image
image
text
string
SN
int64
Filename
string
Username
string
Age
int64
Gender
string
Occupation
string
Category
string
Char Count
float64
Article link
string
Strike
bool
Bangla - English
bool
Multi - Paragraph
bool
সম্রাট অশোক 'ধম্মমহামাত্র' নামে একটি বিশেষ শ্রেণীর কর্মচারী নিযুক্ত করেন। তাঁদের কাজ ছিল ভগবান বুদ্ধের বাণী প্রচার, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি স্থাপন এবং প্রজাবর্গের ইহলৌকিক ও পারলৌকিক মঙ্গল সাধন করা। বৌদ্ধধর্মের বিশুদ্ধতা এবং বৌদ্ধসঙ্ঘের ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে তিনি পাটলিপুত্রে তৃতীয় বৌদ্ধ সঙ্গীতির অধিবেশন আহ্বান করেন। কেবলমাত্র নিজ সাম্রাজ্যের অভ্যন্তরেই নয় - সুদূর দক্ষিণের কেরলপুত্র, সত্যপূত্র, চোল, পান্ড্য প্রভৃতি দেশে তিনি ধর্মদূত পাঠান। এছাড়া তিনি পাঁচটি গ্রীক শাসিত রাজ্য - সিরিয়ার অধিপতি অ্যান্টিওকাস থিওস, ম্যাসিডন-রাজ অ্যান্টিগোনাস গোনেটাস, করিন্থ বা এপিরসের রাজা আলেকজান্ডার, মিশর-রাজ টলেমি ফিলাডেলফাস এবং সাইরিন (আফ্রিকা) এর অধিপতি মেগাস এর কাছে ধর্মদূত পাঠান। স্যান্ডার্স বলেন যে, তাঁর ধর্মপ্রচারকগণ এশিয়া, ইউরোপ, ও আফ্রিকার কুসংস্কারাছন্ন অধিবাসীদের মনে কৃষ্টিমূলক প্রভাব বিস্তারে সক্ষম হন।
101
IMG_20230103_0003b.jpg
u047
27
M
Student
Textbook - History
1,400
Swadesh Porichoy o Bishwa - Jiban Mukhopadhyay
false
false
true
'ইতিহাসের জনক' হিসাবে পরিচিত গ্রীক ঐতিহাসিক হেরোডটাস ও গ্রীক চিকিৎসক টেসিয়াস এর রচনা থেকে ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে পারসিক আধিপত্যের কথা জানা যায়। গ্রীকদুত মেগাস্থিনিস এর লেখা ' ইন্ডিকা ' গ্রন্থ থেকে মৌর্যযুগের বিবরণ পাওয়া যায়। জনৈক অজ্ঞাতনামা গ্রীক নাবিকের ' পেরিপ্লাস অব দ্য ইরিথ্রিয়ান সী ' নামক গ্রন্থ থেকে খ্রিষ্টীয় প্রথম শতকের ভারতীয় অর্থনীতি, বাণিজ্য ও ভূগোল সংক্রান্ত নানা তথ্য পাওয়া যায়। টলেমির ভূগোল ও প্লিনির রচনাও মূল্যবান ঐতিহাসিক উপাদান। চৈনিক পরিব্রাজক ফা-হিয়েন, হিউয়েন সাঙ, ইতসিং এবং তিব্বতীয় ঐতিহাসিক লামা তারানাথ এর রচনা ভারতের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
102
IMG_20230103_0002a.jpg
u047
27
M
Student
Textbook - History
1,346
Swadesh Porichoy o Bishwa - Jiban Mukhopadhyay
false
false
true
লোহা, সোনা, তামা, ব্রোঞ্জের তৈরি নানা দ্রব্যাদি, ইট-পাথর, ঘরবাড়ি ও মন্দিরগাত্রে উৎকীর্ণ নানা লিপি থেকে ইতিহাসের প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সংগৃহীত হয়েছে। এইসব লিপিগুলি প্রাকৃত, পালি, সংস্কৃত প্রভৃতি বিভিন্ন ভাষায় লিখিত হত। এই সব লিপিগুলির মধ্যে সম্রাট অশোকের বিভিন্ন লিপি, কলিঙ্গরাজ খারবেলের হস্তিগুম্ফা লিপি, সাতবাহনরাজ গৌতমীপুত্র সাতকর্নীর নাসিক প্রশস্তি, সমুদ্রগুপ্তর এলাহাবাদ প্রশস্তি, শকরাজা রুদ্রদামন এর জুনাগড় স্তম্ভলিপি, চালুক্যরাজ দ্বিতীয় পুলকেশির সভাকবি রবিকীর্তির আইহোল প্রশস্তি বিশেষ উল্লেখযোগ্য। ভারতের বাইরে এশিয়া মাইনরের বখাজ কই, পারস্যের বেহিস্তান, পার্সেপলিস, নকস - ই - রুস্তম এবং আফগানিস্তান, যবদ্বীপ, ইন্দোচিন, সুমাত্রা প্রভৃতি স্থানে আবিষ্কৃত লিপি থেকেও ওই সকল স্থানের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগের কথা জানা যায়।
103
IMG_20230103_0002b.jpg
u047
27
M
Student
Textbook - History
1,346
Swadesh Porichoy o Bishwa - Jiban Mukhopadhyay
false
false
true
বঙ্কুবাবুকে কেউ কোনোদিন রাগতে দেখেনি। সত্যি বলতে কী, তিনি রাগলে যে কী রকম ব্যাপারটা হবে, কী যে বলবেন বা করবেন তিনি, সেটা আন্দাজ করা ভারী শক্ত। অথচ রাগবার যে কারণ ঘটে না তা মোটেই নয়। আজ বাইশ বছর তিনি কাঁকুড়গাছি প্রাইমারি ইস্কুলে ভূগোল ও বাংলা পড়িয়ে আসছেন। এর মধ্যে কত ছাত্র এলো গেলো, কিন্তু বঙ্কুবাবুর পিছনে লাগা - ব্ল্যাকবোর্ডে তাঁর ছবি আঁকা, তাঁর বসবাস চেয়ারে গাবের আঠা মাখিয়ে রাখা, কালীপুজোর রাত্রে তাঁর পিছনে ছুঁচোবাজি ছেড়ে দেওয়া - এসবই এই বাইশ বছর ধরে ছাত্র-পরম্পরায় চলে আসছে। বঙ্কুবাবু কিন্তু কক্ষনো রাগেননি। কেবল মাঝে মাঝে গলা খাঁকরিয়ে বলেছেন, ছিঃ! এর একটা কারণ অবিশ্যি এই যে তিনি যদি রাগটাগ করে মাস্টারি ছেড়ে দেন তো তাঁর মত গরীব লোকের পক্ষে এই বয়সে আরেকটা মাস্টারি বা চাকরী খুঁজে পাওয়া খুবই শক্ত হবে। আরেকটা কারণ হলো, ক্লাসভর্তি দুষ্টু ছেলের মধ্যে দু-একটি করে ভালো ছাত্র প্রতিবারই থাকে। বঙ্কুবাবু তাদের সঙ্গে ভাব করে তাদের পড়িয়ে এত আনন্দ পান যে তাতেই তার মাস্টারি সার্থক হয়ে যায়। এইসব ছাত্রদের তিনি কখনও কখনও নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন। তারপর বাটি করে মুড়কি খেতে দিয়ে গল্পচ্ছলে দেশ-বিদেশের আশ্চর্য ঘটনা শোনান। আফ্রিকার গল্প, মেরু আবিষ্কারের গল্প, ব্রাজিলের মানুষখেকো মাছের গল্প, সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে যাওয়া আটলান্টিস মহাদেশের গল্প, এসবই বঙ্কুবাবু চমৎকার করে বলতে পারেন।
104
IMG_20230129_0002a.jpg
u044
54
M
Service - Government Sector
Literature - Short Story
1,192
Bonkubabur Bondhu - Satyajit Ray
true
false
true
বঙ্কুবাবুকে কেউ কোনোদিন রাগতে দেখেনি। সত্যি বলতে কী, তিনি রাগলে যে কী রকম ব্যাপারটা হবে, কী যে বলবেন বা করবেন তিনি, সেটা আন্দাজ করা ভারী শক্ত। অথচ রাগবার যে কারণ ঘটে না তা মোটেই নয়। আজ বাইশ বছর তিনি কাঁকুড়গাছি প্রাইমারি ইস্কুলে ভূগোল ও বাংলা পড়িয়ে আসছেন। এর মধ্যে কত ছাত্র এলো গেলো, কিন্তু বঙ্কুবাবুর পিছনে লাগা - ব্ল্যাকবোর্ডে তাঁর ছবি আঁকা, তাঁর বসবাস চেয়ারে গাবের আঠা মাখিয়ে রাখা, কালীপুজোর রাত্রে তাঁর পিছনে ছুঁচোবাজি ছেড়ে দেওয়া - এসবই এই বাইশ বছর ধরে ছাত্র-পরম্পরায় চলে আসছে। বঙ্কুবাবু কিন্তু কক্ষনো রাগেননি। কেবল মাঝে মাঝে গলা খাঁকরিয়ে বলেছেন, ছিঃ! এর একটা কারণ অবিশ্যি এই যে তিনি যদি রাগটাগ করে মাস্টারি ছেড়ে দেন তো তাঁর মত গরীব লোকের পক্ষে এই বয়সে আরেকটা মাস্টারি বা চাকরী খুঁজে পাওয়া খুবই শক্ত হবে। আরেকটা কারণ হলো, ক্লাসভর্তি দুষ্টু ছেলের মধ্যে দু-একটি করে ভালো ছাত্র প্রতিবারই থাকে। বঙ্কুবাবু তাদের সঙ্গে ভাব করে তাদের পড়িয়ে এত আনন্দ পান যে তাতেই তার মাস্টারি সার্থক হয়ে যায়। এইসব ছাত্রদের তিনি কখনও কখনও নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন। তারপর বাটি করে মুড়কি খেতে দিয়ে গল্পচ্ছলে দেশ-বিদেশের আশ্চর্য ঘটনা শোনান। আফ্রিকার গল্প, মেরু আবিষ্কারের গল্প, ব্রাজিলের মানুষখেকো মাছের গল্প, সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে যাওয়া আটলান্টিস মহাদেশের গল্প, এসবই বঙ্কুবাবু চমৎকার করে বলতে পারেন।
105
IMG_20230129_0002b.jpg
u044
54
M
Service - Government Sector
Literature - Short Story
1,192
Bonkubabur Bondhu - Satyajit Ray
true
false
true
বঙ্কুবাবু আলোটা দেখতে পেলেন পঞ্চা ঘোষের বাঁশবাগানের মাঝ বরাবর এসে। তাঁর নিজের হাতে আলো ছিল না। শীতকাল, তাই সাপের ভয় নেই; তাছাড়া পথও খুব ভালো ভাবেই চেনা। এ পথে এমনিতে বড়ো একটা কেউ আসে না, কিন্তু বঙ্কুবাবুর শর্টকার্ট হয় বলেই তিনি এই পথে যান। কিছুক্ষন থেকেই তাঁর কেমন জানি খটকা লাগছিল। অন্যদিনের চেয়ে কী জানি একটা অন্য রকম ভাব। কিন্তু সেটা যে কী তা বুঝতে পারছিলেন না। হঠাৎ খেয়াল হল যে বাঁশবনে আজ ঝিঁঝিঁ ডাকছে না। একদম না। সেইটেই তফাৎ। অন্যদিন যতই বনের ভিতর ঢোকেন ততই ঝিঁঝিঁর ডাক বাড়ে। আজ ঠিক তার উল্টো। তাই এমন থমথমে ভাব। ব্যাপার কী? ঝিঁঝিঁগুলো সব ঘুমোচ্ছে নাকি? ভাবতে ভাবতে হাত বিশেক গিয়ে পুবদিকে চোখ যেতেই আলোটা দেখতে পেলেন। প্রথমে মনে হলো বুঝি আগুন লেগেছে। বনের মধ্যিখানে ফাঁকটায় যেখানে ডোবাটা রয়েছে তার চারপাশে বেশ খানিকটা জায়গা জুড়ে গাছের ডালে ও পাতায় একটা গোলাপী আভা। আর নিচে ডোবার সমস্ত জায়গাটা জুড়ে উজ্জ্বল গোলাপী আলো। কিন্তু আগুন নয়, কারণ আলোটা স্থির। বঙ্কুবাবু এগোতে লাগলেন। কানের মধ্যে একটা শব্দ আসছে। কিন্তু সেটা যেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। হঠাৎ কানে তালা লাগলে যেমন শব্দ হয় - রী রী রী রী - এ যেন ঠিক সেই রকম। বঙ্কুবাবুর গা একটু ছমছম করে থাকলেও একটা অদম্য কৌতূহলবশে তিনি এগিয়ে চললেন। ডোবার থেকে ত্রিশ হাত দূরে বড়ো বাঁশঝাড়টা পেরোতেই তিনি জিনিসটা দেখতে পেলেন।
106
IMG_20230209_0002a.jpg
u049
24
M
Student
Literature - Short Story
1,181
Bonkubabur Bondhu - Satyajit Ray
true
false
true
বঙ্কুবাবু আলোটা দেখতে পেলেন পঞ্চা ঘোষের বাঁশবাগানের মাঝ বরাবর এসে। তাঁর নিজের হাতে আলো ছিল না। শীতকাল, তাই সাপের ভয় নেই; তাছাড়া পথও খুব ভালো ভাবেই চেনা। এ পথে এমনিতে বড়ো একটা কেউ আসে না, কিন্তু বঙ্কুবাবুর শর্টকার্ট হয় বলেই তিনি এই পথে যান। কিছুক্ষন থেকেই তাঁর কেমন জানি খটকা লাগছিল। অন্যদিনের চেয়ে কী জানি একটা অন্য রকম ভাব। কিন্তু সেটা যে কী তা বুঝতে পারছিলেন না। হঠাৎ খেয়াল হল যে বাঁশবনে আজ ঝিঁঝিঁ ডাকছে না। একদম না। সেইটেই তফাৎ। অন্যদিন যতই বনের ভিতর ঢোকেন ততই ঝিঁঝিঁর ডাক বাড়ে। আজ ঠিক তার উল্টো। তাই এমন থমথমে ভাব। ব্যাপার কী? ঝিঁঝিঁগুলো সব ঘুমোচ্ছে নাকি? ভাবতে ভাবতে হাত বিশেক গিয়ে পুবদিকে চোখ যেতেই আলোটা দেখতে পেলেন। প্রথমে মনে হলো বুঝি আগুন লেগেছে। বনের মধ্যিখানে ফাঁকটায় যেখানে ডোবাটা রয়েছে তার চারপাশে বেশ খানিকটা জায়গা জুড়ে গাছের ডালে ও পাতায় একটা গোলাপী আভা। আর নিচে ডোবার সমস্ত জায়গাটা জুড়ে উজ্জ্বল গোলাপী আলো। কিন্তু আগুন নয়, কারণ আলোটা স্থির। বঙ্কুবাবু এগোতে লাগলেন। কানের মধ্যে একটা শব্দ আসছে। কিন্তু সেটা যেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। হঠাৎ কানে তালা লাগলে যেমন শব্দ হয় - রী রী রী রী - এ যেন ঠিক সেই রকম। বঙ্কুবাবুর গা একটু ছমছম করে থাকলেও একটা অদম্য কৌতূহলবশে তিনি এগিয়ে চললেন। ডোবার থেকে ত্রিশ হাত দূরে বড়ো বাঁশঝাড়টা পেরোতেই তিনি জিনিসটা দেখতে পেলেন।
107
IMG_20230209_0002b.jpg
u049
24
M
Student
Literature - Short Story
1,181
Bonkubabur Bondhu - Satyajit Ray
true
false
true
বর্তমান বিজাপুর জেলার বাতাপি বা বাদামি কে কেন্দ্র করে চালুক্য রাজ্য গড়ে ওঠে। এই বংশের দ্বিতীয় পুলকেশী ছিলেন দাক্ষিণাত্যের শ্রেষ্ঠ নরপতি। তাঁর সভাকবি রবিকির্তীর আইহোল প্রশস্তি থেকে তাঁর কৃতিত্বের কথা জানা যায়। তাঁর আমলে চালুক্য - পল্লব দ্বন্দ্ব শুরু হয় যা অষ্টম শতাব্দী পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এর ফলে দু-পক্ষই দুর্বল হয়ে পড়ে এবং এই সুযোগে অষ্টম শতাব্দীর মধ্যভাগে দাক্ষিণাত্যে রাষ্ট্রকূটদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। কল্যাণের চালুক্যরা হল বাতাপির চালুক্য বংশেরই একটি শাখা। হায়দ্রাবাদের অন্তর্গত কল্যাণ বা কল্যাণী এই রাজ্যের রাজধানী ছিল। ষষ্ঠ বিক্রমাদিত্য এই বংশের সর্বশ্রষ্ঠ নরপতি ছিলেন। তাঁর সভাপতি বিহ্লন এর 'বিক্রমাঙ্কদেবচরিত' গ্রন্থ থেকে তাঁর সামরিক প্রতিভা ও কৃতিত্বের কথা জানা যায়। রাষ্ট্রকূটরা চালুক্যদের অধীনে সামন্তরাজা ছিলেন। পল্লব ও চালুক্যরা দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্বের মাধ্যমে শক্তিহীন হয়ে পড়লে অষ্টম শতাব্দীর মধ্যভাগে তারা দক্ষিণ ভারতে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে। এই বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ নরপতি ছিলেন তৃতীয় গোবিন্দ। খ্রিষ্টীয় তৃতীয় শতকের প্রথমার্ধে সাতবাহন সাম্রাজ্যের পতনের পর কৃষ্ণা নদীর দক্ষিণে কাঞ্চি নগরকে কেন্দ্র করে পল্লব রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। এই বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা ছিলেন প্রথম নরসিংহবর্মন। তিনি মহামল্ল উপাধি ধারণ করেন। চালুক্যরাজ্য দ্বিতীয় পুলকেশীকে তিনি একাধিকবার পরাজিত করেন - এমনকী তিনি বাতাপি অধিকার করেন এবং বাতাপিকোণ্ড উপাধি নেন। ৮৯১ খ্রিষ্টাব্দে চোল-সামন্ত আদিত্য শেষ পল্লবরাজ অপরাজিতকে পরাজিত করে পল্লবশক্তি ধ্বংস করেন এবং দাক্ষিণাত্যে চোল আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
108
IMG_20230209_0001a.jpg
u049
24
M
Student
Textbook - History
1,401
Swadesh Porichoy o Bishwa - Jiban Mukhopadhyay
true
false
true
বর্তমান বিজাপুর জেলার বাতাপি বা বাদামি কে কেন্দ্র করে চালুক্য রাজ্য গড়ে ওঠে। এই বংশের দ্বিতীয় পুলকেশী ছিলেন দাক্ষিণাত্যের শ্রেষ্ঠ নরপতি। তাঁর সভাকবি রবিকির্তীর আইহোল প্রশস্তি থেকে তাঁর কৃতিত্বের কথা জানা যায়। তাঁর আমলে চালুক্য - পল্লব দ্বন্দ্ব শুরু হয় যা অষ্টম শতাব্দী পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এর ফলে দু-পক্ষই দুর্বল হয়ে পড়ে এবং এই সুযোগে অষ্টম শতাব্দীর মধ্যভাগে দাক্ষিণাত্যে রাষ্ট্রকূটদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। কল্যাণের চালুক্যরা হল বাতাপির চালুক্য বংশেরই একটি শাখা। হায়দ্রাবাদের অন্তর্গত কল্যাণ বা কল্যাণী এই রাজ্যের রাজধানী ছিল। ষষ্ঠ বিক্রমাদিত্য এই বংশের সর্বশ্রষ্ঠ নরপতি ছিলেন। তাঁর সভাপতি বিহ্লন এর 'বিক্রমাঙ্কদেবচরিত' গ্রন্থ থেকে তাঁর সামরিক প্রতিভা ও কৃতিত্বের কথা জানা যায়। রাষ্ট্রকূটরা চালুক্যদের অধীনে সামন্তরাজা ছিলেন। পল্লব ও চালুক্যরা দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্বের মাধ্যমে শক্তিহীন হয়ে পড়লে অষ্টম শতাব্দীর মধ্যভাগে তারা দক্ষিণ ভারতে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে। এই বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ নরপতি ছিলেন তৃতীয় গোবিন্দ। খ্রিষ্টীয় তৃতীয় শতকের প্রথমার্ধে সাতবাহন সাম্রাজ্যের পতনের পর কৃষ্ণা নদীর দক্ষিণে কাঞ্চি নগরকে কেন্দ্র করে পল্লব রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। এই বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা ছিলেন প্রথম নরসিংহবর্মন। তিনি মহামল্ল উপাধি ধারণ করেন। চালুক্যরাজ্য দ্বিতীয় পুলকেশীকে তিনি একাধিকবার পরাজিত করেন - এমনকী তিনি বাতাপি অধিকার করেন এবং বাতাপিকোণ্ড উপাধি নেন। ৮৯১ খ্রিষ্টাব্দে চোল-সামন্ত আদিত্য শেষ পল্লবরাজ অপরাজিতকে পরাজিত করে পল্লবশক্তি ধ্বংস করেন এবং দাক্ষিণাত্যে চোল আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
109
IMG_20230209_0001b.jpg
u049
24
M
Student
Textbook - History
1,401
Swadesh Porichoy o Bishwa - Jiban Mukhopadhyay
true
false
true
একদিকে পেশায় ডাক্তার। আবার অন্যদিকে প্রথম বার UPSC সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসেই দুর্দান্ত ফলাফল। তাও আবার কোনও কোচিং ছাড়াই। UPSC সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় এহেন ফলাফলের নিদর্শন রেখেছেন বারাণসীর আরতিকা শুক্লা। কোনও কোচিং ছাড়াই তিনি সংশ্লিষ্ট পরীক্ষায় ৪র্থ rank অর্জন করেছেন। আরতিকা শুক্লা বর্তমানে আজমেরের সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট পদে কর্মরত রয়েছেন। ডাক্তারি পড়তে শুরু করলেও IAS স্বপ্নকে পূরণ করার জন্য মাঝপথেই এমডি কোর্স ছেড়ে দেন আরতিকা শুক্লা। 1990 সালের 5 সেপ্টেম্বর জন্ম হয় আরতিকা শুক্লার। ছোটবেলা থেকেই তিনি পড়াশুনায় উজ্জ্বল ছাত্রী ছিলেন। বারাণসীর সেন্ট জনস স্কুল থেকে স্কুলের শিক্ষা শেষ করেন বছর 32-এর ইউপিএসসি কৃতী।
110
IMG_20221226_0010a.jpg
u032
25
M
Student
News - Education
622
https://eisamay.com/education-news/artika-sukla-sucured-4th-rank-in-upsc-without-coaching/articleshow/95834530.cms
false
true
false
বিমানে ওঠার পর থেকে ¤ যাত্রীদের বিভিন্নভাবে বিমান সেবিকারা সাহায্য করে থাকেন। আবার খাবার থেকে শৌচাগার সহ বিমানের যাবতীয় কোনও অভিযোগও বিমানসেবিকাকেই শুনতে হয়। কিন্তু সাধারণত যাত্রীদের হাজার রকমের খেয়ালিপনার সহ্য করেও বিমানসেবিকারা মেজাজ হারান না। কিন্তু সাম্প্রতিককালে বিমানসেবিকার এক যাত্রীর সঙ্গে তুমুর বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার ভিডিয়ো সামনে এসেছে। খানিক শুনতে অস্বাভাবিক লাগলেও এমনই এক দৃশ্যের সাক্ষী হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। ঘটনাটি ঘটেছে ইস্তাম্বুল থেকে দিল্লিগামী এক ইন্ডিগোর বিমানে। সম্প্রতি ইন্ডিগোর ওই বিমানের ¤ একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। Tarun Shukla নামে এক টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, এক যাত্রী খারাপ খাবার পাওয়ার অভিযাগে বিমানসেবিকার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছেন। ¤ আসলে বিমানে নিজের পছন্দের খাবার না পেয়েই বেজায় চটে যান ওই যাত্রী। ফলে রীতিমতো খারাপ ব্যবহার করতে থাকেন বিমানসেবিকার সঙ্গে। আসলে ঘটনাটির সূত্রপাত খাবার কেন্দ্র করে হলেও তা ধীরে ধীরে যথেষ্ট বিতর্কের দিকে মোড় নেয়। এমনকী সংশ্লিষ্ট ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, এক যাত্রীর খারাপ ব্যবহারের জন্য এক বিমানসেবিকা কেঁদে দিয়েছেন। আর সহকর্মীর পাশে দাঁড়াতেই আরেক বিমানসেবিকা ওই যাত্রীকে তাঁর খারাপ ব্যবহারের জন্য দোষারোপ করেন।
111
IMG_20221226_0018a.jpg
u032
25
M
Student
News - Others
1,143
https://eisamay.com/viral/indigo-crew-and-passenger-fight-mid-flight-video-goes-viral/articleshow/96432581.cms
true
true
false