কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে, এরকম অনেকেই ভাবছিলেন, শনিবারের ভোটে সেই ছবি কিছুটা তো দেখা গেলই।“ আগামী বছর লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেসকে আদৌ কোনও চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে কী না, সেটা স্পষ্ট হবে পঞ্চায়েতের ভোট গণনার দিন, ১১ই জুলাই।
|
রাজ্যের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ করেছে যে নিহতদের বেশিরভাগই তাদের দলের কর্মী প্রধান বিরোধী দল বিজেপি, কংগ্রেস আর সিপিআইএম কর্মী-সমর্থকদের নামও শনিবারের সহিংসতায় নিহতের তালিকায় উঠে এসেছে রক্ত ঝরতে শুরু করে সকাল থেকেই এদিন সকাল থেকেই রাজনৈতিক কর্মীদের হত্যা, বোমাবাজি, বুথ দখল হয়ে যাওয়া বা ছাপ্পা ভোট দেওয়ার খবর আসতে থাকে কিন্তু এবারের ভোটে একেবারেই নতুন ঘটনা দেখা গেছে নানা জায়গায়, যেখানে আস্ত ব্যালট বাক্স উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া বা পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে নানা জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী-দলীয় কর্মীদের জোটবদ্ধ প্রতিরোধ-এর মুখে পড়ে মারও খেয়েছে ভোটগ্রহণের দিন সবথেকে বেশি মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে প্রশাসনের সূত্রগুলি জানিয়েছে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার ভোটের দিন দুপুর পর্যন্ত সেখানে পাঁচ জন খুন হয়েছেন এদের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসেরই তিনজন, এক কংগ্রেস কর্মী এবং এক সিপিআইএম কর্মী বলে স্থানীয় সূত্রগুলি জানাচ্ছে ডোমকল, রানিনগর প্রভৃতি এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজিও হয় স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলি ভিডিওতে দেখাচ্ছে যে রানিনগর এলাকায় হাতে কাটারি আর বোমা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে এক ব্যক্তি রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন, সংবাদমাধ্যমকে দেখেই তিনি উল্টোদিকে ঘুরে যান ব্যাগ থেকে একটা বোমা বার করে তাকে ছুঁড়তেও দেখা যায় বিকেলের দিকে ডোমকল থেকে আবারও গুলি চলার খবর পাওয়া গেছে সহিংসতার নিরিখে এরপরেই উঠে এসেছে কোচবিহার জেলার নাম সেখানকার প্রশাসন স্থানীয় সাংবাদিকদের সকালেই জানায় যে বিজেপির এক বুথ এজেন্ট এবং এক তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছেন, বোমার আঘাতে আহত হন এক সিপিআইএম প্রার্থী আবার কোচবিহারের দিনহাটা জেলায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে দলীয় কর্মীরা বুথের বাইরে ব্যালট বাক্স নিয়ে এসে তা ভেঙ্গে আগুন ধরিয়ে দেন সেই ভিডিও বিবিসির কাছে এসেছে এক বিজেপি কর্মীকে বলতে শোনা গেছে, “তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা এই বুথে ছাপ্পা ভোট দিয়ে গিয়েছিল, তাই আমরা ব্যালট বাক্সগুলিকেই ধ্বংস করে দিচ্ছি“ ব্যালট বাক্স বুথ থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া আর তা পুকুরের জলে অথবা নর্দমায় ফেলে দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে কলকাতা লাগোয়া জ্যাংড়া, হাওড়ার অঙ্কুরহাটি, বীরভূমের খয়রাশোল সহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে “এ জিনিষ আমার কাছে একেবারেই নতুন,” বলছিলেন ১৯৯৩ সাল থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের খবর সংগ্রহ করে আসা বর্ষীয়ান সাংবাদিক ও বিশ্লেষক অমল সরকার দ্য ওয়াল পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মি. সরকারের কথায়, “অনেক ধরনের নির্বাচনী সহিংসতা বা ভোট কারচুপি দেখেছি, কিন্তু ক্ষমতাসীন দল ছাপ্পা ভোট দিয়েছে- এই অভিযোগে বিরোধীরা ভোট বাক্স নষ্ট করে দিচ্ছে, বা বাক্সের ভেতরে জল ঢেলে ব্যালট নষ্ট করে দিচ্ছে, তা আগে কখনও দেখি নি আর টিভিতে যা সব ছবি দেখাচ্ছে, তাতে স্পষ্ট যে যারা এগুলো করছে, তারা নিজেদের মুখ লুকোতেও আগ্রহী নয়
|
উত্তর প্রদেশে পথ দুর্ঘটনায় নিহত ১১
|
পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতা, নিহত ৮
|
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান কেন পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে গুরুত্বপূর্ণ
|
ভারতে আইফোন-প্রেম বাড়ায় দ্বিগুণ হল আয়: টিম কুক
|
lifestyle
|
২০২২ সালের এপ্রিল থেকে জুন মাসে রেকর্ড আয় হয়েছে ‘অ্যাপেল’-এর। ৮,৩০০ কোটি ডলার লাভ করেছে সংস্থা। আর এই রেকর্ড ব্যবসার পিছনে অনেকটাই অবদান রয়েছে ভারতের। সম্প্রতি এমনই জানালেন সংস্থার শীর্ষ কর্তা টিম কুক। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে জর্জরিত এই সময়ও আইফোন বিক্রি প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে ভারতে। আর সে কারণেই এমন লাভ সম্ভব হয়েছে। টিম কুক।
ছবি- সংগৃহীত গত বছর থেকেই অ্যাপেল-কর্তারা লক্ষ করছেন, এ দেশে আইফোনের বিক্রি বাড়ছে। ভারতে জনসংখ্যা বেশি। তাই এ ধরনের দেশে লাভ বাড়ানোর দিকে মনও দেয় বিভিন্ন বড় সংস্থা। সাধারণত ভারতীয় ক্রেতাদের জন্য আইফোন বেশ দামি বলেই ধরা হয়ে থাকে। কিন্তু গত বছর নভেম্বরের শেষে দেখা যায়, যে সব বিদেশি দ্রব্যের বিক্রি লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ দেশে, সেই তালিকার উপরের দিকে রয়েছে আইফোন। তার ফলই মিলল এ বছর। এ দেশে মোবাইল ফোনের বিক্রি সার্বিক ভাবেই দিন দিন বাড়ছে। তার উপর আইফোন ঘিরে তৈরি হয়েছে আগ্রহ। সংস্থার সমীক্ষা বলছে, আইফোন ১২-র চাহিদা এ দেশে সবচেয়ে বেশি। লাভের ৪১ শতাংশ এসেছে সেই মডেল থেকে। এর পর জনপ্রিয় হল আইফোন ১৩। সেখান থেকে ৩২ শতাংশ এসেছে। আর আইফোন ১১ থেকে ১৭ শতাংশ লাভ এসেছে।
|
৮,৩০০ কোটি ডলার লাভ করেছে সংস্থা আর এই রেকর্ড ব্যবসার পিছনে অনেকটাই অবদান রয়েছে ভারতের সম্প্রতি এমনই জানালেন সংস্থার শীর্ষ কর্তা টিম কুক সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে জর্জরিত এই সময়ও আইফোন বিক্রি প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে ভারতে আর সে কারণেই এমন লাভ সম্ভব হয়েছে টিম কুক
ছবি- সংগৃহীত গত বছর থেকেই অ্যাপেল-কর্তারা লক্ষ করছেন, এ দেশে আইফোনের বিক্রি বাড়ছে
|
ভারতে ক্রমশ ব্যবসা বাড়ছে Apple-র, জানালেন সংস্থার কর্ণধার টম কুক
|
ভারতীয় টিকা নেবেন না কোহলিরা
|
দাবি পলিট ব্যুরোর:মালিকের তোলা অভিযোগেরজবাব দিতে হবে মোদী সরকারকে
|
ফের কমেছে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম
|
international
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ফের কমেছে। প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ৯৪.২৬ ডলার থেকে ৮৪ সেন্ট কমে হয়েছে ৯৩ দশমিক ৪২ ডলার। আর ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুড তেলের প্রতি ব্যারেলের দাম ৮৮ দশমিক ৯৬ ডলার থেকে ৪৫ সেন্ট কমে হয়েছে ৮৮ দশমিক ৫১ ডলার। তেলের দাম কমার এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের আগস্টের তুলনায় চলতি বছরের আগস্টে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমেছে প্রায় ৩ শতাংশ। গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বাঁধার পর থেকেই মন্দাভাব শুরু হয়েছে জ্বালানি তেলের বাজারে। জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার পর্যবেক্ষণকারী বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, শতাংশ হিসেবে গত ৬ মাসে বিশ্ব বাজারে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম কমেছে ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ ও ডব্লিউটিআইয়ের দাম কমেছে ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। এর আগে, সোমবারও বিশ্ব বাজারে ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচারের দাম প্রতি ব্যারেলে ৮৯ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ কমে ৯৭.২৬ ডলারে দাঁড়ায়। সোমবার প্রথম সেশনে যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুডের প্রতি ব্যারেলের দাম ৮২ সেন্ট কমে ৯১.২৭ ডলারে হয়। আর প্রথম সেশনে এই তেলের দাম কমে যায় ২ দশমিক ৪ শতাংশ। চীনের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে চীনের অর্থনীতি অপ্রত্যাশিতভাবে ধীর হয়ে যায়। এ সময় শোধনাগারের উৎপাদন দৈনিক ১২ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন ব্যারেলে নেমে আসে, যা ২০২০ সালের মার্চের পর থেকে সর্বনিম্ন। এদিকে রোববার আরামকোর প্রধান নির্বাহী আমিন নাসের সাংবাদিকদের বলেন, সৌদি আরব সরকার অনুরোধ করলে সৌদি আরামকো অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন সর্বোচ্চ দৈনিক ১২ মিলিয়ন ব্যারেল বাড়ানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এম/এম
|
এর আগে, সোমবারও বিশ্ব বাজারে ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচারের দাম প্রতি ব্যারেলে ৮৯ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ কমে ৯৭.২৬ ডলারে দাঁড়ায় সোমবার প্রথম সেশনে যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুডের প্রতি ব্যারেলের দাম ৮২ সেন্ট কমে ৯১.২৭ ডলারে হয় আর প্রথম সেশনে এই তেলের দাম কমে যায় ২ দশমিক ৪ শতাংশ চীনের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে চীনের অর্থনীতি অপ্রত্যাশিতভাবে ধীর হয়ে যায়
|
বিশ্ববাজারে কমেছে জ্বালানি তেলের দাম
|
বিশ্ববাজারে কমেছে জ্বালানি তেলের দাম
|
নিহত ৫১৫০, তিন মাসের জরুরি অবস্থা তুরস্কে
|
কিনতে গেলেই পকেটে ছ্যাঁকা! রান্নায় এই উপকরণ দিলে টমেটোকে আর মিস করবেন না
|
lifestyle
|
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাজারে টমেটো কিনতে গিয়ে মধ্যবিত্তদের পকেটে ছ্যাঁকা। হু হু করে দাম বেড়ে চলেছে। পকেট থেকে টাকা বার করতে কপালের ঘাম মুছতে হচ্ছে কর্তাদের। হেঁশেলে মন খারাপ গিন্নিদের! প্রায় সব রান্নাতেই স্বাদ বাড়াতে টমেটো ব্যবহারের অভ্যেস হয়ে গিয়েছে। কিন্তু যা দাম বেড়েছে, তাতে অন্য আনাজ কিনতে গেলে ভাঁটা পড়ছে। তবে সমস্যা থাকলে তার সমাধানও রয়েছে। রান্নায় বেশ কিছু উপকরণ ব্যবহার করলে টমেটোকে আর মিস করবেন না! কী সেগুলি? জেনে নিন তাহলে- ১) প্রথমেই উল্লেখ করব টমেটো সসের কথা। বিকল্প হিসেবে দারুণ কাজ করবে। বাজারে সসের দাম এখনও বাড়েনি। মশলা কষানোর সময়ে দিয়ে দিন। স্বাদের এদিক-ওদিক হবে না। ২) লাল টমেটোর পরিবর্তে রেড বেল পেপার ব্যবহার করতে পারেন। চাইনিজ খাবারে ব্যবহার হয় ঠিকই, তবে মিক্সড ভেজ কিংবা অন্য কোনও রান্নায় সবজি হিসেবে স্বাদ বাড়াবে। ৩) রান্নায় তেঁতুলে কাত্থ ব্যবহার করতে পারেন। তার সঙ্গে পরিমাণমতো চিনি দিলেই মশলা কষানোর কেল্লাফতে! টক-মিষ্টি স্বাদ পাবেন। ৪) রান্নায় লাল রঙের জন্য যদি টমেটো আপনার এত প্রিয় হয়ে থাকে, তাহলে বলব কুছ পরোয়া নেহি! কড়ায় ফোড়নের আগে যখন তেল গরম হবে তাতে এক চা চামচ চিনি দিয়ে দিন। দেখবেন তারপর কামাল! ৫) কুমড়োর পিউরি খুব ভাল বিকল্প হতে পারে টমেটোর। পথচলতি স্ট্রিটফুডে অনেক দোকানেই খাঁটি টমেটো সসের বদলে কুমড়োর পিউরি দিয়ে বানানো সস দিয়ে খাবার পরিবেশন করেন। ৬) অনেকেই ডালে টমেটো খান। এখন এমনিতেও কাঁচা আম পাবেন। তাই টমেটোকে ভুলে কাঁচা আমকে আপাতত আপন করে নিতে পারেন। অন্যান্য তরকারি কিংবা মাখোমাখো গ্রেভির ক্ষেত্রে আমচুর পাউডারও দারুণ কাজ করে। ৭) টক দই ভাল করে ফেটিয়ে মশলা কষানোর সময়ে দিয়ে দিন। গ্রেভি ঘন করবে। ৮) রান্নায় মশলা কষানোর সময়ে ভিনিগার এবং চিনি দিতে পারেন। এতে হালকা টক-মিষ্টি ফ্লেভার আসবে। তবে ভিনিগারের একটা গন্ধ থাকবে।
|
এখন এমনিতেও কাঁচা আম পাবেন তাই টমেটোকে ভুলে কাঁচা আমকে আপাতত আপন করে নিতে পারেন অন্যান্য তরকারি কিংবা মাখোমাখো গ্রেভির ক্ষেত্রে আমচুর পাউডারও দারুণ কাজ করে ৭) টক দই ভাল করে ফেটিয়ে মশলা কষানোর সময়ে দিয়ে দিন গ্রেভি ঘন করবে ৮) রান্নায় মশলা কষানোর সময়ে ভিনিগার এবং চিনি দিতে পারেন এতে হালকা টক-মিষ্টি ফ্লেভার আসবে তবে ভিনিগারের একটা গন্ধ থাকবে
|
রান্নার স্বাদ বাড়াতে টম্যাটো সস ব্যবহার করেন? কী ক্ষতি হচ্ছে
|
হোয়াটসঅ্যাপের এই নতুন ফিচার কীভাবে ব্যবহার করবেন?
|
ফল খেলে দূরে থাকবে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা, সুস্থ থাকতে নিয়মিত কী কী খাবেন?
|
বান্দোয়ানে পরপর গুলি ডিওয়াইএফআই নেতাকে
|
state
|
দুষ্কৃতীদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হলেন ডিওয়াইএফআই’র বান্দোয়ান ব্লক যুব সম্পাদক কৃষ্ণপদ টুডু। শুক্রবার সন্ধ্যায় সভা সেরে বাড়ি ফেরার পথে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ গুলিবিদ্ধ হন তিনি। টুডুর বাড়ি বান্দোয়ানের মাকপালি গ্রামে। এদিন বান্দোয়ানের কুঁচিয়াতে সিপিআই(এম) কার্যালয়ে সভা ছিল। সভা করে তিনি মোটরসাইকেলে করে একাই বাড়ি ফিরছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ডাঙ্গরজুড়ি গ্রামের অদূরে একটি ফাঁকা জায়গায় খুব কাছ থেকে তিনজন দুষ্কৃতি তাঁকে গুলি করে। দ্রুত টুডুকে উদ্ধার করে বান্দোয়ান ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে তাঁর হাতে এবং পিঠে গুলি লেগেছে। সেখান থেকে তাকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে। উদ্ধার করেছে দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র। জানা গেছে আটক তিনজনের মধ্যে একজনের বাড়ি ঝাড়গ্রাম, একজনের ঝাড়খণ্ডের পটমদা, অপরজনের বাড়ি বান্দোয়ানের শিড়কায়। কী কারণে এই ঘটনা সে বিষয়ে তদন্ত করে শুরু করেছে পুলিশ। সিপিআই(এম) জেলা সম্পাদক প্রদীপ রায় ঘটনার তীব্র নিন্দা করে অবিলম্বে দুষ্কৃতিদের গ্রেপ্তার এবং উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত এবং কি কারণে এই গুলি চালনা তা খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছেন।
|
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে তাঁর হাতে এবং পিঠে গুলি লেগেছে সেখান থেকে তাকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে উদ্ধার করেছে দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র জানা গেছে আটক তিনজনের মধ্যে একজনের বাড়ি ঝাড়গ্রাম, একজনের ঝাড়খণ্ডের পটমদা, অপরজনের বাড়ি বান্দোয়ানের শিড়কায়
|
দুই পুলিশে ঝামেলা, চলল গুলি, জখম পুলিশকর্মী
|
খাওয়া না-খাওয়ার পালা
|
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে কম বৃষ্টি, কেন্দ্রের মতে দায়ী মুল্যবৃদ্ধির জন্য
|
বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে গ্লাসগোর রাস্তায় প্রতিবাদ এসএফআই ব্রিটেন শাখার
|
international
|
ব্রিটেন জুড়ে বর্ণবিদ্বেষ এবং আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন বৈষম্য বঞ্চনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সমগ্র ইয়োরোপ জুড়ে ক্রমশ বাড়ছে দক্ষিণপন্থার উপদ্রব। এই পরিস্থিতিতে সেখানকার ভারতীয় পড়ুয়াদের সংগঠিত করে প্রতিবাদ বিক্ষোভের কর্মসূচীর ডাক দিয়েছে এসএফআই (SFI UK)। এদিন গ্লাসগো এবং লন্ডনে ভারতীয় পড়ুয়াদের প্রতিবাদ বিক্ষোভে সংহতি জানাতে এগিয়ে আসেন অনেক অ-ভারতীয় মানুষ এবং শিক্ষার্থীরাও। আগামীকাল স্কটল্যান্ডের এডিনবরো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভগৎ সিংয়ের আত্মবলিদান দিবস উপলক্ষেও কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে বলে জানান এসএফআই সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস। তিনি আরও জানান, ইয়োরোপের পাশাপাশি আমেরিকার বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়েও ভারতীয় পড়ুয়াদের সংঘবদ্ধ করার এই কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে সংগঠনের তরফে।
|
আগামীকাল স্কটল্যান্ডের এডিনবরো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভগৎ সিংয়ের আত্মবলিদান দিবস উপলক্ষেও কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে বলে জানান এসএফআই সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস তিনি আরও জানান, ইয়োরোপের পাশাপাশি আমেরিকার বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়েও ভারতীয় পড়ুয়াদের সংঘবদ্ধ করার এই কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে সংগঠনের তরফে
|
ক্যাম্পাস থেকে রাজপথ, লড়াইয়ের ময়দানে এসএফআই
|
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় রাজ্যে দ্বিতীয় এসএফআই নেতা
|
রাস্তাটা আগে সারালে ছেলেকে মরতে হত না, আক্ষেপ রামপিয়ারির
|
অসাধ্য সাধন আম্বানির Jio-র! লাদাখের প্যাংগং হ্রদের কাছে বিরাট কীর্তি
|
technology
|
রিলায়েন্স জিও পূর্ব লাদাখের প্যাংগং হ্রদের কাছাকাছি একটি প্রত্যন্ত গ্রামে তার 4G মোবাইল পরিষেবা সম্প্রসারিত করেছে। রিলায়েন্স জিও দেশের প্রথম মোবাইল পরিষেবা নেটওয়ার্ক যারা প্যাংগং-য়ের মত দুর্গম এলাকায় এবং তার আশেপাশের অঞ্চলে 4G মোবাইল পরিষেবা পৌঁছে দিয়েছে। জিও’র তরফে জানানো হয়েছে পূর্ব লাদাখের এই দুর্গম অঞ্চলে মোবাইল পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া রীতিমত একটা চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল সংস্থার কাছে। বেশ কয়েকবছর ধরেই সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে পূর্ব লাদাখের প্যাংগং অঞ্চল। ২০২০ সাল থেকেই পূর্ব লাদাখে মুখোমুখি ভারত ও চিনের সেনাবাহিনী। গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি সবচেয়ে জটিল হয়ে ওঠে প্যাংগং হ্রদ সংলগ্ন ফিঙ্গার এলাকাগুলিতে। সেখানেই অল্পের জন্য যুদ্ধের হাত থেকে রক্ষা পায় পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ সংস্থার আধিকারিকরা জানান, জিও তার 4G ভয়েস এবং ডেটা পরিষেবা পূর্ব লাদাখের প্যাংগং হ্রদের কাছে স্প্যাংমিক গ্রামে চালু করেছে। পিটিআই -এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে , লাদাখের লোকসভা সদস্য জামিয়াং সেরিং নামগিয়াল স্প্যাংমিক গ্রামে জিও মোবাইল টাওয়ারের উদ্বোধন করেন। সেই সঙ্গেই সূচনা হয় ভারতীয় মোবাইল পরিষেবায় এক যুগান্তকারী বিপ্লব। উদ্বোধন উপলক্ষে ভাষণ দেওয়ার সময়, জামিয়াং সেরিং নামগিয়াল বলেন, যে প্যাংগং এলাকায় 4G মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টেলিকম পরিষেবায় এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি আজ পূরণ হয়েছে”। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “এই মোবাইল পরিষেবা চালু হওয়ার ফলে এই অঞ্চলের পর্যটক এবং সেনাবাহিনী এক উন্নততর মোবাইল এবং ইন্টারনেট পরিষেবার সুবিধা নিতে পারবেন। পাশাপাশি নতুন এই পরিষেবা সামগ্রিক ভাবে সমগ্র অঞ্চলের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে।” আরও পড়ুন: সাড়ে চার হাজার বছরের প্রাচীন উদ্ভিদের সন্ধান, চমকে গেলেন বিজ্ঞানীরা টেলিকম অপারেটর সংস্থা জিও এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছে “সবাইকে ডিজিটালভাবে সংযুক্ত করতে এবং জিও’র নেটওয়ার্ককে ক্রমাগত প্রসারিত করতে প্যাংগং অঞ্চলে 4G মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করা হয়েছ। তবে বিষয়টি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ছিল সংস্থার কাছে। দুর্গম আবহাওয়ার চ্যালেঞ্জকে অতিক্রম করে, টিম জিও প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যাতে সেই অঞ্চলের মানুষরা উন্নততর নেটওয়ার্কের সুবিধা পেয়ে থাকেন এবং দেশের বাকি অংশের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত রাখতে পারে”। Stay updated with the latest news headlines and all the latest Technology news download Indian Express Bengali App. Web Title: Jio launches 4g mobile service near pangong lake in ladakh
|
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “এই মোবাইল পরিষেবা চালু হওয়ার ফলে এই অঞ্চলের পর্যটক এবং সেনাবাহিনী এক উন্নততর মোবাইল এবং ইন্টারনেট পরিষেবার সুবিধা নিতে পারবেন পাশাপাশি নতুন এই পরিষেবা সামগ্রিক ভাবে সমগ্র অঞ্চলের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে” আরও পড়ুন: সাড়ে চার হাজার বছরের প্রাচীন উদ্ভিদের সন্ধান, চমকে গেলেন বিজ্ঞানীরা টেলিকম অপারেটর সংস্থা জিও এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছে “সবাইকে ডিজিটালভাবে সংযুক্ত করতে এবং জিও’র নেটওয়ার্ককে ক্রমাগত প্রসারিত করতে প্যাংগং অঞ্চলে 4G মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করা হয়েছ তবে বিষয়টি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ছিল সংস্থার কাছে দুর্গম আবহাওয়ার চ্যালেঞ্জকে অতিক্রম করে, টিম জিও প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যাতে সেই অঞ্চলের মানুষরা উন্নততর নেটওয়ার্কের সুবিধা পেয়ে থাকেন এবং দেশের বাকি অংশের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত রাখতে পারে”
|
Reliance Jio GigaFiber: ফের জিও ধামাকা! অবিশ্বাস্য ঘোষণা মুকেশ আম্বানির
|
‘শেখ মুজিব ও জিয়া শ্রদ্ধেয় নেতা’
|
আশঙ্কাই সত্যি হল, ছেলের পর গুলিতে ঝাঁঝরা গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ ও তার ভাই
|
অসুস্থ সন্ধ্যাকে ভর্তি করানো হল উডবার্ন ওয়ার্ডে, রয়েছে শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসে সংক্রমণ
|
kolkata
|
গুরুতর অসুস্থ সঙ্গীতশিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে ভর্তি করানো হল এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে। বৃহস্পতিবার শিল্পীর স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় তাঁর কন্যার সঙ্গে কথা বলে ওই সিদ্ধান নেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর নবতিপর শিল্পীর শরীরের বিভিন্ন রকম প্রাথমিক পরীক্ষা করা হবে। হাসপাতালের তরফে চিকিৎসার সমস্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, অসুস্থ শিল্পীকে দেখতে হাসপাতালে দেখতে যেতে পারেন মমতা নিজে। বৃহস্পতিবার এসএসকেএম চত্বরে শিল্পীর জামাতা জানান, সন্ধ্যার ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে। শ্বাসকষ্ট রয়েছে এবং সামান্য জ্বরও রয়েছে। বুধবার রাত থেকেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তাঁদের পারিবারিক চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। সেই মতোই রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে শিল্পীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। শিল্পীর কোভিড হয়েছে কি না, তা দেখার জন্য তাঁর আরটিপিসিআর পরীক্ষাও করানো হয়েছে। তবে তার রিপোর্ট এখনও আসেনি। সন্ধ্যার চিকিৎসায় ইতিমধ্যেই দ্রুত মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেছে সরকার। বোর্ডের সদদস্যরা তাঁকে পরীক্ষা করতে শুরু করেছেন। তবে শিল্পীর জ্ঞান রয়েছে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের খেতাব ‘পদ্মশ্রী’ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ‘গীতশ্রী’ সন্ধ্যা। তখন থেকেই তিনি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রের বক্তব্য। বুধবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পারিবারিক সূত্রের খবর, তিনি বাড়িতে একবার পড়েও গিয়েছিলেন। বুধবার সন্ধ্যায় পু্রবীণ গায়িকার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সে সময় শিল্পীকে কিছুটা মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত বলে মনে হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর। সূত্রের খবর, এর পর শিল্পীর কন্যা সৌমী সেনগুপ্তকে ফোন করে সন্ধ্যার খবরাখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশিই জানিয়ে দেন, তাঁর চিকিৎসাসংক্রান্ত যে কোনও প্রয়োজনে রাজ্য সরকার সাহায্য করবে। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন সন্ধ্যা। কালক্ষেপ না করে তাঁকে এসএসকেএমে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এসএসকেএম থেকেই লেক গার্ডেন্সে সন্ধ্যার বাড়িতে পাঠানো হয় ‘ট্রমা কেয়ার অ্যাম্বুল্যান্স’। রাস্তায় ‘গ্রিন করিডর’ তৈরি করে সেই অ্যাম্বুল্যান্সে করেই স্টেচারবাহিত অবস্থায় তাঁকে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম। তাঁর সঙ্গেই আসেন সন্ধ্যার কন্যা-জামাতা। প্রসঙ্গত, মমতার সঙ্গে প্রথম থেকেই গভীর স্নেহ এবং সখ্যের সম্পর্ক মমতার। সে জন্যই তিনি প্রবীণ গায়িকার স্বাস্থ্য নিয়ে গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন। মূলত তাঁর উদ্যোগ এবং তৎপরতাতেই শিল্পীকে হাসপাতালে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়। আপাত সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলবে।
|
পারিবারিক সূত্রের খবর, তিনি বাড়িতে একবার পড়েও গিয়েছিলেন বুধবার সন্ধ্যায় পু্রবীণ গায়িকার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা সে সময় শিল্পীকে কিছুটা মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত বলে মনে হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর সূত্রের খবর, এর পর শিল্পীর কন্যা সৌমী সেনগুপ্তকে ফোন করে সন্ধ্যার খবরাখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী পাশাপাশিই জানিয়ে দেন, তাঁর চিকিৎসাসংক্রান্ত যে কোনও প্রয়োজনে রাজ্য সরকার সাহায্য করবে তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন সন্ধ্যা কালক্ষেপ না করে তাঁকে এসএসকেএমে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এসএসকেএম থেকেই লেক গার্ডেন্সে সন্ধ্যার বাড়িতে পাঠানো হয় ‘ট্রমা কেয়ার অ্যাম্বুল্যান্স’ রাস্তায় ‘গ্রিন করিডর’ তৈরি করে সেই অ্যাম্বুল্যান্সে করেই স্টেচারবাহিত অবস্থায় তাঁকে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম তাঁর সঙ্গেই আসেন সন্ধ্যার কন্যা-জামাতা প্রসঙ্গত, মমতার সঙ্গে প্রথম থেকেই গভীর স্নেহ এবং সখ্যের সম্পর্ক মমতার
|
শ্বাসরোধ
|
পালাতে অস্বীকার করায় খুন কিশোরীকে, দাবি প্রেমিকের
|
তামাক ক্রয়-বিক্রয় করতে গিয়ে ধরা পড়লে আশি লক্ষ টাকা জরিমানা! ধূমপান আটকাতে এমন আইন?
|
বিভাগীয় সমাবেশে বিএনপি নেতাদের দায়িত্ব বণ্টন
|
politics
|
স্টাফ রিপোর্টারঃ যুগপৎ আন্দোলনে ঢাকাসহ বিভাগীয় সদরে সমাবেশে নেতাদের দায়িত্ব বণ্টন করেছে বিএনপি। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী ঢাকাসহ বিভাগীয় সদরগুলোতে এ ঘোষিত কর্মসূচি হবে। নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি এবং বিদ্যুৎ ও নিত্যপণ্যের দাম কমানোসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী বিভাগীয় সদরে সমাবেশের ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঢাকা সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল উপস্থিত থাকবেন। কুমিল্লায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন উপস্থিত থাকবেন। রাজশাহীতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মিজানুর রহমান মিনু ও শাহজাহান মিয়া উপস্থিত থাকবেন।খুলনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী উপস্থিত থাকবেন। বরিশালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, জয়নুল আবেদীন, যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সারোয়ার উপস্থিত থাকবেন। চট্টগ্রামে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবেদিন ফারুক উপস্থিত থাকবেন। ময়মনসিংহে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ফজলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব হারুন অর রশিদ উপস্থিত থাকবেন। সিলেটে থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তাহমিনা রূশদির লুনা, খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। ফরিদপুরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া উপস্থিত থাকবেন। রংপুরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়া উপস্থিত থাকবেন। এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//আই //
|
বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঢাকা সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল উপস্থিত থাকবেন কুমিল্লায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন উপস্থিত থাকবেন রাজশাহীতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মিজানুর রহমান মিনু ও শাহজাহান মিয়া উপস্থিত থাকবেনখুলনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী উপস্থিত থাকবেন
|
ফরিদপুর জেলা বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন
|
পল্টনে সড়কে বিএনপির সমাবেশ
|
ঢাকে কাঠি মমতার, কাঁসরে সঙ্গত অরূপের
|
এয়ারটেল-ভোডাফোনের পথে হেঁটে এবার প্রি-পেইড মাশুল বাড়াচ্ছে Reliance Jio
|
technology
|
এয়ারটেল ভোডাফোনের পর এবার মাশুল বাড়ানোর পথে হাঁটছে রিলায়েন্স জিও। আগামিকাল, ১ ডিসেম্বর থেকেই কার্যকর হতে চলেছে নতুন ট্যারিফ। সংস্থার তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘টেলিকম শিল্পকে সঠিক দিশা দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। প্রতিটি ভারতীয়কে সত্যিকারের ডিজিটাল লাইফ দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। আর তাই পয়লা ডিসেম্বর থেকে চালু হচ্ছে আমাদের নতুন ট্যারিফ প্ল্যান। নতুন ট্যারিফে প্রায় প্রতিটি আনলিমিটেড প্ল্যান আগের থেকে দামি হচ্ছে’। যেমন প্রতি মাসে ২ জিবি ডেটা, আনলিমিটেড ভয়েস কল ও ৩০০ এসএমএস ফ্রি প্ল্যানের আগের দাম ছিল ১২৯ টাকা। এবার হচ্ছে ১৫৫ টাকা। ১৪৯ টাকার প্ল্যান বেড়ে হচ্ছে ১৭৯ টাকা। এই প্ল্যানে গ্রাহকরা পাবেন ২৮ দিনের জন্য আনলিমিটেড ভয়েস কল প্রতিদিন ১০০ এস এম এস। এবং ১ জিবি ডেটা প্রতি দিন। ১.৫ জিবি ডেটা প্রতি দিন (২৮ দিনের জন্য), আনলিমিটেড ভয়েস কল, ১০০ এসএমএস প্ল্যানের আগের দাম ছিল ১৯৯ টাকা। নতুন দাম হবে ২৩৯ টাকা। ২৪৯ টাকার প্ল্যান বেড়ে হচ্ছে ২৯৯ টাকা। এই প্ল্যানে গ্রাহকরা পাবেন, ২ জিবি ডেটা প্রতি দিন (২৮ দিনের জন্য), আনলিমিটেড ভয়েস কল, ১০০ এসএমএস। ১.৫ জিবি ডেটা প্রতি দিন (৫৬ দিনের জন্য), আনলিমিটেড ভয়েস কল, ১০০ এসএমএস প্ল্যানের আগের দাম ছিল ৩৯৯ টাকা। এবার হচ্ছে ৪৭৯ টাকা। অন্যদিকে ৫৬ দিনের ভ্যালিডিটি সহ ২ জিবি ডেটা, আনলিমিটেড কল এবং ১০০ এসএমএসের জন্য গ্রাহক কে দিতে হবে ৫৩৩ টাকা। আগে যা ছিল ৪৪৪ টাকা।একইভাবে প্রতিটি প্ল্যান-এর দাম বাড়ছে প্রায় ২০ শতাংশের মতো। ডেটা অ্যাড অন প্ল্যান-এরও দাম বাড়ছে। ৬ জিবি ডেটা আগে পাওয়া যেত ৫১ টাকায়। এবার সেটা পাওয়া যাবে ৬১ টাকায়। ১২ জিবি ১০১ টাকার বদলে ১২১ টাকা। ৫০ জিবি ২৫১ টাকার বদলে ৩০১ টাকা। অন্যদিকে জিও ৭৫ টাকার রিচার্জের দামও একধাক্কায় বেড়েছে অনেক টাই। এবার থেকে এই প্ল্যানের সুবিধা পেতে গ্রাহক কে দিতে হবে ৯১ টাকা। এই প্ল্যানে গ্রাহকরা পাবেন ৩ জিবি ডেটা, আনলিমিটেড কল এবং ১০০ এসএমএস। যার ভ্যালিডিটি ২৮ দিন। জেনে নিন এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়া এবং জিও’র ৪০০ টাকার মধ্যে সেরা রিচার্জ প্ল্যান- এয়ারটেল প্ল্যান ১৭৯ টাকা। ভ্যালিডিটি ২৮ দিন। এই প্ল্যানে গ্রাহকরা পাবেন ২ জিবি ডেটা, আনলিমিটেড কলিং, এবং ১০০ এসএমএস। এয়ারটেল প্ল্যান ২৬৫, ভ্যালিডিটি ২৮ দিন। এই প্ল্যানে গ্রাহকরা পাবেন আনলিমিটেড কলিং, ১ জিবি ডেটা প্রতিদিন এবং ১০০ এসএমএস। ২৯৯ টাকার প্ল্যানে গ্রাহকরা পেয়ে যান ২৮ দিনের জন্য ১.৫ জিবি ডেটা প্রতিদিন, আনলিমিটেড কলিং এবং ১০০ এসএমএস। অন্য একটি প্ল্যান ৩৫৯ টাকা। এই প্ল্যানে গ্রাহকরা পাবেন ২ জিবি ডেটা প্রতিদিন, ১০০ এসএমএস এবং আনলিমিটেড কল। ভ্যালিডিটি ২৮ দিন। ভোডাফোন আইডিয়া ১৭৯ টাকার প্ল্যানে গ্রাহকরা পাবেন ২ জিবি ডেটা, আনলিমিটেড কলিং এবং ৩০০ এসএমএস, প্ল্যানের ভ্যালিডিটি ২৮ দিন। ২৬৯ টাকার প্ল্যানে গ্রাহকরা প্রতিদিন পাবেন ১০০ এসএমএস, ১জিবি ডেটা প্রতিদিন, এবং আনলিমিটেড কলিং। ২৯৯ টাকার প্ল্যানে গ্রাহকরা প্রতিদিন পাবেন ১০০ এসএমএস, ১.৫ জিবি ডেটা প্রতিদিন, এবং আনলিমিটেড কলিং। অন্য একটি প্ল্যানে গ্রাহকরা পাবেন ২৮ দিনের জন্য ২ জিবি ডেটা, ১০০ এসএমএস এবং আনলিমিটেড কলিং এর জন্য গ্রাহককে দিতে হবে ৩৫৯ টাকা। নতুন ট্যারিফে প্রায় প্রতিটি আনলিমিটেড প্ল্যান আগের থেকে দামি হচ্ছে। যেমন প্রতি মাসে ২ জিবি ডেটা, আনলিমিটেড ভয়েস কল ও ৩০০ এসএমএস ফ্রি প্ল্যানের আগের দাম ছিল ১২৯ টাকা। এবার হচ্ছে ১৫৫ টাকা। ১৪৯ টাকার প্ল্যান বেড়ে হচ্ছে ১৭৯ টাকা। এই প্ল্যানে গ্রাহকরা পাবেন ২৮ দিনের জন্য আনলিমিটেড ভয়েস কল প্রতিদিন ১০০ এস এম এস। এবং ১ জিবি ডেটা প্রতি দিন। ১.৫ জিবি ডেটা প্রতি দিন (২৮ দিনের জন্য), আনলিমিটেড ভয়েস কল, ১০০ এসএমএস প্ল্যানের আগের দাম ছিল ১৯৯ টাকা। নতুন দাম হবে ২৩৯ টাকা। ২৪৯ টাকার প্ল্যান বেড়ে হচ্ছে ২৯৯ টাকা। এই প্ল্যানে গ্রাহকরা পাবেন, ২ জিবি ডেটা প্রতি দিন (২৮ দিনের জন্য), আনলিমিটেড ভয়েস কল, ১০০ এসএমএস। ১.৫ জিবি ডেটা প্রতি দিন (৫৬ দিনের জন্য), আনলিমিটেড ভয়েস কল, ১০০ এসএমএস প্ল্যানের আগের দাম ছিল ৩৯৯ টাকা। এবার হচ্ছে ৪৭৯ টাকা। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন Stay updated with the latest news headlines and all the latest Technology news download Indian Express Bengali App. Web Title: Technology relience jio price hike last day for prepaid uesrs to recharge at old price
|
এবার হচ্ছে ৪৭৯ টাকা অন্যদিকে ৫৬ দিনের ভ্যালিডিটি সহ ২ জিবি ডেটা, আনলিমিটেড কল এবং ১০০ এসএমএসের জন্য গ্রাহক কে দিতে হবে ৫৩৩ টাকা আগে যা ছিল ৪৪৪ টাকাএকইভাবে প্রতিটি প্ল্যান-এর দাম বাড়ছে প্রায় ২০ শতাংশের মতো ডেটা অ্যাড অন প্ল্যান-এরও দাম বাড়ছে ৬ জিবি ডেটা আগে পাওয়া যেত ৫১ টাকায় এবার সেটা পাওয়া যাবে ৬১ টাকায় ১২ জিবি ১০১ টাকার বদলে ১২১ টাকা ৫০ জিবি ২৫১ টাকার বদলে ৩০১ টাকা অন্যদিকে জিও ৭৫ টাকার রিচার্জের দামও একধাক্কায় বেড়েছে অনেক টাই এবার থেকে এই প্ল্যানের সুবিধা পেতে গ্রাহক কে দিতে হবে ৯১ টাকা এই প্ল্যানে গ্রাহকরা পাবেন ৩ জিবি ডেটা, আনলিমিটেড কল এবং ১০০ এসএমএস যার ভ্যালিডিটি ২৮ দিন জেনে নিন এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়া এবং জিও’র ৪০০ টাকার মধ্যে সেরা রিচার্জ প্ল্যান- এয়ারটেল প্ল্যান ১৭৯ টাকা ভ্যালিডিটি ২৮ দিন এই প্ল্যানে গ্রাহকরা পাবেন ২ জিবি ডেটা, আনলিমিটেড কলিং, এবং ১০০ এসএমএস এয়ারটেল প্ল্যান ২৬৫, ভ্যালিডিটি ২৮ দিন এই প্ল্যানে গ্রাহকরা পাবেন আনলিমিটেড কলিং, ১ জিবি ডেটা প্রতিদিন এবং ১০০ এসএমএস ২৯৯ টাকার প্ল্যানে গ্রাহকরা পেয়ে যান ২৮ দিনের জন্য ১.৫ জিবি ডেটা প্রতিদিন, আনলিমিটেড কলিং এবং ১০০ এসএমএস
|
দাম বাড়লো ভোডাফোন রিচার্জ প্ল্যানের
|
দাম বাড়াতে পারে জিও, এয়ারটেল ভোডাফোনের পথেই মুকেশ আম্বানির সংস্থা
|
মাতারবাড়ী ঘিরে জাপানি শিল্পাঞ্চলের প্রস্তাব- উদ্দেশ্য বাণিজ্যিক নাকি রাজনৈতিক?
|
একবছর পরই লোকসভা নির্বাচন, মোদীর জনপ্রিয়তাই ভরসা বিজেপির, তাই রোজগার মেলা?
|
politics
|
বিরোধীরা দীর্ঘদিন ধরেই চিল চিৎকার করে চলেছে, মোদী জমানায় দেশে বেকারত্ব সবচেয়ে বেড়েছে। কর্মসংস্থান তলানিতে ঠেকেছে। নিয়োগ প্রায় বন্ধ। শুধু বেসরকারিকরণ চলছে। সরকারি কর্মীরা কাজের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এতদিন সেসব অভিযোগ এ কান দিয়ে শুনে ও কান দিয়ে বের করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্ত, সামনেই ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। দেশের ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব কমানো নিয়ে নিজের ভূমিকাকে উজ্জ্বল করে দেখানো ছাড়া মোদী সরকারের হাতে কোনও রাস্তা নেই। অথচ, সংঘ পরিবারের সব বেচে দেওয়ার নীতি থেকেও তিনি পিছু হঠতে পারবেন না। কারণ, এতদিন ধরে সংঘ পরিবারকে যে সব শিল্পপতিরা অর্থসাহায্য করে এসেছে, তাঁদেরকে চটানো মোদীর পক্ষে অসম্ভব। এই পরিস্থিতিতে ফের পুরোনো ১০ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৪ সালে যেমন বছরে ২ কোটি বেকারের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। পাঁচ বছরের ১০ কোটি বেকারকে চাকরি দেবেন বলেছিলেন। তবে, এবার তাঁর প্রতিশ্রুতিটা কোটি থেকে লক্ষে নেমে এসেছে। এমনটাই কটাক্ষ বিরোধীদের। তবে এবার, প্রায় ১০ বছর আগের মত চাকরির প্রতিশ্রুতি দিলেও, নতুন একটি বিষয়কে এই প্রচারের অন্তর্ভুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তা হল, ‘রোজগার মেলা’। এই রোজগার মেলা বা জব ফেয়ার, বর্তমান দুনিয়ায় বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বহুবার শোনা গিয়েছে। কিন্তু, সরকারি চাকরিতে এই শব্দের প্রয়োগ প্রথমবার। যা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে মোদী জমানায়। বিরোধীদের অভিযোগ, এমন নিত্যনতুন শব্দের প্রয়োগ ঘটিয়ে মোদীকে গিমিক তুঙ্গে নিয়ে যেতে হয়। কারণ, বিজেপি মোদীকেন্দ্রিক দল। বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায়। তার পরও দেখা গিয়েছে যে বিধানসভা নির্বাচন তো বটেই, এমনকী পুরনির্বাচনেও পর্যন্ত মোদীর নাম ব্যবহার করে প্রচারে নামতে হচ্ছে বিজেপিকে। আরও পড়ুন- রাষ্ট্রদ্রোহ আইন নিয়ে আর্জি মানল আদালত, সুযোগ কাজে লাগাবে কেন্দ্র? বিরোধীদের দাবি, এবার কিন্তু স্বয়ং মোদীর কাছেই ২০২৪-এ ফেরা কঠিন হয়ে গিয়েছে। তার অন্যতম কারণ, ‘অগ্নিপথ’ এর মত প্রকল্প। যে প্রকল্প দেশের যুবশ্রেণির চাকরির নিরাপত্তা সরাসরি কেড়ে নিয়েছে। সবচেয়ে বেশি আঘাত করেছে গোবলয়ের রাজ্যগুলোকে। যেখানে হিন্দুত্ববাদের স্লোগানকে কাজে লাগিয়ে এতদিন সাফল্যের ম্যাজিক দেখিয়েছে বিজেপি। বিরোধীদের আরও দাবি, ইতিমধ্যেই দেশের যুবশ্রেণির চাকরির নিরাপত্তা কেড়ে নেওয়ার প্রভাব বুঝতে শুরু করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। হিমাচলপ্রদেশের মত বিজেপির শাসনে থাকা রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে সবচেয়ে বড় ইস্যু হয়ে উঠেছে ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প। Read full story in English Stay updated with the latest news headlines and all the latest Politics news download Indian Express Bengali App. Web Title: The rozgar mela is the key of bjp loksabha poll preparation
|
যা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে মোদী জমানায় বিরোধীদের অভিযোগ, এমন নিত্যনতুন শব্দের প্রয়োগ ঘটিয়ে মোদীকে গিমিক তুঙ্গে নিয়ে যেতে হয় কারণ, বিজেপি মোদীকেন্দ্রিক দল বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় তার পরও দেখা গিয়েছে যে বিধানসভা নির্বাচন তো বটেই, এমনকী পুরনির্বাচনেও পর্যন্ত মোদীর নাম ব্যবহার করে প্রচারে নামতে হচ্ছে বিজেপিকে আরও পড়ুন- রাষ্ট্রদ্রোহ আইন নিয়ে আর্জি মানল আদালত, সুযোগ কাজে লাগাবে কেন্দ্র? বিরোধীদের দাবি, এবার কিন্তু স্বয়ং মোদীর কাছেই ২০২৪-এ ফেরা কঠিন হয়ে গিয়েছে তার অন্যতম কারণ, ‘অগ্নিপথ’ এর মত প্রকল্প যে প্রকল্প দেশের যুবশ্রেণির চাকরির নিরাপত্তা সরাসরি কেড়ে নিয়েছে সবচেয়ে বেশি আঘাত করেছে গোবলয়ের রাজ্যগুলোকে যেখানে হিন্দুত্ববাদের স্লোগানকে কাজে লাগিয়ে এতদিন সাফল্যের ম্যাজিক দেখিয়েছে বিজেপি বিরোধীদের আরও দাবি, ইতিমধ্যেই দেশের যুবশ্রেণির চাকরির নিরাপত্তা কেড়ে নেওয়ার প্রভাব বুঝতে শুরু করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব
|
মোদী মুখেই ভরসা রাজ্য বিজেপির, মেগা রোড’শো ঘিরে উপচে পড়ল ভিড়
|
লোকসভা নির্বাচনে মোদি গড়ে কি ধাক্কা দিতে পারবে বিরোধী জোট?
|
সমলিঙ্গ যুগলদের মৌলিক সামাজিক সুরক্ষা নিয়ে কেন্দ্রের উত্তর চাইল আদালত
|
পুজোর আগেই ত্বকের হারানো জেল্লা ফিরিয়ে আনতে মেনে চলতে পারেন পাঁচ চিনা দাওয়াই
|
lifestyle
|
রূপচর্চার জগতে জাপান, কোরিয়া, চিন একে অপরের প্রতিযোগী। প্রতিটি দেশই একে অপরকে টেক্কা দেয়। ত্বকচর্চা বা রূপচর্চার ক্ষেত্রে প্রত্যেকেরই নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বয়স বাড়লে ত্বক জৌলুস হারায়। মুখে কালচে দাগ ছোপ পড়ে, বলিরেখাও পড়তে দেখা যায়। এই সব সমস্যা দূর করতে নানা রকম প্রসাধনী তো রয়েছে। তবে চিনা মহিলারা ত্বকের বয়স ধরে রাখতে শুধু প্রসাধনী নয় বিশেষ পাঁচটি পদ্ধতি নিয়মিত মেনে চলেন। মুখে মাসাজ করতে নিয়মিত গুয়া সা ব্যবহার করেন চিনারা।
ছবি: সংগৃহীত। ১) গ্রিন টি ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে নিয়মিত গ্রিন টি খেয়ে থাকেন চিনা মহিলারা। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর এই চা ফ্রি র্যাডিক্যালের হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে। ফলে ত্বক সহজে বুড়িয়ে যায় না। ২) গুয়া-সা মুখে মাসাজ করতে নিয়মিত গুয়া সা ব্যবহার করেন চিনারা। আকারে হাতের তালুর চেয়েও ছোট, পাতলা, বিশেষ ধরনের একটি পাথর হল এই গুয়া সা। যা নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। ত্বকের টানটান ভাব বজায় থাকে। চোখের তলায় বা মুখের অন্যান্য অংশের ফোলাভাব বিশেষ দূর করতে সাহায্য করে এই পাথরটি। ৩) ‘টুই না’ ম্যাসাজ মূলত মুখের অ্যাকুপ্রেশার পয়েন্টগুলির উপর চাপ দিয়ে এই মাসাজ করা হয়। যা ত্বকের রক্ত সঞ্চালন ভাল রাখে। মুখের পেশিগুলিকেও আরাম দেয়। ৪) সবুজ মুগের মাস্ক মুখের জেল্লা ধরে রাখতে চিনা মহিলারা মুখে সবুজ মুগ ডালের মাস্ক ব্যবহার করেন। চোখের তলার কালচে ছোপ, মেচেতার দাগ সরিয়ে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। ৫) পর্যাপ্ত ঘুম সাত থেকে ন’ঘণ্টা ঘুমোতে না পারলে ত্বকের সমস্যা বাড়বে। ত্বকের বয়স ধরে রাখতে, ত্বকের জেল্লা ফেরাতে, চোখের তলার কালচে ছোপ, মুখে মেচেতা দাগ-সহ ত্বকের সামগ্রিক সমস্যা দূর করতে ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে।
|
২) গুয়া-সা মুখে মাসাজ করতে নিয়মিত গুয়া সা ব্যবহার করেন চিনারা আকারে হাতের তালুর চেয়েও ছোট, পাতলা, বিশেষ ধরনের একটি পাথর হল এই গুয়া সা যা নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয় ত্বকের টানটান ভাব বজায় থাকে চোখের তলায় বা মুখের অন্যান্য অংশের ফোলাভাব বিশেষ দূর করতে সাহায্য করে এই পাথরটি ৩) ‘টুই না’ ম্যাসাজ মূলত মুখের অ্যাকুপ্রেশার পয়েন্টগুলির উপর চাপ দিয়ে এই মাসাজ করা হয় যা ত্বকের রক্ত সঞ্চালন ভাল রাখে মুখের পেশিগুলিকেও আরাম দেয়
|
রূপচর্চার ৫ ধাপ: নিষ্ঠার সঙ্গে মেনে চললে পুজোর আগেই ত্বকে আসবে নায়িকাদের মতো জেল্লা
|
সবার আগে ভাঁজ করা স্ক্রিনের ফোন আনতে চলেছে হুয়াওয়ে
|
Anil Kumble: বেঙ্গালুরুতে বন্ধ, সরকারি বাসে চেপে বাড়ি ফিরলেন দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার
|
কুস্তিগিরদের সঙ্গে দেখা করেই উল্টো সুর! ঊষা জানালেন, মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে
|
sports
|
কিছু দিন আগেই ধর্নারত কুস্তিগিরদের সমালোচনা করেছিলেন তিনি। বুধবার সেই কুস্তিগিরদের সঙ্গেই দেখা করলেন পিটি ঊষা। সেখানেই দাবি করলেন, তাঁর আগের মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। পাশাপাশি জানিয়েছেন, তিনি আগে একজন ক্রীড়াবিদ, তার পরে প্রশাসক। ভারতীয় অলিম্পিক্স সংস্থার প্রধান ঊষা কিছু দিন আগে বলেছিলেন, রাজধানীতে ধর্নায় বসে গোটা দেশের সম্মান ভুলুণ্ঠিত করছেন কুস্তিগিররা। দেশের নাম ডোবাচ্ছেন তাঁরা। এই মন্তব্যের প্রতিবাদ আসে সব জায়গা থেকেই। এ দিন ঊষা কুস্তিগিরদের সঙ্গে দেখা করার পর বজরং পুনিয়া বলেন, “যখন উনি ওই কথা বলেছিলেন তখন খুব দুঃখ পেয়েছিলাম। আজ এসে আমাদের বললেন, ওঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। জানিয়েছেন, উনি আগে একজন ক্রীড়াবিদ, তার পরে প্রশাসক।” বজরং যোগ করেন, “আমরা ওঁকে জানালাম যে ন্যায়বিচার চাই। সরকার, বিরোধী দল বা কারও সঙ্গে আমাদের ঝামেলা নেই। আমরা এখানে বসে আছি কুস্তির ভালর স্বার্থে। সমস্যা যদি মিটে যায় এবং অভিযোগ প্রমাণিত হয় তা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।” ঊষা কি সরকার বা আইওএ-র তরফে কোনও সমাধান নিয়ে এসেছিলেন? বজরং বলেন, “সে ব্যাপারে কোনও কথা হয়নি।” তবে ঊষার সঙ্গে কথা বলে যে তারা তৃপ্ত, সে কথাও জানিয়েছেন। বলেছেন, “উনি যদি কোনও প্রতিশ্রুতি দেন, তা হলে নিশ্চয়ই সেটা রক্ষা করবেন। কিন্তু আমরাও জানিয়ে দিয়েছি, যত দিন না বিচার পাচ্ছি তত দিন প্রতিবাদ চলবে।”
|
জানিয়েছেন, উনি আগে একজন ক্রীড়াবিদ, তার পরে প্রশাসক” বজরং যোগ করেন, “আমরা ওঁকে জানালাম যে ন্যায়বিচার চাই সরকার, বিরোধী দল বা কারও সঙ্গে আমাদের ঝামেলা নেই আমরা এখানে বসে আছি কুস্তির ভালর স্বার্থে সমস্যা যদি মিটে যায় এবং অভিযোগ প্রমাণিত হয় তা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত” ঊষা কি সরকার বা আইওএ-র তরফে কোনও সমাধান নিয়ে এসেছিলেন? বজরং বলেন, “সে ব্যাপারে কোনও কথা হয়নি
|
কুস্তির ট্রায়াল নিয়ে অশান্তির আঁচ, স্বচ্ছতার দাবিতে মোদী-শাহদের চিঠি কুস্তিগিরদের
|
বাংলার ব্যাটারদের নিয়ে কাজ শুরু করে দিলেন রামন
|
রাহুল-প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ভাষণে ‘সতর্কতা’, বিতর্কে ইউটিউব
|
ভেঙে গেল মাহি-অপুর সংসার
|
entertainment
|
বিনোদন ডেস্ক: গুঞ্জনটা অনেক দিনের। গেল কিছুদিন ধরে ফেসবুক স্ট্যাটাসে নানা বার্তাও দিচ্ছিলেন ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় নায়িকা মাহিয়া মাহি। শনিবার মধ্যরাতে নায়িকা নিশ্চিত করলেন তার সংসার ভেঙে যাওয়ার খবর। মাহি ফেসবুক পোস্টে জানান, এই পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষটার সাথে থাকতে না পারাটা অনেক বড় ব্যর্থতা। শ্বশুরবাড়ির প্রসঙ্গ টেনে তিনি লিখেছেন, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শ্বশুর বাড়ির মানুষগুলোকে আর কাছ থেকে না দেখতে পাওয়াটা, বাবার মুখ থেকে মা জননী , বড় বাবার মুখ থেকে সুনামই শোনার অধিকার হারিয়ে ফেলাটা সবচেয়ে বড় অপারগতা। ক্ষমা চেয়ে মাহি লিখেছেন, আমাকে মাফ করে দিও। তোমরা ভালো থেকো। আমি তোমাদের আজীবন মিস করবো। তবে ঠিক কি কারণে সংসার টিকলো না তা স্পষ্ট করে জানাননি মাহি। শুধু জানিয়েছেন, স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের ইতি টানছেন। মাহি বলেন, এর বেশি কিছু জানাতে চাই না৷ উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৪ মে মাহিয়া মাহির বিয়ে হয় সিলেটের মাহমুদ পারভেজ অপুর সঙ্গে। দুই পরিবারের সম্মতি থাকলেও হুট করে বিয়ে হয়। তবে দাম্পত্য জীবনের পাঁচ বছরের মাথায় মাহি তার বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করলেন। এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ//
|
আমি তোমাদের আজীবন মিস করবো তবে ঠিক কি কারণে সংসার টিকলো না তা স্পষ্ট করে জানাননি মাহি শুধু জানিয়েছেন, স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের ইতি টানছেন মাহি বলেন, এর বেশি কিছু জানাতে চাই না৷ উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৪ মে মাহিয়া মাহির বিয়ে হয় সিলেটের মাহমুদ পারভেজ অপুর সঙ্গে
|
ভেঙে গেল আমির খানের ১৫ বছরের সংসার
|
সিঁথিতে সিঁদুর নিয়ে যা বললেন অপু
|
গুজরাটে বাড়ি ভেঙে শিশু সহ নিহত ৪
|
পরাজয়ের গ্লানি ভুলতেই তৈমূরকে অব্যাহতি: তথ্যমন্ত্রী
|
politics
|
স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে তৈমূর আলম খন্দকারের পরাজয় জেনেই তাকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে টেলিভিশন অ্যান্ড ডিজিটাল প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে বিএনপি অনুধাবন করতে পেরেছে তৈমূর আলম খন্দকারের বিজয়ের কোনো সম্ভাবনা নাই। এটা অনুধাবন করতে পেরে আগেই তাকে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে পরাজয়ের গ্লানি থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করছে বিএনপি। এ কারণেই তৈমূর আলম খন্দকারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’ নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করছেন রাষ্ট্রপতি। বিএনপি যে কথাগুলো বলে সেটা রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েও বলতে পারে। কিন্তু সেটি না করে বাইরে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। এটি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো আসলে গণতান্ত্রিক রীতিনীতিতে তারা যে বিশ্বাস যে করে না, তাদের বক্তব্য সেটাই প্রমাণ করে। এবিনিউজ টুয়েন্টিফাের বিডিডটকম//এফ//
|
এ কারণেই তৈমূর আলম খন্দকারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে’ নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করছেন রাষ্ট্রপতি বিএনপি যে কথাগুলো বলে সেটা রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েও বলতে পারে
|
সব চেষ্টা ব্যর্থ, অবশেষে তিহারেই অনুব্রত
|
নিয়োগের তথ্য যেত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে, আদালতে জানালেন পার্থ
|
প্রকৌশলী ওসমান গণির বাড়িতে হামলার নিন্দায় পেশাজীবী পরিষদ নেতৃবৃন্দ
|
বিশ্বকাপ ক্রিকেট দলে না থাকার কারণ জানালেন তামিম ইকবাল
|
sports
|
ছবির উৎস, Tamim Iqbal/Facebook এক ভিডিও বার্তায় বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়ার কারণ সম্পর্কে জানান তামিম ইকবাল বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়া ক্রিকেটার তামিম ইকবাল দাবি করেছেন, তাকে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলতে নিষেধ করা হয়েছিল কিংবা তিনি যদি প্রথম ম্যাচে খেলেন তাহলে তাকে ওপেনিংয়ের পরিবর্তে নিচের দিকে খেলতে বলা হয়। বাংলাদেশের এই তারকা ব্যাটসম্যান দাবি করেন, ক্রিকেট বোর্ডের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাকে সরাসরি টেলিফোন করে এসব কথা বলেছেন। এর জের ধরে তিনি বিশ্বকাপ দল থেকে 'বাদ পড়েছেন' বলে উল্লেখ করেন তামিম ইকবাল। বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় এমনটাই জানিয়েছেন মি. ইকবাল। বিসিবির কোন কর্মকর্তাকে তাকে ফোন করেছিলেন সেটি নিয়ে কিছু বলেননি মি. ইকবাল। তিনি বলেন, বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়ার কারণ হিসেবে তার ইনজুরির যে বিষয়টা এর আগে মিডিয়াতে এসেছে তা ঠিক নয়। এছাড়া তিনি পাঁচ ম্যাচের বেশি খেলতে পারবেন না- বলেও যে খবর এসেছে সে বিষয়টিও ঠিক নয় বলে জানান তিনি। “মিডিয়াতে যেটা আসতেছে যে ইনজুরি বা পাঁচ ম্যাচ, আমার মনে হয় না যে ওয়ার্ল্ড কাপে না যাওয়ার পেছনে এটার কোন বড় অবদান ছিল। কারণ আমি এখনো ইনজুরড হই নাই এখনো, ব্যথা থাকতে পারে কিন্তু ইনজুরড হই নাই এখনো।” মঙ্গলবার বিশ্বকাপ দল ঘোষণার আগে দিনভর নানা নাটকীয়তা চলে। চূড়ান্ত দল ঘোষণার সময় বারবার পেছানোও হয় বিসিবির পক্ষ থেকে। মি. ইকবালকে দল থেকে বাদ দেয়ার বিষয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “মেডিকেল টিমের সাথে ও বোর্ডের সবার সাথে আলোচনা করেই তামিমের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।” “বিশ্বকাপে অনেকগুলো ম্যাচ আছে। তামিমের ইনজুরি থাকায় তাকে নিয়ে আমরা ঝুঁকি নিতে চাইনি।” বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়ার পর ভিডিও বার্তা দেয়ার আগে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেইজে তামিম ইকবাল বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় দল ভারতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার পর একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তিনি গত কয়েক দিনে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলবেন। পরে দেয়া ভিডিও বার্তায় তিনি পুরো ঘটনার বর্ণনা দেন এভাবে: “আমাকে বোর্ডের টপ লেভেল থেকে একজন ফোন করলেন। উনি বেশ ইনভলড আমাদের ক্রিকেটের সাথে। উনি আমাকে ফোন করে হঠাৎ করে বললেন যে, তুমি তো ওয়ার্ল্ড কাপে যাবা, তোমাকে তো ম্যানেজ করে খেলাইতে হবে। তুমি এক কাজ করো তুমি প্রথম ম্যাচ খেলিও না আফগানিস্তানের সাথে। আমি বললাম, এখনো তো ১২-১৩ দিনের কথা। ১২-১৩ দিনে তো আমি ভাল কন্ডিশনে থাকবো। তাহলে আমি কী কারণে খেলব না? তখন বললো যে আচ্ছা, তুমি যদি খেলো আমরা পরিকল্পনা করতেসি যে, তুমি খেললেও আমরা তোমাকে নিচের দিকে খেলাবো।” তামিমের ইনজুরি নিয়ে গত তিন মাস ধরেই নানা ধরণের নাটকীয় ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে মি. ইকবাল বলেন, “আপনাদের একটা জিনিস মনে রাখতে হবে যে আমি কোন মাইন্ডসেট থেকে আসতেছিলাম।” নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৪ রান করার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, একটা ভাল ইনিংস খেলেছি আমি ভাল মাইন্ডসেটে ছিলাম। হঠাৎ করে আবার এসব ধরণের কথা আমার পক্ষে নেয়া সম্ভব না। তিনি বলেন, “আমি ১৭ বছর ধরে এক পজিশনে ব্যাটিং করেছি, আমি জীবনে কোন দিন তিন-চারে ব্যাটিংই করিনি, এরকম যদি হইতো যে আমি তিনে ব্যাটিং করি, চারে ব্যাটিং করি, তারপরে যদি উপরে-নিচে করা হয় দ্যাট ক্যান বি অ্যাডজাস্টেবল। কিন্তু তিনে, চারে বা পাঁচে ব্যাটিং করার কোন অভিজ্ঞতাই আমার নাই।” তাকে প্রথম ম্যাচ খেলা থেকে বিরত থাকা বা নিচের দিকে ব্যাটিং করার বিষয়টি তিনি ভালভাবে নেননি উল্লেখ করে বলেন, “আমি উত্তেজিত হয়ে গেসিলাম। কারণ আমার বিষয়টি পছন্দ হয়নি। কারণ আমার মনে হয়েছে যে আমাকে জোর করে করে অনেক জায়গায় বাধা দেয়া হচ্ছে ইচ্ছা করে করে।” “তখন আমি বললাম যে, আপনারা একটা কাজ করেন, আপনাদের যদি এরকম চিন্তা ধারা থাকে তাহলে আপনারা আমাকে পাঠায়েন না। আমি এই নোংরামির মধ্যে থাকতে চাই না। প্রতিদিন একেকটা নতুন জিনিস আপনারা আমাকে ফেস করাবেন, আমি এইটার মধ্যে থাকতে চাই না।” আমি এই জিনিসটাই স্ট্রংলি বলছি যে, “এরকম যদি হয় এই নোংরামির মধ্যে থাকতে চাই না। আপনারা দরকার হইলে আমাকে সিলেক্ট করিয়েন না। আমি এইগুলা মানতে পারবো না।” ভিডিও বার্তার শেষের দিকে তিনি বলেন, ফোনালাপে হওয়া কথাগুলো যদি তার সামনে অন্যভাবে উপস্থাপন করা হতো তাহলে হয়তো তিনি এটাকে মেনে নিতেও পারতেন। “তবে হঠাৎ করে যদি কোন কারণ ছাড়া কেউ আপনাকে ফোন করে বলে যে আপনি খেলিয়েন না, বা খেললেও আপনাকে নিচে ব্যাট করানো হবে, তাহলে আমি জানি না যে সেটা কতটুকু ফেয়ার।” নিজের ফিটনেসের বিষয়ে মি. ইকবাল বলেন, লম্বা একটা সময় না খেলা এবং ইনজুরি থেকে সেরে ওঠার কারণে তার শরীরে অস্বস্তি এবং ব্যথা ছিল। প্রথম ম্যাচের পর তিনি শরীরে ব্যথা অনুভব করেছেন এবং খেলা শেষ হওয়ার পর তিনি বিষয়টি ফিজিওকে জানিয়েছেন। ঠিক সে মুহূর্তেই তিনজন নির্বাচক ড্রেসিং রুমে যায় বলেও তিনি জানান। মি. ইকবাল দাবি করেন, তিনি নির্বাচকদের জানিয়েছিলেন যে তার শরীরে একটু ব্যথা থাকলেও শরীর যেমন আছে ঠিক তেমনি থাকবে। “আপনারা (নির্বাচক) যখন টিমটা সিলেক্ট করবেন তখন এই বিষয়টা মাথায় টিমটা সিলেক্ট করিয়েন,” বলেন মি. ইকবাল। এটার কারণ আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অবসরের ঘোষণা দেয়ার আগে অধিনায়ক হিসেবে তিনি যে ম্যাচটি খেলেছিলেন সেখানে ইনজুরি একটা উদ্বেগ ছিল। এরপর তার ফিটনেস নিয়ে মিডিয়ায় নানা ধরণের মন্তব্য করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেকেই বলেছে যে, “সে যদি ফিট না থাকে তাহলে খেলা উচিত না।” এ কারণে তিনি আরেকটি বিতর্ক তৈরি করতে চাননি বলেই তিনি সিলেক্টরদের এমন কথা বলেছিলেন বলে জানান। “যদি আমি ওয়ার্ল্ড কাপে যাই, এমন হইতে পারে যে, আমি নয় ম্যাচ খেলি কোন সমস্যা ছাড়া, কারণ ওয়ার্ল্ড কাপের ফিকচার টাই এমন ছিল যে, প্রতিটা ম্যাচের পর পর তিন চার দিনের একটা গ্যাপ আছে প্রথম দুইটা ম্যাচ ছাড়া। তাহলে কিছু হবে না।” “আবার এমনও হইতে পারে, এটা যে কোন সুস্থ মানুষের সাথেও হইতে পারে যে দুইটা ম্যাচ খেলার পর ইনজুরড হইল, তাকে দেশে পাঠায় দিলো, তার রিপ্লেসমেন্ট গেলো। এজন্য আমি এই জিনিসটা তাদেরকে বলি।” তামিম ইকবাল দাবি করেন, ফিজিও রিপোর্ট তার জন্য কোন প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেনি। এরপর দুই দিন ধরে তার শারীরিক অবস্থার মূল্যায়ন করা হয় বলে জানান তিনি। সব মিলিয়ে তিনি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলার জন্য 'অনেক ভালো অবস্থায়' আছেন বলে ভিডিও বার্তায় জানান তামিম ইকবাল।
|
তাহলে আমি কী কারণে খেলব না? তখন বললো যে আচ্ছা, তুমি যদি খেলো আমরা পরিকল্পনা করতেসি যে, তুমি খেললেও আমরা তোমাকে নিচের দিকে খেলাবো” তামিমের ইনজুরি নিয়ে গত তিন মাস ধরেই নানা ধরণের নাটকীয় ঘটনা ঘটেছে এ বিষয়ে মি. ইকবাল বলেন, “আপনাদের একটা জিনিস মনে রাখতে হবে যে আমি কোন মাইন্ডসেট থেকে আসতেছিলাম” নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৪ রান করার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, একটা ভাল ইনিংস খেলেছি আমি ভাল মাইন্ডসেটে ছিলাম হঠাৎ করে আবার এসব ধরণের কথা আমার পক্ষে নেয়া সম্ভব না তিনি বলেন, “আমি ১৭ বছর ধরে এক পজিশনে ব্যাটিং করেছি, আমি জীবনে কোন দিন তিন-চারে ব্যাটিংই করিনি, এরকম যদি হইতো যে আমি তিনে ব্যাটিং করি, চারে ব্যাটিং করি, তারপরে যদি উপরে-নিচে করা হয় দ্যাট ক্যান বি অ্যাডজাস্টেবল কিন্তু তিনে, চারে বা পাঁচে ব্যাটিং করার কোন অভিজ্ঞতাই আমার নাই” তাকে প্রথম ম্যাচ খেলা থেকে বিরত থাকা বা নিচের দিকে ব্যাটিং করার বিষয়টি তিনি ভালভাবে নেননি উল্লেখ করে বলেন, “আমি উত্তেজিত হয়ে গেসিলাম কারণ আমার বিষয়টি পছন্দ হয়নি কারণ আমার মনে হয়েছে যে আমাকে জোর করে করে অনেক জায়গায় বাধা দেয়া হচ্ছে ইচ্ছা করে করে” “তখন আমি বললাম যে, আপনারা একটা কাজ করেন, আপনাদের যদি এরকম চিন্তা ধারা থাকে তাহলে আপনারা আমাকে পাঠায়েন না আমি এই নোংরামির মধ্যে থাকতে চাই না প্রতিদিন একেকটা নতুন জিনিস আপনারা আমাকে ফেস করাবেন, আমি এইটার মধ্যে থাকতে চাই না” আমি এই জিনিসটাই স্ট্রংলি বলছি যে, “এরকম যদি হয় এই নোংরামির মধ্যে থাকতে চাই না আপনারা দরকার হইলে আমাকে সিলেক্ট করিয়েন না আমি এইগুলা মানতে পারবো না” ভিডিও বার্তার শেষের দিকে তিনি বলেন, ফোনালাপে হওয়া কথাগুলো যদি তার সামনে অন্যভাবে উপস্থাপন করা হতো তাহলে হয়তো তিনি এটাকে মেনে নিতেও পারতেন “তবে হঠাৎ করে যদি কোন কারণ ছাড়া কেউ আপনাকে ফোন করে বলে যে আপনি খেলিয়েন না, বা খেললেও আপনাকে নিচে ব্যাট করানো হবে, তাহলে আমি জানি না যে সেটা কতটুকু ফেয়ার” নিজের ফিটনেসের বিষয়ে মি. ইকবাল বলেন, লম্বা একটা সময় না খেলা এবং ইনজুরি থেকে সেরে ওঠার কারণে তার শরীরে অস্বস্তি এবং ব্যথা ছিল
|
বিশ্বকাপ স্কোয়াডে নেই তামিম ইকবাল
|
৫ কারণ: কী ভাবে টেস্ট বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পেলেন অজিঙ্ক রাহানে
|
দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরানোর ডাক মোদীর, অথচ বিদ্রোহের স্তূপে বসে হিমাচলপ্রদেশ বিজেপি
|
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অন্তর্বাস পরে ছবি! নায়িকাদের ছকভাঙা সাজের পথ দেখালেন কি রিহানা?
|
lifestyle
|
বছর কয়েক আগেও অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ভারতীয় অভিনেত্রীদের ছবি খুব বেশি প্রকাশ্যে আসত না। পশ্চিমে অভিনেত্রীরা প্রায়ই অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ক্যামেরাবন্দি হতেন। এখন বলিপাড়ায় মাতৃত্বকালীন ফোটোশুটের ঝোঁক বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। এই বছরে বলিপা়ড়ার বেশ কয়েক জন অভিনেত্রী ছকভাঙা মাতৃত্বকালীন ফটোশুটে মজেছিলেন। সেই সব ছবি ভাইরাল হওয়া মাত্রই তা নিয়ে চর্চাও হয়েছে খুব। বলিপাড়ার অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের সাজে ছিল পশ্চিমি ছোঁয়া! এমন পদক্ষেপের নেপথ্যে ছিলেন কোন পশ্চিমি তারকা? মে মাসের ১৩ তারিখ সন্তানের জন্ম দেন মডেল ও অভিনেত্রী রিহানা। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় রিহানার একের পর এক মাতৃত্বকালীন ফটোশুটের ছবি নিয়ে ব্যাপক চর্চা চলেছিল ফ্যাশন দুনিয়ায়। কখনও নগ্ন শরীরে কেবল জ্যাকেট পরে, কখনও বাথটবে স্ফীতোদর দেখিয়ে, কখনও আবার কালো অন্তর্বাসেই ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন রিহানা। বলিপাড়ার অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের সাজেও কোথাও না কোথায় দেখা গিয়েছিল রিহানার ছাপ! আগে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অনুরাগীদের সঙ্গে ছবি ভাগ করে নিয়েছিলেন অনুষ্কা থেকে করিনা! তবে ২০২২ সালে অভিনেত্রীরা ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন অনেক বেশি সাহসী সাজে। বছরের শুরুটা হয়েছিল অভিনেত্রী সোনাম কপূরের মা হওয়ার খবর দিয়ে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় একাধিক বার সাহসী পোশাকে ক্যামেরবন্দি হয়েছেন সোনম। মা হওয়ার খবর অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার পর কালো স্বচ্ছ কাফতানে উষ্ণতার পারদ চড়িয়েছিলেন সোনম। এক হাতে সামলে রাখা স্ফীত পেট, অন্য হাত এলিয়ে দিয়েছেন মাথায়। জীবনের নতুন অধ্যায়ের উদ্যাপনে ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘‘বাচ্চার সঙ্গে, কাফতানে।’’ সোনামের সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই অনুরাগীরা কেউ কেউ বলছিলেন, সোনমের এই খোলামেলা পোশাক যেন কেমন চেনা চেনা ঠেকছে! সোনম কি নকল করেছেন জনপ্রিয় পপ গায়িকা রিহানাকে? এ দেশে অন্তঃসত্ত্বাদের নিয়ে রাখঢাক অনেক। তারই মাঝে বলি তারকাদের মাতৃত্বকালীন এমন পোশাক নিয়ে চর্চাও কম হয়নি। সোনমের দেখানো পথে হেঁটেছিলেন অভিনেত্রী বিপাশা বসুও। পরনে কালো নেটের গাউন, স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে স্ফীত উদর। পিছনে কালো ওড়না উড়ছে। মুখে হালকা হাসি, খোলা চুল আর হালকা মেক আপের মধ্যে দিয়েও স্পষ্ট মাতৃত্বকালীন জেল্লা। বিপাশার এই ছবিও বেশ সারা ফেলেছিল বলিপাড়ায়। ৪৩ বছর বয়েসে মা হয়েও এত সাহসী পদক্ষেপ কি খুব জরুরি ছিল? প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই। চেহারা যেমনই হোক, নিজস্বতাই সৌন্দর্য। ব্রোঞ্জ রঙের চেরা গাউনে মাতৃত্বের রূপ মেলে ধরে সেই বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী বিপাশা বসু। গাউন অবশ্য তিনি জড়িয়ে রেখেছেন শরীরে। নিম্নাঙ্গ অনাবৃত। এমন ছবি শেয়ার করে নানা কটাক্ষ শুনতে হয় বিপাশাকে। কটাক্ষের কথা না ভেবে একই কাজ করেছিলেন বঙ্গতনয়া দেবিনা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মাতৃত্বকালীন অবস্থায় তিনিও একাধিক বার খোলামেলা পোশাকে ক্যামেরাবন্দি হলেন। তবে সেখানেও সেই রিহানারই ছাপ! কালো অন্তর্বাসের উপর সাদা ফুলহাতা জামা পরে অভিনেত্রীর ছবি মনে করিয়ে দেয় রিহানার সাজ! ২০২২-এ বলিউডের মায়েদের সাহসীকতা চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেছে বার বার। মা হয়েও ‘উষ্ণ’ সাজে ক্যামেরাবন্দি হওয়া যায়, সেই পথই দেখিয়েছেন সোনম, বিপাশা, দেবিনা! কিন্তু বছরের শুরুতে পথটা দেখিয়েছিলেন রিহানাই, তা অস্বীকার করার উপায় নেই।
|
বলিপাড়ার অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের সাজে ছিল পশ্চিমি ছোঁয়া! এমন পদক্ষেপের নেপথ্যে ছিলেন কোন পশ্চিমি তারকা? মে মাসের ১৩ তারিখ সন্তানের জন্ম দেন মডেল ও অভিনেত্রী রিহানা অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় রিহানার একের পর এক মাতৃত্বকালীন ফটোশুটের ছবি নিয়ে ব্যাপক চর্চা চলেছিল ফ্যাশন দুনিয়ায় কখনও নগ্ন শরীরে কেবল জ্যাকেট পরে, কখনও বাথটবে স্ফীতোদর দেখিয়ে, কখনও আবার কালো অন্তর্বাসেই ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন রিহানা বলিপাড়ার অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের সাজেও কোথাও না কোথায় দেখা গিয়েছিল রিহানার ছাপ! আগে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অনুরাগীদের সঙ্গে ছবি ভাগ করে নিয়েছিলেন অনুষ্কা থেকে করিনা! তবে ২০২২ সালে অভিনেত্রীরা ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন অনেক বেশি সাহসী সাজে বছরের শুরুটা হয়েছিল অভিনেত্রী সোনাম কপূরের মা হওয়ার খবর দিয়ে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় একাধিক বার সাহসী পোশাকে ক্যামেরবন্দি হয়েছেন সোনম মা হওয়ার খবর অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার পর কালো স্বচ্ছ কাফতানে উষ্ণতার পারদ চড়িয়েছিলেন সোনম এক হাতে সামলে রাখা স্ফীত পেট, অন্য হাত এলিয়ে দিয়েছেন মাথায় জীবনের নতুন অধ্যায়ের উদ্যাপনে ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘‘বাচ্চার সঙ্গে, কাফতানে’’ সোনামের সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই অনুরাগীরা কেউ কেউ বলছিলেন, সোনমের এই খোলামেলা পোশাক যেন কেমন চেনা চেনা ঠেকছে! সোনম কি নকল করেছেন জনপ্রিয় পপ গায়িকা রিহানাকে? এ দেশে অন্তঃসত্ত্বাদের নিয়ে রাখঢাক অনেক তারই মাঝে বলি তারকাদের মাতৃত্বকালীন এমন পোশাক নিয়ে চর্চাও কম হয়নি
|
মেয়েদের শরীর কতটা ঢাকা দেখতে চান সলমন? অবশেষে তাঁর উত্তর মিলল
|
অন্তরায়
|
৮৭ বসন্ত পেরিয়েও অমলিন ‘মিকি’ ম্যাজিক
|
কেউ ৭ কোটি তো কেউ ৩০ কোটি! জাল নোটের খেলা দেখিয়ে কত উপার্জন করলেন ‘ফরজ়ি’রা?
|
entertainment
|
গুপ্তচর ব্রহ্মাণ্ড তৈরি করতে চলেছেনরাজ নিদিমোরু এবং কৃষ্ণ ডিকে। রাজ এবং ডিকে জুটি তাই ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’ ওয়েব সিরিজ়ের পর এ বার ওটিটি প্ল্যাটফর্মে নিয়ে এলেন ‘ফরজ়ি’। ছবি: সংগৃহীত ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’ অধিকাংশ দর্শকের প্রিয় ওয়েব সিরিজ়ের তালিকায়। তার উপর আবার আরও একটি ওয়েব সিরিজ়ের ঘোষণা করেন রাজ এবং ডিকে। তখন থেকেই দর্শকের উন্মাদনার পারদ চড়েছিল। তার আভাস পেয়েই বোধ হয় নির্দিষ্ট দিনের ১ দিন আগেই মুক্তি পেয়েছে ‘ফরজ়ি’। ছবি: সংগৃহীত
|
তখন থেকেই দর্শকের উন্মাদনার পারদ চড়েছিল তার আভাস পেয়েই বোধ হয় নির্দিষ্ট দিনের ১ দিন আগেই মুক্তি পেয়েছে ‘ফরজ়ি’
|
Fake Money: বিধানসভা ভোটের আগে ফের বিপুল পরিমাণ জাল নোট উদ্ধার ত্রিপুরায়
|
কেউ নিলেন ১০০ কোটি তো কেউ টাকাই নিলেন না! ‘পাঠান’ থেকে কত উপার্জন করলেন শাহরুখ-দীপিকারা?
|
‘নাগরিকত্ব চেয়ে ভারতে আসা পাক হিন্দুদের হয়রানি বন্ধ করুন’, শাহকে চিঠি অধীরের
|
কর্ণাটকের সরকার ফেলার চক্রান্ত শুরু বিজেপি’র
|
national
|
শনিবার বেঙ্গালুরুতে শপথ নিয়েছে কর্ণাটকের নবনির্বাচিত কংগ্রেস সরকার। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়ে সিদ্দারামাইয়া জানিয়ে দিয়েছেন যে তার সরকার আগামী একসপ্তাহের মধ্যে পাঁচ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে। এরই মধ্যে সরকার ফেলার কথা শোনা গিয়েছে বিজেপির মুখে কর্ণাটকের বিজেপি সভাপতি কে আন্নামালাই দাবি করেছেন যে, কংগ্রেস সরকার এক বছরের বেশি টিকবে না। উল্লেখ্য এর আগে একাধিক রাজ্যে বিধায়ক ভাঙিয়ে সরকার গঠন করেছে বিজেপি। কর্ণাটকেই তারা এই কাজ করেছে। ২০১৮ সালে কংগ্রেস জেডিএস জোট সরকার গঠন করলে বিধায়ক ভাঙিয়ে সরকার গঠন করেন তারা। মধ্যপ্রদেশেও ২০২০ সালে একই ছবি দেখা গিয়েছে। বিজেপির যুক্তি সিদ্দারামাইয়া এবং ডিকে শিবকুমার একসাথে কাজ করতে পারবেন না। সিদ্দারামাইয়া এবং শিবকুমার দুজনেই মুখ্যমন্ত্রীত্বের দাবিদার হলেও কংগ্রেস হাইকমান্ড ৭৫ বছর সিদ্দারামাইয়াকেই বেছে নিয়েছে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে। শিবকুমার হয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার নাম ঘোষণার পর সংবাদমাধ্যমকে সিদ্দারামাইয়া বলেছেন, ‘‘আমরা সব সময় ঐক্যবদ্ধ থাকবো। ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করবো। কংগ্রেস একটি পরিবারের মতো কাজ করবে।’’ টুইটারে শিবকুমার লিখেন, ‘‘কর্ণাটকবাসীর উন্নয়ন আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য এবং এই কাজে আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে এগিয়ে যাবো।’’ নির্বাচনী ফলাফলের পর শিবকুমার জানিয়ে দেন যে তিনি দল তাকে যেই দায়িত্ব দেবে তিনি তা পালন করবেন।
|
এরই মধ্যে সরকার ফেলার কথা শোনা গিয়েছে বিজেপির মুখে কর্ণাটকের বিজেপি সভাপতি কে আন্নামালাই দাবি করেছেন যে, কংগ্রেস সরকার এক বছরের বেশি টিকবে না উল্লেখ্য এর আগে একাধিক রাজ্যে বিধায়ক ভাঙিয়ে সরকার গঠন করেছে বিজেপি কর্ণাটকেই তারা এই কাজ করেছে ২০১৮ সালে কংগ্রেস জেডিএস জোট সরকার গঠন করলে বিধায়ক ভাঙিয়ে সরকার গঠন করেন তারা মধ্যপ্রদেশেও ২০২০ সালে একই ছবি দেখা গিয়েছে
|
গোষ্ঠী রাজনীতি তুঙ্গে, মুখ্যমন্ত্রীর মুখ ঘোষণা না-করেই কর্ণাটকে ভোটে যাচ্ছে বিজেপি
|
সরকারি চাকরি ও কর্মী, দুই-ই ছেঁটেছেন মোদী
|
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ছাড়াল
|
নোনাজলে সঙ্গমের ইচ্ছা পূরণ হয়নি, তাই ফাঁকা জাহাজেই মিলিত হন, অকপট রোনাল্ডো-সঙ্গিনী
|
lifestyle
|
কখনও রিয়াল মাদ্রিদের রেস্তরাঁয়, আবার কখনও অনেক দূরের কোনও সমুদ্রসৈকতে— ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এবং তাঁর বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজ় প্রেমের উদ্যাপনে ব্যস্ত থাকেন প্রায়ই। দু’জনের সম্পর্কের শুরু ২০১৬ সালে। প্রেমজীবন নিয়ে বরাবরই অকপট জর্জিনা। সম্প্রতি নেটফ্লিক্সের ‘আই অ্যাম জর্জিনা’ নামক একটি শোয়ে রোনাল্ডোর সঙ্গে রোমাঞ্চকর শরীরী উদ্যাপনের কথা ভাগ করে নিয়েছেন। জর্জিনার সঙ্গে প্রেমের আগে রোনাল্ডোর জীবনে ছিলেন রাশিয়ান মডেল ইরিনা শায়াক। ২০১০ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত চুটিয়ে প্রেম করেছেন দু’জনে। তার পর হঠাৎ বিচ্ছেদ। এক বছর পরেই রোনাল্ডোর জীবনে আসেন জর্জিনা। তখন থেকেই দু’জনের পথ চলা শুরু। এতগুলি বছর পেরিয়ে এসেও সে জুটি মজবুত এবং শক্তিশালী। প্রেম নিয়ে জর্জিনার কোনও লুকোছাপা ছিল না কোনও কালেই।
ছবিঃ সংগৃহীত প্রেম নিয়ে জর্জিনার কোনও লুকোছাপা ছিল না কোনও কালেই। এ বার নিজেদের শারীরিক সম্পর্ক নিয়েও মুখ খুললেন তিনি। জর্জিনা জানান, রোনাল্ডো এবং তিনি এক বার একটি সমুদ্রসৈকতে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু জর্জিনা সাঁতার কাটতে চাইছিলেন না। কারণ তিনি হাতে সদ্য ট্যাটু করিয়েছিলেন। যাতে নোনাজল লেগে না নষ্ট হয়ে যায়, তাই জলে নামতে চাননি। সমুদ্রতটে সঙ্গমের পরিকল্পনা আগেই করে রেখেছিলেন দু’জনে। কিন্তু রোনাল্ডো চেয়েছিলেন সমুদ্রের নোনা জলে বান্ধবীর সঙ্গে মিলিত হবেন। ট্যাটুর কারণে জর্জিনা রাজি হননি। অগত্যা দু’জনে ভাবতে বসেন, কোথায় একে অপরের সঙ্গে শরীরী খেলায় মেতে ওঠা যায়। ঠিক তখনই তাঁদের চোখ যায় দূরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ফাঁকা জাহাজের দিকে। এক মুহূর্ত দেরি না করে সেখানেই চলে যান দু’জনে। তার পর আর কোনও দিকে মন না দিয়ে শরীরী স্রোতে ভেসে যান। এই ঘটনাটি বলে জর্জিনা নিজেও বেশ লজ্জা পেয়ে যান। তবে শোয়ে উপস্থিত জর্জিনার এক বন্ধু তাঁকে খানিক ঠাট্টার ছলে বলেন, ‘‘জাহাজের চেয়ে তো হোটেলের বিছানা ভাল ছিল।’’
|
জর্জিনার সঙ্গে প্রেমের আগে রোনাল্ডোর জীবনে ছিলেন রাশিয়ান মডেল ইরিনা শায়াক ২০১০ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত চুটিয়ে প্রেম করেছেন দু’জনে তার পর হঠাৎ বিচ্ছেদ এক বছর পরেই রোনাল্ডোর জীবনে আসেন জর্জিনা তখন থেকেই দু’জনের পথ চলা শুরু এতগুলি বছর পেরিয়ে এসেও সে জুটি মজবুত এবং শক্তিশালী প্রেম নিয়ে জর্জিনার কোনও লুকোছাপা ছিল না কোনও কালেই
ছবিঃ সংগৃহীত প্রেম নিয়ে জর্জিনার কোনও লুকোছাপা ছিল না কোনও কালেই এ বার নিজেদের শারীরিক সম্পর্ক নিয়েও মুখ খুললেন তিনি
|
লাস্যময়ীর সঙ্গে হোটেলে এক রাত, শারীরিক সম্পর্ক? মুখ খুললেন রোনাল্ডো
|
৫ কারণ: দুধের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খাবেন কেন?
|
‘ডক্টর উজান’ এ বার তেজেশ কুমার! খলনায়ক হয়ে ছোট পর্দায় ফিরছেন ঋষি কৌশিক
|
আবারও করোনায় আক্রান্ত আসাদুজ্জামান নূর
|
entertainment
|
বিনোদন ডেস্ক : আবারও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বিশিষ্ট অভিনেতা ও সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর। এরআগেও তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে কিছুদিন হাসপাতালে ছিলেন। ১৯৪৬ সালের ৩১ অক্টোবর নীলফামারী জেলার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আসাদুজ্জামান নূর। পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বামপন্থী রাজনীতি থেকে হয়ে উঠেছেন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও মন্ত্রী। পাশাপাশি একজন সাধারণ থিয়েটারকর্মী থেকে হয়ে উঠেছেন কিংবদন্তিতুল্য বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। সংস্কৃতি ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য স্বাধীনতা পদকসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন এই সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। বর্তমানে আসাদুজ্জামান নূর বর্তমানে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ//
|
১৯৪৬ সালের ৩১ অক্টোবর নীলফামারী জেলার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আসাদুজ্জামান নূর পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বামপন্থী রাজনীতি থেকে হয়ে উঠেছেন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও মন্ত্রী
|
ফের করোনায় আক্রান্ত মির্জা ফখরুল
|
আবারও করোনায় আক্রান্ত জো বাইডেন
|
‘আসামে শাকসবজির আগুন দামের জন্যও মিঁয়া মুসলিমরাই দায়ী’
|
Samsung Galaxy M52 5G লঞ্চ হল ভারতে, জেনে নিন দাম, অফার এবং ফিচার সম্পর্কে
|
technology
|
Samsung ভারতের বাজারে নিয়ে এল তাদের 5G সাপোর্টেড হ্যান্ডসেট Galaxy M52। নতুন এই মডেলটি আগের লঞ্চ হওয়া Galaxy M51 এর আপগ্রেড মডেল হিসাবে বাজারে নিয়ে আসা হল। নতুন মিড-রেঞ্জের ফোনটির দাম ৩০ হাজার টাকার কম এবং আগের Galaxy M51 মডেলের চেয়ে অনেক দামি এবং আপগ্রেড এই নতুন স্মার্টফোন। নতুন লঞ্চ হওয়া Galaxy M52 সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়ুন। Samsung Galaxy M52 5G: ভারতে দাম এবং অফার Samsung Galaxy M52 5G, 6GB RAM + 128GB স্টোরেজ মডেলের দাম ২৯,৯৯৯ টাকা। এই মডেলের অপর ভ্যারিয়েন্ট 8GB RAM + 128GB স্টোরেজ মডেলের দাম ৩১,৯৯৯ টাকা। নতুন এই মডেল Samsung.com, Amazon ছাড়াও সকল রিটেল আউটলেট থেকে কিনতে পারবেন ক্রেতারা। Amazon Great Indian Festival sale উপলক্ষে এই মডেল ক্রেতারা পেয়ে যাবেন মাত্র ২৬,৯৯৯ টাকার অফার প্রাইজে। এই মডেলের অপর ভ্যারিয়েন্ট 8GB RAM + 128GB স্টোরেজ মডেলের দাম এই অফার উপলক্ষে মাত্র ২৮,৯৯৯ টাকা। যদিও এটি একটি সীমিত সময়ের অফার। Samsung Galaxy M52 5G: স্পেসিফিকেশন এবং ফিচার নতুন এই মডেলে রয়েছে 6.7-inch FHD+ Super AMOLED+ ডিসপ্লে। সঙ্গে রয়েছে 120Hz রিফ্রেশ রেট। এছাড়াও এই মডেলে রয়েছে 20:9 আস্পেক্ট রেশিও। Android 11 আপডেট ভার্সন থাকছে নতুন Samsung Galaxy M52 5G মডেলে। এই মডেলে থাকছে Qualcomm Snapdragon 778G প্রসেসর। এছাড়াও মাইক্রো এসডি কার্ডের মাধ্যমে এই মডেলের স্টোরেজ 1TB পর্যন্ত বাড়ানোর অপশন পাবেন ইউজাররা। ফটোগ্রাফির জন্য এই মডেলে থাকছে 64MP প্রাইমারি সেন্সর সহ ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ, সঙ্গে থাকছে 12MP সেকেন্ডারি ক্যামেরা, এবং 5MP ম্যাক্রো সেন্সর। সেলফির জন্য থাকছে 32MP ফ্রন্ট ফেসিং সেলফি ক্যামেরা। Samsung Galaxy M52 5G মডেলে রয়েছে 5,000mAh-এর ব্যাটারি। সঙ্গে থাকছে 25W ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট। এছাড়াও এই মডেলে রয়েছে একটি সাইড মাউন্ট ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর।কানেক্টিভিটির জন্য নতুন এই মডেলে থাকছে 5G, 4G LTE, Wi-Fi 6, Bluetooth v5, GPS/ A-GPS, এবং USB Type-C পোর্ট। এই স্মার্টফোনে থাকছে উন্নত Dolby Atmos, NFC এবং Knox Security সাপোর্ট। Stay updated with the latest news headlines and all the latest Technology news download Indian Express Bengali App. Web Title: Technology samsung galaxy m52 launched in india
|
ফটোগ্রাফির জন্য এই মডেলে থাকছে 64MP প্রাইমারি সেন্সর সহ ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ, সঙ্গে থাকছে 12MP সেকেন্ডারি ক্যামেরা, এবং 5MP ম্যাক্রো সেন্সর সেলফির জন্য থাকছে 32MP ফ্রন্ট ফেসিং সেলফি ক্যামেরা Samsung Galaxy M52 5G মডেলে রয়েছে 5,000mAh-এর ব্যাটারি সঙ্গে থাকছে 25W ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট এছাড়াও এই মডেলে রয়েছে একটি সাইড মাউন্ট ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরকানেক্টিভিটির জন্য নতুন এই মডেলে থাকছে 5G, 4G LTE, Wi-Fi 6, Bluetooth v5, GPS/ A-GPS, এবং USB Type-C পোর্ট এই স্মার্টফোনে থাকছে উন্নত Dolby Atmos, NFC এবং Knox Security সাপোর্ট Stay updated with the latest news headlines and all the latest Technology news download Indian Express Bengali App. Web Title: Technology samsung galaxy m52 launched in india
|
Samsung Galaxy F42 5G লঞ্চ হল ভারতে, জেনে নিন দাম, অফার এবং ফিচার সম্পর্কে
|
Samsung Galaxy F42 5G লঞ্চ হল ভারতে, জেনে নিন দাম, অফার এবং ফিচার সম্পর্কে
|
রাসবিহারীতে এটিএম প্রতারণায় মূল অভিযুক্তকে ধরল পুলিশ
|
৩৭ শতাংশ ভিভিপ্যাট-এ ত্রুটি, সারাতে পাঠাচ্ছে কমিশন
|
national
|
৩৭ শতাংশ ভিভিপ্যাট-এ গোলমাল, সারাতে পাঠাচ্ছে কমিশন সাড়ে ৬ লক্ষ ভিভিপ্যাট সারাতে পাঠাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ভোটদানের কাগজ পরীক্ষার এই সব যন্ত্রই নতুন, ব্যবহার হয়েছে ২০১৯’র লোকসভা নির্বাচনেও। হিসেবে দেখা যাচ্ছে যে নির্বাচন কমিশনের হিসেবেই বিকল যন্ত্র ব্যবহৃত মোটের ৩৭ শতাংশ। ইংরেজি সংবাদ পোর্টাল ‘দি ওয়্যার’ জানাচ্ছে, ২০২২’র অক্টোবরেই কমিশন বিকল যন্ত্র সংশ্লিষ্ট নির্মাতা সংস্থায় ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছিল। তারপরও প্রায় পাঁচ মাস বিপুল সংখ্যায় ভিভিপ্যাট যন্ত্র পড়ে রয়েছে গুদামে। ভোটের যান্ত্রিক ব্যবস্থাপনার বিশদ ব্যাখ্যা চাইতে বিরোধী দলগুলির বৈঠক হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। একযোগে কমিশনে যাওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে। সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য নীলোৎপল বসু জানাচ্ছেন, ‘‘ওই বৈঠকের সময় সাড়ে ৬ লক্ষ ভিভিপ্যাট বিকল থাকার তথ্য ছিল না। সেই তথ্য সামনে এসেছে। খুবই গুরুতর বিষয়। কমিশনে যাওয়ার বিষয়টি বিরোধী সলগুলি দ্রুত চূড়ান্ত করবে বলে আশা করা যায়।’’ ২০২৪’র লোকসভা নির্বাচনে প্রস্তুতি শুরু করেছে কমিশন। ভোটদানের যন্ত্র ইভিএম এবং মতদান পরীক্ষার কাগজের যন্ত্র ভিভিপ্যাট পরীক্ষা এবং সারানোর ব্যবস্থা নেওয়া কমিশনেরই কাজ। বিকল যন্ত্র প্রথম ব্যবহার হয় ২০২৮’র বিভিন্ন বিধানসভা ভোটে। ২০১৯-এ যে যন্ত্রগুলি ব্যবহার হয়েছে তার মধ্যেও রয়েছে বিকল প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ যন্ত্র। লোকসভা নির্বাচনে মোট ১৭ লক্ষ ৪০ হাজার ভিভিপ্যাট ব্যবহার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে কমিশন সূত্রে। বসু বলছেন, ‘‘এই ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রগুলি ২০১৯’এ কী অবস্থায় ছিল তার ব্যাখ্যা থাকা দরকার। ২০১৯’র ভোটের পর কমিশনের মোট ভোটদাতার হিসেব কিছু পরে বদলে গিয়েছিল। নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।’’ ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট যন্ত্রের সুরক্ষা নিয়ে বারবরই প্রশ্ন উঠেছে। কারসাজিরও অভিযোগ উঠেছে। কমিশন যদিও বরাবর খারিজ করেছে এই অভিযোগ। তবে প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরেশি ভোট প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমে তাঁর মন্তব্য, ‘‘কিছু যন্ত্র বারবারই খারাপ পাওয়া যায়। কিন্তু এত বড় সংখ্যায় ভিভিপ্যাট বিকল হিসেবে চিহ্নিত হলে তা উদ্বেগজনক।’’ বসুর বলেছেন, ‘‘ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট নিয়ে দীর্ধদিন ধরেই সংশয় রয়েছে। বিরোধীরা প্রশ্ন তোলায় ভিভিপ্যাট চালু হয়। বলা হয় এই স্লিপ দেখে ভোটা বুঝবেন যে তিনি যে দলকে ভোট দিয়েছেন তার পক্ষেই মত যন্ত্র নিয়েছে কিনা। কিন্তু দু’টি যন্ত্র আলাদা। ফলে মূল যন্ত্র ইভিএম-এ একই জায়গায় ভোট পড়েছে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়ে গিয়েছে। আমরা বারবারই জানতে চেয়েছে ইভিএম বাইরে থেকে কারসাজি রোধী তার প্রমাণ হাজির করুন। কমিশন এই প্রশ্ন এড়াতে চেয়েছে বারবার।’’ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে হায়দরাবাদে ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া এবং বেঙ্গালুরুর ভারত ইলেকট্রিনক্স লিমিটেডে পাঠানো হচ্ছে বিকল যন্ত্র। এতদিন ধরে কমিশনের বিভিন্ন গুদামে যন্ত্র পড়ে থাকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যন্ত্র ঠিক আছে কিনা প্রথম পরীক্ষা করার নিয়ম জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের। বিকল চিহ্নিত হলে রাজ্যে কমিশনের সিইও’র অনুমতি নিয়ে সাতদিনের মধ্যে ঠিক করতে পাঠানোর কথা। কিন্তু কমিশন অক্টোবরে সারানোর সিদ্ধান্ত নিলেও তা পাঠানো চলছে। ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট, দুই ক্ষেত্রেই, নিয়ম অনুযায়ী বিরোধী দলগুলিকে জানিয়ে সারানো বা অন্য কোনও কারণে যন্ত্রের হাতবদল হওয়ার কথা। বিরোধী দলগুলিকে আগাম জানানো হয়েছে কিনা স্পষ্ট নয়। কমিশন বিষয়টিতে বিবৃতি দেয়নি। ৩৭ শতাংশ ভিভিপ্যাট-এ গোলমাল, সারাতে পাঠাচ্ছে কমিশন সাড়ে ৬ লক্ষ ভিভিপ্যাট সারাতে পাঠাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ভোটদানের কাগজ পরীক্ষার এই সব যন্ত্রই নতুন, ব্যবহার হয়েছে ২০১৯’র লোকসভা নির্বাচনেও। হিসেবে দেখা যাচ্ছে যে নির্বাচন কমিশনের হিসেবেই বিকল যন্ত্র ব্যবহৃত মোটের ৩৭ শতাংশ। ইংরেজি সংবাদ পোর্টাল ‘দি ওয়্যার’ জানাচ্ছে, ২০২২’র অক্টোবরেই কমিশন বিকল যন্ত্র সংশ্লিষ্ট নির্মাতা সংস্থায় ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছিল। তারপরও প্রায় পাঁচ মাস বিপুল সংখ্যায় ভিভিপ্যাট যন্ত্র পড়ে রয়েছে গুদামে। ভোটের যান্ত্রিক ব্যবস্থাপনার বিশদ ব্যাখ্যা চাইতে বিরোধী দলগুলির বৈঠক হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। একযোগে কমিশনে যাওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে। সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য নীলোৎপল বসু জানাচ্ছেন, ‘‘ওই বৈঠকের সময় সাড়ে ৬ লক্ষ ভিভিপ্যাট বিকল থাকার তথ্য ছিল না। সেই তথ্য সামনে এসেছে। খুবই গুরুতর বিষয়। কমিশনে যাওয়ার বিষয়টি বিরোধী সলগুলি দ্রুত চূড়ান্ত করবে বলে আশা করা যায়।’’ ২০২৪’র লোকসভা নির্বাচনে প্রস্তুতি শুরু করেছে কমিশন। ভোটদানের যন্ত্র ইভিএম এবং মতদান পরীক্ষার কাগজের যন্ত্র ভিভিপ্যাট পরীক্ষা এবং সারানোর ব্যবস্থা নেওয়া কমিশনেরই কাজ। বিকল যন্ত্র প্রথম ব্যবহার হয় ২০২৮’র বিভিন্ন বিধানসভা ভোটে। ২০১৯-এ যে যন্ত্রগুলি ব্যবহার হয়েছে তার মধ্যেও রয়েছে বিকল প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ যন্ত্র। লোকসভা নির্বাচনে মোট ১৭ লক্ষ ৪০ হাজার ভিভিপ্যাট ব্যবহার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে কমিশন সূত্রে। বসু বলছেন, ‘‘এই ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রগুলি ২০১৯’এ কী অবস্থায় ছিল তার ব্যাখ্যা থাকা দরকার। ২০১৯’র ভোটের পর কমিশনের মোট ভোটদাতার হিসেব কিছু পরে বদলে গিয়েছিল। নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।’’ ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট যন্ত্রের সুরক্ষা নিয়ে বারবরই প্রশ্ন উঠেছে। কারসাজিরও অভিযোগ উঠেছে। কমিশন যদিও বরাবর খারিজ করেছে এই অভিযোগ। তবে প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরেশি ভোট প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমে তাঁর মন্তব্য, ‘‘কিছু যন্ত্র বারবারই খারাপ পাওয়া যায়। কিন্তু এত বড় সংখ্যায় ভিভিপ্যাট বিকল হিসেবে চিহ্নিত হলে তা উদ্বেগজনক।’’ বসু বলেছেন, ‘‘ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট নিয়ে দীর্ধদিন ধরেই সংশয় রয়েছে। বিরোধীরা প্রশ্ন তোলায় ভিভিপ্যাট চালু হয়। বলা হয় এই স্লিপ দেখে ভোটা বুঝবেন যে তিনি যে দলকে ভোট দিয়েছেন তার পক্ষেই মত যন্ত্র নিয়েছে কিনা। কিন্তু দু’টি যন্ত্র আলাদা। ফলে মূল যন্ত্র ইভিএম-এ একই জায়গায় ভোট পড়েছে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়ে গিয়েছে। আমরা বারবারই জানতে চেয়েছে ইভিএম বাইরে থেকে কারসাজি রোধী তার প্রমাণ হাজির করুন। কমিশন এই প্রশ্ন এড়াতে চেয়েছে বারবার।’’ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে হায়দরাবাদে ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া এবং বেঙ্গালুরুর ভারত ইলেকট্রিনক্স লিমিটেডে পাঠানো হচ্ছে বিকল যন্ত্র। এতদিন ধরে কমিশনের বিভিন্ন গুদামে যন্ত্র পড়ে থাকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যন্ত্র ঠিক আছে কিনা প্রথম পরীক্ষা করার নিয়ম জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের। বিকল চিহ্নিত হলে রাজ্যে কমিশনের সিইও’র অনুমতি নিয়ে সাতদিনের মধ্যে ঠিক করতে পাঠানোর কথা। কিন্তু কমিশন অক্টোবরে সারানোর সিদ্ধান্ত নিলেও তা পাঠানো চলছে। ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট, দুই ক্ষেত্রেই, নিয়ম অনুযায়ী বিরোধী দলগুলিকে জানিয়ে সারানো বা অন্য কোনও কারণে যন্ত্রের হাতবদল হওয়ার কথা। বিরোধী দলগুলিকে আগাম জানানো হয়েছে কিনা স্পষ্ট নয়। কমিশন বিষয়টিতে বিবৃতি দেয়নি।
|
বিকল চিহ্নিত হলে রাজ্যে কমিশনের সিইও’র অনুমতি নিয়ে সাতদিনের মধ্যে ঠিক করতে পাঠানোর কথা কিন্তু কমিশন অক্টোবরে সারানোর সিদ্ধান্ত নিলেও তা পাঠানো চলছে ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট, দুই ক্ষেত্রেই, নিয়ম অনুযায়ী বিরোধী দলগুলিকে জানিয়ে সারানো বা অন্য কোনও কারণে যন্ত্রের হাতবদল হওয়ার কথা বিরোধী দলগুলিকে আগাম জানানো হয়েছে কিনা স্পষ্ট নয় কমিশন বিষয়টিতে বিবৃতি দেয়নি ৩৭ শতাংশ ভিভিপ্যাট-এ গোলমাল, সারাতে পাঠাচ্ছে কমিশন সাড়ে ৬ লক্ষ ভিভিপ্যাট সারাতে পাঠাচ্ছে নির্বাচন কমিশন ভোটদানের কাগজ পরীক্ষার এই সব যন্ত্রই নতুন, ব্যবহার হয়েছে ২০১৯’র লোকসভা নির্বাচনেও হিসেবে দেখা যাচ্ছে যে নির্বাচন কমিশনের হিসেবেই বিকল যন্ত্র ব্যবহৃত মোটের ৩৭ শতাংশ ইংরেজি সংবাদ পোর্টাল ‘দি ওয়্যার’ জানাচ্ছে, ২০২২’র অক্টোবরেই কমিশন বিকল যন্ত্র সংশ্লিষ্ট নির্মাতা সংস্থায় ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছিল তারপরও প্রায় পাঁচ মাস বিপুল সংখ্যায় ভিভিপ্যাট যন্ত্র পড়ে রয়েছে গুদামে ভোটের যান্ত্রিক ব্যবস্থাপনার বিশদ ব্যাখ্যা চাইতে বিরোধী দলগুলির বৈঠক হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে একযোগে কমিশনে যাওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য নীলোৎপল বসু জানাচ্ছেন, ‘‘ওই বৈঠকের সময় সাড়ে ৬ লক্ষ ভিভিপ্যাট বিকল থাকার তথ্য ছিল না সেই তথ্য সামনে এসেছে খুবই গুরুতর বিষয় কমিশনে যাওয়ার বিষয়টি বিরোধী সলগুলি দ্রুত চূড়ান্ত করবে বলে আশা করা যায়’’ ২০২৪’র লোকসভা নির্বাচনে প্রস্তুতি শুরু করেছে কমিশন ভোটদানের যন্ত্র ইভিএম এবং মতদান পরীক্ষার কাগজের যন্ত্র ভিভিপ্যাট পরীক্ষা এবং সারানোর ব্যবস্থা নেওয়া কমিশনেরই কাজ বিকল যন্ত্র প্রথম ব্যবহার হয় ২০২৮’র বিভিন্ন বিধানসভা ভোটে ২০১৯-এ যে যন্ত্রগুলি ব্যবহার হয়েছে তার মধ্যেও রয়েছে বিকল প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ যন্ত্র লোকসভা নির্বাচনে মোট ১৭ লক্ষ ৪০ হাজার ভিভিপ্যাট ব্যবহার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে কমিশন সূত্রে বসু বলছেন, ‘‘এই ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রগুলি ২০১৯’এ কী অবস্থায় ছিল তার ব্যাখ্যা থাকা দরকার ২০১৯’র ভোটের পর কমিশনের মোট ভোটদাতার হিসেব কিছু পরে বদলে গিয়েছিল নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে’’ ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট যন্ত্রের সুরক্ষা নিয়ে বারবরই প্রশ্ন উঠেছে কারসাজিরও অভিযোগ উঠেছে কমিশন যদিও বরাবর খারিজ করেছে এই অভিযোগ তবে প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরেশি ভোট প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছেন
|
মণ্ডল প্যানেলের রিপোর্ট, যা কার্যকর করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ভিপি সিং
|
পুলিশ, কমিশনে চাপ বাড়াল বাম-কংগ্রেস
|
বাংলা ভাষা এখনও সর্বস্তরে প্রচলিত হয়নি : ফখরুল
|
বহুতলের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু বালকের
|
kolkata
|
বহুতলের ১১ তলার ছাদ থেকে পড়ে এক বালকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হল। শনিবার সন্ধ্যা সাতটায়, ফুলবাগান থানা এলাকার ক্যানাল সার্কুলার রোডে এই ঘটনা ঘটে। মৃতের নাম বিরাজ পচিসিয়া (১২)। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মোবাইলে গেমে আসক্ত হয়ে পড়েছিল সে। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় ক্যানাল সার্কুলার রোডের ওই বহুতল আবাসনের সুইমিং পুলের কাছে জোরে কিছু পড়ার শব্দ শোনা যায়। আবাসনের বাসিন্দারা গিয়ে দেখেন, সুইমিং পুলের কাছে ওই বালকের রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে। দ্রুত তাকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তত ক্ষণে মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়। ফুলবাগান থানার পুলিশ তদন্তে জেনেছে, ওই বালক পার্ক সার্কাস এলাকার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করত। তারা দুই ভাই। বাবা ব্যবসায়ী। গত কয়েক মাস ধরে একটি মোবাইল গেমে আসক্ত হয়ে পড়ে ওই বালক। তদন্তকারী এক অফিসার জানিয়েছেন, ওই বালকের মোবাইল ও ল্যাপটপ ঘেঁটে জানা গিয়েছে, সেটি ‘ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ’ গেমের মতো একটি খেলা। ওই খেলার শেষে অংশগ্রহণকারীকে আত্মঘাতী হওয়ার জন্য প্ররোচিত করা হয়। তাতেই আসক্ত হয়ে ওই বালক আত্মঘাতী হল কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়না-তদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, উপর থেকে পড়ে মারা গিয়েছে ওই বালক। মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোটও অবশ্য মেলেনি।
|
তারা দুই ভাই বাবা ব্যবসায়ী গত কয়েক মাস ধরে একটি মোবাইল গেমে আসক্ত হয়ে পড়ে ওই বালক তদন্তকারী এক অফিসার জানিয়েছেন, ওই বালকের মোবাইল ও ল্যাপটপ ঘেঁটে জানা গিয়েছে, সেটি ‘ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ’ গেমের মতো একটি খেলা ওই খেলার শেষে অংশগ্রহণকারীকে আত্মঘাতী হওয়ার জন্য প্ররোচিত করা হয় তাতেই আসক্ত হয়ে ওই বালক আত্মঘাতী হল কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে
|
মায়ের পারলৌকিক কাজে ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু বৃদ্ধের
|
বহুতল থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যুতে খুনের অভিযোগ, ধৃত ১
|
প্রতিবাদের জোর
|
Chandrayaan 2: বিক্রমের সাড়া পেতে ‘হ্যালো’ পাঠাল নাসা
|
technology
|
NASA Tries to Make Contact with Vikram Lander: ৭ তারিখ থেকে অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে চলেছে ইসরো। ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে চাঁদের মাটিতে বিক্রমে সন্ধান পাওয়া গেলেও, যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। কোনোরকম চেষ্টার ত্রুটি রাখতে চায়না ইসরো। এদিকে, চাঁদে পৌঁছানোর পাঁচদিনের মাথায় বিক্রমের সঙ্গে বেতার যোগযোগ স্থাপনের জন্য ইসরোকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডার তথা বিক্রমের এখনও কোনও খোঁজ নেই ৷ জানা যাচ্ছে, নাসা-র জেট প্রোপালসন ল্যাবরেটরি রেডিয়ো ফ্রিকুয়েন্সির মাধ্যমে নাসা-র অ্যান্টেনা বিক্রমকে ‘হ্যালো’ বার্তা পাঠিয়েছে নাসা ৷ ইসরোর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নাসা এমনটাই জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর,বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগে চেষ্টা চালানো হচ্ছে৷ টাইমস অফ ইন্ডিয়া-কে নাসা জানিয়েছে, নাসা/ জেপিএল চেষ্টা করছে ডিপ স্পেস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ করার। চন্দ্রযান-২ সম্পর্কে যাবতীয় খবর জানতে ক্লিক করুন দুশ্চিন্তার মুহূর্তের ১৫ মিনিটের মধ্যে বাকি ছিল শেষ দু-মিনিট। ২.১ কিমি উচ্চতা থেকে আর খোঁজ পাওয়া যায়নি ল্যান্ডারের। কোথায় হারিয়ে গেল সে, সময় পেরিয়ে যাচ্ছে তবু সাড়া দিচ্ছে না বিক্রম। হন্নে হয়ে খুঁজতে থাকে ইসরো। অবশেষে অরবিটারের পাঠানো থার্মাল ছবি থেকে খুঁজে পাওয়া যায় ল্যান্ডারকে। ইসরো জানিয়েছে, অক্ষত রয়েছে ল্যান্ডার। ল্যান্ড করার স্থান থেকে খুব বেশি দূরে গিয়ে নামেনি বিক্রম। ঢালি জায়গায় রয়েছে সে। তাহলে কেন সাড়া দিচ্ছে না ল্যান্ডার বিক্রম। সেই উত্তর খুঁজতেই এবার ইসরোকে সাহায্য করতে এগিয়ে এল নাসা। Stay updated with the latest news headlines and all the latest Technology news download Indian Express Bengali App. Web Title: Chandrayaan 2 nasa attempts to make contact with lander vikram on the moon
|
ল্যান্ড করার স্থান থেকে খুব বেশি দূরে গিয়ে নামেনি বিক্রম ঢালি জায়গায় রয়েছে সে তাহলে কেন সাড়া দিচ্ছে না ল্যান্ডার বিক্রম সেই উত্তর খুঁজতেই এবার ইসরোকে সাহায্য করতে এগিয়ে এল নাসা Stay updated with the latest news headlines and all the latest Technology news download Indian Express Bengali App. Web Title: Chandrayaan 2 nasa attempts to make contact with lander vikram on the moon
|
স্মাইল প্লিজ! চাঁদ থেকে বিক্রমের ছবি তুলে পাঠাল রোভার প্রজ্ঞান, শেয়ার করল ISRO
|
জুবেরের বিরুদ্ধে প্রমাণ নেই, স্বীকারোক্তি দিল্লি পুলিশের
|
কেরালা স্টোরির মধ্যেই সামনে গুজরাটের কাহিনী, মোদী-শাহের রাজ্য থেকে নিখোঁজ ৪০ হাজার মহিলা
|
BJP-র মহারাষ্ট্রের ছক বিহারে ভেস্তে দিল ‘মহাগটবন্ধন’, বুঝিয়ে ছাড়লেন তেজস্বী
|
politics
|
‘বিজেপি শুধু কিনতে জানে। আর, ভয় দেখাতে জানে। আমরা শুধু চেয়েছিলাম, যাতে বিহারে তাদের উদ্দেশ্য সফল না-হয়।’- রাতারাতি বিহারে সরকার ভেঙে সরকার গঠনের প্রস্তুতির মধ্যেই এমনটা জানালেন উপমুখ্যমন্ত্রী হতে চলা তেজস্বী যাদব। বুধবারই নতুন সরকারের শপথগ্রহণ। তারই মধ্যে বিজেপি সম্পর্কে আরও একটা সত্যের দরজা খুলে দিলেন তেজস্বী। বুঝিয়ে দিলেন, বিজেপি আর যাই হোক, জোটসঙ্গী হিসেবে মোটেও বিশ্বস্ত নয়। আর, জোটসঙ্গীরাও বিজেপিকে বিশ্বাস করে না। বিশেষ করে মহারাষ্ট্রে তারা শিবসেনার সঙ্গে যা করেছে, তার পর তো নয়ই। এই প্রসঙ্গে তেজস্বী বলেন, ‘বিহারের এই ঘটনার পর মধ্যভারতে বিজেপি আর কোনও জোটের অংশীদার রইল না।’ তেজস্বী বলেন, ‘বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেছেন, তিনি আঞ্চলিক দলগুলোকে ধ্বংস করে দেবেন। আমরা জানি যে আদবানিজির রথ থামিয়ে দিয়েছিলেন লালুজি। আমরা কোনও মূল্যেই হাল ছাড়ব না। হিন্দিবলয়ে বিজেপির আর কোনও জোটসঙ্গী থাকল না। ইতিহাস আমাদের শিখিয়েছে যে বিজেপি যে দলগুলোর সঙ্গে জোট গড়েছে, সেই দলগুলোকেই ধ্বংস করেছে। পঞ্জাব এবং মহারাষ্ট্রে আমরা সেটাই করতে দেখেছি।’ আরও পড়ুন- চিনকে টেক্কা দিতে কারিগরি ক্ষেত্রে জোর আমেরিকার, নতুন আইনে স্বাক্ষর বাইডেনের তেজস্বীর কথা অবশ্য অর্ধসত্য। কারণ, পঞ্জাবে শিরোমণি অকালি দল বিতর্কিত কৃষি বিলের পর বিজেপির সঙ্গে জোট ছিন্ন করেছে। আর, ২০১৯ সালের নির্বাচনের পর মহারাষ্ট্রে বিজেপির সঙ্গে শিবসেনার জোট ভেঙে যায়। তবে, উত্তরপ্রদেশে বিজেপি অবশ্য আপনা দল এবং নিষাদ পার্টির সঙ্গে এখনও জোট টিকিয়ে রেখেছে। তবে, ওই দুই দল এক নির্দিষ্ট এলাকাভিত্তিক পার্টি। অন্য কোনও দলের সহযোগিতা ছাড়া তাদের পক্ষে ক্ষমতায় বসা কঠিন। তাই, বিজেপির ওই দুটি ছোট দলকে নিয়ে কোনও ভয়ও নেই। বর্তমানে নীতীশ-তেজস্বীদের মহাগটবন্ধনের সঙ্গে ১৬৪ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। ১৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় সরকার গড়তে দরকার ১২২ আসন। তাই সরকার গড়তে মহাগটবন্ধনকে কোনও বেগ পেতে হবে না। আর, সেই কারণেই শপথ গ্রহণে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাজ্যপাল ফাগু চৌহান। বুধবার দুপুরেই নতুন সরকারের শপথগ্রহণ। Read full story in English Stay updated with the latest news headlines and all the latest Politics news download Indian Express Bengali App. Web Title: Tejashwi yadav says that bjp only knows how to buy and intimidate
|
হিন্দিবলয়ে বিজেপির আর কোনও জোটসঙ্গী থাকল না ইতিহাস আমাদের শিখিয়েছে যে বিজেপি যে দলগুলোর সঙ্গে জোট গড়েছে, সেই দলগুলোকেই ধ্বংস করেছে পঞ্জাব এবং মহারাষ্ট্রে আমরা সেটাই করতে দেখেছি’ আরও পড়ুন- চিনকে টেক্কা দিতে কারিগরি ক্ষেত্রে জোর আমেরিকার, নতুন আইনে স্বাক্ষর বাইডেনের তেজস্বীর কথা অবশ্য অর্ধসত্য কারণ, পঞ্জাবে শিরোমণি অকালি দল বিতর্কিত কৃষি বিলের পর বিজেপির সঙ্গে জোট ছিন্ন করেছে আর, ২০১৯ সালের নির্বাচনের পর মহারাষ্ট্রে বিজেপির সঙ্গে শিবসেনার জোট ভেঙে যায় তবে, উত্তরপ্রদেশে বিজেপি অবশ্য আপনা দল এবং নিষাদ পার্টির সঙ্গে এখনও জোট টিকিয়ে রেখেছে তবে, ওই দুই দল এক নির্দিষ্ট এলাকাভিত্তিক পার্টি অন্য কোনও দলের সহযোগিতা ছাড়া তাদের পক্ষে ক্ষমতায় বসা কঠিন তাই, বিজেপির ওই দুটি ছোট দলকে নিয়ে কোনও ভয়ও নেই
|
‘মহাগটবন্ধনে’ ফিরল বিহার, বুধে শপথ মুখ্যমন্ত্রী নীতীশের, ডেপুটি লালু-পুত্র তেজস্বী
|
ডাম্পারের ধাক্কায় মহিলার মৃত্যু
|
শোপিয়ানে সেনার গুলিতে নিহত উগ্রপন্থী দাবি পুলিশের
|
অনাদরে ইতিহাস, সাহেবনগর এখন গন্ডগ্রাম
|
editorial
|
বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউ এখানে নেই। তবে বিস্তীর্ণ নদীর কলতান মনপ্রাণ জুড়িয়ে দেয়। নদীর চরের বালুরাশি সমুদ্র সৈকতের পরিবেশ তৈরি করে। আবহাওয়াও সারা বছর মনোরম। নাতিশীতোষ্ণ বাতাসে বিষ নেই! পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি ২ নম্বর ব্লকের পূর্ব-দক্ষিণ সীমানায় ভাগীরথী নদীর মোহনায় পরিবেশ সত্যিই স্বাস্থ্যপ্রদ। খেজুরির ইতিহাসকার মহেন্দ্রনাথ করণের লেখায় অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল উপেন্দ্রনাথ মুখপাধ্যায়ের একটি লাইন এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য। যেখানে তিনি বলছেন, ‘পুরী, দার্জিলিং, ওয়ালটেয়ার, মধুপুরের চেয়েও বেশি স্বাস্থ্যকর খেজুরি’। খেজুরি যে অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর স্থান তা ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ আছে। সমুদ্র ক্রমশ দক্ষিণে সরে যাওয়ায় তাম্রলিপ্ত বন্দরের পতন ঘটে। সেই সময় ভাগীরথীর পশ্চিম তীর ঘেঁষে জেগে ওঠে দুটি বৃহৎ চর। ক্রমে সেই চর দু’টিই পরিণত হয় যমজ দ্বীপ—হিজলি ও খেজুরি। মাঝখানে কাউখালি নদী। মূল ভূখণ্ড থেকে দ্বীপ দু’টি আবার কুঞ্জপুর খালের মাধ্যমে বিছিন্ন। ১৫৫৩ খ্রিস্টাব্দে ডি ব্যারজের মানচিত্রে এই দ্বীপ চিহ্নিত রয়েছে। হিজলি উপকূলে রসুলপুর নদীর মোহনায় নাব্যতা বেশি হওয়ায় এখানে আন্তর্জাতিক বন্দর তৈরি হয়। তখন পাশের দ্বীপ খেজুরিও সমৃদ্ধশালী হয়ে ওঠে। ঐতিহাসিকদের মতে, খেজুরি দ্বীপের একটি বড় খেজুর গাছ নদী থেকে অনেক দূর পর্যন্ত দেখা যেত। সেই গাছ লক্ষ করে নৌকাগুলি যে ঘাটে এসে ভিড়ত, তার নাম হয়েছিল ‘খাজুরি ঘাট’। এই ঘাটের নাম অনুসারেই দ্বীপের নাম হয় ‘খাজুরি’ বা ‘খেজুরি’। হিজলির নবাব তাজ খান মসনদ-ই-আলার পুত্র বাহাদুরের মৃত্যুর পরে দক্ষিণবঙ্গ সম্পূর্ণ অরাজক হয়ে যায়। ১৬৬৪ সালে স্কাউটেন, ১৬৭৬ সালে স্ট্রিনশ্যাম মাস্টার এবং ১৬৮৩ সালে উইলিয়াম হেজেস খেজুরিতে নেমে গভীর জঙ্গল, সাপ, গন্ডার, বুনো মোষ, বাঘ প্রভৃতি হিংস্র জন্তু দেখতে পেয়েছিলেন। আর জঙ্গলের মাঝে ছিল নবাবি আমলে তৈরি ভাঙাচোরা মাটির দুর্গ। ১৬৮৭ খ্রিস্টাব্দে জব চার্ণককে বাংলার নবাব শায়েস্তা খাঁ কর্তৃক বিতাড়িত হয়ে হিজলিতে আশ্রয় নেন। সেই সময় পাশের দ্বীপ খেজুরিতে পর্তুগিজ ও মগ জলদস্যুদের অত্যাচার এত চরমে উঠেছিল যে জব চার্ণক মন্তব্য করেছিলেন ‘ডেয়ারফুল প্লেস’ বা ভয়ঙ্কর স্থান। তা ছাড়া ছিল মশা ও মহামারির মতো ম্যালেরিয়া রোগ। তখন খেজুরি খুবই অস্বাস্থ্যকর। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাত ধরে খেজুরির উন্নয়ন শুরু হয় সপ্তদশ শতাব্দীতে। এই সময় ভাগীরথী নদীর গতিপথ পরিবর্তনের কারণে পশ্চিম তীরের গভীরতা বাড়তে থাকে। ফলে, জাহাজ চলাচলের সুবিধা হয়। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের থেকেও এই দ্বীপটি হিজলির থেকে বেশি নিরাপদ ছিল। তাই এখানেই বন্দর তৈরি হয়। ঝোপ-জঙ্গল সাফ করে দ্রুত লোকবসতি গড়ে ওঠে। কোম্পানির কর্মচারীদের থাকার জন্য স্থায়ী আবাস, নাবিকদের জন্য আলাদা ব্যারাক, পূর্ত বিভাগের কর্মীদের জন্য বাড়ি, হিন্দু কর্মচারীদের সমুদ্রযাত্রার আগে গঙ্গাপুজোর জন্য নির্দিষ্ট উপসনা স্থল, মুসলিম কর্মচারীদের মহরম পালনের জন্য কারবালা ময়দান, তাঁদের থাকার আলাদা বালুবস্তি, দৈনন্দিন ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য হাট— একে একে সবই গড়ে ওঠে। জলদস্যুদের উৎপাত ঠেকাতে কোম্পানি ‘চৌকি নৌকা’র বন্দোবস্ত করেছিল। কোম্পানির বড় বড় জাহাজগুলিও এখানে নোঙর করে ছোট জাহাজে মালপত্র কলকাতা পাঠাত। ১৮১০ সালে রাতে জাহাজ চলাচলের সুবিধার জন্য আলোক সংকেত দিতে নির্মিত হয় বাতিঘর। একশো বছরেরও বেশি সময় ধরে রাতে নাবিকদের পথ দেখিয়ে ১৯২৫ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। ৮০ ফুট উঁচু ইটের তৈরি পাঁচতলা বাতিঘরটি থানাবেড়িয়ায় এখনও আছে। তখন বিদেশ থেকে চিঠিপত্রও আসত এই সকল মালবাহী জাহাজে। জাহাজ বন্দরে ভিড়লে ছোট ছোট দ্রুতগামী নৌকা ওই সব জাহাজ থেকে চিঠিপত্র সংগ্রহ করে কলকাতায় নিয়ে যেত। এই ভাবে ডাক-নৌকা চালু হয়। তৈরি হয় পোস্ট অফিস। খেজুরি তখন ব্যবসা-বাণিজ্যের কারণে এতটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল যে ১৮৫১-৫২ সালে সরকার কলকাতা থেকে খেজুরি পর্যন্ত টেলিগ্রাফ লাইন চালু করে। ‘ভয়ঙ্কর স্থান’ খেজুরি পুরোপুরি বন্দর নগরে পরিণত হওয়ার পরে মশার উৎপাত কমে যায়। ম্যালেরিয়ার প্রকোপ কমে। নাগরিক সুবিধা ও নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ুর জন্য স্বাস্থ্যকর স্থান হিসাবে খেজুরির খ্যাতি বাড়তে থাকে। যে খেজুরিতে ম্যালেরিয়ার ভয়ে লোকে আসত না, সেই খেজুরিতে ম্যালেরিয়া রোগীরা স্বাস্থ্যোদ্ধারে আসতে শুরু করে। তৈরি হয় পাকা বাড়ি। বহু উচ্চবিত্ত ইংরেজ পরিবার স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। খেজুরির নাম হয়ে যায় ‘সাহেব নগর’। যে সমৃদ্ধশালী বন্দর নগরী প্রায় দেড়শো বছর ধরে খ্যাতির চূড়ায় উঠেছিল, সে-ও প্রকৃতির রোষ থেকে রেহাই পায়নি। ১৮০৭ সালের ১০ মার্চের সামুদ্রিক ঝড়ে খেজুরি বন্দরের যথেষ্ট ক্ষতি হয়। ১৮২৩ সালের ২৭ মে আবার সামুদ্রিক ঝড় ওঠে। সে বার শুধু বন্দরের বিপুল ক্ষতি হয়নি, নদীর গতিপথও পাল্টে যায়। পরে যথাক্রমে ১৮৩১ ও ১৮৩৩ সালে সর্বগ্রাসী বন্যায় খেজুরি বন্দর সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। পরিণত হয় গন্ড গ্রামে। মেদিনীপুর জেলা ভাগ হয়ে পূর্ব মেদিনীপুর গঠিত হওয়ার পরে জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়নের নানা পন্থার খোঁজ চলছে। তার অন্যতম পর্যটন শিল্প। বহু টাকা ব্যয় করে দিঘার মানোন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু খেজুরি অনাদরেই পড়ে। দিঘার পথে হেঁড়িয়া থেকে ২৫ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে খেজুরির অবস্থান। তবে খেজুরি এখন আর দ্বীপ নেই, মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে মিশে গিয়েছে। তাতে অবশ্য প্রায় চারশো বছরের সমৃদ্ধ ইতিহাস ম্লান হয়নি। খেজুরির নদী তীরের পরিবেশও আগের মতোই মনোরম, জলবায়ু স্বাস্থ্যকর। খেজুরিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার জন্য সার্বিক পরিকল্পনা নেওয়া যেতেই পারে। ইতিমধ্যে প্রচুর মানুষ আসছেন শীতের মরসুমে বনভোজন করতে। পর্যটকদের রাত কাটানোর জন্য তৈরি হয়েছে হোম স্টে। ছোটখাটো হোটেলও তৈরি হচ্ছে। সাগরদ্বীপ ঘুরে ডায়মন্ড হারবার থেকে জলপথে ২ ঘণ্টার ভ্রমণ মানচিত্রে আনা যেতে পারে এই খেজুরিকে। আর দরকার খেজুরির ঐতিহাসিক স্থানগুলি চিহ্নিত করে জবরদখল মুক্ত করা। পাশে হিন্দু-মুসলমানের তীর্থ ক্ষেত্র ‘বাবা সাহেবের কোর্টগোড়া তো আছেই হিজলিতে। সম্ভাবনাময় খেজুরিকে তাই গড়া যায় আলাদা পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে, আবার দিঘার সঙ্গে ‘কন্ডাক্টেড ট্যুরে’ও জুড়ে দেওয়া যায়। লেখক পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অবসরপ্রাপ্ত সহ সচিব
|
খেজুরির ইতিহাসকার মহেন্দ্রনাথ করণের লেখায় অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল উপেন্দ্রনাথ মুখপাধ্যায়ের একটি লাইন এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যেখানে তিনি বলছেন, ‘পুরী, দার্জিলিং, ওয়ালটেয়ার, মধুপুরের চেয়েও বেশি স্বাস্থ্যকর খেজুরি’ খেজুরি যে অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর স্থান তা ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ আছে সমুদ্র ক্রমশ দক্ষিণে সরে যাওয়ায় তাম্রলিপ্ত বন্দরের পতন ঘটে সেই সময় ভাগীরথীর পশ্চিম তীর ঘেঁষে জেগে ওঠে দুটি বৃহৎ চর ক্রমে সেই চর দু’টিই পরিণত হয় যমজ দ্বীপ—হিজলি ও খেজুরি মাঝখানে কাউখালি নদী মূল ভূখণ্ড থেকে দ্বীপ দু’টি আবার কুঞ্জপুর খালের মাধ্যমে বিছিন্ন ১৫৫৩ খ্রিস্টাব্দে ডি ব্যারজের মানচিত্রে এই দ্বীপ চিহ্নিত রয়েছে হিজলি উপকূলে রসুলপুর নদীর মোহনায় নাব্যতা বেশি হওয়ায় এখানে আন্তর্জাতিক বন্দর তৈরি হয় তখন পাশের দ্বীপ খেজুরিও সমৃদ্ধশালী হয়ে ওঠে ঐতিহাসিকদের মতে, খেজুরি দ্বীপের একটি বড় খেজুর গাছ নদী থেকে অনেক দূর পর্যন্ত দেখা যেত সেই গাছ লক্ষ করে নৌকাগুলি যে ঘাটে এসে ভিড়ত, তার নাম হয়েছিল ‘খাজুরি ঘাট’ এই ঘাটের নাম অনুসারেই দ্বীপের নাম হয় ‘খাজুরি’ বা ‘খেজুরি’ হিজলির নবাব তাজ খান মসনদ-ই-আলার পুত্র বাহাদুরের মৃত্যুর পরে দক্ষিণবঙ্গ সম্পূর্ণ অরাজক হয়ে যায় ১৬৬৪ সালে স্কাউটেন, ১৬৭৬ সালে স্ট্রিনশ্যাম মাস্টার এবং ১৬৮৩ সালে উইলিয়াম হেজেস খেজুরিতে নেমে গভীর জঙ্গল, সাপ, গন্ডার, বুনো মোষ, বাঘ প্রভৃতি হিংস্র জন্তু দেখতে পেয়েছিলেন আর জঙ্গলের মাঝে ছিল নবাবি আমলে তৈরি ভাঙাচোরা মাটির দুর্গ ১৬৮৭ খ্রিস্টাব্দে জব চার্ণককে বাংলার নবাব শায়েস্তা খাঁ কর্তৃক বিতাড়িত হয়ে হিজলিতে আশ্রয় নেন সেই সময় পাশের দ্বীপ খেজুরিতে পর্তুগিজ ও মগ জলদস্যুদের অত্যাচার এত চরমে উঠেছিল যে জব চার্ণক মন্তব্য করেছিলেন ‘ডেয়ারফুল প্লেস’ বা ভয়ঙ্কর স্থান তা ছাড়া ছিল মশা ও মহামারির মতো ম্যালেরিয়া রোগ তখন খেজুরি খুবই অস্বাস্থ্যকর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাত ধরে খেজুরির উন্নয়ন শুরু হয় সপ্তদশ শতাব্দীতে এই সময় ভাগীরথী নদীর গতিপথ পরিবর্তনের কারণে পশ্চিম তীরের গভীরতা বাড়তে থাকে ফলে, জাহাজ চলাচলের সুবিধা হয় সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের থেকেও এই দ্বীপটি হিজলির থেকে বেশি নিরাপদ ছিল
|
প্রকৃত গরল
|
ঐতিহাসিক সাসারামের অন্দরে...
|
ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে নেমে মৃত তিন শ্রমিক
|
ফিলিপাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলি, সাবেক মেয়রসহ নিহত ৩
|
international
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিপাইনের শীর্ষস্থানীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে গুলির ঘটনায় তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন। এদের মধ্যে দেশটির সাবেক এক মেয়রও রয়েছেন। রোববার (২৪ মে) ফিলিপিনো রাজধানী ম্যানিলায় এ ঘটনা ঘটেছে। খবর রয়টার্সের। এদিন অ্যাতেনিও ডি ম্যানিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা একটি সমাবর্তন অনুষ্ঠানের জন্য সমবেত হয়েছিলেন। সেখানে মেয়ের অভিভাবক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণাঞ্চলীয় লামিটান শহরের সাবেক মেয়র রোজ ফুরিগে। এসময় এক বন্দুকধারীর গুলিতে ফুরিগের পাশাপাশি এক নিরাপত্তাকর্মী এবং অজ্ঞাত আরেক ব্যক্তি নিহত হন। স্থানীয় কুইজন সিটি পুলিশের প্রধান রেমাস মেদিনা জানিয়েছেন, ফুরিগেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যেই গুলি চালায় হামলাকারী। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা সদস্যদের গুলিতে আহত হন এবং গাড়িতে কিছুক্ষণ ধাওয়া করার পরে গ্রেফতার হয়েছেন। তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। মেদিনা বলেন, হামলাকারীকে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হত্যাকারী বলে মনে হয়েছে। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তার কোনো স্বজন ছিল না। গুলির ঘটনার পরপরই সমাবর্তন অনুষ্ঠান বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এই হত্যাকাণ্ডের পুঙ্খানুপুঙ্খ ও দ্রুত তদন্ত করবে এবং জড়িতদের বিচারের আওতায় আনবে। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটিতে বিক্ষিপ্তভাবে মাঝেমধ্যেই গুলির ঘটনা ঘটে। সেখানে জনসম্মুখে অস্ত্র বহনের জন্য মালিককে অনুমতি নিতে হয়। ফিলিপাইনের ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মীরা হ্যান্ডগান বা শটগান বহন করেন এবং শপিং মল, অফিস, ব্যাংক, রেস্তোরাঁ, এমনকি স্কুলেও আগ্নেয়াস্ত্র পরিবহন একটি সাধারণ দৃশ্য। এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ//
|
এদের মধ্যে দেশটির সাবেক এক মেয়রও রয়েছেন রোববার (২৪ মে) ফিলিপিনো রাজধানী ম্যানিলায় এ ঘটনা ঘটেছে খবর রয়টার্সের এদিন অ্যাতেনিও ডি ম্যানিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা একটি সমাবর্তন অনুষ্ঠানের জন্য সমবেত হয়েছিলেন সেখানে মেয়ের অভিভাবক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণাঞ্চলীয় লামিটান শহরের সাবেক মেয়র রোজ ফুরিগে এসময় এক বন্দুকধারীর গুলিতে ফুরিগের পাশাপাশি এক নিরাপত্তাকর্মী এবং অজ্ঞাত আরেক ব্যক্তি নিহত হন
|
যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককে গুলি করে হত্যা
|
অনলাইনে ক্লাস, পরীক্ষা অফলাইনে! নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া-বিক্ষোভ
|
গ্রিক পুরাণকথার ট্র্যাজিক নায়ককে নতুন ভাবে দেখল দক্ষিণ দিনাজপুর
|
প্রত্যাশার, প্রাপ্তির বাজেট
|
editorial
|
এই বছরের বাজেট এক নতুন সর্বজনীন, সুস্থায়ী, আত্মনির্ভর ও উন্নয়নশীল ভারত তৈরি করার কথা বলল। দেশকে ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে পাঁচ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি করে তোলার পথে নির্মলা সীতারামন তাঁর প্রথম বাজেটেই সুনিশ্চিত পদক্ষেপ করলেন। লগ্নি, কর্মসংস্থান ও ডিজিটাল ইকনমি তৈরির পথে তাঁর সিদ্ধান্তগুলি ভারতের সার্বিক উন্নয়নে সহায়ক হবে। এই বাজেটে পরিকাঠামো, জল সংরক্ষণ, ডিজিটাল অর্থনীতি, এবং রফতানি ক্ষেত্রের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা আর পরিকাঠামোকে গুরুত্ব দেওয়ায় তা পরিবহণব্যয় কমিয়ে ভারতকে প্রতিযোগিতাশীল করবে, ফলে শিল্পক্ষেত্রে অধিক বিনিয়োগ আনতে সাহায্য করবে। শিল্পের ব্যয় কমবে। অর্থনীতির বৃদ্ধির হার বাড়াতে আর্থিক সংস্কারের গুরুত্ব অসীম। অর্থমন্ত্রী সে দিকে নজর দিয়েছেন। এনবিএফসি বা ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক সংস্থাগুলির পক্ষে বেশ কিছু আর্থিক সুবিধা হয়েছে। সিদ্ধান্তগুলি একেবারে ঠিক অভিমুখে। এর ফলে অর্থনীতিতে নগদের জোগান বাড়বে। আর্থিক বৃদ্ধি যাতে বাড়ে আর স্বচ্ছতাও যাতে আসে, এই বাজেটের করনীতি তা নিশ্চিত করবে। পাঁচ লক্ষ টাকা অবধি যাঁদের আয়, এ বার থেকে তাঁদের আয়কর দিতে হবে না। ফলে, তাঁদের হাতে ব্যয়যোগ্য টাকার পরিমাণ বাড়বে। তাঁরা খরচ করলে বাজারও চাঙ্গা হবে। আগে বছরে ২৫০ কোটি টাকা অবধি ব্যবসার ক্ষেত্রে কর্পোরেট করের হার ছিল ২৫%। এ বার থেকে যে সব সংস্থার ব্যবসা বছরে ৪০০ কোটি টাকা অবধি, তাদেরও এই অপেক্ষাকৃত কম হারে কর দিতে হবে। দেশের মোট ব্যবসায়িক সংস্থার ৯৯.৩ শতাংশই এর আওতায় পড়ে। কাজেই, ছোট সংস্থার জন্য এটা এক মস্ত সুবিধা হল। আয়কর দাখিল করার জন্য এ বার থেকে প্যান বা আধার, যে কোনও একটি দিলেই চলবে। এর ফলে কর দেওয়ার কাজটা সহজতর হবে, আরও অনেক লোক কর দিতে উদ্বুদ্ধ হবেন। আরও কিছু সংস্কারের কথা উল্লেখ করা প্রয়োজন, যেমন আগে থেকেই পূরণ করে রাখা ট্যাক্স রিটার্ন; বা ই-অ্যাসেসমেন্ট, যেখানে আয়কর অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগের প্রয়োজনই থাকবে না। এই সংস্কারগুলির ফলে কর দাখিল করতে সময় কম লাগবে, কাজ আরও নির্ভুল হবে, কর প্রশাসনের কাজও সহজতর হবে। সবার জন্য বাড়ি তৈরির পথে আরও কয়েক ধাপ এগোনো গিয়েছে। রিয়েল এস্টেটের ক্ষেত্রে চাহিদা বাড়বে। বৈদ্যুতিক গাড়ির ক্ষেত্রে জিএসটির হার ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এই গাড়ি কিনলে ঋণের সুদের ওপর আয়কর ছাড়ের ব্যবস্থা হয়েছে। বৈদ্যুতিক গাড়ির আন্তর্জাতিক কেন্দ্র হয়ে ওঠার স্বপ্নের দিকেও এগোল ভারত। নারী-কেন্দ্রিক নীতি থেকে নারী-নেতৃত্বাধীন উদ্যোগের পথে হাঁটার কথা বললেন অর্থমন্ত্রী। মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে দেওয়া ঋণের ওপর সুদে ভর্তুকির সিদ্ধান্তটি তাৎপর্যপূর্ণ। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য প্রত্যেক মহিলার জনধন অ্যাকাউন্টে ১,৫০০ টাকা দেওয়া বা গোষ্ঠীর এক জনকে মুদ্রা প্রকল্পের অধীনে এক লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত মহিলাদের ক্ষমতায়নের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বাজেটে শিল্পক্ষেত্রও গুরুত্ব পেয়েছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্টারনেট অব থিংস, বিগ ডেটা বা রোবটিকস-এর মতো ভবিষ্যৎমুখী ক্ষেত্রে সরকার মনোযোগ দিয়েছে। এই ক্ষেত্রগুলির চাহিদা আন্তর্জাতিক বাজারে যেমন বাড়ছে, তেমনই বাড়ছে দেশের বাজারেও। এতে উঁচু মাইনের চাকরির সম্ভাবনাও প্রচুর। প্রযুক্তির সাহায্যে নাগরিকের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের প্রচেষ্টাও এই বাজেটে চোখে পড়ল। দেশের প্রতিটি গ্রামে স্বচ্ছ ভারত মিশনের মাধ্যমে বর্জ্য ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তটি তারই উদাহরণ। এই বাজেটে গুরুত্ব পেয়েছে জল ও জলসম্পদ। হর ঘর জল বা জল জীবন মিশনের মতো প্রকল্প সুস্থায়ী জল ম্যানেজমেন্টের পক্ষে সহায়ক হবে। পানীয় জল ও নিকাশি মন্ত্রক এবং জলসম্পদ মন্ত্রককে একত্রিত করে জলশক্তি মন্ত্রক গঠনের সিদ্ধান্তটি সব ভারতীয়ের কাছে নিরাপদ ও যথেষ্ট পরিমাণে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগে সহায়ক হবে। প্রধানমন্ত্রী মৎস্যসম্পদ যোজনাও খুবই প্রয়োজনীয় একটি উদ্যোগ। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজকোষ ঘাটতির পরিমাণ থাকছে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ৩.৩ শতাংশে। ঘাটতির পরিমাণ কমানোর ক্ষেত্রে সরকার কতখানি দায়বদ্ধ, এর থেকে তা বোঝা যায়। এর ফলে অর্থনীতি স্থিতিশীল হবে। সব মিলিয়ে ২০১৯ সালের কেন্দ্রীয় দেশের বাজেট সর্বজনীন উন্নয়নের পথে একটি সর্বাত্মক প্রচেষ্টার নজির হয়ে থাকল। দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে যা দায়বদ্ধ। ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে পাঁচ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি হয়ে উঠতে পারবে ভারত, এই বাজেট তেমন প্রত্যাশা তৈরি করল। মহানির্দেশক, সিআইআই ইমেল-এ সম্পাদকীয় পৃষ্ঠার জন্য প্রবন্ধ পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
অনুগ্রহ করে সঙ্গে ফোন নম্বর জানাবেন।
|
এই বছরের বাজেট এক নতুন সর্বজনীন, সুস্থায়ী, আত্মনির্ভর ও উন্নয়নশীল ভারত তৈরি করার কথা বলল দেশকে ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে পাঁচ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি করে তোলার পথে নির্মলা সীতারামন তাঁর প্রথম বাজেটেই সুনিশ্চিত পদক্ষেপ করলেন লগ্নি, কর্মসংস্থান ও ডিজিটাল ইকনমি তৈরির পথে তাঁর সিদ্ধান্তগুলি ভারতের সার্বিক উন্নয়নে সহায়ক হবে এই বাজেটে পরিকাঠামো, জল সংরক্ষণ, ডিজিটাল অর্থনীতি, এবং রফতানি ক্ষেত্রের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা আর পরিকাঠামোকে গুরুত্ব দেওয়ায় তা পরিবহণব্যয় কমিয়ে ভারতকে প্রতিযোগিতাশীল করবে, ফলে শিল্পক্ষেত্রে অধিক বিনিয়োগ আনতে সাহায্য করবে শিল্পের ব্যয় কমবে অর্থনীতির বৃদ্ধির হার বাড়াতে আর্থিক সংস্কারের গুরুত্ব অসীম অর্থমন্ত্রী সে দিকে নজর দিয়েছেন এনবিএফসি বা ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক সংস্থাগুলির পক্ষে বেশ কিছু আর্থিক সুবিধা হয়েছে সিদ্ধান্তগুলি একেবারে ঠিক অভিমুখে এর ফলে অর্থনীতিতে নগদের জোগান বাড়বে আর্থিক বৃদ্ধি যাতে বাড়ে আর স্বচ্ছতাও যাতে আসে, এই বাজেটের করনীতি তা নিশ্চিত করবে পাঁচ লক্ষ টাকা অবধি যাঁদের আয়, এ বার থেকে তাঁদের আয়কর দিতে হবে না ফলে, তাঁদের হাতে ব্যয়যোগ্য টাকার পরিমাণ বাড়বে তাঁরা খরচ করলে বাজারও চাঙ্গা হবে আগে বছরে ২৫০ কোটি টাকা অবধি ব্যবসার ক্ষেত্রে কর্পোরেট করের হার ছিল ২৫% এ বার থেকে যে সব সংস্থার ব্যবসা বছরে ৪০০ কোটি টাকা অবধি, তাদেরও এই অপেক্ষাকৃত কম হারে কর দিতে হবে
|
ইস্তেহারের প্রতিশ্রুতি, পূরণ-অপূরণের চুলচেরা বিশ্লেষণ
|
প্রতিবাদের ভাষা ভেঙে দিচ্ছেদুর্নীতি, দাঙ্গার ব্যারিকেড
|
চতুর্থ দিনে ‘পাঠান’-এর কাছে হেরে গেল ‘বাহুবলী ২’ ও ‘কেজিএফ ২’! কী ভাবে?
|
এ বিশ্বকে বাসযোগ্য করতে প্লাস্টিক দূষণ কমাতেই হবে
|
editorial
|
প্লাস্টিক দূষণ নিয়ে আমরা অনেকেই কমবেশি চিন্তিত। ‘প্লাস্টিক বর্জন করুন’ এই স্লোগানও বেশ পরিচিত। কিন্তু প্রতি দিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে রাত পর্যন্ত আমাদের জীবন জুড়ে থাকা প্লাস্টিক আমরা কেন বা কী ভাবে বর্জন করব, এটা একটা বড় প্রশ্ন । প্লাস্টিকের বহু সুবিধা থাকলেও সবচেয়ে বড় অসুবিধা হল, এটি ‘বায়োডিগ্রেডেবল’ নয় অর্থাৎ প্রকৃতিতে মিশে যায় না। পৃথিবীতে প্রথম তৈরি প্লাস্টিকটিও আজও ধ্বংস হয়নি। তাই ভারতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, অতিরিক্ত প্লাস্টিক নির্ভরতার কারণে প্রতি বছর তৈরি বর্জ্য ৫.৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন ছাড়িয়ে চলেছে। ভারত থেকে সমুদ্রে নিক্ষিপ্ত প্লাস্টিকের পরিমাণ পৃথিবীর প্লাস্টিক বর্জ্যের ৬০ শতাংশ। ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের সমীক্ষা অনুযায়ী, এ ভাবে চলতে থাকলে ২০৫০ সালে সমুদ্রে মাছের থেকে প্লাস্টিক বেশি হবে। আর এই বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিকের বিষময় ফল আমাদেরই ভুগতে হবে। আসলে প্লাস্টিক হল বেশ কিছু যৌগের পলিমার রূপ। এই যৌগগুলি মানুষের শরীরে দীর্ঘমেয়াদি বিষক্রিয়া তৈরি করে। প্লাস্টিকের বোতল বা ডায়াপারে বহুল ব্যবহৃত বিসফেনল ‘এ’, থ্যালেট প্রজননতন্ত্রের ক্ষতি করে। প্লাস্টিকের কাপে বা অন্য পাত্রে গরম পানীয় বা খাবার খেলে তার থেকে যে ডাইঅক্সিন শরীরে ঢোকে তা প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্য ভাবে কমিয়ে দেয়, মহিলাদের বন্ধ্যত্ব ঘটায়। এ ছাড়াও ‘এন্ডোক্রিন ডিজ়রাপটার’ রাসায়নিকগুলি দেহের হরমোনের কাজে ব্যাঘাত ঘটায় । পশুপাখি বা মাছ বহু সময়েই খাবার ভেবে বা খাবারের সঙ্গে প্লাস্টিক খেয়ে ফেলে। তার ফলে তাদের মৃত্যুর কথা প্রায়ই খবরে উঠে আসছে। আবার তাদের থেকেও খাদ্যশৃঙ্খলের মাধ্যমে মানুষের শরীরে ঢুকছে প্লাস্টিকের বিষ। বিপদ আসে অন্য দিক থেকেও। নর্দমা বা অন্য জমা জলে আটকে থাকা প্লাস্টিকে বিভিন্ন রোগজীবাণু বহনকারী কীটপতঙ্গ, মশা-মাছির জন্ম ও বংশবিস্তার হয়। তা থেকে ডায়রিয়া, ডিসেন্ট্রি, টাইফয়েড, কলেরা, জন্ডিস, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি ইত্যাদি রোগের সংক্রমণ হয়। বহু জায়গায় এই বর্জ্যের পরিমাণ কমাতে পুড়িয়ে ফেলার অভ্যাসও আছে যা একই সঙ্গে বিপজ্জনক। কারণ তা মারাত্মক বায়ুদূষণ করে যাতে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি এমনকি ক্যানসার অবধি হতে পারে। আর তা বেআইনিও বটে। এই বর্জ্য প্লাস্টিকের কারণে তৈরি মিথেন, ইথিলিনের মতো ‘গ্রিনহাউস গ্যাস’ উষ্ণায়ণে প্রত্যক্ষ কুপ্রভাব ফেলে। প্লাস্টিক থেকে অল্প বৃষ্টিতে জল জমা, বন্যা, তার থেকে জল, মাটি, বাতাসের দূষণ এ সবও ঘটে। জমিতে বা মাটিতে জমে থাকে বলে চাষের আনাজ, গাছের ক্ষতি হয়, মাটির নীচে জল ঢুকতে বাধা পায়। জলসঙ্কটের তা একটি কারণ হয়ে দাঁড়ায়। দেশজুড়ে জলাভাবের যে সাম্প্রতিক চিত্র তাতে এই বিষয়টি ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ। নিজেদের আর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে প্লাস্টিক দূষণ কমাতেই হবে। রাষ্ট্রপুঞ্জের পরিবেশ বিভাগের পাঁচ দিনের সম্মেলন থেকে সমস্ত দেশের কাছে ২০৩০ সালের মধ্যে প্লাস্টিকের ব্যবহার ন্যূনতম করার আর্জি রাখা হয়েছে। প্রথম উপায়, ব্যবহার যথাসম্ভব কমানো। ‘ডিসপোজ়েবল’ প্লাস্টিক বিশেষ করে যে কোনও ক্যারিব্যাগ, প্লাস্টিক কাপ বা গ্লাস, চামচ, প্যাকেটবন্দি জল, স্যাশে, স্ট্র ইত্যাদির ব্যবহার বন্ধ করা বা কমানো খুব কঠিন নয়। বাজার করুন বা না করুন, সঙ্গে একটা ব্যাগ সব সময়ে রাখলে হঠাৎ প্রয়োজনে প্লাস্টিকের প্যাকেট দোকান থেকে নিতে হয় না। মুদির দোকানের জিনিস অর্থাৎ ডাল-চিনি ইত্যাদি নিজের ব্যাগে কাগজের ঠোঙাতে নিন। কোনও জিনিস প্লাস্টিকের প্যাকেটে থাকলে বাড়ি এনে তা ঢেলে রেখে পরের দিন সেই দোকানে ফেরত দেওয়াই যায়। এ ভাবে প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ অর্ধেক করে ফেলা সম্ভব। এর পরে আসছে ব্যবহৃত প্লাস্টিকগুলির বিষয়। সেগুলি বারবার ব্যবহার করলে আরও খানিকটা কমবে বর্জ্য। যে বর্জ্য তৈরি হচ্ছে, সেগুলির যথাযথ ব্যবস্থাপনাও জরুরি। পুনর্ব্যবহার বা ‘রিসাইকেল’ শব্দটি আমাদের পছন্দের হলেও সেই পদ্ধতি পরিবেশবান্ধব নয় বেশির ভাগ সময়ে। আর তাতেও একটি প্লাস্টিক ৩-৪ বার ব্যবহারযোগ্য করা যায় মাত্র। আদতে তাকে ‘ডাউনসাইকেল’ বলা যায়। এর পরেও যে প্লাস্টিক ঢুকছে বাড়িতে, তা পুরোনো বোতলে ভর্তি করে ‘ইকো-ব্রিক’ বানিয়ে বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করা সম্ভব। এতে খুব অল্প জায়গায় প্রচুর প্লাস্টিক আটকে দেওয়া সম্ভব। প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য গত বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের থিমই ছিল ‘বিট প্লাস্টিক পলিউশন’। আয়োজক দেশ ভারত। সচেতনতার জন্য ৩ জুলাই দিনটি পালন করা হয় বিশ্ব প্লাস্টিকব্যাগ মুক্ত দিবস হিসেবে। কিন্তু সত্যিই কতটা কমানো গিয়েছে বা যাচ্ছে প্লাস্টিক দূষণ? এই পৃথিবীতে টিকতে হলে প্রতিটি মানুষকে ভাবতে হবে, দায়িত্ব নিতে হবে। পরিবেশ দফতর, প্রশাসন, সরকারকে মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি উপযুক্ত আইন করে তার কঠোর প্রয়োগে উদ্যোগী হতে হবে। প্লাস্টিক তৈরির ধাপ থেকে শুরু করে বিক্রি, ব্যবহার, বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা প্রতিটি ধাপেই। দীর্ঘমেয়াদি ও সুস্থায়ী উন্নয়নের জন্য ব্যক্তিগত স্বার্থের বদলে ভাবতে হবে পরিবেশের কথা। দেশের মানুষের ভাল থাকার জন্যে ভাল রাখতে হবে মাটি-জল-জঙ্গলকে। সেটা করার চেষ্টাই সত্যিকারের দেশপ্রেম। এই ভালবাসার বীজই বোনা হোক। চিকিৎসক ও পরিবেশকর্মী, রানাঘাট
|
প্লাস্টিকের বোতল বা ডায়াপারে বহুল ব্যবহৃত বিসফেনল ‘এ’, থ্যালেট প্রজননতন্ত্রের ক্ষতি করে প্লাস্টিকের কাপে বা অন্য পাত্রে গরম পানীয় বা খাবার খেলে তার থেকে যে ডাইঅক্সিন শরীরে ঢোকে তা প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্য ভাবে কমিয়ে দেয়, মহিলাদের বন্ধ্যত্ব ঘটায় এ ছাড়াও ‘এন্ডোক্রিন ডিজ়রাপটার’ রাসায়নিকগুলি দেহের হরমোনের কাজে ব্যাঘাত ঘটায় পশুপাখি বা মাছ বহু সময়েই খাবার ভেবে বা খাবারের সঙ্গে প্লাস্টিক খেয়ে ফেলে তার ফলে তাদের মৃত্যুর কথা প্রায়ই খবরে উঠে আসছে আবার তাদের থেকেও খাদ্যশৃঙ্খলের মাধ্যমে মানুষের শরীরে ঢুকছে প্লাস্টিকের বিষ বিপদ আসে অন্য দিক থেকেও নর্দমা বা অন্য জমা জলে আটকে থাকা প্লাস্টিকে বিভিন্ন রোগজীবাণু বহনকারী কীটপতঙ্গ, মশা-মাছির জন্ম ও বংশবিস্তার হয় তা থেকে ডায়রিয়া, ডিসেন্ট্রি, টাইফয়েড, কলেরা, জন্ডিস, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি ইত্যাদি রোগের সংক্রমণ হয় বহু জায়গায় এই বর্জ্যের পরিমাণ কমাতে পুড়িয়ে ফেলার অভ্যাসও আছে যা একই সঙ্গে বিপজ্জনক কারণ তা মারাত্মক বায়ুদূষণ করে যাতে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি এমনকি ক্যানসার অবধি হতে পারে আর তা বেআইনিও বটে এই বর্জ্য প্লাস্টিকের কারণে তৈরি মিথেন, ইথিলিনের মতো ‘গ্রিনহাউস গ্যাস’ উষ্ণায়ণে প্রত্যক্ষ কুপ্রভাব ফেলে প্লাস্টিক থেকে অল্প বৃষ্টিতে জল জমা, বন্যা, তার থেকে জল, মাটি, বাতাসের দূষণ এ সবও ঘটে জমিতে বা মাটিতে জমে থাকে বলে চাষের আনাজ, গাছের ক্ষতি হয়, মাটির নীচে জল ঢুকতে বাধা পায় জলসঙ্কটের তা একটি কারণ হয়ে দাঁড়ায় দেশজুড়ে জলাভাবের যে সাম্প্রতিক চিত্র তাতে এই বিষয়টি ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ নিজেদের আর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে প্লাস্টিক দূষণ কমাতেই হবে রাষ্ট্রপুঞ্জের পরিবেশ বিভাগের পাঁচ দিনের সম্মেলন থেকে সমস্ত দেশের কাছে ২০৩০ সালের মধ্যে প্লাস্টিকের ব্যবহার ন্যূনতম করার আর্জি রাখা হয়েছে
|
প্লাস্টিক ব্যাগের বিকল্প কী?
|
বিশ্বকাপে পাকিস্তান আসছে কিনা ঠিক করতে কমিটি শরিফের
|
সম্পাদক সমীপেষু: এলেবেলে স্কুলশিক্ষা
|
টেস্টে ফিরেই সেঞ্চুরি হাঁকালেন মাহমুদউল্লাহ
|
sports
|
স্পোর্টস ডেস্ক: হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় দিনের জন্য আশার প্রতীক হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার ব্যাটের দিকে তাকিয়ে আছে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহই স্কোরকে ৩২০ এর বেশি নিয়ে যেতে পারবেন বলে ভরসা রাখেন টাইগারদের নতুন ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স। আর সবার আশা পূরণ করলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আগেরদিন ৫৪ রানে অপরাজিত থাকা মাহমুদউল্লাহ আজ তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার পৌঁছে গেলেন। ক্যারিয়ারের পঞ্চাশতম টেস্টে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে মাইলফলক রাঙালেন এ অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। ১৯৭ বলে ১০৪ রানে অপরাজিত মাহমুদউল্লাহ। ১১টি বাউন্ডারি ও একটি ছয়ে এ ইনিংস সাজিয়েছেন তিনি। টেস্ট ক্যারিয়ারে মাহমুদউল্লাহর এটি পঞ্চম সেঞ্চুরি। তবে এক্ষেত্রে অপরপ্রান্তের ব্যাটসম্যান তাসকিন আহমেদ দুর্দান্ত সপোর্ট দিয়ে যাচ্ছেন। গতবছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান সফরে নিজের ৪৯তম টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু পঞ্চাশতম ম্যাচের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে দীর্ঘ ১৬ মাস। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের পর ১৬ মাসের জন্য বাদ পড়ে যান দল থেকে। একেবারেই উপেক্ষিত ছিলেন। কিন্তু জিম্বাবুয়ে সফরে হুট করেই তাকে টেস্ট স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করেন নির্বাচকরা। সিদ্ধান্তটি যে কতটা সঠিক ছিল তা এখন বেশ বোঝাই যাচ্ছে। সুযোগের পূর্ণ ব্যবহার করেলেন মাহমুদউল্লাহ। টেস্টেও যে দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তিনি তা হাড়ে হাড়ে টের পাইয়ে দিলেন টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক। এ প্রতিবেদন লেখার সময় ৮ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৯২ রান। মাহমুদউল্লাহ-তাসকিনের জুটিতে ভর করে এখন চারশো ছোঁয়ার অপেক্ষায় বাংলাদেশ। অথচ ৩০০ ছুঁতে পারবে কি না তা নিয়েই দুশ্চিন্তা ছিল এক সময়। এবিনিউজ টোয়েন্টিফোর বিডিডটকম /এম.এস
|
কিন্তু পঞ্চাশতম ম্যাচের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে দীর্ঘ ১৬ মাস রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের পর ১৬ মাসের জন্য বাদ পড়ে যান দল থেকে একেবারেই উপেক্ষিত ছিলেন কিন্তু জিম্বাবুয়ে সফরে হুট করেই তাকে টেস্ট স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করেন নির্বাচকরা সিদ্ধান্তটি যে কতটা সঠিক ছিল তা এখন বেশ বোঝাই যাচ্ছে সুযোগের পূর্ণ ব্যবহার করেলেন মাহমুদউল্লাহ টেস্টেও যে দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তিনি তা হাড়ে হাড়ে টের পাইয়ে দিলেন টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক
|
ছক্কা মেরে ফিফটি তিন বছর পর ওয়ানডেতে ফেরা বিজয়ের
|
এগিয়ে নিচ্ছেন সাকিব-মাহমুদউল্লাহ
|
ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ কি আজ বিপন্ন
|
বাধা
|
editorial
|
এক আরটিআই-এর জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানাইয়াছে, ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’ সম্বন্ধে কোনও তথ্য মন্ত্রকের নিকট নাই। অথচ, মন্ত্রকের— এবং, দুর্জনের মতে, গোটা কেন্দ্রীয় সরকারের— হর্তাকর্তাবিধাতা অমিত শাহের মুখে ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’ বই কথা নাই। তিনি যাহাই করেন, অথবা তাঁহার অনুমোদনে যাহাই ঘটে, সবই এই ‘গ্যাং’-কে শায়েস্তা করিবার মহৎ উদ্দেশ্যে। সরকার যেহেতু কিছুই জানে না, এবং জানাইতেও অক্ষম, ফলে মন্ত্রিমহাশয়ের কথার সূত্র গাঁথিয়াই এই দলটিকে শনাক্ত করিতে হইবে। ‘টুকড়ে টুকড়ে’ নামকরণের কৃতিত্ব অবশ্য অমিত শাহের নহে— এক সংবাদজীবীর। শব্দবন্ধটির অর্থের সম্প্রসারণ ঘটিয়াছে। আদিতে এই নামটি শুধুমাত্র জেএনইউ-এর উদারবাদী ছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রযুক্ত হইত। এখন, দেশের যে কোনও প্রান্তে, এমনকি বিদেশেও, উদারবাদী কণ্ঠস্বর শোনা গেলেই তাহাকে ‘টুকড়ে টুকড়ে’ বিশেষণে অভিহিত করা হয়। কানহাইয়া কুমার হইতে রামচন্দ্র গুহ, অমর্ত্য সেন— প্রত্যেকেরই ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’-এর সদস্যপদ প্রাপ্তির সৌভাগ্য হইয়াছে। অমিত শাহদের বক্তব্য, এই দলবল ভারতকে খণ্ডবিখণ্ড করিতে চাহে। যাঁহাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভারতকে টুকরা করিবার কথা তাঁহাদের মুখে কখনও শোনা যায় নাই। তাঁহারা বিভিন্ন অধিকারের দাবি করিয়াছেন— কখনও মনুবাদ হইতে মুক্তির অধিকার, কখনও সকলের জন্য শিক্ষা-স্বাস্থ্য-কর্মসংস্থানের অধিকার, কখনও মুসলমানদের সমনাগরিকত্বের অধিকার, কখনও কাশ্মীরে রাষ্ট্রীয় দমনপীড়নহীন জীবনের অধিকার। এই দাবিগুলি নাগপুরের পাঠশালার ছাত্রদের নিকট দেশদ্রোহই ঠেকিবে, কারণ তাঁহারা দেশ বলিতে বোঝেন হিন্দিভাষী উচ্চবর্ণের হিন্দু পুরুষদের চারণক্ষেত্র। সেই দেশ একমাত্রিক, গৈরিক বর্ণ। যে দাবি সেই একশৈলিক ধারণাকে প্রশ্ন করে, ‘অপর’-এর অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করিতে চাহে, সেই দাবিই ‘নাগপুরের দেশ’-কে খণ্ড করিতে চাহে। সমস্যা হইল, অমিত শাহরা যখন কথাটি বলেন, তখন তাঁহারা বলিয়া দেন না যে বহুবিচিত্র ভারত তাঁহাদের দেশই নহে— সেই গ্রহণশীল, উদার, ধর্মনিরপেক্ষ পরিসর লইয়া তাঁহাদের বিন্দুমাত্র শিরঃপীড়া নাই— কানহাইয়া কুমাররা সাভারকর বর্ণিত ‘পিতৃভূমি’-কে বারংবার প্রশ্নের মুখে ফেলন বলিয়াই তাঁহাদের গোঁসা। বলিলে, দেশের সিংহভাগ মানুষ জানিতেন, ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’ আসলে তাঁহাদের জন্য মনুবাদীদের খপ্পর হইতে ভারতকে উদ্ধার করিয়া আনিতে চেষ্টা করিতেছে। কে প্রকৃত দেশপ্রেমী, তাহাতে সন্দেহ থাকিত না। গৈরিকমহলে ইদানীং ‘অধিকার’ লইয়া ভাবনাচিন্তা চলিতেছে বলিয়া আঁচ করা যায়। অধিকারের দাবির বিপ্রতীপে তাঁহারা বসাইয়াছেন রাষ্ট্রের প্রতি কর্তব্যের ধারণাকে। সংসদেই হউক বা পরীক্ষার্থী সমাবেশে, সুযোগ পাইলেই তাঁহারা জানাইতেছেন, (রাষ্ট্রের প্রতি) কর্তব্যপালনই সর্বাপেক্ষা মহৎ অধিকার। এই অবস্থানটির মধ্যে কোনও দার্শনিক ভাবনা নাই, কেবল আমূল রাজনৈতিক বিবেচনা আছে। যে রাষ্ট্রের ধারণাকে তাঁহারা প্রতিষ্ঠা করিতে চাহেন, সেই রাষ্ট্র সাভারকরের, গোলওয়ালকরের— সেই রাষ্ট্রে অ-হিন্দুরা যেমন দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক, নারীরাও তেমনই। সেখানে নিম্নবর্ণের স্থান উচ্চবর্ণের পদতলে। রাষ্ট্রের প্রতি কর্তব্যপালনে নাগরিককে বাধ্য করিবার অর্থ, এই আনখশির হিন্দুত্ববাদকে প্রশ্নাতীত স্বীকৃতি দেওয়া। যাঁহারা প্রশ্ন করিবেন, তাঁহাদের যদি কর্তব্যের শৃঙ্খলে বাঁধিয়া ফেলা যায়, এবং সেই কর্তব্যকেই যদি একমাত্র বৈধ আচরণ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা যায়, তবে সব প্রশ্নই অবৈধ হইবে। হিন্দুরাষ্ট্রের এই স্বীকৃতির পথ রুধিয়া আছে অধিকারবাদীরা, অর্থাৎ কাল্পনিক ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’। অমিত শাহরা সহ্য করিবেন কী ভাবে?
|
সেই দেশ একমাত্রিক, গৈরিক বর্ণ যে দাবি সেই একশৈলিক ধারণাকে প্রশ্ন করে, ‘অপর’-এর অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করিতে চাহে, সেই দাবিই ‘নাগপুরের দেশ’-কে খণ্ড করিতে চাহে সমস্যা হইল, অমিত শাহরা যখন কথাটি বলেন, তখন তাঁহারা বলিয়া দেন না যে বহুবিচিত্র ভারত তাঁহাদের দেশই নহে— সেই গ্রহণশীল, উদার, ধর্মনিরপেক্ষ পরিসর লইয়া তাঁহাদের বিন্দুমাত্র শিরঃপীড়া নাই— কানহাইয়া কুমাররা সাভারকর বর্ণিত ‘পিতৃভূমি’-কে বারংবার প্রশ্নের মুখে ফেলন বলিয়াই তাঁহাদের গোঁসা বলিলে, দেশের সিংহভাগ মানুষ জানিতেন, ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’ আসলে তাঁহাদের জন্য মনুবাদীদের খপ্পর হইতে ভারতকে উদ্ধার করিয়া আনিতে চেষ্টা করিতেছে কে প্রকৃত দেশপ্রেমী, তাহাতে সন্দেহ থাকিত না গৈরিকমহলে ইদানীং ‘অধিকার’ লইয়া ভাবনাচিন্তা চলিতেছে বলিয়া আঁচ করা যায় অধিকারের দাবির বিপ্রতীপে তাঁহারা বসাইয়াছেন রাষ্ট্রের প্রতি কর্তব্যের ধারণাকে সংসদেই হউক বা পরীক্ষার্থী সমাবেশে, সুযোগ পাইলেই তাঁহারা জানাইতেছেন, (রাষ্ট্রের প্রতি) কর্তব্যপালনই সর্বাপেক্ষা মহৎ অধিকার এই অবস্থানটির মধ্যে কোনও দার্শনিক ভাবনা নাই, কেবল আমূল রাজনৈতিক বিবেচনা আছে
|
অন্তরায়
|
শাহবাজ়ের লড়াকু ব্যাটিং! বাংলার প্রথম ইনিংস শেষ, এখনও শেষ চার নিশ্চিত নয় মনোজদের
|
সিলেটে গণসমাবেশ শুরুর অপেক্ষায় বিএনপির নেতাকর্মীরা
|
জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব
|
international
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। এতে বলা হয়, অ্যান্তোনিও গুতেরেস ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছেন, দেশটিতে মানবিক সহায়তা বাড়াতে কাজ করছে জাতিসংঘ। অ্যান্তোনিও গুতেরেস প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে আরও জানিয়েছেন, জাতিসংঘ আগামী মঙ্গলবার (১ মার্চ) ইউক্রেনের নাগরিকদের মানবিক সহায়তার জন্য আহ্বান জানাবেন। এদিকে ইউক্রেনকে জরুরিভিত্তিতে অতিরিক্ত ৩৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। উল্লেখ্য, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সামরিক অভিযান ঘোষণার পর ইউক্রেনে একের পর এক হামলা শুরু করে রুশ সেনারা। যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের ১৯৮ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩৩ শিশুসহ ১ হাজার ১১৫ জন। এছাড়া রাশিয়ার সাড়ে ৩ হাজার সৈন্য নিহত এবং ২০০ জনকে বন্দি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। আল-জাজিরা এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ//
|
আহত হয়েছেন ৩৩ শিশুসহ ১ হাজার ১১৫ জন এছাড়া রাশিয়ার সাড়ে ৩ হাজার সৈন্য নিহত এবং ২০০ জনকে বন্দি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী আল-জাজিরা এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ//
|
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে জেলেনস্কির আবেগঘন ভাষণ
|
হিন্দু রাষ্ট্রের কথা বলে বিপাকে কংগ্রেস নেতা
|
দিল্লি কর্মকৃত্যক বিলে সমর্থন দেওয়ার জন্য রাহুলকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি কেজরিওয়ালের
|
মোদির সফরের আগে জম্মুতে তীব্র লড়াই, সেনাসহ নিহত ৩
|
international
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আগামী রোববার জম্মু সফরে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরের দুই দিন আগে জম্মুর সেনা ছাউনির কাছে নিরাপত্তা বাহিনী এবং জঙ্গিদের মধ্যে তীব্র লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার আনন্দবাজার অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই লড়াইয়ে ভারতীয় এক সিআইএসএফ কর্মী নিহত; আহত হয়েছেন আরও চারজন। লড়াইয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুলিতে অন্তত দুই হামলাকারীও নিহত হয়েছেন। জম্মুতে হামলার আশঙ্কা নিয়ে আগেই খবর ছিল ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে। পাশাপাশি, পুলিশ সুনজবা এলাকায় অন্তত দুই হামলাকারী লুকিয়ে থাকার খবর পেয়েছিল। সে অনুযায়ী, সেনা সদস্যরা জম্মু শহরের সুনজবা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় একটি তল্লাশি অভিযান শুরুর পরই লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। তল্লাশি অভিযান শুরুর পরই নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু হয়। জঙ্গিদের গুলির আঘাতে সিআইএসএফ-এর এক সহকারি সাব ইনস্পেক্টর নিহত হন। পাশাপাশি জঙ্গি হানায় আহত হন চার সিআইএসএফ কর্মী। স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সেনা-জঙ্গিদের এ সংঘর্ষ চলে বলেও জানা গেছে। জম্মুর অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল মুকেশ সিং বলেন, ‘জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার এবং হামলার ছক কষার তথ্য পেয়ে আমরা বৃহস্পতিবার রাতে ওই এলাকা ঘেরাও করে তল্লাশি অভিযান শুরু করি। জঙ্গি হামলার ফলে নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্য নিহত হন এবং আরও চারজন আহত হন।’ এর আগে ২০১৮ সালেও জঙ্গিরা সুনজবা ক্যান্টনমেন্ট হামলা চালিয়েছিল। সেই হামলায় বেশ কিছু সেনা নিহত হন। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পর এটাই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রথম কাশ্মীর সফর। এ সফরে মোদির পাল্লি গ্রামে পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়ে এক বড় জনসভায় বক্তৃতা দেয়ারও কথা রয়েছে। কিন্তু তার সফরের আগে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপ থাকা সত্ত্বেও হামলার ঘটনা ঘটলো। এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ//
|
জম্মুতে হামলার আশঙ্কা নিয়ে আগেই খবর ছিল ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে পাশাপাশি, পুলিশ সুনজবা এলাকায় অন্তত দুই হামলাকারী লুকিয়ে থাকার খবর পেয়েছিল সে অনুযায়ী, সেনা সদস্যরা জম্মু শহরের সুনজবা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় একটি তল্লাশি অভিযান শুরুর পরই লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয় তল্লাশি অভিযান শুরুর পরই নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু হয় জঙ্গিদের গুলির আঘাতে সিআইএসএফ-এর এক সহকারি সাব ইনস্পেক্টর নিহত হন পাশাপাশি জঙ্গি হানায় আহত হন চার সিআইএসএফ কর্মী
|
Terrorists Killed: উপত্যকায় সেনার গুলিতে খতম চার জঙ্গি
|
জম্মু-কাশ্মীরে নিরাপত্তা চৌকিতে গোলাগুলি, সেনাসহ নিহত ৫
|
টেস্ট বিশ্বকাপের ফাইনালে বাদ পড়ার পর প্রথম মুখ খুললেন অশ্বিন, কী বললেন ভারতীয় স্পিনার?
|
ফিনল্যান্ডে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিচ্ছে রাশিয়া
|
international
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিনল্যান্ডে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিচ্ছে রাশিয়া। ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জ্বালানি প্রতিষ্ঠান গাসুম এ কথা জানিয়েছে। | গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এ খাবারগুলো: সংস্থাটি বলছে, রাশিয়া সেদেশে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিচ্ছে। ফিনল্যান্ড সম্প্রতি রাশিয়ার দাবিমত সেদেশের মুদ্রা রুবলে গ্যাসের দাম পরিশোধ করতে অস্বীকার করেছিল। তবে দেশটি ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করার পর পর গ্যাস সরবরাহ বন্ধের রুশ ঘোষণা এলো। ফিনল্যান্ড তার বেশিরভাগ গ্যাস প্রতিবেশী রাশিয়া থেকে আমদানি করে। তবে দেশটি বলেছে, গ্যাস সরবরাহের এ সমস্যা তারা মোকাবেলা করতে পারবে। গ্যাস ফিনল্যান্ডের মোট জ্বালানি খরচের এক-দশমাংশেরও কম। ফিনিশ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জ্বালানি প্রতিষ্ঠান গাসুম বলেছে, এই পদক্ষেপ ‘দুঃখজনক’। তবে গ্রাহকদের জন্য কোনো ব্যাঘাত হবে না। ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে যাওয়া সত্ত্বেও রাশিয়া পশ্চিম ইউরোপের অনেক দেশে গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। পশ্চিমা শক্তিগুলো ইউক্রেনে আগ্রাসনের জন্য অবরোধ আরোপ করায় রাশিয়া এক পর্যায়ে বলেছিল, তাদের সঙ্গে ‘বৈরি দেশগুলোকে’ অবশ্যই রাশিয়ার মুদ্রা গ্যাসের দাম দিতে হবে। পড়ে যাওয়া রুশ মুদ্রা রুবলের দাম বৃদ্ধি করা এর অন্যতম লক্ষ্য ছিল বলে মনে করা হয়। রাশিয়ার ওই পদক্ষেপকে ইইউ ‘ব্ল্যাকমেইল’ আখ্যা দিয়েছে। রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা ইউরোপে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গাসুম এর সিইও মিকা উইলজানেন বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক যে, আমাদের সরবরাহ চুক্তির অধীনে থাকা প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হচ্ছে। তবে, আমরা এই পরিস্থিতির জন্য সতর্কতার সঙ্গে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। গ্যাস সঞ্চালন নেটওয়ার্কে কোনো বিঘ্ন না ঘটলে আমরা আগামী মাসে সব গ্রাহককে গ্যাস সরবরাহ করতে পারব। সূত্র : বিবিসি এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ//
|
ফিনল্যান্ড সম্প্রতি রাশিয়ার দাবিমত সেদেশের মুদ্রা রুবলে গ্যাসের দাম পরিশোধ করতে অস্বীকার করেছিল তবে দেশটি ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করার পর পর গ্যাস সরবরাহ বন্ধের রুশ ঘোষণা এলো ফিনল্যান্ড তার বেশিরভাগ গ্যাস প্রতিবেশী রাশিয়া থেকে আমদানি করে তবে দেশটি বলেছে, গ্যাস সরবরাহের এ সমস্যা তারা মোকাবেলা করতে পারবে গ্যাস ফিনল্যান্ডের মোট জ্বালানি খরচের এক-দশমাংশেরও কম ফিনিশ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জ্বালানি প্রতিষ্ঠান গাসুম বলেছে, এই পদক্ষেপ ‘দুঃখজনক’
|
রাশিয়া থেকে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ
|
কর বনাম কর্পোরেট সদিচ্ছা
|
৩ অভ্যাস: নিয়মিত করতে পারলে ৪০-এর পরেও জীবনে রঙের অভাব হবে না
|
বিস্মৃতির পথে বৃন্দগান, ঐতিহ্য বাঁচাতে প্রতিযোগিতার আয়োজন শ্রীকান্ত আচার্যের
|
entertainment
|
ছোটবেলায় স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানের কথা মনে পড়ে? এক ধরনের পোশাক পরে এক মঞ্চে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে গলা ছেড়ে গান গাইতাম প্রায় ২৫-৩০ জনের একটি দল। সবাই যে অনবদ্য গায়ক বা গায়িকা, তা নয়। তবে একই স্কেলে, একই সুর ও লয় মেনে গান গাওয়ার পরম্পরা বজায় ছিল। প্রতি বছর ওই সমবেত সঙ্গীতের মহড়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকতাম আমরা পড়ুয়ারা। ‘কোরাস গান’-এর এই পরম্পরা ধরে রেখেছিল স্কুলগুলিও। এখন অবশ্য সেই চর্চা অনেক কম। আজকাল ব্যক্তি প্রতিভায় শান দেওয়ার প্রবণতা যতটা বেড়েছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমেছে সমষ্টিগত প্রয়াসের গুরুত্ব। বৃন্দগানের বিস্মৃতপ্রায় সেই পরম্পরাকে জিইয়ে রাখার উদ্যোগ নিয়েছেন বাংলার অভিজ্ঞ সঙ্গীতশিল্পী শ্রীকান্ত আচার্য। তাঁর সঙ্গীত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ‘আরোহ’-র উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছে ‘বাংলা গানের আন্তঃবিদ্যালয় বৃন্দ গায়ন প্রতিযোগিতা’। প্রতিযোগিতামূলক এই অনুষ্ঠানের নাম রাখা হয়েছে ‘ঐকতান’। বৃন্দ গায়নের প্রতিযোগিতা 'ঐকতান' আয়োজন করছে শ্রীকান্ত আচার্যের সঙ্গীত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র 'আরোহ'।
ছবি: সংগৃহীত। রুমা গুহঠাকুরতার ‘ক্যালকাটা ইয়ুথ কয়্যার’, কল্যাণ সেন বরাটের ‘ক্যালকাতা কয়্যার’, সমরেশ বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্নিগ্ধা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ক্যালকাটা পিপলস কয়্যার’-এর সৌজন্যে এত দিন সমৃদ্ধ হয়েছে বাংলার বৃন্দগান। সেই পরম্পরা বজার রাখার দায়ভার এ বার নিলেন শ্রীকান্ত আচার্য। ‘আরোহ’-র আয়োজিত এই প্রতিযোগিতা ‘ঐকতান’-এ অংশগ্রহণ করতে পারবে সপ্তম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পড়ুয়ারা। ইতিমধ্যেই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে সাউথ পয়েন্ট, পাঠভবন, গোখেল মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল, বালিগঞ্জ শিক্ষা সদন, নব নালন্দার মতো স্কুল। কলকাতা ছাড়াও জেলার একাধিক স্কুলও উৎসাহ দেখিয়েছে এই প্রতিযোগিতায়। চিনসুরা দেশবন্ধু মেমোরিয়াল হাই স্কুল, চন্দননগর বঙ্গ বিদ্যালয়ের মতো স্কুলও অংশ নিয়েছে বৃন্দগানের এই প্রতিযোগিতায়। আগামী ২৬ অগস্ট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল ও ফাইনাল পর্ব। রাজডাঙা ক্লাব সমন্বয়ের প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এই প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় বিচারকের আসেন দেখা যাবে প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী কল্যাণ সেন বরাট, গায়িকা অন্তরা চৌধুরী, ‘সা রে গা মা পা’ খ্যাত রথীজিৎ ভট্টাচার্যকে। আনন্দবাজার অনলাইনকে প্রতিযোগিতার আয়োজক শ্রীকান্ত আচার্য বলেন, ‘‘আজকাল বৃন্দগানের চর্চাটা অনেক কমে গিয়েছে। সমবেত সঙ্গীত বলতে শুধুই রবীন্দ্রনাথের গান গাওয়া। আলাদা করে অন্য ধরনের গানও কিন্তু সমষ্টিগত ভাবে গাওয়া যায়, যে চর্চাটা ‘ক্যালকাটা ইয়ুথ কয়্যার’ তৈরি করেছিল। ওই পরম্পরাটা এখন আর নেই। তার পরে এসেছে ব্যান্ড। আমার ব্যান্ডের ধাঁচে যাচ্ছি না। আমরা সমবেত সঙ্গীতটাকেই তুলে ধরতে চাইছি।’’ শ্রীকান্ত আচার্যের স্ত্রী, গীতিকার অর্ণা শীলের কথায়, ‘‘বৃন্দগানের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ১৬ জনের দলকে চেয়েছি আমরা। সঙ্গে দু’জন যন্ত্রবাদকও থাকতে পারেন, যাঁরা পড়ুয়া নয়। তিনটি বিভাগ রেখেছি আমরা প্রতিযোগিতায়— পঞ্চকবির (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, অতুলপ্রসাদ সেন, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রজনীকান্ত সেন) গান, নব্বইয়ের দশকের আগের বাংলা আধুনিক গান ও নব্বইয়ের দশকের পরের আধুনিক বাংলা গান।’’ সেমিফাইনালের জন্য মোট ১০টি বিদ্যালয় নির্বাচিত হতে চলেছে। ওই ১০টি বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রতিযোগিতা হবে সেমিফাইনাল রাউন্ডে। তার পরে ফাইনালের পালা। আগামী ২৬ অগস্ট রাজডাঙা ক্লাব সমন্বয়ের প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘ঐকতান’-এর ফাইনাল পর্ব।
|
প্রতিযোগিতায় বিচারকের আসেন দেখা যাবে প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী কল্যাণ সেন বরাট, গায়িকা অন্তরা চৌধুরী, ‘সা রে গা মা পা’ খ্যাত রথীজিৎ ভট্টাচার্যকে আনন্দবাজার অনলাইনকে প্রতিযোগিতার আয়োজক শ্রীকান্ত আচার্য বলেন, ‘‘আজকাল বৃন্দগানের চর্চাটা অনেক কমে গিয়েছে সমবেত সঙ্গীত বলতে শুধুই রবীন্দ্রনাথের গান গাওয়া আলাদা করে অন্য ধরনের গানও কিন্তু সমষ্টিগত ভাবে গাওয়া যায়, যে চর্চাটা ‘ক্যালকাটা ইয়ুথ কয়্যার’ তৈরি করেছিল ওই পরম্পরাটা এখন আর নেই তার পরে এসেছে ব্যান্ড আমার ব্যান্ডের ধাঁচে যাচ্ছি না আমরা সমবেত সঙ্গীতটাকেই তুলে ধরতে চাইছি’’ শ্রীকান্ত আচার্যের স্ত্রী, গীতিকার অর্ণা শীলের কথায়, ‘‘বৃন্দগানের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ১৬ জনের দলকে চেয়েছি আমরা সঙ্গে দু’জন যন্ত্রবাদকও থাকতে পারেন, যাঁরা পড়ুয়া নয় তিনটি বিভাগ রেখেছি আমরা প্রতিযোগিতায়— পঞ্চকবির (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, অতুলপ্রসাদ সেন, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রজনীকান্ত সেন) গান, নব্বইয়ের দশকের আগের বাংলা আধুনিক গান ও নব্বইয়ের দশকের পরের আধুনিক বাংলা গান’’ সেমিফাইনালের জন্য মোট ১০টি বিদ্যালয় নির্বাচিত হতে চলেছে
|
‘বঙ্গ’ নামটির ঐতিহাসিক ও ধারাবাহিক তাৎপর্য রয়েছে
|
বৃদ্ধির হারে মাথায়, মাথাপিছু আয়ে নিচে ভারত
|
New Whatsapp Features: নতুন বছরে হোয়াটসঅ্যাপে চালু হয়েছে এই ছয়টি নতুন ফিচার, একনজরে দেখে নিন সেগুলো কী কী
|
‘পার্থদা’ জেলে, দিদি কি আসবেন পুজোর উদ্বোধনে? আশা-নিরাশায় দুলছেন নাকতলা উদয়নের কর্তারা
|
kolkata
|
গত বৃহস্পতিবার থেকেই পুজোর উদ্বোধন শুরু করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।রবিবার সেলিমপুর পল্লি, চেতলা অগ্রণী-সহ চারটি পুজোর উদ্বোধন করেছেন তিনি। আগামী কয়েকদিন দক্ষিণ কলকাতার বেশকিছু পুজোর উদ্বোধন হবে তাঁর হাত ধরেই। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ধারাবাহিক ভাবে গত ১১ বছর নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘেরপুজোর উদ্বোধন হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই। নাকতলার পুজোর সঙ্গে সরাসরি নিজেকে সম্পৃক্ত না রাখলেও, প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত প্রভাবেই নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের পুজোর উদ্বোধন করতে আসতেন মমতা। কিন্ত এ বার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। গত ২৩ জুলাই পার্থকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তাই প্রভাব খাটিয়ে নাকতলার পুজোয় মুখ্যমন্ত্রীকে কে নিয়ে আসবেন? তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। কারণ, প্রতিবার পুজো কমিটির তরফে নবান্নে চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্বোধনের জন্য আবেদন জানানো হত। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েই পুজোর উদ্বোধন করতে আসতেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বার নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের কর্তারা নবান্নে পুজোর উদ্বোধনের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। মহালয়ার দিন পর্যন্ত পুজো কমিটির কর্তারা প্রশাসনের তরফে কোনও সদুত্তর পাননি। গত বছর পর্যন্ত যেখানে মহালয়ার অনেক আগেই প্রশাসনের কর্তারা নাকতলার কর্মকর্তাদের মুখ্যমন্ত্রীর আগমনের বার্তা দিয়ে দিতেন। সেখানে এ বছর পরিস্থিতি অনেকটাই ব্যতিক্রমী ঠেকেছে নাকতলার পুজো উদ্যোক্তাদের কাছে। এমন পরিস্থিতিতেও হাল ছাড়তে নারাজ তাঁরা। পুজো কমিটির অন্যতম কর্তা অঞ্জন দাস বলেন, ‘‘আমরা আগে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্বোধনের জন্য আমন্ত্রণ জানাতাম, এ বারও সেভাবেই আমন্ত্রণ জানিয়েছি। কিন্তু এখনও কোনও জবাব পাইনি। তবে আমরা এখনও আশা ছাড়িনি। কারণ এত বছরে তো তিনি কখনও আমাদের নিরাশ করেননি।’’ পার্থ ঘনিষ্ঠ ও বর্তমানে নাকতলার পুজো কমিটি থেকে বিচ্ছিন্ন এক সদস্যের কথায়, ‘‘নাকতলার পুজোয় মুখ্যমন্ত্রী আসতেন পার্থদার কারণে। এ বার তিনি যখন জেলে, তখন মুখ্যমন্ত্রীকে আনবেন কে?’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘নাকতলার পুজোর উদ্বোধনের একটি ভিডিয়োতে পার্থদা ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা গিয়েছিল। সেই ভিডিয়োটি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ভাইরাল করে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছিল। তেমন ঘটনার পর যে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই আসবেন না, তা পুজো কমিটির কর্তারা ভালোই জানেন।’’
|
এ বার নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের কর্তারা নবান্নে পুজোর উদ্বোধনের জন্য আবেদন জানিয়েছেন মহালয়ার দিন পর্যন্ত পুজো কমিটির কর্তারা প্রশাসনের তরফে কোনও সদুত্তর পাননি গত বছর পর্যন্ত যেখানে মহালয়ার অনেক আগেই প্রশাসনের কর্তারা নাকতলার কর্মকর্তাদের মুখ্যমন্ত্রীর আগমনের বার্তা দিয়ে দিতেন সেখানে এ বছর পরিস্থিতি অনেকটাই ব্যতিক্রমী ঠেকেছে নাকতলার পুজো উদ্যোক্তাদের কাছে এমন পরিস্থিতিতেও হাল ছাড়তে নারাজ তাঁরা পুজো কমিটির অন্যতম কর্তা অঞ্জন দাস বলেন, ‘‘আমরা আগে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্বোধনের জন্য আমন্ত্রণ জানাতাম, এ বারও সেভাবেই আমন্ত্রণ জানিয়েছি কিন্তু এখনও কোনও জবাব পাইনি তবে আমরা এখনও আশা ছাড়িনি
|
পুলিশ হস্টেলে পুজোর ভিড় সামলাতে যায়নি! যুক্তি শুনে জয়দীপকে জেলে পাঠাল কোর্ট
|
সেবক-রংপো ট্যানেলের উদ্বোধন
|
দরকার পড়েছে বলেই করেছি! ‘মুচলেকা’ নিয়ে অনড় নিউটাউন ডিপিএস
|
হুবহু তাঁর মতো! নবাগতকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ছবি থেকেই বাদ দিতে চেয়েছিলেন গোবিন্দ
|
entertainment
|
আশির দশকের শেষের দিক থেকেই বলিপাড়া দাপিয়ে বেরিয়েছিলেন গোবিন্দ। একের পর এক হিট ছবি দর্শককে উপহার দিয়েছেন তিনি। কিন্তু ১৯৮৭ সালে বিয়ের পর অন্য এক বলি অভিনেতাকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করেন তিনি। অভিনেতা যে বছর বিয়ে করেন, সেই বছরেই বলিপাড়ায় পা রাখেন সুমিত সায়গল। অনেকে বলতেন, সুমিতের সঙ্গে গোবিন্দের মুখ এবং চেহারার মিল রয়েছে। ১৯৮৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বিল্লু বাদশা’ ছবিতে গোবিন্দের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন সুমিত। এই ছবিতে নায়িকার ভূমিকায় ছিলেন নীলম।
|
একের পর এক হিট ছবি দর্শককে উপহার দিয়েছেন তিনি কিন্তু ১৯৮৭ সালে বিয়ের পর অন্য এক বলি অভিনেতাকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করেন তিনি
|
জনপ্রিয়তার দিন শেষ, কোন সিনেমার শ্যুটিংয়ে গোবিন্দকে দেখে এমন মনে হয়েছিল অমিতাভের?
|
হোটেলের ঘরে যৌনতায় মত্ত দম্পতি, শীৎকার শুনতে যানজট বেধে গেল রাস্তায়
|
বিষোদগার না করে মানুষের পাশে দাঁড়ান: তথ্যমন্ত্রী
|
অস্ট্রেলিয়ার সামনে ১৩৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ
|
sports
|
স্পোর্টস ডেস্ক : বৃষ্টির কারণে এমনিতেই ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে গিয়েছিল। ঠাণ্ডায়ও ভুগতে দেখা গেছে ক্রিকেটারদের। তবে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজেদের সংগ্রহটা একেবারে খারাপ করেনি বাংলাদেশ। নারী বিশ্বকাপের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মেয়েদের সামনে ১৩৬ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ম্যাচে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। যথারীতি বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার মুর্শিদা খাতুন ও শারমিন আক্তার। বেশিক্ষণ অবশ্য স্থায়ী হয়নি ওই শুরু। ১৭ বলে ১২ রান করা মুর্শিদার দারুণ ক্যাচ নেন হেইনস। ভেঙে যায় উদ্বোধনী জুটি। ADVERTISEMENT এরপর ফারজানা হক পিংকি ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতিও ফেরেন দ্রুতই। যথাক্রমে ২২ বলে ৮ ও ৩০ বলে ৭ রান করেন তারা। ৫৬ বলে ২৪ রান করে সাজঘরে ফেরত যান আরেক ওপেনার শারমিন আক্তার। শেষদিকে রুমানা আহমেদ, লতা মণ্ডল ও সালমা খাতুনের ব্যাটে চড়ে বড় হয় বাংলাদেশের সংগ্রহ। ৪৫ বলে ১৫ রান আসে রুমানা আহমেদের ব্যাট থেকে। ৬৩ বলে ৩৩ রান করেন লতা আর সালমা খাতুনের ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে ১৫ রান। নির্ধারিত ৪৩ ওভার ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান করে বাংলাদেশ। অজিদের পক্ষে ৮ ওভার বল করে অ্যাশলে গার্ডনার নেন দুই উইকেট। ৯ ওভারে ১৩ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন জেস জোনাসেনও। এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ//
|
১৭ বলে ১২ রান করা মুর্শিদার দারুণ ক্যাচ নেন হেইনস ভেঙে যায় উদ্বোধনী জুটি ADVERTISEMENT এরপর ফারজানা হক পিংকি ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতিও ফেরেন দ্রুতই যথাক্রমে ২২ বলে ৮ ও ৩০ বলে ৭ রান করেন তারা ৫৬ বলে ২৪ রান করে সাজঘরে ফেরত যান আরেক ওপেনার শারমিন আক্তার শেষদিকে রুমানা আহমেদ, লতা মণ্ডল ও সালমা খাতুনের ব্যাটে চড়ে বড় হয় বাংলাদেশের সংগ্রহ
|
জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৩৮ রান
|
লক্ষ্ণৌয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়িতে গুলিবিদ্ধ দেহ
|
ঢাকায় চিকিৎসায় অবহেলা করে বিদেশী পাইলটকে হত্যার অভিযোগ বোনের
|
রাজ্যে দুদিনে ডেঙ্গুতে মৃত ৪
|
state
|
যত দিন যাচ্ছে রাজ্যে তত ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে ডেঙ্গু সংক্রমণ। গত দুইদিনে ডেঙ্গুতে আরও ৪ টি মৃত্যুর খবর মিলেছে রাজ্যে। বৃহস্পতিবার রাতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে সল্টলেকের বাসিন্দা পিনাক সরকার(৬৬)’র। জ্বর ও ডেঙ্গু উপসর্গ নিয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি বাইপাসের ধারে একাটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকলে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। রাত সোয়া দশটা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসাবে ডেঙ্গুর কথা উল্লেখ রয়েছে। এদিন কলকাতায় আরো এক জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মৃতের নাম কল্পনা দত্ত(৭৮)। কলকাতা পৌরসভার ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের রিজেন্ট এস্টেটের আই ব্লকের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। পরিবার সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে, গত শুক্রবার তাঁর জ্বর হয়। পরীক্ষার রিপোর্টে ডেঙ্গু পজেটিভ পাওয়া যায়। রবিবার তাঁকে আরএন টেগোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। ডেঙ্গুতে গত দুদিনে পশ্চিম মেদিনীপুরে ২জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্তর সংখ্যা ইতিমধ্যেই হাজার ছাড়িয়েছে। মেদিনীপুর মেডিকেলে বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যু হয় খড়্গপুর শহরের বাসিন্দা রুনিতা বিবি (৩৭) নামে এক মহিলার। ঘাটাল হাসপাতালে মৃত্যু হয় গড়বেতার বাসিন্দা সাবিনা বিবি নামে এক মহিলার। এই নিয়ে জেলায় সরকারি ভাবে ৪ জনের মৃত্যু হয় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। বাকি ২জন মেদিনীপুর শহরেরই বাসিন্দা। চন্দ্রকোনায় এক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয় ডেঙ্গুতে। তাঁকে নিয়ে জেলায় এখনো পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা যে বাড়ছে সে কথা স্বীকার করেছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক ডক্টর সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী। গ্রামে গঞ্জে প্রচার চলছে জল জমতে দেবেন না। অথচ স্বাস্থ্য দপ্তরের ঘরেই জমা জল। ঘাটাল হাসপাতাল চত্বর হয়ে উঠেছে মশার আঁতুড়ঘর। যত্রতত্র জমে রয়েছে জল, ভাঙা নালা নর্দমায় কিলবিল করছে মশার লার্ভা। স্বাস্থ্য পরিসেবা নিতে এসে ভয় পাচ্ছেন রোগী ও পরিজনেরা। এরই মধ্যেই প্রতিদিনই চোখ রাঙিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত সংখ্যা। শাঁড়াপুল হাসপাতাল চত্বরে। সরকারিভাবে আক্রান্ত ও মৃত্যুর প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে না। ডেঙ্গু হলেও বেশিরভাগ সময়ে তা গোপন করে শুধু জ্বর বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে বক্তব্য বহু ভুক্তভোগী পরিবারের। বেসরকারি সূত্র মতে চলতি বছরে এখনো পর্যন্ত অন্ততপক্ষে ৪৪ জন ডেঙ্গুতে মারা গেছেন। জানুয়ারি মাস থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের শেষে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানা গেছে। রাজ্যে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। আক্রান্তের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং সহ রাজ্যের প্রায় সমস্ত জেলার বাসিন্দারা ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছেন। উত্তর ২৪পরগনার স্বরূপনগর ব্লক জুড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। যদিও ডেঙ্গুর আতুরঘর হয়ে রয়েছে ব্লকের শাঁড়াপুল গ্রামীণ হাসপাতাল চত্বর। অভিযোগ, উদাসীন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে ব্লক প্রশাসন। স্বরূপনগর ব্লকে ডেঙ্গু যথেষ্ট উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে দিনদিন। শুক্রবার পাওয়া জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী এই মুহূর্তে স্বরূপনগরে ৮৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। শাঁড়াপুল হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছে বেশ কয়েকজন। আউটডোরে জ্বরে আক্রান্ত শ'য়ে শ'য়ে রোগী ডাক্তার দেখানোর জন্য হাসপাতালে ভিড় করছেন প্রতিদিন। আর ঠিক সেই সময় শাঁড়াপুল হাসপাতাল চত্বরের বিভিন্ন জায়গায় জমে রয়েছে জল, নোংরা আবর্জনায় ড্রেনগুলি বন্ধ হয়ে রয়েছে। চতুর্দিকে নোংরা আবর্জনা, ঝোপঝাড়ে পরিণত হয়েছে হাসপাতালে চত্বর। সেখানে তৈরি হচ্ছে মশা। এই বিষয়ে এলাকার বাসিন্দা বলরাম দাস, সৈকত মুখার্জিদের দাবি হাসপাতাল চত্বর পরিষ্কার করা হোক এবং ব্লক অফিস এবং স্বাস্থ্য দপ্তর একটু নজর দিক হাসপাতালের দিকে। শীঘ্রই এই সমস্যা থেকে সমাধান চায় এলাকার মানুষ। ডেঙ্গুর প্রকোপ স্বরূপনগরে বাড়ছে এটা স্বীকার করলেন বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবিউল ইসলাম গাজী। পাশাপাশি তিনি এটাও বলেন ডেঙ্গু প্রতিরোধে সমস্ত রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। হাসপাতালের চিকিৎসক ডা: তন্ময় সরকার জানান, প্রতিদিন শ'য়ে শ'য়ে জ্বরে আক্রান্ত রোগী হাসপাতালের বহির্বিভাগে দেখাতে আসছেন এবং হাসপাতালে এই মুহূর্তে বেশ কয়েকজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছেন। স্বরূপনগরের বিডিও অজয় কুমার দণ্ডপাত তিনি ক্যামেরার সামনে কিছু না বললেও ফোনে জানান, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের সাথে কথা বলে শীঘ্রই সমস্যার সমাধান করা হবে। এলাকার মানুষের দাবি অতি শীঘ্রই হাসপাতাল চত্বর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হোক। ডেঙ্গু থেকে মুক্ত হোক স্বরূপনগরবাসী। শাঁড়াপুল হাসপাতাল চত্বরে নোংরা আবর্জনার স্তুপ। শুধু উত্তর ২৪ পরগনা নয় এই মরশুমে ডেঙ্গু উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কালনায়ও। বাড়িতে জ্বরের চিকিৎসা করাতে গিয়ে ইতিমধ্যেই কালনা পৌরসভায় দুজন যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে জ্বর হলেই হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে রোগীকে। তার জ্বরের চিকিৎসা শুরু করার পাশাপাশি রক্তের ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া পরীক্ষা হয়ে যাবে সঙ্গে সঙ্গে। তাই জ্বরে আক্রান্ত রোগীর আর জীবন সংশয় থাকবে না। কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার ডাঃ চন্দ্রশেখর মাইতি এদিন বলেছেন, ১৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত ভর্তি আছেন হাসপাতালে। এই মরশুমের এটাই সর্বোচ্চ। তিনি আরো বলেন, এই মরশুমে হাসপাতালে মোট ৩৪৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৪৯০ জন। তিনি আশঙ্কা করছেন এখন ডেঙ্গুর অনুকূল আবহাওয়া তৈরি হয়েছে। তাই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও আরো বাড়তে পারে। তিনি পরামর্শ দিয়েছেন জ্বর হলেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার। তবে সম্ভব না হলে বাড়িতে জ্বরের চিকিৎসার পাশাপাশি সঙ্গে সঙ্গে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গুর পরীক্ষাটাও করে নিতে হবে। ক্যানিং মহকুমার প্রতিটি ঘরেই মানুষ জ্বরে ভুগছেন। সেই সঙ্গে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও। এদিন পাওয়া জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী এই মুহূর্তে ক্যানিং মহকুমায় প্রায় দেড়শো জন ডেঙ্গু আক্রান্ত। গত সপ্তাহে এই সংখ্যাটি ছিল ১২১ জন। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বাসন্তী ও ক্যানিং ২ ব্লকেও।
|
পরিবার সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে, গত শুক্রবার তাঁর জ্বর হয় পরীক্ষার রিপোর্টে ডেঙ্গু পজেটিভ পাওয়া যায় রবিবার তাঁকে আরএন টেগোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁর মৃত্যু হয় ডেঙ্গুতে গত দুদিনে পশ্চিম মেদিনীপুরে ২জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্তর সংখ্যা ইতিমধ্যেই হাজার ছাড়িয়েছে মেদিনীপুর মেডিকেলে বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যু হয় খড়্গপুর শহরের বাসিন্দা রুনিতা বিবি (৩৭) নামে এক মহিলার ঘাটাল হাসপাতালে মৃত্যু হয় গড়বেতার বাসিন্দা সাবিনা বিবি নামে এক মহিলার এই নিয়ে জেলায় সরকারি ভাবে ৪ জনের মৃত্যু হয় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় বাকি ২জন মেদিনীপুর শহরেরই বাসিন্দা চন্দ্রকোনায় এক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয় ডেঙ্গুতে তাঁকে নিয়ে জেলায় এখনো পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা যে বাড়ছে সে কথা স্বীকার করেছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক ডক্টর সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী গ্রামে গঞ্জে প্রচার চলছে জল জমতে দেবেন না অথচ স্বাস্থ্য দপ্তরের ঘরেই জমা জল ঘাটাল হাসপাতাল চত্বর হয়ে উঠেছে মশার আঁতুড়ঘর যত্রতত্র জমে রয়েছে জল, ভাঙা নালা নর্দমায় কিলবিল করছে মশার লার্ভা স্বাস্থ্য পরিসেবা নিতে এসে ভয় পাচ্ছেন রোগী ও পরিজনেরা এরই মধ্যেই প্রতিদিনই চোখ রাঙিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত সংখ্যা শাঁড়াপুল হাসপাতাল চত্বরে সরকারিভাবে আক্রান্ত ও মৃত্যুর প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে না ডেঙ্গু হলেও বেশিরভাগ সময়ে তা গোপন করে শুধু জ্বর বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে বক্তব্য বহু ভুক্তভোগী পরিবারের বেসরকারি সূত্র মতে চলতি বছরে এখনো পর্যন্ত অন্ততপক্ষে ৪৪ জন ডেঙ্গুতে মারা গেছেন জানুয়ারি মাস থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের শেষে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানা গেছে রাজ্যে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ আক্রান্তের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও
|
রাজ্যে আরো ৪ জনের মৃত্যু, ডেঙ্গু নিয়ে জনস্বার্থ মামলা
|
শাহবাজ়ের লড়াকু ব্যাটিং! বাংলার প্রথম ইনিংস শেষ, এখনও শেষ চার নিশ্চিত নয় মনোজদের
|
দলবেঁধে ধর্ষণের পর খুনের চেষ্টা ডেবরায়, আশঙ্কাজনক নির্যাতিতা
|
Prashant-Nitish: বিজেপিকে সাহায্য করতে চান প্রশান্ত কিশোর! নীতীশ-মন্তব্যের পাল্টা কী বললেন পিকে?
|
national
|
আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিজেপিকে সাহায্য করতে চান প্রশান্ত কিশোর! আচমকা ভোট কুশলীকে নিয়ে তেমনই মন্তব্য করেছেন নীতীশ কুমার। বিরোধী জোটে প্রশান্তের ভূমিকা কী, তার উত্তরে নীতীশ যা বলেছেন তাতে জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। নীতীশ-কিশোরের যোগাযোগ পুরনো। ২০১৫ সালে বিহারে নীতীশ সরকারের জয় লাভে কিশোরের বড় ভূমিকা ছিল। এমনকি বিহারের ২০১৫ বিধানসভা ভোটের পর জেডি(ইউ)দলে যোগ দিয়েছিলেন কিশোর। তবে সম্পর্কের স্থায়ীত্ব ছিল বছর কয়েক। নীতীশের বিজেপির সঙ্গে যোগ দেওয়া, পিকের সঙ্গে মনোমালিন্য সব মিলিয়ে ২০২০ সালে প্রশান্তকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। আরও পড়ুন: Baguiati Case: বাগুইআটি থানার নতুন আইসি হলেন শান্তনু সরকার, রাতেই দায়িত্বভার গ্রহণ দিন কয়েক আগে ফের বিহারে সরকারের জোট বদল হয়েছে, নতুন জোট সরকারে ফের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্শিতে বসেছেন নীতীশ কুমার। সরকারের এই জোট বদলের ঘটনার পর পিকে বলেছিলেন ক্যাবিনেট, নামপ্লেট এসব বদলেছে শুধু বিহারে, সরকারের কাজের কোনও পরিবর্তন হয়নি। তাছাড়া মহাগাঠবন্ধন সরকারকে চাকরি দেওয়া নিয়েও চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন পিকে। এবার তারই পাল্টা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। নীতীশের সাফ বক্তব্য, ২০০৫ সাল থেকে বিহারে যা কিছু কাজ করা হয়েছে, কিশোর কি তার হিসেব জানেন? প্রশান্ত কিশোরকে কটাক্ষ করে বলেছেন, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কাজ করা পিকের ব্যবসা। একই সঙ্গে জানিয়েছেন, ‘ তিনি যে বিবৃতি দিচ্ছেন, তার কোনও অর্থ নেই। হতে পারে তিনি বিজেপির সঙ্গে থাকতে চান, বা তাদের সাহায্য করতে চান।‘ এর পরেই প্রশান্ত কিশোর কিছু ছবি টুইট করেন। সেই সব কটি ছবিতেই দেখা গিয়েছিল নীতীশ এবং মোদির ছবি। যদিও ছবিগুলি সমেত ওই টুইট কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার মুছে দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। তবে তাঁর এই টুইট থেকেই রাজনৈতিক মহলের মত, এর মাধ্যমেই উত্তর দিতে চেয়েছিলেন প্রশান্ত। নীতীশের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি আরও কিছু বলেন কিনা সেটাই এখন দেখার।
|
এমনকি বিহারের ২০১৫ বিধানসভা ভোটের পর জেডি(ইউ)দলে যোগ দিয়েছিলেন কিশোর তবে সম্পর্কের স্থায়ীত্ব ছিল বছর কয়েক নীতীশের বিজেপির সঙ্গে যোগ দেওয়া, পিকের সঙ্গে মনোমালিন্য সব মিলিয়ে ২০২০ সালে প্রশান্তকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয় আরও পড়ুন: Baguiati Case: বাগুইআটি থানার নতুন আইসি হলেন শান্তনু সরকার, রাতেই দায়িত্বভার গ্রহণ দিন কয়েক আগে ফের বিহারে সরকারের জোট বদল হয়েছে, নতুন জোট সরকারে ফের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্শিতে বসেছেন নীতীশ কুমার সরকারের এই জোট বদলের ঘটনার পর পিকে বলেছিলেন ক্যাবিনেট, নামপ্লেট এসব বদলেছে শুধু বিহারে, সরকারের কাজের কোনও পরিবর্তন হয়নি তাছাড়া মহাগাঠবন্ধন সরকারকে চাকরি দেওয়া নিয়েও চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন পিকে এবার তারই পাল্টা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার
|
নীতীশের ডাক এড়িয়ে কীসের বার্তা দিলেন পিকে? চর্চা রাজনৈতিক শিবিরে
|
তবুও প্রশ্ন
|
৫৬ বছর বয়সে সন্তানের জন্ম দিলেন অভিনেত্রী! এমন যে হতে পারে, বিশ্বাসই করতে পারেননি তিনি
|
বাড়ির দেওয়ালের মধ্যে পাইপ বা ইলেক্ট্রিক ওয়্যারে সমস্যা? মুশকিল আসান করবে রেডিও ইমাজিন গ্যাজেট!
|
technology
|
নতুন বাড়ি, দেওয়ালের ভেতর দিয়ে অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে বসানো হয়েছে ইলেক্ট্রিক ওয়্যার থেকে শুরু করে জলের পাইপ। তারপরেও হঠাৎ শর্টসার্কিট বা পাইপ লিকেজের মত সমস্যা। ঘাবড়াবেন না! সমস্যার সমাধান এবার হাতের মুঠোয়। এক্ষেত্রেও মুশকিল আসান রয়েছে আপনার কাছেই, শুধু নিজের স্মার্টফোনে লাগাতে হবে এই গ্যাজেটটি। ওয়ালবট DIY তৈরি করেছে একটি নতুন গ্যাজেট, নাম রেডিও ইমাজিন গ্যাজেট। এটি দেওয়ালের ভিতরের অবস্থা দেখতে সাহায্য করবে আপনাকে। অর্থাৎ দেওয়ালের ভেতর পাইপ বা ইলেক্ট্রেক ওয়্যারে কোনও সমস্যা দেখতে পাবেন এই গ্যাজেটের সাহায্যে। গ্যাজেটটির দাম ৫১৮১ টাকা। Stay updated with the latest news headlines and all the latest Technology news download Indian Express Bengali App. Web Title: Radio imagine gadget helps you to see the inner view of wall
|
নতুন বাড়ি, দেওয়ালের ভেতর দিয়ে অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে বসানো হয়েছে ইলেক্ট্রিক ওয়্যার থেকে শুরু করে জলের পাইপ তারপরেও হঠাৎ শর্টসার্কিট বা পাইপ লিকেজের মত সমস্যা ঘাবড়াবেন না! সমস্যার সমাধান এবার হাতের মুঠোয়
|
গড়িয়ার বাড়িতে হঠাৎ আগুন! জ্বলছে স্পিকারের কারখানা, ঘটনাস্থলে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন
|
শুধু যাওয়া আসা
|
সিলেট অভিমুখে বিএনপির রোডমার্চ চলছে, নেতা-কর্মীদের ঢল
|
ভারতে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ৬
|
international
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে ট্রেনের ধাক্কায় ছয় জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। সোমবার দিবাগত রাতে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, শ্রীকাকুলামের বটুয়া গ্রামের কাছে যান্ত্রিক সমস্যার কারণে থেমে যায় গুয়াহাটিগামী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। পরে ট্রেন থেকে নেমে বেশ কয়েকজন যাত্রী রেললাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই মুহূর্তে উল্টো দিক থেকে দ্রুত গতিতে ছুটে আসা কোণার্ক এক্সপ্রেসের ধাক্কায় গুয়াহাটিগামী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের ছয় যাত্রীর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। এতে আহত হন আরও বেশ কয়েকজন। শ্রীকাকুলাম জেলা পুলিশ সুপার জি রাধিকা জানান, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে গুয়াহাটি এক্সপ্রেসেরই কিছু যাত্রী চেন টেনে ট্রেনটি থামান। ট্রেন থামতেই কিছু লোক রেললাইন পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তখনই উল্টো দিক থেকে আসা কোণার্ক এক্সপ্রেসের ধাক্কায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ//
|
ট্রেন থামতেই কিছু লোক রেললাইন পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন তখনই উল্টো দিক থেকে আসা কোণার্ক এক্সপ্রেসের ধাক্কায় তাদের মৃত্যু হয়েছে এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ//
|
মহারাষ্ট্রে দুটি বাসের সংঘর্ষে মৃত ৬
|
গাড়ি খাদে পড়ে ভারতীয় ৭ সেনা নিহত
|
অসাম্য কি ভাল না খারাপ?
|
Android Users: অ্যান্ড্রয়েডে তথ্য চুরি! ইউজারদের জন্য বড় সতর্কতা জারি কেন্দ্রের
|
technology
|
নয়া দিল্লি: গুগল ক্রোমের (Google Chrome) পরে এবার অ্যান্ড্রয়েড (Android) ইউজারদের জন্য চরম সতর্কতা জারি করেছে। কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (CERT-In) এ খবর জানিয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড ১৩ সহ অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের (Operating System) বেশ কয়েকটি আপডেটে একাধিক 'রিস্ক' রয়েছে এমনটাই জানিয়েছে। সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, যে সব ডিভাইসে অ্যান্ড্রয়েডের সর্বশেষ সংস্করণ এবং অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে তা বর্তমানে সংবেদনশীল। জানান হয়েছে, দুষ্কৃতীরা ব্যবহারকারীদের সংবেদনশীল তথ্য সহজেই চুরি করে নিতে পারবে। CERT-In হল একটি সংস্থা যা ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করে। এর লক্ষ্য হল ভারতীয় সাইবার স্পেস সুরক্ষিত করা এবং হ্যাকিং এবং ফিশিং সহ সাইবার নিরাপত্তা সমস্যাগুলি মোকাবিলা করেন৷ CERT-In-এর সাম্প্রতিক সতর্কতা Android OS এর বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে ঝুঁকিগুলিকে হাইলাইট করে যা অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। CERT-In জানিয়েছে, হ্যাকারদের কবল থেকে মোবাইল সুরক্ষিত রাখতে চাইলে সবার আগে সর্বশেষ সুরক্ষা প্যাচ অনুযায়ী আপডেট করে নিতে হবে মোবাইল। এর থেকে ফোন সুরক্ষিত রাখতে ইতিমধ্যেই সুরক্ষা প্যাচ নিয়ে এসেছে গুগল। বিস্তারিত জানার জন্য ‘Android Security Bulletin-August 2023’ দেখে নিতে পারবেন ইউজাররা। আরও পড়ুন, রাতের আকাশে আলোক ঝর্ণা, বেনজির উল্কাপাতের সাক্ষী থাকতে চলেছে বিশ্ব CERT জানিয়েছে, মূলত অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণ ১০, ১১, ১২, ১২L এবং ১৩তেই এই সমস্যাগুলি বেশি দেখা যাচ্ছে। ফ্রেমওয়ার্ক, অ্যান্ড্রয়েড রানটাইম, সিস্টেম কম্পোনেন্ট, গুগল প্লে সিস্টেম আপডেট, কার্নেল, আর্ম কম্পোনেন্ট, মিডিয়াটিই কম্পোনেন্ট এবং কোয়ালকমের ত্রুটির কারণেই এই সমস্যা হচ্ছে। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের সফটওয়্যার সংস্করণ আপডেট করার পদ্ধতি সাধারণত সব ফোনেই এক হয়। তবে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ইউজার ইন্টারফেস বিভিন্নতায় সামান্য আলাদা হতে পারে। সফটওয়্যার আপডেট করার ক্ষেত্রে প্রথমে সেটিং অ্যাপ অপশন ওপেন করতে হবে। সেখানে সফটওয়্যার আপডেট বাটনে ক্লিক করলেই আপডেট হওয়া শুরু হবে।
|
কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (CERT-In) এ খবর জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ১৩ সহ অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের (Operating System) বেশ কয়েকটি আপডেটে একাধিক 'রিস্ক' রয়েছে এমনটাই জানিয়েছে সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, যে সব ডিভাইসে অ্যান্ড্রয়েডের সর্বশেষ সংস্করণ এবং অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে তা বর্তমানে সংবেদনশীল জানান হয়েছে, দুষ্কৃতীরা ব্যবহারকারীদের সংবেদনশীল তথ্য সহজেই চুরি করে নিতে পারবে CERT-In হল একটি সংস্থা যা ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করে
|
Threads App: ইউজারদের প্রচুর ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে থ্রেডস! তাহলে কি ভয় বাড়াচ্ছে নতুন অ্যাপ?
|
প্রযুক্তি শিল্পে ছাঁটাই, তথ্য নেই কেন্দ্রের কাছে
|
Honda H’ness CB350: হন্ডা হাইনেসের নতুন সংস্করণ প্রকাশ্যে,দেখে নিন কেমন দেখতে বাইক
|
বিশ্বজুড়ে করোনায় শনাক্ত ও মৃত্যু কমেছে
|
international
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:বিশ্বজুড়ে করোনায় দৈনিক মৃত্যু এবং নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আরও কমেছে। এদিকে গত একদিনে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। সোমবার সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৩৪ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৭ লাখ ৫৯ হাজার ২২৭ জনে। একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ৩২৭ জন। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ কোটি ৪৮ লাখ ২৭ হাজার ৩২০ জনে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ হাজার ৭২৯ জন এবং মারা গেছেন ২৫১ জন। যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬২৩ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৮৭১ জন এবং মারা গেছেন ২৯ জন। ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮০২ জন। মেক্সিকোতে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৩৩০ জন এবং মারা গেছেন ৯৫ জন। রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৬ হাজার ৯৪১ জন এবং মারা গেছেন ৪০ জন। চিলিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬৩৮ জন এবং মারা গেছেন ২৭ জন। তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২৭ হাজার ৩৫০ জন এবং মারা গেছেন ২২ জন। হংকংয়ে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২৮৩ জন এবং মারা গেছেন ২০ জন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি। এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ //
|
এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ কোটি ৪৮ লাখ ২৭ হাজার ৩২০ জনে এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ হাজার ৭২৯ জন এবং মারা গেছেন ২৫১ জন যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬২৩ জন এবং মারা গেছেন ২ জন দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৮৭১ জন এবং মারা গেছেন ২৯ জন ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮০২ জন মেক্সিকোতে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৩৩০ জন এবং মারা গেছেন ৯৫ জন
|
বিশ্বে করোনায় শনাক্ত ও মৃত্যু কমেছে
|
বিশ্বজুড়ে করোনায় কমেছে মৃত্যু ও শনাক্ত
|
‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাব, প্রস্তুত হোন’
|
পেটের জ্বালা, তাই ওঁরা আজ এই লাইনে
|
editorial
|
বেকারত্ব বড় জ্বালা৷ দিন আনি দিন খাইয়েদের আজ বড়ই বিপদ৷ কেউ সাহায্য করবে না৷ মেয়েলি স্বভাবের জন্য সমাজের কাছে অচ্ছুত অনেক পুরুষই আজ স্বেচ্ছায় বেছে নিচ্ছে বৃহন্নলার জীবনযাপন৷ যদি কেউ সামান্য আশীর্বাদের বিনিময়ে দু’পয়সা দিয়ে সাহায্য করে৷ তাই মেয়ের বেশে৷ লিখেছেন শুভময় মণ্ডল ঘড়িতে তখন সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা৷ ক্যালেন্ডারে সেপ্টেম্বর মাস৷ ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিং৷ অফিস ফেরত ভিড়ে থিকথিক কে সি দাসের সামনেটা৷ সবার তখন বাসে উঠে শিয়ালদহ স্টেশন যাওয়ার তাড়া৷ দু’দিক থেকে সাঁ সাঁ করে ছুটে যাচ্ছে নানান গাড়ি৷ সিগন্যাল লাল হলেই থেমে যাওয়া গাড়ির ভিড়ের মধ্যে কিছু বাচ্চা, মাঝবয়সি লোক হাতে-কাঁধে গুটখা, সিগারেট, খেলনা বিক্রি করছে৷ বিকিকিনির মধ্যে দেখা যায় ওঁদেরও৷ গাড়ির জানলায় টোকা মেরে হাত পেতে টাকা চাইছে৷ কেউ দিল তো তাঁর মাথায় হাত বুলিয়ে আশীর্বাদ দেওয়া৷ টাকা না দিলে শাপ-শাপান্ত করে ফের অন্য গাড়ির দিকে হাঁটা মারা৷ এমনই মজার জিনিস দেখছি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে৷ হঠাৎই এমন একজন হাত পাতল আমার সামনে৷ মুখজুড়ে সস্তার মেক আপ, চোখে কাজল, ঠোঁটে বাজারি লিপস্টিক, পরনে শাড়ি তাও আবার মাথায় ঘোমটা দেওয়া৷ ঘোমটার ফাঁক দিয়ে স্পষ্ট পরচুলা বোঝা যাচ্ছে৷ দেখলেই গা ঘিনঘিন করে ওঠে৷ “এই বাবু, দে না!” রোজকার মতোই সটান না বলে দিলাম৷ সেও চলে গেল মুখ ঘুরিয়ে৷ যন্ত্রণার একশেষ৷ শান্তিতে একটু দাঁড়াতেও দেয় না৷ পরক্ষণেই হুশ হল, আরে এই চোখদু’টো বেশ চেনা লাগল৷ কোথায় দেখেছি কোথায় দেখেছি ঠাহর করতে গিয়ে মনে পড়ে গেল৷ আরে, এতো সেই শ্যামল হকার৷ শিয়ালদহ থেকে রাত ১০.২২ মিনিটের আপ নৈহাটি লোকাল৷ কাটা গেট কম্পার্টমেণ্ট৷ গানের বই বিক্রি করেন শ্যামলদা৷ মান্না দে, লতা মঙ্গেশকর, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, রফি, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া গানের বই৷ অবিকল সন্ধ্যার গলায় গান গেয়ে গেয়ে বই কিনতে বলতেন ডেলি প্যাসেঞ্জারদের৷ হরেক বই পাঁচ টাকা৷ গান গাওয়ার জন্য সবাই খুব জোরাজুরি করতেন৷ না চাইলেও বই বিক্রির আশায় গেয়েও দিতেন দু’-এক কলি৷ মেয়েলি স্বভাবের জন্য অনেকে পিছনেও লাগত৷ বই উল্টেপাল্টে দেখে কিনত না কেউই৷ কখনও কখনও সারা দিনে বিক্রি মোটে একটা বই৷ কী করে চলে এভাবে? কিন্তু বেশ ক’দিন ট্রেনে দেখতে পাইনি৷ কে জানে, হয়তো অন্য ট্রেন ধরেন বা বই বিক্রি ছেড়ে অন্য কিছু৷ আশঙ্কাটা বিশ্বাস করতে মন চাইল না৷ তবে কী সেই শ্যামলদাই? না না, চোখের ভুল হবে হয়তো৷ ভুল ভাঙতে জোরে হাঁটা দিলাম সামনের দিকে৷ সে আবার অন্য একজনের কাছে হাত বাড়িয়ে টাকা চাইছিল৷ এবার ভাল করে দেখে শিউরে উঠলাম৷ মন ঠিকই বলছিল৷ অভাব৷ রোজগার বড় বালাই৷ আজ, পয়সার জন্য মেয়েলি স্বভাবের শ্যামলদা মুখে রং, মাথায় পরচুল পরে মেয়ে সেজেছেন৷ মেয়ে বললে ভুল হবে৷ সমাজ বলে বৃহন্নলা৷ চলতি ভাষায় অনেকে হিজড়ে বলে৷ খেপায়৷ গাল দেয়৷ মারতে যায়৷ কিন্তু৷ হয়তো এটাই ছিল একমাত্র পথ৷ অনেকে আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য টাকা দেয় তাদের৷ পরিশ্রম কম৷ বই বিক্রির মতো আশায় চাষা মরার জো নয়৷ তাই অভাবের তাড়নায় এই কাজে নেমেছেন শ্যামলদা৷ তবুও খারাপ লাগল দেখে৷ হয়তো এমন অনেক শ্যামলই পেটের জ্বালায় আজ এই কাজ করছে৷ পথচলতি মানুষের কাছে হাত পেতে টাকা চাইছে৷ অভাবে কেউই দু’পয়সা দিয়ে সাহায্য করতে আসবে না৷ কেউ করেও না৷ তাই হয়তো এই রাস্তা৷ দোষ আমাদেরও আছে৷ এমন হাজারো শ্যামলের দুরবস্থার জন্য আমরাই দায়ী৷ আমাদের সমাজ দায়ী৷ সাতপাঁচ ভাবছি, হঠাৎ রাস্তার উল্টোদিক থেকে তখন কাদের যেন চিৎকার৷ “ধর, ধর, আমাদের রাস্তায় ‘কাজ’ করছে! মার মার!” চিৎকার শুনেই এক দৌড়ে পালিয়ে গেলেন শ্যামলদা৷ বুঝলাম, ওঁদেরও এলাকা ভাগ রয়েছে৷ লাইনে নতুন তাই হয়তো ভুলে গিয়েছিলেন শ্যামলদা৷
| null |
খাওয়ার সময় কোন কোন ভুলে ফেঁপে যায় পেট
|
বিপিএল ফাইনালের টিকিট বিক্রি শুরু আজ
|
কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করল নির্বাচন কমিশন
|
লোকসভা ভোট নজরে, হুঙ্কার হিন্দুরাষ্ট্রের
|
national
|
গৌতম রায় আরএসএস’র কাছে এখন প্রধান লক্ষ্য ২০২৫ সালে শতবর্ষ পালন। সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক লক্ষ্য 'ধর্মনিরপেক্ষ' ভারত-কে 'রাজনৈতিক হিন্দু' ভারতে পরিণত করা। সম্প্রতি পানিপথের সামালাখাতে 'অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা', সঙ্ঘ এবং সঙ্ঘ পরিবারের শীর্ষস্তরের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে তৈরি সমিতির তিনদিন ব্যাপী সন্মেলন হলো। সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত এবং সঙ্ঘের শীর্ষস্তরের সব কর্মকর্তা, সঙ্ঘের রাজনৈতিক সংগঠন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা, সকলেই অংশ নেন। আরএসএস নেতা মনমোহন বৈদ্যের সাংবাদিক সম্মেলনে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সঙ্ঘ এবং সঙ্ঘ পরিবার গোটা দেশের ৩৮, ৯১৩টি জায়গাতে এখন কাজ করছে। সঙ্ঘ অনুমোদিত ৩৪টি সংগঠনের ১৪৭৪ জন প্রতিনিধি ওই তিনদিনের সভায় অংশ নিয়েছিলেন। আগামী এক বছরে সঙ্ঘের কর্মপদ্ধতি এই সভা থেকে নির্ধারিত হয়েছে। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি একক গরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর বিজয়া দশমীতে সরসঙ্ঘচালকের বক্তৃতা দূরদর্শনে সরাসরি সম্প্রচার হয়ে থাকে। আরএসএস একটি চরম স্বৈরতান্ত্রিক সংগঠন। এখানে সঙ্ঘ প্রধানই শেষ কথা। নিজেদের রাজনৈতিক সংগঠন বিজেপিকে একক গরিষ্ঠতায় ক্ষমতায় বসাতে এতকাল নানা কর্মসূচি নিয়েছে সঙ্ঘ। এখন তাদের লক্ষ্য, এই ক্ষমতাকে সংসদীয় গণতান্ত্রিক মোড়ক দিয়ে চিরস্থায়ী করা। সেই লক্ষ্যেই ইন্দিরা গান্ধীর সংবিধান সংশোধন করে সংসদের মেয়াদ বৃদ্ধির সেই অতীতের দৃষ্টান্তকে নতুন করে আরও ক্ষিপ্রতার সঙ্গে অথচ মানুষের মনে যাতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি না করে, সেভাবেই ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করবার কৌশল নির্ধারণ এবং প্রয়োগই হল এখন সঙ্ঘের প্রধান উদ্দেশ্য। আরএসএস রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলে ধর্মের ব্যবহারে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিয়েছিল ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময়েই। ভোট রাজনীতিতে এগিয়ে যেতে থাকে তাদের রাজনৈতিক সংগঠন বিজেপি। তিন দফায় মোট সাড়ে ছয় বছর বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে সঙ্ঘ তাদের সামাজিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগায়। ধর্মপ্রাণ হিন্দুদের একাংশ, যাঁরা নিজের ধর্মের প্রতি অনুরাগকে কখনও অপর ধর্মের প্রতি বিরাগ, হিংসা, বিদ্বেষের কাজে ব্যবহার করতেন না, তাঁদের মধ্যেও পরধর্ম বিদ্বেষ, বিশেষ করে মুসলমান বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিতে থাকে। ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর সাম্প্রদায়িক এবং ধর্মপ্রাণ- উভয় অংশের হিন্দুদের কাছে সামাজিক প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটিয়ে এই বিশ্বাস তৈরি করা যে বাবরি মসজিদই রামকাহিনীর নায়ক, দশরথনন্দন ' রাম' এর জন্মস্থান। মসজিদ ধ্বংসের পর এখন সেই দখলীকৃত জায়গাতেই মন্দির তৈরি করা হচ্ছে। পাশাপাশি সংবিধানের ৩৭০ ধারা অবলুপ্তি, অভিন্ন দেওয়ানি বিধির ঘোষণা- এইসব সঙ্ঘের গোপন কর্মসূচিকে গোপনীয়তার আবরণ ভেদ করে প্রকাশ্যে আনা হল। অপর কৌশলটি হল, সামাজিক বিভাজনের পরিবেশ তৈরিতে সম্ভাব্য রাজ্যভিত্তিক আঞ্চলিক দলগুলিকে ব্যবহার করা। একদিকে গোটা সঙ্ঘ ও সঙ্ঘ পরিবারের সামাজিক প্রযুক্তি অপর দিকে মমতা ব্যানার্জির মতো দলকে ব্যবহার করা। যারা মুসলিমদের বন্ধু সাজার ভান করতে গিয়ে বিভাজন ছড়ায়। সামাজিক বিদ্বেষ ভোট রাজনীতিতে বিজেপিকে শক্তিশালী করে। এইসবের ভিতর দিয়ে সংখ্যাগুরুর সাম্প্রদায়িকতাকে সংখ্যাগুরুর আধিপত্যবাদে পরিণত করে দেশের সংবিধান বদলে একদম হিটলার, মুসোলিনীর স্টাইলে একটা গণতান্ত্রিক মুখোশ পরে নিজেদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতেই এখন 'হিন্দুরাষ্ট্রে'-র পথে হাঁটছে আরএসএস। আসন্ন লোকসভা ভোটে (২০২৪) হিন্দু সাম্প্রদায়িক শিবির এই রাজনৈতিক হিন্দুরাষ্ট্রের ইস্যুটিকেই সব থেকে বেশি অগ্রাধিকার দেবে। কারণ বাবরি মসজিদের জমিতে তথাকথিত রামমন্দির তৈরি, সংবিধানের ৩৭০ ধারা অবলুপ্তি ইত্যাদির মত যে সাম্প্রদায়িক ইস্যুগুলিকে সামনে রেখে তারা মেরুকরণের রাজনীতি করে ভোটে জিততো, সেইসব বিষয়গুলিকেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে তারা নিজেদের মতো করে হাসিল করে নিয়েছে। হিন্দুরাষ্ট্রের নামে মেরুকরণের রাজনীতির ভিতর দিয়ে এগোনো ছাড়া আরএসএস’র কাছে এখন আর দ্বিতীয় বিকল্প কোনো পথ নেই। রাজনৈতিক হিন্দুরাষ্ট্রের অর্থ হলো, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক বানানো। গোলওয়ালকরের 'সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদ’-র প্রয়োগে এনআরসি, সিএএ নাগরিকত্ব আইনের সংশোধনের এই উদ্যোগ। মনে রাখা ভালো, কেবল ধর্মীয় সংখ্যালঘুই আক্রান্ত হবেন না। চালু সংবিধানের কাঠামোতেই একের পর এক সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে বিজেপি। ঠুঁটো করে দিচ্ছে সংসদেও। নাগরিক অধিকার চাইলেই দেশদ্রোহী বানানো হচ্ছে। কৃষক থেকে শ্রমিক বা সরকারি কর্মচারী, আরএসএস’র নিশানা থেকে বাদ নেই কেউ-ই। হিন্দুরাষ্ট্র শ্রমজীবীকে রক্ষা করবে না। রক্ষা করবে, পূর্ণ সুরক্ষা দেবে বৃহৎ পুঁজিকে। আপাতত যা দেখা যাচ্ছে গৌতম আদানি থেকে মেহুল চোকসি বা নীরব মোদীদের সুরক্ষায় কেন্দ্রের সরকারের তৈরি করা বলয়ে।
|
আরএসএস নেতা মনমোহন বৈদ্যের সাংবাদিক সম্মেলনে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সঙ্ঘ এবং সঙ্ঘ পরিবার গোটা দেশের ৩৮, ৯১৩টি জায়গাতে এখন কাজ করছে সঙ্ঘ অনুমোদিত ৩৪টি সংগঠনের ১৪৭৪ জন প্রতিনিধি ওই তিনদিনের সভায় অংশ নিয়েছিলেন আগামী এক বছরে সঙ্ঘের কর্মপদ্ধতি এই সভা থেকে নির্ধারিত হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি একক গরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর বিজয়া দশমীতে সরসঙ্ঘচালকের বক্তৃতা দূরদর্শনে সরাসরি সম্প্রচার হয়ে থাকে আরএসএস একটি চরম স্বৈরতান্ত্রিক সংগঠন এখানে সঙ্ঘ প্রধানই শেষ কথা নিজেদের রাজনৈতিক সংগঠন বিজেপিকে একক গরিষ্ঠতায় ক্ষমতায় বসাতে এতকাল নানা কর্মসূচি নিয়েছে সঙ্ঘ এখন তাদের লক্ষ্য, এই ক্ষমতাকে সংসদীয় গণতান্ত্রিক মোড়ক দিয়ে চিরস্থায়ী করা সেই লক্ষ্যেই ইন্দিরা গান্ধীর সংবিধান সংশোধন করে সংসদের মেয়াদ বৃদ্ধির সেই অতীতের দৃষ্টান্তকে নতুন করে আরও ক্ষিপ্রতার সঙ্গে অথচ মানুষের মনে যাতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি না করে, সেভাবেই ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করবার কৌশল নির্ধারণ এবং প্রয়োগই হল এখন সঙ্ঘের প্রধান উদ্দেশ্য আরএসএস রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলে ধর্মের ব্যবহারে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিয়েছিল ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময়েই ভোট রাজনীতিতে এগিয়ে যেতে থাকে তাদের রাজনৈতিক সংগঠন বিজেপি তিন দফায় মোট সাড়ে ছয় বছর বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে সঙ্ঘ তাদের সামাজিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগায় ধর্মপ্রাণ হিন্দুদের একাংশ, যাঁরা নিজের ধর্মের প্রতি অনুরাগকে কখনও অপর ধর্মের প্রতি বিরাগ, হিংসা, বিদ্বেষের কাজে ব্যবহার করতেন না, তাঁদের মধ্যেও পরধর্ম বিদ্বেষ, বিশেষ করে মুসলমান বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিতে থাকে
|
লক্ষ্য ২৪-এর লোকসভা, ব্লুপ্রিন্ট নির্ধারণে দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে ‘ইণ্ডিয়া’ জোট
|
পাকা চুলেও নজর কাড়ুন! কী ভাবে নেবেন সাদা চুলের যত্ন?
|
বাবুনগরীর প্রেসসচিব গ্রেপ্তার
|
ইডি’র তদন্তকারীকে সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
|
state
|
৮ মাস ধরে চলা তদন্তের ‘নিট ফল’ শূন্য। তদন্তকারী অফিসারের আত্মবিশ্বাসের অভাব। এই জোড়া কারণ দেখিয়ে শুক্রবার অভিষেক ব্যানার্জির লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো ইডি’র ইনভেসটিগেটিং অফিসার বা আইও’কে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বিচারপতি সিনহা এদিন নির্দেশে জানিয়েছেন, আইও মিথিলেশ কুমার মিশ্রকে সরাতে হবে। তাঁকে বাংলার কোনও মামলার সঙ্গেও যুক্ত রাখা যাবে না। ইডি’র ডিরেক্টরকে যত দ্রুত সম্ভব তাঁর বদলি পাঠাতে হবে। অমৃতা সিনহার যুক্তি, মিশ্র’র সঙ্গে কথা বলে তাঁর মনে হয়েছে, ওই আধিকারিকের আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে। এদিন বিচারপতি সিনহা জানিয়েছেন, ৩ অক্টোবরের তদন্ত বা অনুসন্ধান যাতে কোনও ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেটা দেখতে হবে তদন্তকারীদের। তদন্তের স্বার্থে যা যা করণীয়, সব করতে পারবে ইডি। প্রসঙ্গত, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার নাম জড়িয়েছে স্কুল নিয়োগ দুর্নীতিতে। সংস্থার অন্যতম সিইও, তথা তৃণমূলের শীর্ষনেতা অভিষেক ব্যানার্জিকে ৩ অক্টোবর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। যদিও অভিষেক জানিয়েছেন, অক্টোবরের ২ এবং ৩ তারিখ তিনি দিল্লিতে থাকবেন। সেখানে ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকানোর প্রতিবাদে ধর্ণায় বসবেন। তাই তাঁর পক্ষে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়। এদিন সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এ একটি পোস্ট করে ইডি’র উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন অভিষেক। তিনি বলেছেন, ‘‘কোনও শক্তি আমায় বাংলার মানুষ এবং তাঁদের অধিকারের জন্য লড়াই করা থেকে আটকাতে পারবে না। আমি ২ এবং ৩ অক্টোবর দিল্লির আন্দোলনে যোগ দেব। আমাকে পারলে আটকে দেখাও।’’ এই প্রসঙ্গে সিপিআই(এম)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘তৃণমূলের কর্মসূচির দিন অভিষেককে ডেকে তাঁর গুরুত্ব বাড়িয়ে দিচ্ছে বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। তৃণমূলের এই কর্মসূচি আগে থেকেই ঘোষিত ছিল। তারপরেও সেই দিন অভিষেক ব্যানার্জিকে ডাক পাঠানো হল। তারফলে গোটা দেশের মিডিয়ার নজর এই ঘটনার উপর থাকবে। অভিষেকের সুবিধা হবে তাতে। তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে যে বোঝাপড়া রয়েছে, তা এই ধরণের ঘটনার মাধ্যমে স্পষ্ট হচ্ছে।’’ গত সোমবার অভিষেকের সম্পত্তির একটি খতিয়ান আদালতে জমা দেন ইডি’র আইও মিথিলেশ কুমার মিশ্র। সেই খতিয়ান দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিচারপতি মিশ্র। সেই তালিকা অনুযায়ী, অভিষেক ব্যানার্জির নামে রয়েছে মাত্র তিনটি জীবনবীমা। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত তথ্যও খুব কম ছিল। ইডি’র তরফে বলার চেষ্টা হয়েছিল, অভিষেক যা জানিয়েছেন, তাঁর ভিত্তিতেই এই তালিকা তৈরি হয়েছে। তার জবাবে বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘‘ আপনি কি তদন্ত থেকে সরে যেতে চান? আপনারা কী পোস্ট অফিস খুলে বসেছেন? কেউ একজন এসে কিছু একটা দিয়ে গেল, আর আপনারা সেটাই প্রকাশ করে দিলেন? খতিয়ে দেখলেন না?’’ অমৃতা সিনহার বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট ছিল, তিনি ইডি’র তদন্তের উপর সন্তুষ্ট নন। তিনি মিথিলেশ কুমার মিশ্রকে সরাসরি প্রশ্ন করেন,‘‘দুর্নীতির সুরঙ্গের শেষে কবে পৌঁছনো যাবে?’’ গত সোমবার আদালত ইডি’কে একটা বড় তালিকা দেয়। সেই তালিকা অনুযায়ী, অভিষেকের পূর্ণাঙ্গ ব্যাঙ্ক বিবরণ, তাঁর মা এবং বাবার সম্পত্তির বিস্তারিত বিবরণ, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার সিইও কারা, তাঁরা কবে কাজে যোগ দিয়েছেন, তাঁদেরও সম্পত্তির বিবরণ, সংস্থার গ্রাহক বা ক্লায়েন্ট কারা ইত্যাদি প্রশ্নের পূর্ণাঙ্গ জবাব আদালতে জমা দিতে হবে ইডি’কে। এরপর শুক্রবার সরাসরি মিথিলেশ কুমার মিশ্র’র বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করেন বিচারপতি সিনহা। যদিও ইডি’র আইনজীবীর তরফে বলা হয়, তাঁদের মোট ১৩১টি মামলা সামলাতে হচ্ছে। প্রত্যেক আধিকারিককে গড়ে ২২টি করে মামলা সামলাতে হচ্ছে। তাই আরও সময় প্রয়োজন। আদালত এই যুক্তি মানেনি। যদিও আদালত জানিয়েছে, ইডি’র যদি বাড়তি সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তাহলে তা জানাতে হবে। ইডি’র আইনজীবী সেই প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের লোক কম। ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সাহায্য প্রয়োজন হতে পারে। ডিরেক্টরের সঙ্গে কথা বলে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
|
সেই তালিকা অনুযায়ী, অভিষেক ব্যানার্জির নামে রয়েছে মাত্র তিনটি জীবনবীমা তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত তথ্যও খুব কম ছিল ইডি’র তরফে বলার চেষ্টা হয়েছিল, অভিষেক যা জানিয়েছেন, তাঁর ভিত্তিতেই এই তালিকা তৈরি হয়েছে তার জবাবে বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘‘ আপনি কি তদন্ত থেকে সরে যেতে চান? আপনারা কী পোস্ট অফিস খুলে বসেছেন? কেউ একজন এসে কিছু একটা দিয়ে গেল, আর আপনারা সেটাই প্রকাশ করে দিলেন? খতিয়ে দেখলেন না?’’ অমৃতা সিনহার বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট ছিল, তিনি ইডি’র তদন্তের উপর সন্তুষ্ট নন তিনি মিথিলেশ কুমার মিশ্রকে সরাসরি প্রশ্ন করেন,‘‘দুর্নীতির সুরঙ্গের শেষে কবে পৌঁছনো যাবে?’’ গত সোমবার আদালত ইডি’কে একটা বড় তালিকা দেয় সেই তালিকা অনুযায়ী, অভিষেকের পূর্ণাঙ্গ ব্যাঙ্ক বিবরণ, তাঁর মা এবং বাবার সম্পত্তির বিস্তারিত বিবরণ, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার সিইও কারা, তাঁরা কবে কাজে যোগ দিয়েছেন, তাঁদেরও সম্পত্তির বিবরণ, সংস্থার গ্রাহক বা ক্লায়েন্ট কারা ইত্যাদি প্রশ্নের পূর্ণাঙ্গ জবাব আদালতে জমা দিতে হবে ইডি’কে এরপর শুক্রবার সরাসরি মিথিলেশ কুমার মিশ্র’র বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করেন বিচারপতি সিনহা যদিও ইডি’র আইনজীবীর তরফে বলা হয়, তাঁদের মোট ১৩১টি মামলা সামলাতে হচ্ছে প্রত্যেক আধিকারিককে গড়ে ২২টি করে মামলা সামলাতে হচ্ছে তাই আরও সময় প্রয়োজন আদালত এই যুক্তি মানেনি যদিও আদালত জানিয়েছে, ইডি’র যদি বাড়তি সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তাহলে তা জানাতে হবে ইডি’র আইনজীবী সেই প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের লোক কম ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সাহায্য প্রয়োজন হতে পারে
|
বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়া উচিত , বললেন বিচারপতি
|
নায়িকা নুসরাতকে তালাকের নোটিশ পাঠালেন নিখিল
|
Flipkart Offer on iPhone: ফ্লিপকার্টে আইফোনের দামে দুর্দান্ত অফার, কোন আইফোন কত কম দামে পাবেন?
|
পাকিস্তানের রাজনীতিতে নাটকীয় মোড়
|
international
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নাটকীয় মোড় নিয়েছে, যার মূল ভূমিকায় যুক্ত দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। গত মঙ্গলবার আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ইমরানকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যান আধা-সামরিক বাহিনী রেঞ্জার্সের সদস্যরা। গ্রেপ্তারের পর নজিরবিহীন এক আদেশে সেই গ্রেপ্তারকেই অবৈধ ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার (১১ মে) পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়ালের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ রায় দেন— আদালত থেকে ইমরানকে গ্রেপ্তার করার বিষয়টি ‘অবৈধ।’ প্রধান বিচারপতির এমন রায়ের পর ইমরানের দল তেহরিক ই-ইনসাফের কর্মীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। ইমরান খানের গ্রেপ্তারের বিষয়টি ‘অবৈধ’ ঘোষণা করায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তার সাবেক স্ত্রী জেমিমা গোল্ডস্মিথও। এক লাইনের টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, অবশেষে বোধ জয়ী হলো। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন বর্তমান ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সদস্য ও সরকারের মন্ত্রীরা। ইমরানের গেপ্তারকে অবৈধ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় পিএমএল-এনের প্রধান আয়োজক মরিয়ম নওয়াজ প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়ালের সমালোচনা করেছেন। তিনি উমরকে প্রধান বিচারপতির পদ ছেড়ে ইমরানের দল তেহরিক ই-ইনসাফে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘প্রধান বিচারপতি একজন ফিতনার ঢাল হিসেবে কাজ করছেন এবং আগুনে ঘি ঢালছেন। আপনার প্রধান বিচারপতি পদ ছেড়ে পিটিআইয়ে যোগ দেওয়া উচিত, যেমনটি করেছেন আপনার শাশুড়ি।’ পাকিস্তানের পরিকল্পনামন্ত্রী আহসান ইকবালও প্রধান বিচারপতিকে কটাক্ষ করে টুইট করেছেন। তিনি টুইটে লিখেছেন, ‘২০১৮-২২ সাল পর্যন্তও যদি এই সুপ্রিম কোর্ট থাকত’। এই সময়টায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইমরান খান। তার আমলে দুর্নীতির অভিযোগে অনেক বিরোধী দলীয় নেতাকে আটক করা হয়। এ বিষয়টিকেই ইঙ্গিত করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আহসান। অন্যদিকে, এক ভিডিও বার্তায় পিটিআই সিনেটর আজম স্বাতী বলেছেন, আইনের চোখে সবাইকে সমানভাবে বিচার করা হলেই কেবল একটি দেশ সফলতা অর্জন করতে পারে। একটি দেশ আইন অনুযায়ী চললে কেউই আইনের উর্ধ্বে থাকতে পারবে না। তবে সরকারের মন্ত্রীদের কেউ আবার ইমরান খানের সঙ্গে আদালতের সখ্য আছে বলে কটাক্ষ করেছেন। ইমরানকে গ্রেপ্তার ঘিরে যে সহিংসতা চলেছে তাতে আহত পুলিশ সদস্যরা যদি ন্যায়বিচার না পান, পক্ষান্তরে ওই ব্যক্তি যিনি তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেন, তিনি ছাড় পেলে দেশ কেবলই জ্বলবে বলে ভাষ্য তাদের। আবার পাকিস্তানের প্রভাবশালী সেনাবাহিনীর জন্যও আদালতের এই রায় এক ধাক্কা। পাকিস্তানের সরকার সাধারণত প্রভাবশালী সেনাবাহিনীর সমর্থন খোঁজে। সেনাবাহিনী ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশটি শাসন করেছে। দেশটিতে তিনবার রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা থেকে সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে। একজন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ইমরানের অভিযোগের নিন্দা জানিয়ে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এক বিরল বিবৃতি ইস্যু করার পরই ইমরান খান গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। এখন তিনি ছাড় পাওয়ায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘাতই আরও বাড়ার পট প্রস্তত হল। সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার ইমরান খানকে এক ঘণ্টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে হাজির করার নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশ আসে ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পিটিআই এর করা আবেদনের শুনানি চলার সময়। এরপর একঘণ্টার কিছু বেশি সময়ের মধ্যে ইমরান সুপ্রিম কোর্টে হাজির হলে শুনানির পরপরই অপ্রত্যাশিত আদেশে তার গ্রেপ্তারের পদক্ষেপকে অবৈধ ঘোষণা করে আদালত। গত মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাই কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইমরানকে নাটকীয়ভাবে গ্রেপ্তার করেছিল পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো-এনএবি। এই গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করে ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে এ আবেদনের শুনানি চলাকালে ইমরানকে যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা দেশের বিচার বিভাগীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য অসম্মানের বলে প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়াল মন্তব্য করার পর ইমরানকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয় ন্যাশনাল একাউন্টেবিলিটি ব্যুরোকে (এনএবি)। সুপ্রিম কোর্টের লিখিত আদেশে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা যেভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে, তা ‘অকার্যকর এবং বেআইনি’। আদালতের ‘পবিত্রতা এবং নিরাপত্তা’ লঙ্ঘন ছাড়াও এভাবে গ্রেপ্তার করে পিটিআই চেয়ারম্যানের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকারও লঙ্ঘন করা হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল তার আদেশে আরও বলেছেন, শুক্রবার ফের ইসলামাবাদ হাই কোর্টে হাজির হবেন ইমরান খান। পুলিশ লাইন্সের অতিথিশালায় একজন অতিথি হিসাবেই তিনি থাকবেন। তাকে সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্বভার থাকবে সরকারের ওপর। গত বুধবার ইমরানকে ইসলামাবাদের পুলিশ লাইনসে স্থাপন করা একটি অস্থায়ী আদালতে তোলা হয়েছিল। সেখানে এনএবি ইমরানের ১৪ দিনের জন্য রিমান্ডে চেয়েছিল। পরে আদালত আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। রিমান্ডে পাঠানোর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ইমরান ছাড়া পেলেন, যা এ যাবতকালের সবচেয়ে দ্রুত ছাড় পাওয়ার ঘটনা। যদিও ইমরান খানকে ছাড় দিলেও তাকে এখনও বাড়ি যেতে দেওয়া হয়নি। কখন দেওয়া হবে তাও এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ইমরানকে গ্রেপ্তার ঘিরে রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদের যে আগুন জ্বলে উঠেছিল, আদালতের রায়ের পর তা আপাতত নিভেছে। বৃহস্পতিবার মাঝে মাঝে দু’একটা বিক্ষোভ ছাড়া রাস্তাঘাট অনেকটাই ছিল শান্ত। তবে পিটিআই এখনও সতর্ক রয়েছে। শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টে যাবে বলে জানিয়েছে তারা। এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ //
|
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে এ আবেদনের শুনানি চলাকালে ইমরানকে যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা দেশের বিচার বিভাগীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য অসম্মানের বলে প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়াল মন্তব্য করার পর ইমরানকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয় ন্যাশনাল একাউন্টেবিলিটি ব্যুরোকে (এনএবি) সুপ্রিম কোর্টের লিখিত আদেশে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা যেভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে, তা ‘অকার্যকর এবং বেআইনি’ আদালতের ‘পবিত্রতা এবং নিরাপত্তা’ লঙ্ঘন ছাড়াও এভাবে গ্রেপ্তার করে পিটিআই চেয়ারম্যানের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকারও লঙ্ঘন করা হয়েছে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল তার আদেশে আরও বলেছেন, শুক্রবার ফের ইসলামাবাদ হাই কোর্টে হাজির হবেন ইমরান খান পুলিশ লাইন্সের অতিথিশালায় একজন অতিথি হিসাবেই তিনি থাকবেন তাকে সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্বভার থাকবে সরকারের ওপর গত বুধবার ইমরানকে ইসলামাবাদের পুলিশ লাইনসে স্থাপন করা একটি অস্থায়ী আদালতে তোলা হয়েছিল সেখানে এনএবি ইমরানের ১৪ দিনের জন্য রিমান্ডে চেয়েছিল পরে আদালত আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে রিমান্ডে পাঠানোর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ইমরান ছাড়া পেলেন, যা এ যাবতকালের সবচেয়ে দ্রুত ছাড় পাওয়ার ঘটনা যদিও ইমরান খানকে ছাড় দিলেও তাকে এখনও বাড়ি যেতে দেওয়া হয়নি কখন দেওয়া হবে তাও এখনও স্পষ্ট নয় তবে ইমরানকে গ্রেপ্তার ঘিরে রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদের যে আগুন জ্বলে উঠেছিল, আদালতের রায়ের পর তা আপাতত নিভেছে বৃহস্পতিবার মাঝে মাঝে দু’একটা বিক্ষোভ ছাড়া রাস্তাঘাট অনেকটাই ছিল শান্ত তবে পিটিআই এখনও সতর্ক রয়েছে শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টে যাবে বলে জানিয়েছে তারা
|
নাটকীয়তার পর পাকিস্তানে নতুন মন্ত্রিসভা
|
ভুল রাজনীতির মাসুল
|
স্বপ্ন দেখব বলে দু’হাত পেতেছি
|
জম্মুতে সেনার গুলিতে নিহত চার উগ্রপন্থী সন্দেহভাজন
|
national
|
জম্মুতে সেনার গুলিতে নিহত চারজন। নিহতরা উগ্রপন্থী ছিল বলে দাবি জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের। পুলিশের দাবি বুধবার সকালে তায়ি ব্রিজের কাছে সিধরা বাইপাসে তল্লাসির জন্য একটি ট্রাক দার করায় সেনারা। তখনই ট্রাক থেকে সেনাদের লক্ষ্যকরে গুলি ছোড়া হলে পাল্টা গুলি করে সেনারা। তাতেই ওই চার জনের মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। জম্মুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকেশ সিং জানান ওই এলাকায় সন্দেহ জনক ভাবে ঘোরাঘুরি করছিল ট্রাকটি। বুধবার সকাল ৭.৩০ নাগাদ ট্রাকটিকে আটকায় সেনারা। সেনা ও উগ্রপন্থীদের মধ্যে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে গুলির লড়াই চলে বলে দাবি মুকেশ সিংয়ের। ট্রাকের চালক পলাতক। নিহত উগ্রপন্থীদের কাছ থেকে সাতটি একে ৪৭ রাইফেল, একটি এম ৪ রাইফেল ও তিনটি পিস্তল ও প্রচুর বিষ্ফোরক উদ্ধার করেছে পুলিশ।
|
জম্মুতে সেনার গুলিতে নিহত চারজন নিহতরা উগ্রপন্থী ছিল বলে দাবি জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের পুলিশের দাবি বুধবার সকালে তায়ি ব্রিজের কাছে সিধরা বাইপাসে তল্লাসির জন্য একটি ট্রাক দার করায় সেনারা
|
Terrorists Killed: উপত্যকায় সেনার গুলিতে খতম চার জঙ্গি
|
শোপিয়ানে সেনার গুলিতে নিহত উগ্রপন্থী দাবি পুলিশের
|
৩ ফুটের মেসি, নীল-সাদা রসগোল্লা! ফাইনালের আগে বাঙালির পাতে বিশ্বকাপের মিষ্টি
|
অর্থহীনতার উৎসব
|
editorial
|
একবিংশ শতকের শব্দভান্ডারে একটি শব্দ ক্রমেই গুরুতর হইয়া উঠিয়াছে— ‘ফোমো’। পূর্ণাবয়বে, ‘ফিয়ার অব মিসিং আউট’। মনস্তাত্ত্বিকরা বলিতেছেন, নিরন্তর সোশ্যাল মিডিয়া-যাপনের এই যুগে ‘ফোমো’ একটি জটিল মানসিক সমস্যার রূপ লইতেছে। ভাঙিয়া বলিলে, সমস্যাটি নিম্নরূপ: ফিয়ার অব মিসিং আউট হইল পিছাইয়া পড়িবার ভয়; অন্যরা সব সুখ পাইয়া গেল, প্রচারের সমস্ত আলো অন্যদের উপরে পড়িল, সমস্ত উত্তেজনা অন্যরা পোহাইয়া লইল, সকল আলোচনার কেন্দ্রে থাকিল— সর্বক্ষণের এই আশঙ্কাই ফোমো। মনস্তাত্ত্বিকরা বলিবেন, এই ব্যাধির চিকিৎসা সহজ— যাবতীয় সোশ্যাল মিডিয়া হইতে নিজেকে সরাইয়া রাখা; যাহা নাই, তাহার জন্য বিচলিত না হইয়া যাহা আছে, তাহাতে মনোনিবেশ করা। কিন্তু হিতোপদেশে আর কে কবে কর্ণপাত করিয়াছে? ফলে, ফোমো-র অন্তর্দাহ চলিতেছে। সেই দহনের এক বিচিত্র প্রকাশ লক্ষ করা যায়— ঘটমান বর্তমানের কার্যত প্রতিটি মুহূর্তের সহিত নিজের অবিচ্ছেদ্য যোগ প্রমাণের চেষ্টা। যেমন, কোনও বিশিষ্ট মানুষ প্রয়াত হইলে তাঁহার সহিত আপন সম্পর্কের কথা ফলাও করিয়া লেখা। শঙ্খ ঘোষের মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়া ভরিয়া গেল ব্যক্তিগত শোকযাপনের প্লাবনে। অনেকেই কবির সহিত নিজের অন্তরঙ্গ সম্পর্ক (অর্থাৎ, তিনি এক দিন দূর হইতে কবিকে নমস্কার করিয়াছিলেন; এবং কবির পছন্দের মিষ্টান্ন ভান্ডার হইতেই তিনিও কেনাকাটা করিয়া থাকেন) বিষয়ে বিস্তারিত লিখিয়া জানাইয়াছেন, কবির স্বভাবধর্মই ছিল নিজেকে কখনও জাহির না করা, প্রচ্ছন্ন থাকা! ফোমো আসিয়া কী ভাবে শোককে ক্রমে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক উৎসবে পরিণত করিতে পারে, তাহার একটি মোক্ষম উদাহরণ যে কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়। সাম্প্রতিক ইয়াস-ই যেমন। যাঁহারা এই ঝড়ের কেন্দ্রে ছিলেন, আশঙ্কা হয়, তাঁহাদের অধিকাংশের হাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি আপলোড করিবার সময় ছিল না। কিন্তু, এই ঝড় হইতে নিরাপদ দূরত্বে বসিয়া অনেকেই নিজেদের টাইমলাইন ভরাইয়া ফেলিলেন তাহার পূর্বাভাসে, উপগ্রহ-চিত্রে, ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের ছবি-ভিডিয়োয়, ধারাবিবরণীতে। একে অপরের সমালোচনায়, আবার কখনও কোনও তৃতীয় পক্ষের সমালোচনাতেও বটে। শেষ অবধি শহর কলিকাতায় ঝড় না আসায় অনেকের ছদ্ম স্বস্তি ভেদ করিয়া প্রকাশ হইয়া পড়িল দীর্ঘশ্বাস— এই ঝড়ের অভিজ্ঞতার প্রত্যক্ষ অংশীদার থাকিবার সুযোগ ফস্কাইয়া যাইবার বেদনায়। প্রত্যেকেই কি নামিয়া পড়িলেন না অপরের তুলনায় খানিক হইলেও আগাইয়া থাকিবার দৌড়ে? ফোমো তাহাই করাইয়া থাকে— কোনও দৌড়েই পিছাইয়া পড়া চলিবে না, এই তাগিদ মাথায় চারাইয়া দেওয়াই ফোমো-র চরিত্রলক্ষণ। ফলে, সোশ্যাল মিডিয়ার ভুবন জুড়িয়া কেবলই দৃশ্যের জন্ম হয়। যে কোনও ছবির— আক্ষরিক অর্থে ছবি, অর্থাৎ স্থিরচিত্র অথবা চলচ্চিত্র— মধ্যে কিছু কথা নিহিত থাকে, অর্থ নিহিত থাকে। সাঁজোয়া গাড়ির সম্মুখে দাঁড়াইয়া আছেন এক জন— নিতান্ত এক জন, একক ব্যক্তিবিশেষ— এই ছবিটি কোনও কথা না বলিয়া যেমন বলিয়া দেয় বিদ্রোহ ঘোষণার কথা; আয়লান কুর্দির নিথর দেহটি যেমন বলে যে, পৃথিবীকে শিশুর বাসযোগ্য করিবার স্বপ্নটি বহুলাংশে অধরাই থাকিয়া গিয়াছে; তেমনই নাপাম বোমার সম্মুখে ধাবমান কিশোরী, অথবা মুমূর্ষু বালকের পার্শ্বে অপেক্ষমাণ শকুনের ছবির অন্তর্নিহিত কথাগুলির অভিঘাত প্রশ্নাতীত। অপরিচিত, আপাত-অকিঞ্চিৎকর বহু ছবিও অজস্র কথা বলিতে পারে। কিন্তু যত ক্ষণ সেই ছবিকে কথা বলিবার পরিসর দেওয়া হইতেছে, তত ক্ষণই। যে মুহূর্তে ছবিটির জ্ঞাপনের তুলনায় জ্ঞাপকই প্রধান হইয়া উঠেন— যে মুহূর্তে কেহ জানাইয়া দেন যে, ছবির বার্তাটির তুলনায় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এই তথ্যটি যে, ছবিটি তিনি শেয়ার করিতেছেন— সেই স্ব-প্রজ্ঞাপনের মুহূর্তে ছবিটি তাহার অর্থ হইতে বিচ্যুত হয়। ছবিগুলি ক্রমে কোলাহলে পরিণত হইতে থাকে— অনেকের সম্মিলিত বাচন-প্রয়াস, যাহা হইতে কোনও অর্থ উদ্ধার করা অসম্ভব। এই কোলাহলটিই ফোমো-র বৃহত্তম অভিশাপ। যখন সকলেই কথা বলেন কথা না শুনিয়া, কথা শোনেন কথা না শুনিয়া— তখন কথার আর কোনও অর্থ থাকে না। থাকে না তাহার কোনও দাম। তখন যে কোনও শোক, যে কোনও ক্রোধ, যে কোনও হতাশা শেষ অবধি এক প্রতিযোগিতামূলক উৎসব হইয়াই থাকিয়া যায়। অর্থহীনতার উৎসব। অকিঞ্চিৎকরতার উৎসব।
|
সাঁজোয়া গাড়ির সম্মুখে দাঁড়াইয়া আছেন এক জন— নিতান্ত এক জন, একক ব্যক্তিবিশেষ— এই ছবিটি কোনও কথা না বলিয়া যেমন বলিয়া দেয় বিদ্রোহ ঘোষণার কথা; আয়লান কুর্দির নিথর দেহটি যেমন বলে যে, পৃথিবীকে শিশুর বাসযোগ্য করিবার স্বপ্নটি বহুলাংশে অধরাই থাকিয়া গিয়াছে; তেমনই নাপাম বোমার সম্মুখে ধাবমান কিশোরী, অথবা মুমূর্ষু বালকের পার্শ্বে অপেক্ষমাণ শকুনের ছবির অন্তর্নিহিত কথাগুলির অভিঘাত প্রশ্নাতীত অপরিচিত, আপাত-অকিঞ্চিৎকর বহু ছবিও অজস্র কথা বলিতে পারে কিন্তু যত ক্ষণ সেই ছবিকে কথা বলিবার পরিসর দেওয়া হইতেছে, তত ক্ষণই যে মুহূর্তে ছবিটির জ্ঞাপনের তুলনায় জ্ঞাপকই প্রধান হইয়া উঠেন— যে মুহূর্তে কেহ জানাইয়া দেন যে, ছবির বার্তাটির তুলনায় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এই তথ্যটি যে, ছবিটি তিনি শেয়ার করিতেছেন— সেই স্ব-প্রজ্ঞাপনের মুহূর্তে ছবিটি তাহার অর্থ হইতে বিচ্যুত হয় ছবিগুলি ক্রমে কোলাহলে পরিণত হইতে থাকে— অনেকের সম্মিলিত বাচন-প্রয়াস, যাহা হইতে কোনও অর্থ উদ্ধার করা অসম্ভব এই কোলাহলটিই ফোমো-র বৃহত্তম অভিশাপ যখন সকলেই কথা বলেন কথা না শুনিয়া, কথা শোনেন কথা না শুনিয়া— তখন কথার আর কোনও অর্থ থাকে না থাকে না তাহার কোনও দাম তখন যে কোনও শোক, যে কোনও ক্রোধ, যে কোনও হতাশা শেষ অবধি এক প্রতিযোগিতামূলক উৎসব হইয়াই থাকিয়া যায় অর্থহীনতার উৎসব
|
উৎসব তো শুধু আনন্দ নয়, কারও কাছে মাপা মুক্তির ছাড়পত্রও বটে
|
ডু অর ডাই ম্যাচে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
|
ইউক্রেনে ৬৩ দেশের ভাড়াটে যোদ্ধা
|
চাঁদে অবতরণ ভারতকে ভূরাজনীতিতে কী সুবিধা দিতে পারে?
|
national
|
ছবির উৎস, Getty Images চন্দ্রযান-থ্রির সাফল্যের পর দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে উল্লাস ১৯৬৯ সালের ২০শে জুলাই চাঁদের বুকে প্রথম মহাকাশচারী নিইল আর্মস্ট্রং সেখানে পা রেখেই বলেছিলেন, “এটা একজন মানুষের ছোট একটা পদক্ষেপ হতে পারে, কিন্তু সমগ্র মানবজাতির জন্য বিরাট একটা লাফ!”বিশ্বের মহাকাশচর্চার ইতিহাসে ওই বাক্যটি প্রায় প্রবাদে পরিণত হয়েছে। সেই ঘটনার অর্ধশতাব্দীরও বেশি পরে ভারতের চন্দ্রযান-থ্রি বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নেমেছে – আর ‘বিক্রম’ ল্যান্ডারের ঢাল বেয়ে নেমে এসে মুন রোভার ‘প্রজ্ঞান’ও অতি ধীরে ধীরে চাঁদের বুকে তার পদচারণা শুরু করেছে। প্রজ্ঞান হয়তো সেকেন্ডে বড়জোর এক সেন্টিমিটারই এগোতে পারছে, কিন্তু চাঁদের বুকে এই ছোট্ট পদক্ষেপ যে ভারতের জন্য ভূরাজনীতি ও চান্দ্র অর্থনীতিতে (‘লুনার ইকোনমি’) একটা ‘বিরাট লাফ’ - তা নিয়ে পর্যবেক্ষকদের বিন্দুমাত্র সংশয় নেই। আন্তর্জাতিক সাময়িকী ফরেন পলিসি যেমন সোজাসুজি লিখেছে, ‘ভারতের মুন ল্যান্ডিং আসলেই একটি বিরাট জিওপলিটিক্যাল স্টেপ!” বিশ্বের বহু দেশ এখন মহাকাশচর্চার বিভিন্ন মাইলফলক স্পর্শ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করছে। ছবির উৎস, Getty Images মার্কিন মহাকাশযান অ্যাপোলো-১১র অ্যাস্ট্রোনটরা। ১৯৬৯ বিশেষ করে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অভিযান চালানোর জন্য ভারত ছাড়াও রাশিয়া, চীন বা আমেরিকা – প্রত্যেকেই চেষ্টা চালাচ্ছে। সেই পটভূমিতে ভারতের এই নজিরবিহীন সাফল্য তাদের জন্য বিভিন্ন নতুন নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত খুলে দেবে বলেও মনে করা হচ্ছে। ভারতের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং তো ইতিমধ্যেই পূর্বাভাস করে রেখেছেন, আর মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই ভারতের স্পেস সেক্টর বা মহাকাশ খাত এক ট্রিলিয়ন (এক লক্ষ কোটি) ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হবে। এই খাতের বিশেষজ্ঞরা অনেকেই মনে করছেন, চন্দ্রযান-থ্রির অভূতপূর্ব সাফল্যের পর ভারতের পক্ষে সেটা মোটেই অসম্ভব নয়। তক্ষশীলা ইনস্টিটিউটে মহাকাশ ও ভূরাজনীতির গবেষক আদিত্য রামানাথন যেমন মনে করছেন, এই সাফল্য ভারতের তরুণ প্রজন্মের একটা বড় অংশকে মহাকাশচর্চায় উৎসাহিত করবে এবং তারা এটাকে পেশা হিসেবেও নিতে চাইবেন। ছবির উৎস, Getty Images মুম্বাইয়ের একটি কলেজে চন্দ্রযান-থ্রির সাফল্য উদযাপন “চন্দ্রযানের এই অর্জনের ভিত্তিতে ভারতকে এখন ‘লুনার জিওপলিটিক্স’ বা ‘চান্দ্রেয় ভূরাজনীতি’র জন্যও নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে”, টাইমস অব ইন্ডিয়া পত্রিকায় এক নিবন্ধে লিখেছেন মি রামানাথন। চাঁদের বুকে বিপুল পরিমাণে মূল্যবান খনিজ বা প্রচুর পরিমাণ জ্বালানির উৎসের সন্ধান মিলতে পারে – এই সম্ভাবনাও সাম্প্রতিককালে বহু দেশকে চন্দ্র অভিযানে আকৃষ্ট করেছে। এই পটভূমিতে ভারতীয় মহাকাশযান চন্দ্রযান-থ্রির সাফল্য ভারতকে ‘পোল পোজিশনে’ নিয়ে আসবে, অর্থাৎ আন্তর্জাতিক দৌড়ে এগিয়ে রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন আর আমেরিকার মধ্যে চাঁদে আগে কে পৌঁছতে পারে, সেই বিখ্যাত দৌড়ের প্রায় ছয় দশক পরে চাঁদকে কেন্দ্র করে আবার নতুন করে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এবারে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হল চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চল – যেখানে বিজ্ঞানীরা জল বা বরফের অস্তিত্ত্ব আছে বলে প্রমাণ পেয়েছেন। রাশিয়া যেমন প্রায় ৪৭ বছর পর চলতি মাসেই তাদের প্রথম লুনার মিশন লঞ্চ করেছিল, যদিও গত রবিবার (২০ অগাস্ট) সেই লুনা-২৫ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণে ব্যর্থ হয়। এর তিনদিন পরেই সেখানে নামে ভারতের চন্দ্রযান-থ্রি। ছবির উৎস, Getty Images আরব বিশ্বের প্রথম চন্দ্রযান রশিদ রোভারের কন্ট্রোল রুম। এপ্রিল ২০২৩ আমেরিকা আবার ২০২৫ সালে মধ্যেই ওই এলাকাতে প্রথমবারের মতো মহাকাশচারীদের নামানোর পরিকল্পনা করছে – আর তার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেছে পুরো দমে। এই দশক শেষ হওয়ার আগেই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নভোচারী-সমেত ও নভোচারী-ছাড়া মহাকাশযান নামানোর পরিকল্পনা আছে চীনেরও। এছাড়া ইসরায়েল, জাপান বা সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো আরও নানা দেশই সম্প্রতি চাঁদে অভিযান চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে, যদিও তার সবগুলোই প্রথম পর্যায়েই ব্যর্থতার মুখ দেখেছে। দক্ষিণ মেরুকে ঘিরে এই আগ্রহের বড় কারণ হল ওখানে সত্যিই জল পাওয়া গেলে তা রকেটের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। এমন কী, পর্যাপ্ত জলের জোগান নিশ্চিত হলে চাঁদের বুকে একটি স্থায়ী স্টেশন (পার্মানেন্ট বেস) – কিংবা মঙ্গলগ্রহ বা আরও দূরে অভিযান চালানোর জন্য লঞ্চপ্যাডও স্থাপন করা যেতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা আশা করছেন। ছবির উৎস, Getty Images নাসার প্রশাসক বিল নেলসন নাসা-র শীর্ষ কর্মকর্তা বিল নেলসনও সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সত্যিই জল পাওয়া গেলে তা ভবিষ্যতের মহাকাশচারী ও স্পেসক্র্যাফটগুলোর খুবই কাজে আসবে। কিন্তু ওই এলাকায় যদি চীন প্রথম তাদের কোনও মহাকাশচারীকে নামাতে পারে, তারা চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলের ওপর নিজেদের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে চাইবে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এই ধরনের প্রতিযোগিতা অচিরেই শুরু হতে পারে, এটা আশঙ্কা করেই যুক্তরাষ্ট্র ২০২০ সালে ‘আর্মেটিস অ্যাকর্ডসে’র অবতারণা করেছিল, যে চুক্তিতে শরিক দেশগুলো মহাকাশচর্চার ক্ষেত্রে অভিন্ন নীতি ও সম্পদ ভাগ করে নেওয়ার অঙ্গীকার করে থাকে। পৃথিবীর বহু দেশই এই সমঝোতায় সামিল হয়েছে। গত জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী মোদীর যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় ভারতও এই অ্যাকর্ডে সই করেছে। কিন্তু চীন ও রাশিয়ার মতো দুটি বড় ‘স্পেস পাওয়ার’ এখনও এই সমঝোতার শরিক হয়নি। ছবির উৎস, Getty Images চন্দ্রযান-থ্রির ল্যান্ডার বিক্রমের একটি প্রোটোটাইপ বা মডেল অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করছেন, দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের ক্ষেত্রে চন্দ্রযান-থ্রির সাফল্য চাঁদকে ঘিরে এই নতুন ‘স্পেস রেস’কেই আরও ত্বরাণ্বিত করবে – এবং ‘ফার্স্ট অ্যাচিভার’ (প্রথম অর্জনকারী) হিসেবে ভারত সেখানে অবশ্যই কিছু অ্যাডভান্টেজ পাবে। ভারতের এই সফল চন্দ্র অভিযান ভারতকে তো বটেই, তার সঙ্গে বৃহত্তর বিশ্বকেও নানা ধরনের সুবিধা এনে দেবে বলে মনে করছেন উইলসন সেন্টারে সাউথ এশিয়া সেন্টারের অধিকর্তা মাইকেল কুগেলম্যান। ‘ফরেন পলিসি’তে তিনি লিখেছেন, “যে চলমান মহাকাশ গবেষণা কমিউনিকেশন ডেভেলপমেন্ট ও রিমোট সেন্সিং টেকনোলজির প্রসারে প্রভূত সাহায্য করেছে, তা এখন আরও বিস্তৃত হবে।” নির্দিষ্ট উদাহরণ দিয়ে তিনি দেখিয়েছেন, ভারতের মহাকাশ গবেষণা অতীতে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর মনিটর করতে এবং পৃথিবীতে আবহাওয়ার ধাঁচ (ওয়েদার প্যাটার্ন) পূর্বাভাস করতে খুবই কাজে এসেছে। বিশেষ করে যে সব দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিপদের আশঙ্কায়, তাদের জন্য এই সব তথ্য-উপাত্ত খুবই কার্যকরী হবে বলেও তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন। ছবির উৎস, Getty Images চন্দ্রযান-থ্রির উৎক্ষেপণের মুহুর্তে ভারতীয়দের শুভেচ্ছার প্রকাশ ভারতের স্ট্র্যাটেজিক থিঙ্কট্যাঙ্ক অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের গবেষক রাজি রাজাগোপালনও বিবিসিকে বলেছেন, ভারতের এই সাফল্য নানা দিক থেকেই বিশ্বের মহাকাশচর্চায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ড: রাজাগোপালনের কথায়, “ভারতের মহাকাশ-প্রযুক্তি যে আগের তুলনায় অনেক আধুনিক, উন্নত ও পরিণত হয়েছে এই অভিযান সেটাই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করে দিল।” খুবই কম খরচে (আনুমানিক ৭৫ মিলিয়ন ডলার) যেভাবে ভারত একটি সফল মহাকাশ অভিযান লঞ্চ করেছে, তা তাদেরকে ‘ব্যয়সাশ্রয়ী অথচ নির্ভরযোগ্য মহাকাশ-শক্তি’ হিসেবেও প্রতিষ্ঠা দেবে বলে মনে করছেন রাজি রাজাগোপালন। আন্তর্জাতিক কনসালটেন্সি ফার্ম প্রাইসওয়াটারহাউস কুপার্সের একটি রিপোর্টে ‘লুনার ইকোনমি’ বলতে ঠিক কী বোঝানো হয় তা বিশদে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ছবির উৎস, Getty Images সাফল্যের জন্য ভারতীয় বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানাচ্ছে হায়দ্রাবাদ তারা বলছে, চাঁদের বুকে যত ধরনের সম্পদ আছে – চাঁদের বুকে, পৃথিবীতে ও চাঁদের কক্ষপথে তার সফল ব্যবহারই এই অর্থনীতির সূচক। যেমন চাঁদে হিলিয়ামের একটি আইসোটোপ হিলিয়াম-থ্রির বিরাট ভান্ডার আছে, যা পুনর্নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিপুল উৎস হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু সেই হিলিয়াম-থ্রিকে কীভাবে পৃথিবীর উপকারে কাজে লাগানো যায়, সেটাই লুনার ইকোনমির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। এমন কী, চাঁদের বুকে ‘রিয়েল এস্টেট’ বা জমিজমা নিয়েও একদিন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হতে পারে বলে তারা পূর্বাভাস করে রেখেছে। যদি কোনও দিন সত্যিই তা হয়, তাহলে দক্ষিণ মেরুতে ‘ফার্স্ট মুভার’ হিসেবে ভারতের যে একটা শক্ত দাবি থাকবে – অনেক বিশেষজ্ঞই সে কথা মেনে নিচ্ছেন।
|
এছাড়া ইসরায়েল, জাপান বা সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো আরও নানা দেশই সম্প্রতি চাঁদে অভিযান চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে, যদিও তার সবগুলোই প্রথম পর্যায়েই ব্যর্থতার মুখ দেখেছে দক্ষিণ মেরুকে ঘিরে এই আগ্রহের বড় কারণ হল ওখানে সত্যিই জল পাওয়া গেলে তা রকেটের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে এমন কী, পর্যাপ্ত জলের জোগান নিশ্চিত হলে চাঁদের বুকে একটি স্থায়ী স্টেশন (পার্মানেন্ট বেস) – কিংবা মঙ্গলগ্রহ বা আরও দূরে অভিযান চালানোর জন্য লঞ্চপ্যাডও স্থাপন করা যেতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা আশা করছেন ছবির উৎস, Getty Images নাসার প্রশাসক বিল নেলসন নাসা-র শীর্ষ কর্মকর্তা বিল নেলসনও সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সত্যিই জল পাওয়া গেলে তা ভবিষ্যতের মহাকাশচারী ও স্পেসক্র্যাফটগুলোর খুবই কাজে আসবে কিন্তু ওই এলাকায় যদি চীন প্রথম তাদের কোনও মহাকাশচারীকে নামাতে পারে, তারা চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলের ওপর নিজেদের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে চাইবে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এই ধরনের প্রতিযোগিতা অচিরেই শুরু হতে পারে, এটা আশঙ্কা করেই যুক্তরাষ্ট্র ২০২০ সালে ‘আর্মেটিস অ্যাকর্ডসে’র অবতারণা করেছিল, যে চুক্তিতে শরিক দেশগুলো মহাকাশচর্চার ক্ষেত্রে অভিন্ন নীতি ও সম্পদ ভাগ করে নেওয়ার অঙ্গীকার করে থাকে পৃথিবীর বহু দেশই এই সমঝোতায় সামিল হয়েছে গত জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী মোদীর যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় ভারতও এই অ্যাকর্ডে সই করেছে কিন্তু চীন ও রাশিয়ার মতো দুটি বড় ‘স্পেস পাওয়ার’ এখনও এই সমঝোতার শরিক হয়নি ছবির উৎস, Getty Images চন্দ্রযান-থ্রির ল্যান্ডার বিক্রমের একটি প্রোটোটাইপ বা মডেল অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করছেন, দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের ক্ষেত্রে চন্দ্রযান-থ্রির সাফল্য চাঁদকে ঘিরে এই নতুন ‘স্পেস রেস’কেই আরও ত্বরাণ্বিত করবে – এবং ‘ফার্স্ট অ্যাচিভার’ (প্রথম অর্জনকারী) হিসেবে ভারত সেখানে অবশ্যই কিছু অ্যাডভান্টেজ পাবে ভারতের এই সফল চন্দ্র অভিযান ভারতকে তো বটেই, তার সঙ্গে বৃহত্তর বিশ্বকেও নানা ধরনের সুবিধা এনে দেবে বলে মনে করছেন উইলসন সেন্টারে সাউথ এশিয়া সেন্টারের অধিকর্তা মাইকেল কুগেলম্যান ‘ফরেন পলিসি’তে তিনি লিখেছেন, “যে চলমান মহাকাশ গবেষণা কমিউনিকেশন ডেভেলপমেন্ট ও রিমোট সেন্সিং টেকনোলজির প্রসারে প্রভূত সাহায্য করেছে, তা এখন আরও বিস্তৃত হবে” নির্দিষ্ট উদাহরণ দিয়ে তিনি দেখিয়েছেন, ভারতের মহাকাশ গবেষণা অতীতে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর মনিটর করতে এবং পৃথিবীতে আবহাওয়ার ধাঁচ (ওয়েদার প্যাটার্ন) পূর্বাভাস করতে খুবই কাজে এসেছে বিশেষ করে যে সব দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিপদের আশঙ্কায়, তাদের জন্য এই সব তথ্য-উপাত্ত খুবই কার্যকরী হবে বলেও তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন ছবির উৎস, Getty Images চন্দ্রযান-থ্রির উৎক্ষেপণের মুহুর্তে ভারতীয়দের শুভেচ্ছার প্রকাশ ভারতের স্ট্র্যাটেজিক থিঙ্কট্যাঙ্ক অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের গবেষক রাজি রাজাগোপালনও বিবিসিকে বলেছেন, ভারতের এই সাফল্য নানা দিক থেকেই বিশ্বের মহাকাশচর্চায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে
|
চন্দ্রযান এ দেশের বড় অংশের মানুষের কাছে বিস্ময়ের, ‘উন্নয়ন’ তা হলে ঠিক কোথায়?
|
বাঘ বাঁচানোর জন্য ভারতকে যে দাম দিতে হয়েছে
|
Google-এ সার্চ এবার আরও সহজ, আঞ্চলিক ভাষার সুবিধা যোগ
|
টিপুর মৃত্যু নিয়ে আষাঢ়ে গল্প ফেঁদে কর্ণাটকে বিপাকে বিজেপি, ক্ষুব্ধ ভোক্কালিগারা
|
politics
|
কর্ণাটকের বিজেপি নেতারা, বিশেষ করে ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের বিজেপির নেতৃত্ব এই দাবিতে অনড় যে, ভোক্কালিগা সর্দার উরি গৌড়া এবং নাঞ্জে গৌড়াই ১৮ শতকে মাইসুরুর শাসক টিপু সুলতানকে হত্যা করেছিলেন। যদিও সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ধর্মীয় নেতা নির্মলানন্দ স্বামী জানিয়েছেন যে বিষয়টি উত্থাপন করা উচিত নয়। কারণ, এর ঐতিহাসিক প্রমাণের অভাব আছে। নির্মলানন্দ স্বামীর এই কথা বলার পরও ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের বিজেপি নেতৃত্ব কিন্তু, নিজের বক্তব্যে অনড়। এই অনড় নেতাদের অন্যতম হলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সিটি রবি। মঙ্গলবার সাংবাদিকরা নির্মলানন্দ স্বামীর মন্তব্যের কথা রবিকে মনে করিয়ে দেন। জবাবে রবি জানান, তিনি নির্মলানন্দ স্বামীর মন্তব্যকে সম্মান করেন। কিন্তু, এই কথা বলার পরও রবি ইঙ্গিত দেন যে তিনি নির্মলানন্দ স্বামীর বক্তব্য মানবেন না। বরং, বিষয়টি নিয়ে ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এই প্রসঙ্গে রবি বলেন, ‘আমরা এই সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক নথি সরবরাহ করব। আর, ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনাও করব। উরি গৌড়া আর নাঞ্জে গৌড়া তাঁদের যোগ্য মর্যাদা পাননি।’ উরি এবং নাঞ্জে গৌড়ার ব্যাপারে বিজেপি নেতাদের বক্তব্য রীতিমতো বিতর্কিত। ইতিহাসবিদরা এই বক্তব্য এখনও অবধি সমর্থন করেননি। আর বিরোধী দল যেমন জনতা দল (সেকুলার)-এর নেতা এইচডি কুমারস্বামী তো বিষয়টিকে ভিত্তিহীন বলেই উড়িয়ে দিয়েছেন। আর কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমারের অভিযোগ, ভোক্কালিগা সম্প্রদায়কে অপদস্থ করার জন্যই বিজেপি নেতারা এমন দাবি করছেন। শিবকুমার শুধু একথা বলেই ক্ষান্ত হননি। তিনি টিপুর মৃত্যুর সঙ্গে ভোক্কালিগা সম্প্রদায়কে জড়িয়ে প্রমাণহীন মন্তব্যের জন্য বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে নির্মলানন্দ স্বামীকে আন্দোলন করার আহ্বান জানিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ কর্ণাটকে প্রভাবশালী ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের বৃহত্তম সংগঠন কর্ণাটক রাজ্য ভোক্কালিগারা সংঘ গোটা ঘটনায় বিজেপির তীব্র সমালোচনা করেছে। ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের নেতাদের একাংশের অভিযোগ, এই অবান্তর দাবি বিজেপি ভোটের দিকে তাকিয়ে করছে। দুই ভোক্কালিগা মিলে টিপুকে হত্যা করেছে। এই দাবি করে বিজেপি আসলে আসন্ন নির্বাচনে লাভের হিসেব কষছে। আরও পড়ুন- ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা, চিন্তিত স্বাস্থ্যমন্ত্রক তড়িঘড়ি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে, নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রী সেই অভিযোগ যে নেহাতই আষাঢ়ে নয়, তা কার্যত প্রমাণই করে দিয়েছেন উদ্যানপালনমন্ত্রী মুনিরত্ন। কর্ণাটকের এই মন্ত্রী গত সপ্তাহেই উরি গৌড়া এবং নাঞ্জে গৌড়ার ওপর একটি সিনেমা তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত নির্মলানন্দ স্বামীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি সেই সিনেমা তৈরির সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন। এমনিতে কর্ণাটকে ভোক্কালিগারা ঐতিহ্যগতভাবে জনতা দল সেকুলার বা জেডি (এস) এবং কংগ্রেসকে ভোট দেয়। তবে, এবার বিজেপি নেতৃত্ব ভোক্কালিগা সম্প্রদায়কে কাছে টানার চেষ্টা করছে। কারণ, কর্ণাটকের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে ভোক্কালিগা গোষ্ঠীর সমর্থন পাওয়া বিজেপির কাছে অত্যন্ত জরুরি। Stay updated with the latest news headlines and all the latest Politics news download Indian Express Bengali App. Web Title: Death of tipu sultan and relation of vokkaliga with his death
|
এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ কর্ণাটকে প্রভাবশালী ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের বৃহত্তম সংগঠন কর্ণাটক রাজ্য ভোক্কালিগারা সংঘ গোটা ঘটনায় বিজেপির তীব্র সমালোচনা করেছে ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের নেতাদের একাংশের অভিযোগ, এই অবান্তর দাবি বিজেপি ভোটের দিকে তাকিয়ে করছে দুই ভোক্কালিগা মিলে টিপুকে হত্যা করেছে এই দাবি করে বিজেপি আসলে আসন্ন নির্বাচনে লাভের হিসেব কষছে আরও পড়ুন- ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা, চিন্তিত স্বাস্থ্যমন্ত্রক তড়িঘড়ি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে, নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রী সেই অভিযোগ যে নেহাতই আষাঢ়ে নয়, তা কার্যত প্রমাণই করে দিয়েছেন উদ্যানপালনমন্ত্রী মুনিরত্ন কর্ণাটকের এই মন্ত্রী গত সপ্তাহেই উরি গৌড়া এবং নাঞ্জে গৌড়ার ওপর একটি সিনেমা তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন কিন্তু, শেষ পর্যন্ত নির্মলানন্দ স্বামীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি সেই সিনেমা তৈরির সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন এমনিতে কর্ণাটকে ভোক্কালিগারা ঐতিহ্যগতভাবে জনতা দল সেকুলার বা জেডি (এস) এবং কংগ্রেসকে ভোট দেয় তবে, এবার বিজেপি নেতৃত্ব ভোক্কালিগা সম্প্রদায়কে কাছে টানার চেষ্টা করছে কারণ, কর্ণাটকের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে ভোক্কালিগা গোষ্ঠীর সমর্থন পাওয়া বিজেপির কাছে অত্যন্ত জরুরি
|
বিজয়োৎসবে গরহাজির ফড়ণবিশ! বিজেপির উপর কি অসন্তুষ্ট উপমুখ্যমন্ত্রী? শুরু কানাঘুষো
|
কর্ণাটকের সহজপাঠ, দুর্নীতিতেই ধাক্কা খেয়েছে ব্র্যান্ড মোদি
|
নিউজিল্যান্ডে ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্প
|
প্রজা নয়, চাই নাগরিক
|
editorial
|
প্রশ্ন: ৩০ জুলাই কলকাতায় সিপিআইএমএল-লিবারেশন দলের কনভেনশন তো বেশ সফল। লোকসভা ভোট-পরবর্তী পরিস্থিতিেত আজ ২ অগস্টে কী মনে হচ্ছে আপনার, একটা কোনও ইতিবাচক সঙ্কেত আছে কি এই সময়ের মধ্যে? দীপঙ্কর ভট্টাচার্য: নির্বাচনের আগে একটা সময় পর্যন্ত বিরাট বিরাট আন্দোলন হয়েছে। গুজরাত, কর্নাটক, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, মধ্যপ্রদেশ— পাঁচটা রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে এই আন্দোলনগুলোর একটা ছাপ দেখা যাচ্ছিল। লোকসভা ভোটে অন্য অভিজ্ঞতা হল। কিন্তু আমরা মনে করি না যে, এর মানে, আন্দোলনগুলো মিথ্যে হয়ে গেল। পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি বিক্ষোভ আছে, প্রতিবাদ আছে, নির্বাচনের পরেই আবার আন্দোলন শুরু হয়ে যাচ্ছে। মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছে, ঠিক পরেই সেখানেই মজুরির দাবিতে গ্রামের মহিলাদের হরতাল হচ্ছে। সেটা ওই পুরনো সমীকরণটাকে ভাঙছে। এই সূত্রগুলোকে বিচার করে দেখা দরকার। দ্বিতীয়ত, আমাদের মাথায় ছিল পশ্চিমবঙ্গ। এখানে দীর্ঘদিন বামপন্থীদের রাজনৈতিক প্রভাব থেকেছে। নির্বাচনে তাদের ভোট বিস্তর কমল, তার একটা সিংহভাগ বিজেপির ভাঁড়ারে জমা হল। আমাদের মনে হয়েছিল মোদী সরকারের দ্বিতীয় দফায় পশ্চিমবঙ্গ হচ্ছে লড়াইয়ের সব থেকে বড় জায়গা। এখানে বিজেপির যে আজেন্ডাটা দেখা যাচ্ছে, ওরা আমাদের ১৯৪৭-এ ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে। আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের সব থেকে বড় বিপর্যয়ের জায়গা হল সাম্প্রদায়িকতার উত্থান, তার পরিণতিতে দেশভাগ। এত দিন ধরে এই বিপর্যয়টাকে, পুরোপুরি ভুলে যেতে না পারলেও খানিকটা পিছনে সরিয়ে রেখে দেশ এগোচ্ছিল। আজকে বিজেপি সেই সাতচল্লিশের রাজনীতিকে ফিরিয়ে আনতে চাইছে। এটা মারাত্মক। পশ্চিমবঙ্গে এটা তো শুধু রাজ্যের সরকার পরিবর্তনের ব্যাপার নয়। বিজেপির যে রাজনীতি— মূলত দেশভাগের যে অসমাপ্ত প্রজেক্ট, পার্টিশন যেখানে ফেল করে গেল, সেটাকে সে একটা তার্কিক পরিণতিতে পৌঁছে দিতে চায়। সেই সাম্প্রদায়িক আক্রমণকে যদি ঠেকাতে হয়, সেটা পশ্চিমবঙ্গ থেকেই করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের বামপন্থী মানসিকতার মানুষ, যাঁরা আজকে উদ্বিগ্ন, এবং খানিকটা লজ্জিত যে, বামপন্থীদের এত বড় ভোট চলে গেল, তাঁদের কাছে আমরা আবেদন করেছি যে, বামপন্থায় ফিরে আসুন। এবং, সেখানে একটা নতুন ছক দরকার। সিপিএমের যে একটা ছক তৈরি হয়েছিল সেটা ক্ষমতাকে কেন্দ্র করে। ক্ষমতার বৃত্তের বাইরে জনগণের আন্দোলনের ওপর ভিত্তি করে একটা বামপন্থা তৈরি করা দরকার। সেই অভ্যেসটা ফিরিয়ে আনতে হবে, আন্দোলনে বামপন্থাকে সম্মান দিতে হবে, দলগত ভাবে না হলেও আন্দোলনগত ভাবে, এবং চিন্তার জায়গায় একটা ঐক্য গড়ে উঠবে। পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গে ক’মাস ধরে যেখানে সাম্প্রদায়িক আক্রমণ হচ্ছে, সেখানে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করছি আমরা। এই সূত্রেই কনভেনশনটার নাম ঠিক করি ‘সংহতি ও প্রতিরোধ’। বিপন্ন মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে হবে, তাঁদের হাত ধরতে হবে। সেই জায়গা থেকে মনে হয় যে, কনভেনশনে সাড়া পাওয়া গিয়েছে। এ বার এটা নিয়ে এগোনোর প্রস্তুতি। প্র: গত দেড়-দু’বছরে নানা অঞ্চলে নানা বিষয়ে যে সব আন্দোলন হয়েছে তাদের মধ্যে সংযোগ তৈরি করার কি কোনও উপায় আছে? উ: সংযোগের দরকার এবং সম্ভাবনা, দুইই বাড়ছে। ধরুন, সাম্প্রতিক কালে দু’শোর বেশি কৃষক সংগঠন একটা সংগ্রামী মোর্চা গড়ে তুলেছে, তাদের যে শেষ জমায়েত— কৃষক মুক্তি সংসদ— দিল্লিতে হল, তাতে কৃষকদের সমর্থন করে ছাত্র, কর্মচারী, এমস-এর ডাক্তার, তাঁরা এসে কৃষকদের পাশে দাঁড়ালেন। অদ্ভুত একটা অন্য ছবি। এই ছবিটা কিন্তু বেশি বেশি করে উঠে আসছে। দ্বিতীয়ত, অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক দাবির সঙ্গে সাংস্কৃতিক চেতনার ওপরেও জোর দেওয়া দরকার। আজকের নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার ইতিহাস একটা দূরের ব্যাপার। তাকে এ বিষয়ে ভুলভাল বুঝিয়ে দেওয়া সহজ। এক ছাত্রের সঙ্গে কথা হচ্ছিল... জিজ্ঞাসা করা হল, গাঁধীজিকে যে গডসে হত্যা করেছিল, সে কে ছিল? সে বলল, গাঁধীর সিকিয়োরিটি গার্ড হবে। মানে, ইন্দিরা গাঁধীকে তাঁর সিকিয়োরিটি গার্ড মেরেছিল, মহাত্মা গাঁধীকেও তাঁর সিকিয়োরিটি গার্ড মেরে থাকবে! এই যে একেবারে ইতিহাস না-জানা, এখানটায় ঢুকে গিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেক নিউজ় ইত্যাদি। এই কারণেই সাংস্কৃতিক চেতনার গুরুত্বের কথা বলছি। বিভিন্ন আর্থিক প্রশ্ন নিয়ে আন্দোলনের পাশাপাশি মানুষের চিন্তা-চেতনার স্তরেও আন্দোলন জরুরি। চল্লিশের দশকের যে ইতিহাস— এক দিকে দাঙ্গা হচ্ছে, অন্য দিকে ওই সময়েই কিন্তু ট্রাম শ্রমিকদের একটা আন্দোলন কলকাতার বুকে একটা অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছে। তা হলে আজকে যদি এই ভাটপাড়া অঞ্চলে, এই জুট মিল এলাকায় যে ভাবে হিন্দু-মুসলিম, হিন্দিভাষী-বাংলাভাষী— এই ভাবে একটা বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে, সেখানে অবশ্যই শ্রমিক ঐক্যটাও দরকার। যেমন দরকার কৃষক ঐক্য। আমাদের বাংলায় লালন, শ্রীচৈতন্য থেকে শুরু করে যে পুরনো সম্প্রীতির ঐতিহ্য, সেটাও ফিরিয়ে আনা দরকার। এটা একটা বহুমাত্রিক ব্যাপার, সাম্প্রদায়িকতাকে আটকানোর জন্য যা খুব জরুরি। প্র: একটু ফিরে যাই। যে সামাজিক আন্দোলনগুলির কথা আপনি বললেন, সেগুলি তো প্রধানত অধিকার রক্ষার আন্দোলন... উ: অধিকার এবং মর্যাদা, সম্মান— দুটোই খুব অঙ্গাঙ্গি যুক্ত। আমরা দেখেছি, আমাদের পার্টির তো, প্র্যাক্টিক্যালি, পশ্চিমবঙ্গে ধাক্কা খাওয়ার পরে বিহারে যখন আন্দোলন শুরু হয়, সেখানে মানুষের মর্যাদার প্রশ্নটা খুব বড় ব্যাপার ছিল। সবার জমি, মজুরি বৃদ্ধি, এ সব প্রশ্ন নিশ্চয়ই থেকেছে। কিন্তু দলিত জনগণের যে একটা সামাজিক মর্যাদার প্রশ্ন, বিভিন্ন দৈনন্দিন ব্যাপারে, আমরা সেই মর্যাদার প্রশ্নে আন্দোলন করতে করতে বড় হয়েছি। এ বার এটাকেই যদি আর একটু বাড়িয়ে দেখি, শেষ পর্যন্ত দেশপ্রেমের একটা কাউন্টারন্যারেটিভ তৈরি করা যায়। দেশপ্রেম সম্পর্কে বিজেপির ধারণাটা হচ্ছে আমরা সবাই ভারতমাতার সন্তান, গোমাতার সন্তানও বলতে পারেন। এখন জয় শ্রীরাম বলতে হবে, ইত্যাদি। কিন্তু, যদি ১৮৫৭-য় ফিরে যাই, আজিমুল্লা যে গানটা লিখেছিলেন, প্রথম স্বাধীনতা আন্দোলনের অ্যান্থেমটা, জনগণমন বা বন্দে মাতরম্, বা সারে জাহাঁসে অচ্ছা-র পাশাপাশি সেটাও থাকা উচিত: হম হ্যাঁয় ইসকে মালিক, হিন্দোস্তাঁ হমারা। ফিরিঙ্গি বাইরে থেকে এসে দেশটাকে লুটেপুটে নিয়ে যাচ্ছে, এর মালিক হচ্ছি। সেই মালিকের বোধটাই যখন সংবিধানে আসে... প্র: দি আইডিয়া অব দ্য রিপাবলিক... উ: সংবিধানে বলছে: উই দ্য পিপল অব ইন্ডিয়া, এ সংবিধান অন্য কোথাও থেকে আসেনি, আমরা নিজেদের এ ক্ষমতা অর্পণ করছি। দেশের মানুষই ক্ষমতার উৎস, শ্রমজীবী মানুষই দেশের মালিক। এখন যা চলছে, এখানে শ্রমিক কৃষকের, তার মর্যাদা ও অধিকারবোধের কোনও জায়গা নেই। সে অধিকার শুধু এই নয় যে, কোনও সরকার আমাকে একটা ভাতা দেবে, কেউ কন্যাশ্রী দেবে, কেউ একটা ‘রেগা’ দেবে, কেউ স্বচ্ছ ভারতের নাম করে শৌচালয়ের জন্য কিছু পয়সা দেবে, তারা শুধু দেবে, আর আমরা শুধু পাব। আজকের রাষ্ট্র নাগরিককে প্রজার স্তরে নামিয়ে দিয়েছে। আগে আমরা অম্বেডকরকে সে ভাবে পড়িনি। ভারতবর্ষে যখন সংবিধান গৃহীত হচ্ছে তখন এই কথাটা অম্বেডকর কিন্তু জোর দিয়ে বলেছিলেন। সংবিধানের প্রিঅ্যাম্বল-এ লিবার্টি, ইকোয়ালিটি, ফ্রেটারনিটি, জাস্টিস— এই ব্যাপারগুলো অধিকার হিসেবে আসছে। অম্বেডকরের ভাষণটা দেখুন, সংবিধান সভা বা গণপরিষদের শেষ অধিবেশনে, একেবারে পরিষ্কার বলছেন, ভারতবর্ষের যে মাটিটা, তার এখনও গণতান্ত্রিকীকরণ হয়নি, একটা অগণতান্ত্রিক জমির ওপরে একটা গণতন্ত্রের পরত— টপ ড্রেসিং অব ডেমোক্র্যাসি— সংবিধানের মধ্যে দিয়ে এল। অর্থাৎ, এই সংবিধানের মধ্যে গণতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি ও সম্ভাবনা আছে, কিন্তু ভারতবর্ষের যে সামাজিক প্রেক্ষাপট, যেখানে জাতি-ধর্মের নামে, বিভিন্ন কুসংস্কারের নামে বৈষম্য এত বেশি, সেটার ওপর দাঁড়িয়ে সেটা চরিতার্থ করা যাবে না। এই সংঘাতের সমাধানটা কী? সমাধানটা হচ্ছে, যে-জমির ওপর সংবিধান দাঁড়িয়ে আছে সেই জমিটারও গণতন্ত্রীকরণ— সামাজিক ভাবে, রাজনৈতিক ভাবে। আজ রিপাবলিক আছে নামে, কিন্তু তার জায়গায় একটা রাজা এবং প্রজার সম্পর্ক চলে আসছে। সেই মনুস্মৃতি, সেই ব্রাহ্মণ্যতন্ত্র, সেই জাতিপ্রথা, সেই মহিলাদের, দলিতদের, আদিবাসীদের দ্বিতীয় শ্রেণির, তৃতীয় শ্রেণির নাগরিকে পর্যবসিত করা হয়েছে। আমাদের তিনটে দিকেই খুব ভাল করে ভাবা দরকার। এক, যে ভাবে কর্পোরেটের হাতে ক্ষমতা কুক্ষিগত হয়ে গিয়েছে, এত খোলাখুলি এই বড় পুঁজিপতিদের এ-রকম প্রভাব আগে দেখা যায়নি। দুই, যেটা আরএসএস করে এসেছে— সাম্প্রদায়িক জাতীয়তাবাদ। আর তৃতীয় দিকে হচ্ছে, ওই, মনুস্মৃতি। অম্বেডকর চেয়েছিলেন, সংবিধান যত এগোবে, সমাজকাঠামোটা ভাঙতে হবে, সামাজিক ভাবে পিছিয়ে পড়া নিম্নবর্গকে এগিয়ে আনতে হবে। সেই জায়গায় আমাদের আবার পিছন দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের এই তিনটে জায়গাতেই সমান ভাবে, সচেতন ভাবে, এবং সজাগ ভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।
|
এখানে দীর্ঘদিন বামপন্থীদের রাজনৈতিক প্রভাব থেকেছে নির্বাচনে তাদের ভোট বিস্তর কমল, তার একটা সিংহভাগ বিজেপির ভাঁড়ারে জমা হল আমাদের মনে হয়েছিল মোদী সরকারের দ্বিতীয় দফায় পশ্চিমবঙ্গ হচ্ছে লড়াইয়ের সব থেকে বড় জায়গা এখানে বিজেপির যে আজেন্ডাটা দেখা যাচ্ছে, ওরা আমাদের ১৯৪৭-এ ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের সব থেকে বড় বিপর্যয়ের জায়গা হল সাম্প্রদায়িকতার উত্থান, তার পরিণতিতে দেশভাগ এত দিন ধরে এই বিপর্যয়টাকে, পুরোপুরি ভুলে যেতে না পারলেও খানিকটা পিছনে সরিয়ে রেখে দেশ এগোচ্ছিল আজকে বিজেপি সেই সাতচল্লিশের রাজনীতিকে ফিরিয়ে আনতে চাইছে এটা মারাত্মক পশ্চিমবঙ্গে এটা তো শুধু রাজ্যের সরকার পরিবর্তনের ব্যাপার নয় বিজেপির যে রাজনীতি— মূলত দেশভাগের যে অসমাপ্ত প্রজেক্ট, পার্টিশন যেখানে ফেল করে গেল, সেটাকে সে একটা তার্কিক পরিণতিতে পৌঁছে দিতে চায় সেই সাম্প্রদায়িক আক্রমণকে যদি ঠেকাতে হয়, সেটা পশ্চিমবঙ্গ থেকেই করতে হবে পশ্চিমবঙ্গের বামপন্থী মানসিকতার মানুষ, যাঁরা আজকে উদ্বিগ্ন, এবং খানিকটা লজ্জিত যে, বামপন্থীদের এত বড় ভোট চলে গেল, তাঁদের কাছে আমরা আবেদন করেছি যে, বামপন্থায় ফিরে আসুন এবং, সেখানে একটা নতুন ছক দরকার সিপিএমের যে একটা ছক তৈরি হয়েছিল সেটা ক্ষমতাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতার বৃত্তের বাইরে জনগণের আন্দোলনের ওপর ভিত্তি করে একটা বামপন্থা তৈরি করা দরকার সেই অভ্যেসটা ফিরিয়ে আনতে হবে, আন্দোলনে বামপন্থাকে সম্মান দিতে হবে, দলগত ভাবে না হলেও আন্দোলনগত ভাবে, এবং চিন্তার জায়গায় একটা ঐক্য গড়ে উঠবে পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গে ক’মাস ধরে যেখানে সাম্প্রদায়িক আক্রমণ হচ্ছে, সেখানে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করছি আমরা এই সূত্রেই কনভেনশনটার নাম ঠিক করি ‘সংহতি ও প্রতিরোধ’ বিপন্ন মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে হবে, তাঁদের হাত ধরতে হবে সেই জায়গা থেকে মনে হয় যে, কনভেনশনে সাড়া পাওয়া গিয়েছে এ বার এটা নিয়ে এগোনোর প্রস্তুতি প্র: গত দেড়-দু’বছরে নানা অঞ্চলে নানা বিষয়ে যে সব আন্দোলন হয়েছে তাদের মধ্যে সংযোগ তৈরি করার কি কোনও উপায় আছে? উ: সংযোগের দরকার এবং সম্ভাবনা, দুইই বাড়ছে ধরুন, সাম্প্রতিক কালে দু’শোর বেশি কৃষক সংগঠন একটা সংগ্রামী মোর্চা গড়ে তুলেছে, তাদের যে শেষ জমায়েত— কৃষক মুক্তি সংসদ— দিল্লিতে হল, তাতে কৃষকদের সমর্থন করে ছাত্র, কর্মচারী, এমস-এর ডাক্তার, তাঁরা এসে কৃষকদের পাশে দাঁড়ালেন অদ্ভুত একটা অন্য ছবি এই ছবিটা কিন্তু বেশি বেশি করে উঠে আসছে দ্বিতীয়ত, অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক দাবির সঙ্গে সাংস্কৃতিক চেতনার ওপরেও জোর দেওয়া দরকার আজকের নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার ইতিহাস একটা দূরের ব্যাপার
|
নাগরিক
|
টোকিয়ো থেকে দোহা, সোনার ছেলে নীরজ
|
মেলবোর্নের ফাইনালে পাকিস্তানকে যেভাবে হারিয়ে দিল ইংল্যান্ড
|
২০১৯ সালেই লঞ্চ হতে পারে ফোল্ডেবল স্ক্রিনের স্মার্টফোন
|
technology
|
বেশ কয়েকমাস ধরেই ফোল্ডেবল স্ক্রিনের ফোন নিয়ে চলছে নানান জল্পনা কল্পনা, তবে সবটাই ফাঁস হওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে। স্যামসাং অবশেষে তাদের পছন্দের স্মার্টফোন ঘোষণা করেছে, সংস্থার পঞ্চম বার্ষিক সম্মেলনে। ফোডেবেল ফোনটি খুললে ট্যাবলেট এবং ভাঁজ করলে স্মার্টফোন। স্যামসাংয়ের মোবাইল মার্কেটিংয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জাস্টিন ডেনিসন বলেন, আর বেশি দেরি নেই এই যুগান্তকারী ডিসপ্লের ফোনের বাজারে আসার। সাউথ কোরিয়ান এই টেক জায়ান্টের মতে, ডিভাইসটি আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে। আরও পড়ুন: তিনটি স্ক্রিন সহ ফোল্ডিং স্মার্টফোন নিয়ে আসছে স্যামসং “ফোল্ড ডিসপ্লে একটি নতুন ধরণের মোবাইল অভিজ্ঞতার ভিত্তি স্থাপন করবে,” এমনটাই এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন স্যামসাং ইলেকট্রনিক্সের আইটি ও মোবাইল কমিউনিকেশন বিভাগের সভাপতি ও প্রধান। ২০১৯ সালের মধ্যে গ্যাজেট দুনিয়ায় চলে আসবে এই নতুন সদস্য। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদপত্র দ্য বেল-এ প্রকাশিত একটি খবর অনুযায়ী আগামী বছর ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ ফোল্ডেবেল স্ক্রিন সহ গ্যালাক্সি টেন নিয়ে আসছে স্যামসং। নচ ডিজাইন বর্তমানে ট্রেন্ড হলেও, কিছুদিনের মধ্যেই তা ব্যাক ডেটেড হতে চলেছে। কারণ ২০১৯ র মধ্যে ফোল্ডেবল স্ক্রিনের কদর বাড়বে বলে আশা করাই যায়। ইতিমধ্যে গ্যাজেট ওয়ার্ল্ডে কানাঘুষো শোনা গেছে যে ফোল্ডেবল স্ক্রিনে নতুন ফোন আনতে চলেছে মোটোরোলাও। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেটেন্ট অফিসে ইতিমধ্যে জমা পড়েছে ফোল্ডেবল স্ক্রিনের পেটেন্ট। ফোনটি ফ্লিপ কভারের মতো ভাঁজ করা যেতে পারে। আরও পড়ুন: সবার আগে ভাঁজ করা স্ক্রিনের ফোন আনতে চলেছে হুয়াওয়ে পেটেন্ট অনুযায়ী, স্ক্রিনের মাঝখান দিয়ে থাকবে ভাঁজ করার অপশন। ফোনের পিছনে থাকবে ক্যামেরা ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার। আগেও একবার ২০১৭ সালে লেনোভো এইরকম পেটেন্ট জমা দিয়েছিল। একই সঙ্গে এই দলে রয়েছে অ্যাপেল ও হুয়াওয়েই। Stay updated with the latest news headlines and all the latest Technology news download Indian Express Bengali App. Web Title: Samsung finally announces its foldable smartphone
|
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদপত্র দ্য বেল-এ প্রকাশিত একটি খবর অনুযায়ী আগামী বছর ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ ফোল্ডেবেল স্ক্রিন সহ গ্যালাক্সি টেন নিয়ে আসছে স্যামসং নচ ডিজাইন বর্তমানে ট্রেন্ড হলেও, কিছুদিনের মধ্যেই তা ব্যাক ডেটেড হতে চলেছে কারণ ২০১৯ র মধ্যে ফোল্ডেবল স্ক্রিনের কদর বাড়বে বলে আশা করাই যায় ইতিমধ্যে গ্যাজেট ওয়ার্ল্ডে কানাঘুষো শোনা গেছে যে ফোল্ডেবল স্ক্রিনে নতুন ফোন আনতে চলেছে মোটোরোলাও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেটেন্ট অফিসে ইতিমধ্যে জমা পড়েছে ফোল্ডেবল স্ক্রিনের পেটেন্ট ফোনটি ফ্লিপ কভারের মতো ভাঁজ করা যেতে পারে
|
Samsung Flip Smartphone: ২০ বছর আগে লঞ্চ হওয়া স্যামসাংয়ের প্রথম ফ্লিপ ফোনের আদলে আসছে স্পেশ্যাল মডেল
|
বুবলীকে হত্যাচেষ্টা!
|
মহারাষ্ট্রে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ১১
|
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সাম্প্রদায়িক উস্কানি ছড়াতে চাইছে বিজেপি এবং তৃণমূল : সেলিম
|
state
|
‘‘মানুষ যখন রাজ্য জুড়ে হকের দাবিতে, চোর তাড়াতে পথে নামছে, যুবরা যখন কাজের দাবিতে পথে নামছে তখন ধর্মের নামে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে হাঙ্গামা তৈরি করছে তৃণমূল এবং বিজেপি।’’ হাওড়ার সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বললেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সেলিমের কথায়, গ্রামে শহরে মানুষ যখন চুরির বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তখন রাজ্যে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানো হচ্ছে। গতকাল রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রামনবমীর মিছিলে তৃণমূল এবং বিজেপির বিভিন্ন স্তরের নেতাদের একসাথে দেখা গিয়েছে। সেই প্রসঙ্গ টেনে সেলিম এদিন বলেন, ‘‘তৃণমূল এবং আরএসএস’এর যৌথ বাহিনী হইহই করে রাম নবমীর নাম করে রাস্তায় নেমেছে। গ্রামের মানুষ যখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাগছে তখন পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের সাম্প্রদায়িক বিভাজন করতে চাইছে বিজেপি এবং তৃণমূল।’’ সেলিম আরও বলেন, ‘‘রাজ্যে দাঙ্গা লাগাতে চাইছে তৃণমূল এবং বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী যদি জেনেই থাকেন যে এই ধরনের মিছিল থেকে কোন অশান্তি হতে পারে তাহলে তাঁর নিজেদের দলের নেতাদের কেন আরএসএস’এর সঙ্গে মিছিলে যেতে বলেছিলেন?’’ হাওড়ার ঘটনার পিছনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা ব্যানার্জি। সেই প্রসঙ্গ টেনে সেলিম বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলছেন পুলিশ শিথিলতা দেখিয়েছে। পুলিশমন্ত্রী তো তিনি নিজেই, পুলিশের শিথিলতার দায় তিনি এড়িয়ে যেতে পারেন না। হাওড়ায় যখন বামেরা নবান্ন অভিযানের মিছিল করতে গেছিল তখন পুলিশের বিশাল বাহিনী রোবোকোব, জল কামান নিয়ে আক্রমণ করেছিল। আর যখন সাম্প্রদায়িক হিংসার এই মিছিল হচ্ছে তখন কেন পুলিশ আগাম ব্যবস্থা নেয়নি? পুলিশের ইনটেলিজেন্স কী করছিলো?২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রতিবছর রাম নবমী উৎসবকে কেন্দ্র করে রাজ্যে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা সামনে আসছে। সেলিম বলেন, ‘‘রাজ্যের সংস্কৃতির ইতিহাসে উৎসব নতুন নয়। কিন্তু এই ধরনের উৎসব আমরা কখনও দেখিনি। উৎসব মানে কোন উপাসনা কেন্দ্রে বা মণ্ডপে মিলিত হয়ে তা পালন করা, প্রার্থনা করা। কিন্তু আরএসএস রাম নবমীর নামে মসজিদের দিকে অস্ত্র হাতে নিয়ে এগিয়ে যায়। পুলিশ আটকায়নি কেন?’’ শুক্রবারের সাংবাদিক সম্মেলনে সেলিম জানিয়েছেন আগামী ২ এপ্রিল হাওড়ার শিবপুরে শান্তি মিছিল করা হবে। দাঙ্গাবাজ তৃণমূল এবং বিজেপি বিরোধী সবাইকে আমরা শান্তির জন্য সঙ্গে চাই। রেড রোডে মুখ্যমন্ত্রীর ধর্না নিয়েও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর শাসক দলকে নিশানা করেছেন সেলিম। উল্লেখ্য মমতা বৃহস্পতিবার ধর্না শেষ হওয়ার সময় বলেন যে তিনি কোন ভাবে বিজেপি বিরোধী জোট ভাঙতে দেবেন না। এদিন জবাবে সেলিম বলেন, ‘‘সরকারি টাকায় দলীয় কর্মসূচি হচ্ছে। ওটা আসলে মমতা কার্নিভাল। ২০১৯ সালে যখন ধর্নায় বসেছিলেন তখন চন্দ্রবাবু নাইডু, তেজস্বী যাদবরা এসেছিলেন। কিন্তু এবার কেউ আসেননি। আসলে কেউ চোরেদের সাথে থাকতে চায় না।’’ রাজ্যের দাবি আদায়, বঞ্চনার বিরুদ্ধে লোকসভায় এবং রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক। এদিন সেলিম বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে ধর্না। কিন্তু বিজেপির দুর্নীতি, আদানি, লোলিত মোদীদের নিয়ে কোন কথা তিনি বলেননি। উল্টে সিপিআই(এম), গণশক্তির বিরুদ্ধে কথা বলে গিয়েছেন। সরকারি কর্মচারিদের তিনি চোর বলেছেন।’’ শুক্রবারও ১০০ দিনের টাকা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি তুলেছেন সেলিম।
|
পুলিশমন্ত্রী তো তিনি নিজেই, পুলিশের শিথিলতার দায় তিনি এড়িয়ে যেতে পারেন না হাওড়ায় যখন বামেরা নবান্ন অভিযানের মিছিল করতে গেছিল তখন পুলিশের বিশাল বাহিনী রোবোকোব, জল কামান নিয়ে আক্রমণ করেছিল আর যখন সাম্প্রদায়িক হিংসার এই মিছিল হচ্ছে তখন কেন পুলিশ আগাম ব্যবস্থা নেয়নি? পুলিশের ইনটেলিজেন্স কী করছিলো?২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রতিবছর রাম নবমী উৎসবকে কেন্দ্র করে রাজ্যে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা সামনে আসছে সেলিম বলেন, ‘‘রাজ্যের সংস্কৃতির ইতিহাসে উৎসব নতুন নয় কিন্তু এই ধরনের উৎসব আমরা কখনও দেখিনি উৎসব মানে কোন উপাসনা কেন্দ্রে বা মণ্ডপে মিলিত হয়ে তা পালন করা, প্রার্থনা করা কিন্তু আরএসএস রাম নবমীর নামে মসজিদের দিকে অস্ত্র হাতে নিয়ে এগিয়ে যায় পুলিশ আটকায়নি কেন?’’ শুক্রবারের সাংবাদিক সম্মেলনে সেলিম জানিয়েছেন আগামী ২ এপ্রিল হাওড়ার শিবপুরে শান্তি মিছিল করা হবে দাঙ্গাবাজ তৃণমূল এবং বিজেপি বিরোধী সবাইকে আমরা শান্তির জন্য সঙ্গে চাই রেড রোডে মুখ্যমন্ত্রীর ধর্না নিয়েও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর শাসক দলকে নিশানা করেছেন সেলিম উল্লেখ্য মমতা বৃহস্পতিবার ধর্না শেষ হওয়ার সময় বলেন যে তিনি কোন ভাবে বিজেপি বিরোধী জোট ভাঙতে দেবেন না
|
ধর্মের ভাগাভাগি হটিয়ে মোদী-মমতার লুট রোখার আহ্বান মহম্মদ সেলিমের
|
ছড়ালো পঞ্চায়েতের গান: ‘চোর জোচ্চোর দাঙ্গাবাজের এবার রেহাই নাই’
|
Maharashtra: মোবাইল ফোনে আসক্তি, বাবার বকুনি শুনে আত্মঘাতী ১৯ বছরের কিশোরী
|
Subsets and Splits
No community queries yet
The top public SQL queries from the community will appear here once available.